আজঃ শনিবার ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

নানান সমস্যায় লালমনিরহাট রেলওয়ে হাসপাতাল

সাহিদ বাদশা বাবু , লালমনিরহাট ::

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

রেলওয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্থানীয় রোগীদের ভিড়ে একসময় মুখরিত থাকতো রেলওয়ে হাসপাতাল লালমনিরহাট।কিন্তু এখন অনেকটা পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকায় এই হাসপাতালের চিকিৎসা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। বর্তমানে উন্নত স্বাস্থ্য সেবা দেয়ার নেই কোন বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি । ওষুধ থাকলেও তার সুবিধা তেমন পাননা রোগীরা। চিকিৎসক ও অন্যান্য কর্মরত পদ সংকটসহ নানান কারণে সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত এ অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ। বর্তমানে ইন্ডোর চিকিৎসাসেবা বন্ধের উপক্রম হয়ে আছে। আউটডোর ও জরুরি চিকিৎসাসেবা চালু থাকলেও সেটি নামেমাত্র।

জানা যায়, এখানে সপ্তাহে সামান্য কিছু রোগী হাসপাতালটির বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসেন, আর ইনডোরের অবস্থা খুবই শোচনীয়। ৩২ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালটিতে দুই -এক জন রোগী ভর্তি হন মাঝেমধ্যে।রেলওয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্থানীয়রা জানায়, লালমনিরহাট রেলওয়ে হাসপাতালে চিকিৎসক ও জনবল সংকটের কারণে তাদের এই হাসপাতালের বাইরে গিয়ে চিকিৎসা সেবা নিতে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতির জন্য চিকৎসক ও জনবল সংকটকে দায়ী করেছেন তাঁরা । এমতাবস্থায় অনতিবিলম্বে জনস্বার্থে হাসপাতালের সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ।

স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী (৫৪) বলেন,
হাসপাতালের ভেতরে অধিকাংশ দরজা তালাবদ্ধ থাকে। মাঝে মাঝে খোলা হলেও হাসপাতালে তেমন কোনো কার্যক্রম নেই।হঠাৎ কখনো তালা খোলা থাকলেও
ভেতরে গিয়ে দেখা যায় মাঠে গরু-ছাগল চড়ানো হচ্ছে। হাসপাতালের ভেতরের অধিকাংশ দরজায় তালা ঝুলানোর কারণে ভূতুড়ে পরিবেশ তৈরি হয়েছে।

লালমনিরহাট রেলওয়ে হাসপাতালটি সঠিক নিয়মে না চলার কারণে এলাকার লোকজন অনেক বার প্রতিবাদ করলেও তেমন কোন লাভ হয়নি বলে জানান স্থানীয়রা।হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ৩২ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালটিতে নারীদের জন্য ১০টি ও পুরুষদের জন্য ২০টি বেড রয়েছে সেই সাথে কর্মকর্তাদের জন্য ২টি বেড রয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালটিতে চিকিৎসক রয়েছে মাত্র ১ জন, সিনিয়র স্টাফ নার্স রয়েছে ১ জন ও অন্যান্য কর্মচারী রয়েছে ৩ জন। হাসপাতালে
নেই একজন রোগীও।কর্মরত নার্সের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় , হাসপাতালে বর্তমানে একজন রোগী ভর্তি রয়েছে তাও আবার তিনি নিজ বাড়ি থেকে এসে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন।

ব্রিটিশ আমলে নির্মিত এই হাসপাতালের ভবনের ছাদ ও ওয়ালে ফাটল ধরেছে, জানালা-দরজার অবস্থা তেমন ভালো না।পাকা ছাদ বিধ্বস্ত, ইটের ফাঁকে ফাঁকে আগাছায় ভর্তি, এগুলো যেন দেখার কেউ নেই। হাসপাতালের ভবনের ভেতরে বা বাইরের পাশ দিয়ে চলতে গেলেও গা শিউরে ওঠে। দেখে মনে হয় ভুতুড়ে বাড়ি।্পরিত্যক্ত ও বিধ্বস্ত মেডিকেল ভবনে অনেকটাই জীবনের ঝুঁকি নিয়েই কয়েকজন কে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য বসে থাকতে দেখে গেছে । শুধুমাত্র রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের রক্ষণাবেক্ষন ও গুরুত্বের অভাবে মেডিকেল সেক্টরটির এমন অবস্থা বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।মূলত ডিভিশনাল মেডিক্যাল অফিসার এর কার্যালয় লালমনিরহাট থেকে ৪ টি কেন্দ্র পরিচালিত হয়। লালমনিরহাট , তিস্তামুখঘাট, বোনারপাড়া, পার্বতীপুর।লালমনিরহাট ডিভিশনাল মেডিক্যাল অফিসার কার্যালয়ের তথ্য মতে

বাংলাদেশ রেলওয়ে হাসপাতাল লালমনিরহাটে সরকারি মঞ্জুরী আদেশ (জিও) অনুযায়ী মঞ্জুরীকৃত পদ, কর্মরত পদ এবং শূন্য পদের সংখ্যাগুলো হলো:চিকিৎসক ১ম শ্রেণী : মঞ্জুরীকৃত পদে রয়েছে ১০ টি, কর্মরত পদে রয়েছে ১ জন, শূন্য পদে সংখ্যা ৯ জন।২ম শ্রেণী : মঞ্জুরীকৃত পদে রয়েছে ২৫ জন, কর্মরত পদে রয়েছে ১০ জন, শূন্য পদে সংখ্যা ১৫ জন।৩ম শ্রেণী : মঞ্জুরীকৃত পদে রয়েছে ১৪ জন, কর্মরত পদে রয়েছে (শূন্য) জন, শূন্য পদে সংখ্যা ১৪ জন।৪ম শ্রেণী : মঞ্জুরীকৃত পদে রয়েছে ১৮৫ জন, কর্মরত পদে রয়েছে ৭০ জন, শূন্য পদে সংখ্যা ১১৫ জন।২৩৪টি পদের মধ্যে বর্তমানে ৮১টি পদে লোকবল কর্মরত রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ ১৫৩টি পদই শূন্য রয়েছে যার ফলে চিকিৎসা কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়ছে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ রেলওয়ে হাসপাতাল, লালমনিরহাট কেন্দ্রের বিভাগীয় চিকিৎসক কর্মকর্তা মঞ্জুরীকৃত পদের সংখ্যা একটি, কর্মরত পদের সংখ্যা শূন্য এবং শূন্য পদের সংখ্যা একটি। সহকারী সার্জন মঞ্জুরীকৃত পদের সংখ্যা : ৩ টি,কর্মরত পদের সংখ্যা একটি এবং শূন্য পদের সংখ্যা ২ টি।লালমনিরহাট কেন্দ্রের সিনিয়র স্টাফ নার্সরোকসানা বেগম (৪৫) বলেন, মেডিকেলটি সচল থাকা অবস্থায় রোগী প্রচুর আসতো।এখন চিকিৎসক নেই, তাই রোগীও আসে না। অথচ যত জায়গা আছে তাতে ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল করা সম্ভব। এটি সচল করা গেলে রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাশাপাশি এ জেলার হাজার হাজার মানুষের চিকিৎসাসেবা দেওয়া সম্ভব হবে। হাসপাতালটিকে সচল করতে সরকারের কাছে দাবিও জানান তিনি ।

মেডিকেল টেকনোলজিস্ট রেডিওগ্রাফীতে
কর্মরত হুমায়ুন কবির(৪০) বলেন, যখন মেডিকেলের কার্যক্রম ভালো ছিলো ঠিক সেই সময় অধিকাংশ রোগী ওষুধের জন্য ও প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য আসতেন।
বর্তমানে ইনডোরের চিকিৎসা সেবা নেই বললেই চলে। বলতে গেলে রোগীই ভর্তি থাকে না। এজন্য হাসপাতালটিতে কার্যকর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে নতুন করে আবারো ঢেলে সাজানোর পাশাপাশি আধুনিকায়ন করাপ্রয়োজনম বাংলাদেশ রেলওয়ে,লালমনিরহাট ডিভিশনাল মেডিকেল অফিসার ডাঃ মাহফুজ ইফতেখার ভূঞা বলেন, এ হাসপাতালটির বৃটিশ আমলের মঞ্জুরিকৃত পদগুলো ঢেলে সাজানো দরকার। এতে সরকারের স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার যে মূল লক্ষ্য তা বস্তাবায়ন হবে। চিকিৎসক ও জনবল সংকটের কারণে হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত। এমতাবস্থায় অনতিবিলম্বে জনস্বার্থে হাসপাতালের সমস্যাগুলো সমাধানে জন্য সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।বাংলাদেশ রেলওয়ে লালমনিরহাটেরডিভিশনাল ম্যানেজার মোঃ আব্দুস সালাম বলেন, জনবল বাড়ানোর জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজনীয় জনবল পেলে হাসপাতালটি সচল হয়ে উঠবে। স্বাস্থ্য সেবা সুনিশ্চিত করতে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা চালিয়ে যাচ্ছি। কিছুদিনের মধ্যেই জনবল সংকট ও বর্তমান সমস্যা গুলো সমাধানের বিষয়ে কর্তৃপক্ষ গুরুত্বের সঙ্গেই দেখবেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চাকুরী স্থায়ী হচ্ছেনা চট্টগ্রাম ওয়াসার কর্মচারীদের, কাফনের কাপড় পরে বিক্ষোভ।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

দীর্ঘদিন কাজ করার পরও চাকুরী স্থায়ী না করে নতুন করে জনবল নিয়োগের উদ্যোগে কাফনের কাপড় পরে চট্টগ্রাম ওয়াসার সামনে বিক্ষোভ করেছেন দৈনিক ভিত্তিতে কর্মরত কর্মচারীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম ওয়াসার মূল ফটকের সামনে অবস্থান নেন তারা।
আন্দোলনের বিষয়ে জানতে চট্টগ্রাম ওয়াসার উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (প্রশাসন) শারমিন আলমের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, মামলা থাকার পরও ওয়াসায় দৈনিক ভিত্তিতে কর্মরতদের স্থায়ী না করে উল্টো নতুন করে পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। দীর্ঘদিন কাজ করার পরও তাদের স্থায়ী না করে নতুন করে জনবল নিয়োগের উদ্যোগ পরিকল্পিত। এসময় তারা অনতিবিলম্বে স্থায়ী নিয়োগের দাবি জানান।

তারা আরও বলেন, ওয়াসার ক্রান্তিকালে আমাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমাদের বৈধতা দেওয়ার পরে অন্যদের নিয়োগ দিতে হবে। মামলা চলমান থাকার পরও কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি করে বিজ্ঞপ্তি ছাড়ে। হাইকোর্টকে অমান্য করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রতিবাদে আমরা এখানে মিলিত হয়েছি। বিগত বছরগুলোতেও আমরা বৈষম্যের শিকার ছিলাম এখনও বৈষম্যের শিকার। চট্টগ্রাম ওয়াসায় বিভিন্ন পদে অস্থায়ী ভিত্তিতে কর্মরত আছেন দুই শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী।

চট্টগ্রাম বন্দরে প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই কোটি টাকার চাঁদাবাজিসংক্রান্ত নৌপরিবহণ উপদেষ্টার বক্তব্যের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

চট্টগ্রাম বন্দরে প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই কোটি টাকার চাঁদাবাজিসংক্রান্ত নৌপরিবহণ উপদেষ্টার বক্তব্যের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। কারা চাঁদা নেন, তাদের নাম প্রকাশের জন্য উপদেষ্টার প্রতি দাবি জানিয়েছেন তিনি।বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের অন্তবর্তী কমিটির বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

প্রেসক্লাবের কর্ণফুলী হলে এ অনুষ্ঠান হয়।গত সোমবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে নৌপরিবহণ উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাখাওয়াত হোসেন তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম বন্দরে প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই কোটি টাকার চাঁদাবাজি হয় বলে অভিযোগ করেন। যদিও টাকার পরিমাণটি তিনি অনুমানের ভিত্তিতে বলেছেন বলে জানান। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক-বর্তমান কোনো মেয়রের নাম উল্লেখ না করে তিনি ‘মেয়র কম, বন্দররক্ষক বেশি’ এমন মন্তব্যও করেন, যা নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘নৌপরিবহণ উপদেষ্টার বক্তব্যের পর কিছু পত্রিকা লিখেছে, মেয়ররা নাকি চাঁদার ভাগ পেতেন। আমি তা দেখেই তাৎক্ষণিক উনাকে ফোন করি। তিনি বললেন- অতীতে যারা মেয়র ছিলেন তারা জড়িত ছিলেন। আমি বললাম- তাহলে নাম বলুন, কারা তারা?’অতীতে কারা চাঁদা নিতো, সুনির্দিষ্ট করে বলতে না পারলে চট্টগ্রামে আসতে দেব না, এটা ফোনেই উনাকে বলেছি। আমি চট্টগ্রামের মেয়র হিসেবে সুনির্দিষ্ট নাম পেলে সেই চাঁদাবাজদের প্রতিহত করব। সেই সৎ সাহস আমার আছে।’

তিনি বলেন, ‘চাঁদাবাজি তো দূরের কথা, বন্দর নিয়ে আমি কখনো কাউকে ফোন বা তদবির করিনি। প্রতিদিন যদি দুই-আড়াই কোটি টাকা চাঁদা ওঠে, মাসে ৬০ কোটি, বছরে ৭২০ কোটি টাকা হয়। অথচ সিটি করপোরেশনকে ন্যায্য ২০০ কোটি টাকার হোল্ডিং ট্যাক্স দেওয়া হয় না। বন্দরের ভারী মালবাহী ট্রাক-ট্রেইলারের চাপ সড়কের ওপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলছে। আমার রাস্তাগুলো ৭-৮ টন বহনক্ষম। সেখানে ২০-৪০ টনের গাড়ি চলছে। প্রতি বছর ৪০০-৫০০ কোটি টাকা শুধু রাস্তায় খরচ করতে হয়। ন্যায্য ট্যাক্স না দিয়ে উলটো চাঁদাবাজির অভিযোগ করা হচ্ছে, যা কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়।’সাংবাদিকদের উদ্দেশে মেয়র বলেন, ‘সাংবাদিকতা হবে বস্তুনিষ্ঠ। যে সাংবাদিকতায় মানুষের চরিত্রহনন হয়, তার দায় সাংবাদিকদেরও নিতে হয়। প্রেসক্লাবের উচিত অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।’

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি’র সভাপতিত্বে ও সদস্য গোলাম মওলা মুরাদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে নগর জামায়াতের সেক্রেটারি নুরুল আমীন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, জামায়াত নেতা মোহাম্মদ উল্লাহ, ডা. এ কে এম ফজলুল হক, এনসিপি নেত্রী সাগুফতা বুশরা মিশমা এবং প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওসমান গনি মনসুর, জ্যেষ্ঠ্য সাংবাদিক শামসুল হক হায়দরী, কাজী আবুল মনসুর, মুস্তফা নঈম, সালেহ নোমান, শেখর ত্রিপাঠি, জালাল উদ্দিন চৌধুরী, কামরুল ইসলাম চৌধুরী, শহিদুল ইসলাম, ফারুক আব্দুল্লাহ, ফারুক মুনির, মুজাহিদুল ইসলাম, নিজাম উদ্দিন, মোস্তফা কামাল পাশা, ফরিদ উদ্দিন, জাহাঙ্গীর আলম, লতিফা আনসারি রুনা, সোহাগ কুমার বিশ্বাস, ইবেন মীর, শরিফুল রুকন, মাহফুজুর রহমান, সরোজ আহমেদ, নুরুল আমিন মিন্টু, শাহাদাত হোসেন আবু সায়েম, জহুরুল আলম, আজিজা হক পায়েল, কিরণ শর্মা, আফসানা নুর নওশীন, অভীক ওসমান ও গিয়াস উদ্দিন বক্তব্য দেন।

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের নতুন ব্যবস্থাপনা কমিটি:
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার আবাসিক সম্পাদক জাহিদুল করিম কচি এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন বৈশাখী টিভির ব্যুরো প্রধান গোলাম মাওলা মুরাদ।বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সাইফুল্লাহ চৌধুরী এ কমিটি ঘোষণা করেন।—

কমিটিতে সিনিয়র সহ-সভাপতি মুস্তফা নঈম, সহ-সভাপতি ডেইজি মওদুদ, যুগ্ম সম্পাদক মিয়া মো. আরিফ, অর্থ সম্পাদক আবুল হাসনাত, সাংস্কৃতিক সম্পাদক রূপম চক্রবর্তী, ক্রীড়া সম্পাদক রুবেল খান, গ্রন্থাগার সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, সমাজসেবা ও আপ্যায়ন সম্পাদক হাসান মুকুল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ফারুক আবদুল্লাহ নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া কমিটিতে কার্যকরী সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন সালেহ নোমান, রফিকুল ইসলাম সেলিম, সাইফুল ইসলাম শিল্পী এবং আরিচ আহমেদ শাহ।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ