আজঃ শুক্রবার ১৬ মে, ২০২৫

চট্টগ্রাম বন্দরে আনা এমন ১২টি গাড়ির বর্ণনামূলক তালিকা (ইনভেন্ট্রি) তৈরির কাজ শুরু

ব্যবহারের উপযোগী থাকলে তোলা হবে নিলামে

নিজস্ব প্রতিবেদক

আমদানিকারক পাহাড়তলী থানাধীন উত্তর কাট্টলীর প্রতিষ্ঠান মেসার্স জি এম ইন্টারন্যাশনাল

চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি করে প্রায় ১৫ বছর পর্যন্ত খালাস করা হয়নি ১২টি গাড়ি। গাড়িগুলোর মধ্যে কোনটি ব্যবহার উপযোগী থাকলে নিলামে তোলা হবে। আর জরাজীর্ণ হলে ধ্বংস করা হবে বলে জানা গেছে। এদিকে আমদানি করেও খালাস না পি সেডে থাকা ওই ১২টি গাড়ি চট্টগ্রাম বন্দরের অভ্যন্তর হতে সরানোর উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। ২০০৮ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরে আনা এমন ১২টি গাড়ির বর্ণনামূলক তালিকা (ইনভেন্ট্রি) তৈরির কাজ শুরু করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষের নিলাম শাখা। তবে ১২টি গাড়ির বর্ণনামূলক তালিকা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে গত ৪ নভেম্বর থেকে। যা রোববার (১৭ নভেম্বর) শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। অন্যদিকে গাড়িগুলো যদি উৎপাদনের ৫ বছরের মধ্যে আমদানি করা না হয় তবে নিয়ম অনুযায়ী নিষিদ্ধ হিসেবে বিবেচিত হবে। সেক্ষেত্রে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পত্র পাওয়া সাপেক্ষে নিলামে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপ-কমিশনার সাঈদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, তালিকায় একটি নষ্ট হয়ে যাওয়া কার রয়েছে। যেটির আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান নগরীর শেখ মুজিব রোডের প্রতিষ্ঠান মেসার্স কে কে অটোমোবাইলস। এটি ২০১৪ সালের অক্টোবরে আমদানি করা হয় এবং ২০১৫ সালের নভেম্বরে নিলামের জন্য কাস্টমসের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এছাড়া তালিকায় একটি পিকআপ ও আরসি ভ্যান গাড়ি রয়েছে। যার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের নাম জানা যায়নি। এরমধ্যে পিকআপটি ২০১০ সালের ডিসেম্বরে এবং আরসি ভ্যান গাড়িটি ২০১১ সালের জানুয়ারিতে চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। এরপর খালাস না হওয়ায় এতো বছর ধরেই বন্দরের অভ্যন্তরে পড়ে রয়েছে।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের ইনভেন্ট্রি তালিকা থেকে জানা যায়, ১২টি গাড়ির মধ্যে রয়েছে ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি হওয়া একটি মাইক্রোবাস। যার আমদানিকারক পাহাড়তলী থানাধীন উত্তর কাট্টলীর প্রতিষ্ঠান মেসার্স জি এম ইন্টারন্যাশনাল। গাড়িটি খালাস না হওয়ায় বন্দর কর্তৃপক্ষ ২০০৯ সালের মার্চে নিলামের জন্য কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে ওই গাড়িটি হস্তান্তর করে। এছাড়া রয়েছে ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে আমদানিকৃত একটি পিকআপ। যার আমদানিকারক নগরীর শেখ মুজিব রোডের প্রতিষ্ঠান মেসার্স হেলাল অটোমোবাইলস। গাড়িটি খালাস না হওয়ায় বন্দর কর্তৃপক্ষ ২০০৯ সালে নিলামের জন্য এটি কাস্টমসকে হস্তান্তর করে। অন্যদিকে তালিকায় রয়েছে দুটি কনটেইনার পরিবহনকারী যান প্রাইম মুভার। যার আমদানিকারক নগরীর মোমিন রোডের প্রতিষ্ঠান মেসার্স নাসিমা অটোস। গাড়ি দুটি ২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। যা খালাস না হওয়ায় নিলামের জন্য কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে ২০১৪ সালের জুলাইয়ে হস্তান্তর করে বন্দর কর্তৃপক্ষ। একই সময়ে আমদানি হওয়া ড্রাম ট্রাকও রয়েছে তালিকায়। যার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স হাবিদ অটোস। এটিও কাস্টমসের কাছে ২০১৪ সালের জুলাইয়ে হস্তান্তর করা হয় নিলামের জন্য।
কাস্টমসের ইনভেন্ট্রি তালিকা থেকে আরো জানা যায়, ২০১১ সালের জুনে আমদানি হওয়া দুটি কার রয়েছে এই তালিকায়। যার একটির আমদানিকারক নগরীর শেখ মুজিব রোডের প্রতিষ্ঠান এইচ আর মোটরস এবং অন্যটির আমদানিকারক নগরীর আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকার প্রতিষ্ঠান মেসার্স মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি। কার দুটি খালাস না হওয়ায় নিলামের জন্য ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে ও নভেম্বরে কাস্টমসের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তালিকায় একটি জিপ গাড়িও আছে। যেটি ২০১৪ সালের এপ্রিলে আমদানি করে নগরীর শেখ মুজিব রোডের চিশতিয়া মার্কেটের প্রতিষ্ঠান মেসার্স এস এফ অটোমোবাইলস। নিলামের জন্য গাড়িটি ২০১৪ সালের জুলাইয়ে কাস্টমসের কাছে হস্তান্তর করে বন্দর কর্তৃপক্ষ। ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে আমদানি হওয়া আরেকটি পিকআপ রয়েছে তালিকায়। যার আমদানিকারক নগরীর শেখ মুজিব রোডের প্রতিষ্ঠান মেসার্স হেলাল অটোমোবাইলস। এটি নিলামের জন্য ২০০৯ সালের জুলাইয়ে কাস্টমসের কাছে হস্তান্তর করে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রাম কারাগারে কেএনএফ সদস্যের মৃত্যু।

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে এক কেএনএফ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। তার নাম লাল পেলেং কিং বম। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ তত্ত্বাবধায়ক ইকবাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, কারাগারের কর্ণফুলী ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে বন্দী ছিলেন লাল প্লে বম। আজ সকাল ৮টার দিকে ঘুম থেকে ওঠে চিৎকার শুরু করেন তিনি। তার হাত-পায়ে খিঁচুনি এসে যায়। এ সময় দ্রুত কারা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ সময় চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, হৃদ্‌যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আনা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ৯ এপ্রিল লাল প্লে বম গ্রেপ্তার হন। একই বছরের ২৬ জুন বান্দরবান থেকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয় তাকে। তার বিরুদ্ধে ব্যাংক ডাকাতি অপহরণসহ চারটি মামলা রয়েছে।

নেত্রকোনায় পাহাড় না কেটেই রাস্তায় উন্নয়ন।

নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার লেংঙ্গুরা ইউনিয়নের একটি পুরোনো পাহাড়ি পথকে চলাচলযোগ্য করতে গিয়ে বন ও পরিবেশ ধ্বংসের অভিযোগ উঠলেও স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, প্রকৃতপক্ষে কোনো পাহাড় কাটা হয়নি, কাটা হয়নি গাছও। সাম্প্রতিক কালবৈশাখী ঝড়ে উপড়ে পড়া গাছগুলো সরিয়েই রাস্তাটি সংস্কারের কাজ চলছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, লেংঙ্গুরা ইউনিয়নের কাঁঠালবাড়ী সুবেন ঘাঘড়ার টিলা থেকে চৈতানগর মহসিন মেম্বারের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় ১ দশমিক ১২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই পথ কয়েক দশক ধরে পাহাড়ি জনগোষ্ঠী এবং পর্যটকদের যাতায়াতের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বর্ষায় কাঁদায় মাখা পিচ্ছিল এই পথে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। দীর্ঘদিনের দাবি পূরণে স্থানীয় প্রশাসন কাবিখা প্রকল্পের আওতায় রাস্তাটির সমতলকরণ ও মাটি ফেলার কাজ শুরু করেছে।

লেংঙ্গুরা ইউপি চেয়ারম্যান ও কলমাকান্দা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সাইদুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, “এটি বহু পুরোনো চলাচলের রাস্তা। এখানে কোনো নতুন পাহাড় কাটা হয়নি। ঝড়ে ভেঙে পড়া কিছু গাছ রাস্তা থেকে সরিয়ে সংস্কারকাজ চলছে। এলাকাবাসীর বহুদিনের চাওয়া ছিল এই পথটি উন্নয়ন করার—এখন সেটিই বাস্তবায়ন হচ্ছে।”

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, পাহাড়ের গা ঘেঁষা পুরোনো এই পথে মাটি ফেলে সমান করা হয়েছে। আশপাশে পাহাড় কাটা বা গাছ কাটার কোনো চিহ্ন দেখা যায়নি। স্থানীয় বাসিন্দারাও জানিয়েছেন, এটি পুরোনো পথ, নতুন করে কিছুই ধ্বংস করা হয়নি।

এই পথে হেঁটে যাচ্ছিলেন নব্বই বছরের ক্ষুদ্র নৃ-জাতিগোষ্ঠীর সদস্য সুবেন মানখিন। তিনি বলেন, “আমি ছোটবেলা থেকে এই রাস্তা দিয়ে বাবা-দাদার সঙ্গে চলাফেরা করেছি। অনেক কষ্ট করে চলতে হতো। এখন রাস্তা সংস্কার হওয়ায় আমরা খুব খুশি।”

স্থানীয়রা—তপন সাংমা, চুহিন হাজং, জুই ঘ্রা, পীযূষ বণিক ও রফিকুল ইসলাম—সবাই বলেন, “এটি পুরোনো রাস্তা, নতুন করে কিছুই কাটা হয়নি। বরং আমাদের চলাচলের সুবিধার জন্য যেই পথে আমরা আগে চলতাম, সেটাই উন্নয়ন করা হচ্ছে। এজন্য আমরা উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।” একইসঙ্গে তারা রাস্তা পাকাকরণের দাবি জানান সরকারের কাছে।

এ বিষয়ে লেংঙ্গুরা বনবিভাগের বিট অফিসে কর্মরত বনরক্ষী আখতারুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাইযুল ওয়াসীমা নাহাত বলেন, “এই রাস্তা পাহাড়ি জনগোষ্ঠী ও পর্যটকদের যাতায়াতের একমাত্র পথ। পুরোনো রাস্তাটিকে কাবিখা প্রকল্পের আওতায় সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নতুন করে কোনো পাহাড় কাটা হয়নি।”

স্থানীয়দের অভিমত, উন্নয়ন প্রকল্পে পরিবেশ সংরক্ষণ ও জনগণের স্বার্থ—উভয়কেই সমান গুরুত্ব দেওয়া উচিত। এই প্রকল্পে সেই ভারসাম্য বজায় রেখেই কাজ হচ্ছে বলে তারা মত দিয়েছেন।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ