আজঃ সোমবার ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫

চট্টগ্রাম বন্দরে আনা এমন ১২টি গাড়ির বর্ণনামূলক তালিকা (ইনভেন্ট্রি) তৈরির কাজ শুরু

ব্যবহারের উপযোগী থাকলে তোলা হবে নিলামে

নিজস্ব প্রতিবেদক

আমদানিকারক পাহাড়তলী থানাধীন উত্তর কাট্টলীর প্রতিষ্ঠান মেসার্স জি এম ইন্টারন্যাশনাল

চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি করে প্রায় ১৫ বছর পর্যন্ত খালাস করা হয়নি ১২টি গাড়ি। গাড়িগুলোর মধ্যে কোনটি ব্যবহার উপযোগী থাকলে নিলামে তোলা হবে। আর জরাজীর্ণ হলে ধ্বংস করা হবে বলে জানা গেছে। এদিকে আমদানি করেও খালাস না পি সেডে থাকা ওই ১২টি গাড়ি চট্টগ্রাম বন্দরের অভ্যন্তর হতে সরানোর উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। ২০০৮ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরে আনা এমন ১২টি গাড়ির বর্ণনামূলক তালিকা (ইনভেন্ট্রি) তৈরির কাজ শুরু করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষের নিলাম শাখা। তবে ১২টি গাড়ির বর্ণনামূলক তালিকা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে গত ৪ নভেম্বর থেকে। যা রোববার (১৭ নভেম্বর) শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। অন্যদিকে গাড়িগুলো যদি উৎপাদনের ৫ বছরের মধ্যে আমদানি করা না হয় তবে নিয়ম অনুযায়ী নিষিদ্ধ হিসেবে বিবেচিত হবে। সেক্ষেত্রে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পত্র পাওয়া সাপেক্ষে নিলামে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপ-কমিশনার সাঈদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, তালিকায় একটি নষ্ট হয়ে যাওয়া কার রয়েছে। যেটির আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান নগরীর শেখ মুজিব রোডের প্রতিষ্ঠান মেসার্স কে কে অটোমোবাইলস। এটি ২০১৪ সালের অক্টোবরে আমদানি করা হয় এবং ২০১৫ সালের নভেম্বরে নিলামের জন্য কাস্টমসের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এছাড়া তালিকায় একটি পিকআপ ও আরসি ভ্যান গাড়ি রয়েছে। যার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের নাম জানা যায়নি। এরমধ্যে পিকআপটি ২০১০ সালের ডিসেম্বরে এবং আরসি ভ্যান গাড়িটি ২০১১ সালের জানুয়ারিতে চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। এরপর খালাস না হওয়ায় এতো বছর ধরেই বন্দরের অভ্যন্তরে পড়ে রয়েছে।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের ইনভেন্ট্রি তালিকা থেকে জানা যায়, ১২টি গাড়ির মধ্যে রয়েছে ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি হওয়া একটি মাইক্রোবাস। যার আমদানিকারক পাহাড়তলী থানাধীন উত্তর কাট্টলীর প্রতিষ্ঠান মেসার্স জি এম ইন্টারন্যাশনাল। গাড়িটি খালাস না হওয়ায় বন্দর কর্তৃপক্ষ ২০০৯ সালের মার্চে নিলামের জন্য কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে ওই গাড়িটি হস্তান্তর করে। এছাড়া রয়েছে ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে আমদানিকৃত একটি পিকআপ। যার আমদানিকারক নগরীর শেখ মুজিব রোডের প্রতিষ্ঠান মেসার্স হেলাল অটোমোবাইলস। গাড়িটি খালাস না হওয়ায় বন্দর কর্তৃপক্ষ ২০০৯ সালে নিলামের জন্য এটি কাস্টমসকে হস্তান্তর করে। অন্যদিকে তালিকায় রয়েছে দুটি কনটেইনার পরিবহনকারী যান প্রাইম মুভার। যার আমদানিকারক নগরীর মোমিন রোডের প্রতিষ্ঠান মেসার্স নাসিমা অটোস। গাড়ি দুটি ২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। যা খালাস না হওয়ায় নিলামের জন্য কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে ২০১৪ সালের জুলাইয়ে হস্তান্তর করে বন্দর কর্তৃপক্ষ। একই সময়ে আমদানি হওয়া ড্রাম ট্রাকও রয়েছে তালিকায়। যার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স হাবিদ অটোস। এটিও কাস্টমসের কাছে ২০১৪ সালের জুলাইয়ে হস্তান্তর করা হয় নিলামের জন্য।
কাস্টমসের ইনভেন্ট্রি তালিকা থেকে আরো জানা যায়, ২০১১ সালের জুনে আমদানি হওয়া দুটি কার রয়েছে এই তালিকায়। যার একটির আমদানিকারক নগরীর শেখ মুজিব রোডের প্রতিষ্ঠান এইচ আর মোটরস এবং অন্যটির আমদানিকারক নগরীর আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকার প্রতিষ্ঠান মেসার্স মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি। কার দুটি খালাস না হওয়ায় নিলামের জন্য ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে ও নভেম্বরে কাস্টমসের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তালিকায় একটি জিপ গাড়িও আছে। যেটি ২০১৪ সালের এপ্রিলে আমদানি করে নগরীর শেখ মুজিব রোডের চিশতিয়া মার্কেটের প্রতিষ্ঠান মেসার্স এস এফ অটোমোবাইলস। নিলামের জন্য গাড়িটি ২০১৪ সালের জুলাইয়ে কাস্টমসের কাছে হস্তান্তর করে বন্দর কর্তৃপক্ষ। ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে আমদানি হওয়া আরেকটি পিকআপ রয়েছে তালিকায়। যার আমদানিকারক নগরীর শেখ মুজিব রোডের প্রতিষ্ঠান মেসার্স হেলাল অটোমোবাইলস। এটি নিলামের জন্য ২০০৯ সালের জুলাইয়ে কাস্টমসের কাছে হস্তান্তর করে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

অংশ নিয়েছে প্রায় ৬০০ প্রতিযোগী চট্টগ্রামে এনআইটি উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতায়

বিজ্ঞানমনষ্ক শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী ক্ষমতা ও দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞানের যথাযথ প্রয়োগের লক্ষ্যে চট্টগ্রামের মুরাদপুরস্থ’ ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এনআইটি)’র উদ্যোগে ১১তম বারের মতো “এনআইটি উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতা-২০২৫” এনআইটি’র অডিটোরিয়ামে শনিবার অনুষ্ঠিত হয়। সকাল সাড়ে ৯টায় উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ কারীগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. রুহুল আমিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন পার্কভিউ হসপিটাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর ড. এটি. এম. রেজাউল করিম, চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট অধ্যক্ষ মো কামাল হোসেন। সভাপতিত্ব করেন এনআইটি’র চেয়ারম্যান আহসান হাবিব।

প্রতিযোগিতায় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ২৬৪টি বিভিন্ন ধরনের উদ্ভাবনীমূলক প্রকল্প প্রর্দশিত হয়। এতে প্রায় ৬০০ প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রকৌশলী মো. রুহুল আমিন বলেন, আজকের এই প্রতিযোগিতা শুধুমাত্র একটি বিজয়ীর খোঁজ নয়, বরং এটি আমাদের সবার জন্য একটি শিক্ষণীয় অভিজ্ঞতা। প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সকলেই নতুন কিছু শিখেছে এবং ভবিষ্যতে আরও বড় উদ্ভাবন নিয়ে আসার অনুপ্রাণিত হয়েছে। প্রতিযোগীতায় শিক্ষার্থীরা প্রমাণ করেছে, আমাদের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে অসীম সম্ভাবনা রয়েছে। প্রত্যেকটি প্রকল্পই আলাদা এবং একেকটি নতুন চিন্তার প্রতিফলন। উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতা শুধু একটি ইভেন্ট নয়; এটি হলো কারিগরি শিক্ষার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টির সবচাইতে কার্যকর মঞ্চ।

ড. এটি. এম. রেজাউল করিম বলেন,দক্ষতা একজন মানুষকে কর্মবাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে এবং তাকে স্বনির্ভর করতে সাহায্য করবে। উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতা শিক্ষার্থীদের সেই দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং কার্যকরী সমস্যা সমাধানের রুপরেখা তৈরী করে। অধ্যক্ষ মো কামাল হোসেন বলেন, এই প্রতিযোগিতায় উত্থাপিত সাশ্রয়ী ও টেকসই সমাধানগুলো কৃষি, স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতে আমূল পরিবর্তন আনতে সক্ষম। আমাদের তরুণরা প্রমাণ করেছেন যে তাদের মেধা ও সৃজনশীলতাই দেশকে ‘আধুনিক বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের মূল চালিকাশক্তি।


ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির চেয়ারম্যান আহসান হাবিব বলেন, উদ্ভাবন শুধু প্রযুক্তির খেলনা নয়, উদ্ভাবন হল মানুষের জীবনকে সহজ ও অর্থপূর্ণ করার হাতিয়ার। আজকের এই ছোট ছোট ধারণাগুলোই আগামী দিনের বড় বড় শিল্প ও সামাজিক পরিবর্তনের বীজ বপন করছে।প্রতিযোগীতায় মোট ২৬৪ টি প্রজেক্ট অংশ নেয়। প্রজেক্ট সমুহকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভাগ করে বিভিন্ন মানদন্ডে বিচার বিশ্লেষণ করার জন্য মূল্যায়ন দলে ছিলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর ড. এ. কে. এম. মাঈনুল হক মিয়াজী, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) এর পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. এইচ.এম

. এ আর মারুফ,চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজের পদার্থবিদ্যা বিভাগের এসোসিয়েট প্রফেসর ও বিভাগীয় প্রধান মো. দিদারুল আলম মজুমদার। চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট এর সিভিল ডিপার্টমেন্ট প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী মো জাহাঙ্গীর আলম, কম্পিউটার বিভাগের চীফ ইন্সট্রাক্টর প্রকৌশলী মেহেদী, ইলেকট্রিক্যাল বিভাগ চীফ ইন্সট্রাক্টর প্রকৌশলী সুজিত কুমার বিশ্বাস, মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্ট এর চীফ ইন্সট্রাক্টর প্রকৌশলী নুরুননবী।

বিচারক প্যানেল প্রজেক্ট সমুহ মূল্যায়ন সম্পন্ন করেন। মূল্যায়নে প্রাপ্ত নাম্বারের ভিত্তিতে টপ টেন নির্ধারণ করে পুরস্কার হিসেবে ১ম,২য় ও ৩য় স্থান অর্জন কারীর মধ্যে যথাক্রমে ৫০ হাজার, ৩০ হাজার ও ২০ হাজার নগদ অর্থ ও ক্রেস্ট পুরস্কৃত করা হয়। এছাড়া ইমার্জিং প্রজেক্ট হিসেবে চতুর্থ থেকে ১০ম স্থান অর্জনকারীদেরও ৫ হাজার নগদ অর্থ ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। সমাপনী পর্বে সকল অংশগ্রহণকারীকে সনদ বিতরণ করা হয়।

চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে লাগেজে মিলল ৯০ লাখ টাকার সিগারেট

চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মালিকানাহীন ছয়টি লাগেজ থেকে ৮০০ কার্টন মন্ড ব্র্যান্ডের সিগারেট জব্দ করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। শনিবার সকাল ১১টার দিকে বিমানবন্দরের এরাইভাল হলের লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড কর্নারের পাশ থেকে এসব লাগেজ উদ্ধার করা হয়। জব্দ হওয়া সিগারেট প্রতি কার্টন ১১ হাজার ২৫০ টাকা মূল্য ধরে মোট ৯০ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় করা হয়েছে।

কাস্টমস সূত্র জানায়, লাগেজগুলোর সঙ্গে কোনো যাত্রীর নাম, ট্যাগ বা মালিকানার কাগজপত্র ছিল না। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পরও কেউ লাগেজের দাবি না করায় সেগুলোকে কাস্টমস আইন অনুযায়ী পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। পরে লাগেজ খুলে ৮০০ কার্টন সিগারেট পাওয়া যায় এবং তা জব্দ করা হয়।

শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল বলেন, লাগেজগুলো দীর্ঘ সময় ধরে মালিকবিহীন অবস্থায় ছিল। কেউ দায়িত্ব না নেওয়ায় সেগুলো পরিত্যক্ত ঘোষণা করে জব্দ করা হয়েছে। বিমানবন্দরে চোরাচালান ঠেকাতে নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে এবং অভিযান চলমান থাকবে বলে তিনি জানান।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ