আজঃ শুক্রবার ১৪ মার্চ, ২০২৫

রাবিতে আওয়ামীপন্থি সহকারী প্রক্টর নিয়োগ, বাতিলে আল্টিমেটাম মো: গোলাম কিবরিয়া রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি সহকারী প্রক্টর হিসেবে নিয়োগ পাওয়া মো. তানজিদ হাসান মোল্লা, আন্দোলনের ৩ মাস পার হয়ে গেলেও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্রশাসনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদেই বহাল আছেন আওয়ামীপন্থি শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এদিকে নতুন করে সহকারী প্রক্টর পদেও আওয়ামীপন্থি এক শিক্ষকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এতে ফুঁসে উঠেছেন শিক্ষার্থীরা। তার নিয়োগ বাতিল করতে ৭ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছেন সমন্বয়কেরা। নতুন প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলানোর হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তারা। বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এ বিষয়ে পোস্ট করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাজশাহীর অন্যতম সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন আম্মার। তিনি বলেন, ‘৭ দিনের মধ্যে প্রশাসনের ফ্যাসিস্ট শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের বিচারের আওতায় না আনলে রাবি প্রশাসনিক ভবনে তালা দিবে শিক্ষার্থীরা। ৭ দিন পরে ভুলে যাবো আপনাদের সাথে আন্দোলন করেছি। শহিদের এক ফোটা রক্তের সাথে বেইমানি নয়। দায়িত্ব পালন করতে না পারলে পদত্যাগ করবেন।’ তিনি আরো বলেন, ‘আওয়ামী শাসনামলে আট বছর ধরে তাপসী রাবেয়া হলে হাউজ টিউটর ছিল তামজীদ হোসেন মোল্লা। তাকে সহকারী প্রক্টর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। সে আন্দোলনের বিরুদ্ধে মাঠে সোচ্চার ছিল। কীসের ভিত্তিতে তাকে এই দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে?’ প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘আপনাদের বিরুদ্ধে কি যুদ্ধ ঘোষণা করতে হবে? অবিলম্বে তার নিয়োগ বাতিল এবং এর কারণ দেখাবেন প্রশাসন। একের পর এক ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসন করছেন আপনারা।’ আরেক সমন্বয়ক মেহেদী সজীব তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘বিগত স্বৈরাচার রেজিমের মদদপুষ্ট শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ছাত্র নামধারী সন্ত্রাসীদের বিচার অনতিবিলম্বে নিশ্চিত করার জন্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ৭ দিনের আল্টিমেটাম দেওয়া হলো। আপনাদের উপর আমাদের একবুক আশা ভরসা ছিল। কিন্তু বারবার আপনারা সেই আশাকে নিরাশায় রূপ দিচ্ছেন। ফ্যাসিস্টদের বিচারের জন্য আর কোনো ছাড় হবে না। আর আপনাদেরকে কালক্ষেপণ করতে দেওয়া হবে না।’ মেহেদী বলেন, ‘রুটিন দায়িত্ব পালন করার জন্য আপনাদেরকে ওই চেয়ারে বসানো হয়নি। জুলাইকে ধারণ করতে না পারলে জায়গা ছেড়ে দিন। আগামী ৭ দিনের মধ্যে যদি দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা আমাদের চোখে না পড়ে তাহলে আপনাদের পদত্যাগ দাবি করতে আমরা দুবার ভাবব না।’ অন্যদিকে আরেক সমন্বয়ক নওসাজ জামান লিখেছেন, ‘এসব কী চলছে রাবি প্রশাসন? এগুলোতে কি আসলেই আপনাদের ইন্ধন আছে নাকি এদের ছাড়া অন্য কোনো সহযোদ্ধা খুঁজে পাচ্ছেন না নাকি রাজনৈতিক ব্যক্তিগুলো ফোর্স করছে? যেখানে এদেরকে বিচারের মুখোমুখি করার কথা সেখানে আপনারা এদেরকে রুমের মধ্যে জায়গা দিচ্ছেন কোন দৃষ্টিকোণ থেকে? অবিলম্বে তানজিদ হাসান মোল্লাকে বহিষ্কার করতে হবে। তার সাথে এমন দোসরদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।’ এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাবি উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, ‘সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত সহকারী প্রক্টর মো. তানজিদ হোসেন যোগদান করবেন না। আর যদি কথা আসে আওয়ামীলীগের দোসর ও আন্দোলন বিরোধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে, সেগুলো নিয়ে আমরা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছি। কয়েকটি কমিটি কাজ করছে। তবে প্রশাসনের একার পক্ষে সকলকে খুঁজে বের করা সম্ভব নয়। যে কেউ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে সেটা আমরা তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব। শিক্ষার্থীদেরকে বলব আপনারা আমাদেরকে সহযোগিতা করুন।’ উল্লেখ্য, বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সহকারী প্রক্টর হিসেবে নিয়োগ পান মো. তানজিদ হাসান মোল্লা। তিনি ৩ আগস্ট জুলাই বিপ্লবের বিরুদ্ধে সরাসরি অবস্থান নিয়ে শিক্ষকদের করা আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও রসায়ন প্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ রাবির ৪৬৭ নাম্বার ভোটার।

মো: গোলাম কিবরিয়া রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি

সহকারী প্রক্টর হিসেবে নিয়োগরাবিতে আওয়ামীপন্থি সহকারী প্রক্টর নিয়োগ, বাতিলে আল্টিমেটাম মো: গোলাম কিবরিয়া রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি সহকারী প্রক্টর হিসেবে নিয়োগ পাওয়া মো. তানজিদ হাসান মোল্লা, আন্দোলনের ৩ মাস পার হয়ে গেলেও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্রশাসনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদেই বহাল আছেন আওয়ামীপন্থি শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এদিকে নতুন করে সহকারী প্রক্টর পদেও আওয়ামীপন্থি এক শিক্ষকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এতে ফুঁসে উঠেছেন শিক্ষার্থীরা। তার নিয়োগ বাতিল করতে ৭ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছেন সমন্বয়কেরা। নতুন প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলানোর হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তারা। বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এ বিষয়ে পোস্ট করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাজশাহীর অন্যতম সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন আম্মার। তিনি বলেন, ‘৭ দিনের মধ্যে প্রশাসনের ফ্যাসিস্ট শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের বিচারের আওতায় না আনলে রাবি প্রশাসনিক ভবনে তালা দিবে শিক্ষার্থীরা। ৭ দিন পরে ভুলে যাবো আপনাদের সাথে আন্দোলন করেছি। শহিদের এক ফোটা রক্তের সাথে বেইমানি নয়। দায়িত্ব পালন করতে না পারলে পদত্যাগ করবেন।’ তিনি আরো বলেন, ‘আওয়ামী শাসনামলে আট বছর ধরে তাপসী রাবেয়া হলে হাউজ টিউটর ছিল তামজীদ হোসেন মোল্লা। তাকে সহকারী প্রক্টর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। সে আন্দোলনের বিরুদ্ধে মাঠে সোচ্চার ছিল। কীসের ভিত্তিতে তাকে এই দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে?’ প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘আপনাদের বিরুদ্ধে কি যুদ্ধ ঘোষণা করতে হবে? অবিলম্বে তার নিয়োগ বাতিল এবং এর কারণ দেখাবেন প্রশাসন। একের পর এক ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসন করছেন আপনারা।’ আরেক সমন্বয়ক মেহেদী সজীব তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘বিগত স্বৈরাচার রেজিমের মদদপুষ্ট শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ছাত্র নামধারী সন্ত্রাসীদের বিচার অনতিবিলম্বে নিশ্চিত করার জন্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ৭ দিনের আল্টিমেটাম দেওয়া হলো। আপনাদের উপর আমাদের একবুক আশা ভরসা ছিল। কিন্তু বারবার আপনারা সেই আশাকে নিরাশায় রূপ দিচ্ছেন। ফ্যাসিস্টদের বিচারের জন্য আর কোনো ছাড় হবে না। আর আপনাদেরকে কালক্ষেপণ করতে দেওয়া হবে না।’ মেহেদী বলেন, ‘রুটিন দায়িত্ব পালন করার জন্য আপনাদেরকে ওই চেয়ারে বসানো হয়নি। জুলাইকে ধারণ করতে না পারলে জায়গা ছেড়ে দিন। আগামী ৭ দিনের মধ্যে যদি দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা আমাদের চোখে না পড়ে তাহলে আপনাদের পদত্যাগ দাবি করতে আমরা দুবার ভাবব না।’ অন্যদিকে আরেক সমন্বয়ক নওসাজ জামান লিখেছেন, ‘এসব কী চলছে রাবি প্রশাসন? এগুলোতে কি আসলেই আপনাদের ইন্ধন আছে নাকি এদের ছাড়া অন্য কোনো সহযোদ্ধা খুঁজে পাচ্ছেন না নাকি রাজনৈতিক ব্যক্তিগুলো ফোর্স করছে? যেখানে এদেরকে বিচারের মুখোমুখি করার কথা সেখানে আপনারা এদেরকে রুমের মধ্যে জায়গা দিচ্ছেন কোন দৃষ্টিকোণ থেকে? অবিলম্বে তানজিদ হাসান মোল্লাকে বহিষ্কার করতে হবে। তার সাথে এমন দোসরদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।’ এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাবি উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, ‘সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত সহকারী প্রক্টর মো. তানজিদ হোসেন যোগদান করবেন না। আর যদি কথা আসে আওয়ামীলীগের দোসর ও আন্দোলন বিরোধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে, সেগুলো নিয়ে আমরা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছি। কয়েকটি কমিটি কাজ করছে। তবে প্রশাসনের একার পক্ষে সকলকে খুঁজে বের করা সম্ভব নয়। যে কেউ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে সেটা আমরা তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব। শিক্ষার্থীদেরকে বলব আপনারা আমাদেরকে সহযোগিতা করুন।’ উল্লেখ্য, বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সহকারী প্রক্টর হিসেবে নিয়োগ পান মো. তানজিদ হাসান মোল্লা। তিনি ৩ আগস্ট জুলাই বিপ্লবের বিরুদ্ধে সরাসরি অবস্থান নিয়ে শিক্ষকদের করা আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও রসায়ন প্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ রাবির ৪৬৭ নাম্বার ভোটার। পাওয়া মো. তানজিদ হাসান মোল্লা,

আন্দোলনের ৩ মাস পার হয়ে গেলেও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্রশাসনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদেই বহাল আছেন আওয়ামীপন্থি শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এদিকে নতুন করে সহকারী প্রক্টর পদেও আওয়ামীপন্থি এক শিক্ষকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এতে ফুঁসে উঠেছেন শিক্ষার্থীরা। তার নিয়োগ বাতিল করতে ৭ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছেন সমন্বয়কেরা। নতুন প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলানোর হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তারা।

বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এ বিষয়ে পোস্ট করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাজশাহীর অন্যতম সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন আম্মার।

তিনি বলেন, ‘৭ দিনের মধ্যে প্রশাসনের ফ্যাসিস্ট শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের বিচারের আওতায় না আনলে রাবি প্রশাসনিক ভবনে তালা দিবে শিক্ষার্থীরা। ৭ দিন পরে ভুলে যাবো আপনাদের সাথে আন্দোলন করেছি। শহিদের এক ফোটা রক্তের সাথে বেইমানি নয়। দায়িত্ব পালন করতে না পারলে পদত্যাগ করবেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘আওয়ামী শাসনামলে আট বছর ধরে তাপসী রাবেয়া হলে হাউজ টিউটর ছিল তামজীদ হোসেন মোল্লা। তাকে সহকারী প্রক্টর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। সে আন্দোলনের বিরুদ্ধে মাঠে সোচ্চার ছিল। কীসের ভিত্তিতে তাকে এই দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে?’

প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘আপনাদের বিরুদ্ধে কি যুদ্ধ ঘোষণা করতে হবে? অবিলম্বে তার নিয়োগ বাতিল এবং এর কারণ দেখাবেন প্রশাসন। একের পর এক ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসন করছেন আপনারা।’

আরেক সমন্বয়ক মেহেদী সজীব তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘বিগত স্বৈরাচার রেজিমের মদদপুষ্ট শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ছাত্র নামধারী সন্ত্রাসীদের বিচার অনতিবিলম্বে নিশ্চিত করার জন্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ৭ দিনের আল্টিমেটাম দেওয়া হলো। আপনাদের উপর আমাদের একবুক আশা ভরসা ছিল। কিন্তু বারবার আপনারা সেই আশাকে নিরাশায় রূপ দিচ্ছেন। ফ্যাসিস্টদের বিচারের জন্য আর কোনো ছাড় হবে না। আর আপনাদেরকে কালক্ষেপণ করতে দেওয়া হবে না।’

মেহেদী বলেন, ‘রুটিন দায়িত্ব পালন করার জন্য আপনাদেরকে ওই চেয়ারে বসানো হয়নি। জুলাইকে ধারণ করতে না পারলে জায়গা ছেড়ে দিন। আগামী ৭ দিনের মধ্যে যদি দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা আমাদের চোখে না পড়ে তাহলে আপনাদের পদত্যাগ দাবি করতে আমরা দুবার ভাবব না।’

অন্যদিকে আরেক সমন্বয়ক নওসাজ জামান লিখেছেন, ‘এসব কী চলছে রাবি প্রশাসন? এগুলোতে কি আসলেই আপনাদের ইন্ধন আছে নাকি এদের ছাড়া অন্য কোনো সহযোদ্ধা খুঁজে পাচ্ছেন না নাকি রাজনৈতিক ব্যক্তিগুলো ফোর্স করছে? যেখানে এদেরকে বিচারের মুখোমুখি করার কথা সেখানে আপনারা এদেরকে রুমের মধ্যে জায়গা দিচ্ছেন কোন দৃষ্টিকোণ থেকে? অবিলম্বে তানজিদ হাসান মোল্লাকে বহিষ্কার করতে হবে। তার সাথে এমন দোসরদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাবি উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, ‘সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত সহকারী প্রক্টর মো. তানজিদ হোসেন যোগদান করবেন না। আর যদি কথা আসে আওয়ামীলীগের দোসর ও আন্দোলন বিরোধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে, সেগুলো নিয়ে আমরা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছি। কয়েকটি কমিটি কাজ করছে। তবে প্রশাসনের একার পক্ষে সকলকে খুঁজে বের করা সম্ভব নয়। যে কেউ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে সেটা আমরা তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব। শিক্ষার্থীদেরকে বলব আপনারা আমাদেরকে সহযোগিতা করুন।’

উল্লেখ্য, বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সহকারী প্রক্টর হিসেবে নিয়োগ পান মো. তানজিদ হাসান মোল্লা। তিনি ৩ আগস্ট জুলাই বিপ্লবের বিরুদ্ধে সরাসরি অবস্থান নিয়ে শিক্ষকদের করা আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও রসায়ন প্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ রাবির ৪৬৭ নাম্বার ভোটার।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

আমরা তোমাকে ভুলবো না আছিয়া।

আমি যখন সংবাদে জানতে পারলাম, আছিয়া মারা গেছে। ঠিক তখনই দুমড়ে, মুচড়ে গেলাম আমি । একদম কাচের মতো টুকরো, টুকরো হয়ে গেলাম। জীবনের সাথে যুদ্ধ করে আর ঠিকে থাকা হলো না ছোট আছিয়ার। কি কারণে আমরা আজ আছিয়া কে হারালাম??? কি অন্যায়?? কি দোষ??? কি ত্রুটি ছিলো ৩য় শ্রেণীতে পড়া ছোট এই আছিয়ার??? একটাও প্রশ্নের উত্তর আমি খুজে পেলাম না। কেন

আমরা এই ছোট আছিয়ার নিরাপত্তা দিতে পারিনি??? হিংস্র কিছু মানুষ রুপী পশুর নির্মম নির্যাতনের শিকার হলো আমাদের ছোট আছিয়া। যে আছিয়া স্কুলে
যাওয়ার কথা, হেসে খেলে মুক্ত বাতাসে তার এলোমেলো চুল উড়ানোর কথা, সেই আছিয়ার কেন এই নিষ্ঠুর পরিনতি??

আমরা কি পারবো, দ্রুত সময়ের মধ্যে, আসামীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে ?? ৩য় শ্রেণির ছাত্রী ছিলো আমাদের আছিয়া। আমরা তোমায় ভুলবো না আছিয়া। আকাশে জ্বলজ্বল করে উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো আমাদের হৃদয়ে চীর স্মরণীয় হয়ে থাকবে আমাদের আছিয়া।

আমরা আর কোন আছিয়াকে হারাতে দেব না। আমাদের সমাজের এই ছোট সোনামনিদের, নিরাপত্তার দায়িত্ব আমাদেরকেই নিতে হবে ।

সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী ওমর ফারুক চৌধুরীর নামে দুদকের মামলা

১৬ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ৪৫০ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী মো. ওমর ফারুক চৌধুরী এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এছাড়া একই অভিযোগে গোদাগাড়ি উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম ও তানোর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মো. লুৎফর হায়দার রশীদের নামে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুদক।

বুধবার (১২ মার্চ) সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ জিন্নাতুল ইসলাম বাদী হয়ে সংস্থাটির সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ মামলা চারটি দায়ের করেছেন।

প্রথম মামলায় সাবেক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ১৩ কোটি ৬১ লাখ ১২ হাজার ৫৩৩ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ৫৭ ব্যাংক হিসাবে ৪৪৫ কোটি ২৩ লাখ ৭৪ হাজার ৩৯ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ অভিযোগে তাকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

অন্যদিকে, দ্বিতীয় মামলায় ওমর ফারুক চৌধুরীর স্ত্রীর নিগার সুলতানা চৌধুরীর নামে ২ কোটি ২৩ লাখ ৭৭ হাজার ৬৮৯ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া নিজ নামীয় ১১টি ব্যাংক হিসাবে মোট ৪ কোটি ৩৫ লাখ ১০ হাজার ৮৪৩ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করার প্রমাণ মিলেছে।

সন্দেহজনক লেনদেনের মাধ্যমে মানিলন্ডারিংয়ের সম্পৃক্ত অপরাধ হস্তান্তর রূপান্তর ও স্থানান্তরপূর্বক আয়ের উৎস আড়াল করেছেন। যে কারণে দ্বিতীয় মামলায় স্বামী ও স্ত্রী দুইজনকেই আসামি করা হয়েছে।

তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা তৎসহ মানিলন্ডারিং আইন ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

তৃতীয় মামলায় আসামি হয়েছেন রাজশাহীর গোদাগাড়ি উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম। তার বিরুদ্ধে ১ কোটি ১১ লাখ ৬৫ হাজার ১০১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। আর চতুর্থ মামলায় তানোর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মো. লুৎফর হায়দার রশীদের বিরুদ্ধে ৩৯ লাখ ৬৮ হাজার ৬১১ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ