আজঃ বৃহস্পতিবার ১৩ নভেম্বর, ২০২৫

তানোরে অসহায় ১০০ মানুষের মাঝে বসুন্ধরা শুভসংঘের শীতবস্ত্র বিতরন

মোঃ গোলাম কিবরিয়া রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি

রাজশাহীর তানোরে পৌর এলাকার গোল্লাপাড়া গ্রামের সুমতি দাস বয়স ৬৫ বছর হবে স্বামী অনেক আগে মারা গেছেন। ছেলে মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। বৃদ্ধ বয়সে এক সময় ছেলের বাড়িতে এক সময় মেয়ের বাড়িতে থাকেন। অভাবের সংসারে টানা পোড়নও চলে। অনেক জনকে বলেছেন একটি কম্বল দেয়ার জন্য কেউ তাকে দেয়নি। অবশেষে বসুন্ধরা শুভসংঘের তানোর উপজেলা কমিটির সদস্যদের কাছ থেকে তিনি ১টি কম্বল পেয়েছেন।

সুমতি দাস বলেন, কম্বলটি পেয়ে আমি অনেক উপকৃত হলাম। রাতে কম্বলটি গায়ে দিয়ে ঘুমাবো। হঠাৎপাড়া গ্রামের রুপজান বলেন,” অনেক ঠান্ডা। কম্বলটি আমার খুব দরকার ছিলো। তোমরা আমাক দিলেন। আল্লাহ তোমাদের ভালো করবে।” সুমতি, রুপজান ছাড়াও মহিফুল, রেজিয়া, আতরজান, শহিদুল ইসলামসহ অনেকে বলেন, বসুন্ধরা শুভসংঘ সদস্যরা গ্রামে গ্রামে গিয়ে অসহায় মানুষের তালিকা তৈরি করে যে ভাবে আমাদের কম্বল দিয়ে সহায়তা করলো আমরা তোমাদের অনেক দোয়া করছি।

তানোর পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ প্রাঙ্গনে বসুন্ধরা শুভসংঘ রাজশাহীর তানোর উপজেলা শাখার উদ্দ্যোগে এলাকার অসহায় ১০০জনকে কম্বল বিতরণ করা হয়। বিতরনী অনুষ্ঠানে শুভসংঘের তানোর উপজেলা কমিটির সভাপতি দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন শুভসংঘ তানোর উপজেলা কমিটির উপদেষ্টা সদস্য ও তানোর পৌরসভার সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিজান।

শুভ সংঘ তানোর উপজেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুনের উপস্থাপনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, তানোর থানা অফিসার ইনচার্জ অফিসার (ওসি) মিজান, তানোর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাইনুল ইসলাম সেলিম,তানোর থানা মোড়ে ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম নান্টু, শুভসংঘ তানোর উপজেলা কমিটির উপদেষ্টা সদস্য ও কালের কন্ঠ তানোর প্রতিনিধি টিপু সুলতান, শুভসংঘ তানোর উপজেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামিম শাহ্, প্রমুখ।

এসময় শুভসংঘের কমিটির সকল সদস্য উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথি মিজানুর রহমান মিজান বলেন, এলাকার অসহায় লোকজনদের জন্য বসুন্ধরা শুভসংষ কম্বল বিতরনের যে উদ্দ্যোগ নিয়েছে তা প্রসংশনীয়। শুভসংঘ তানোর উপজেলা কমিটির সাথে আমরা একাকিত হয়ে এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সহায়তা করবো । তানোর থানা ওসি বলেন, বসুন্ধরা শুভসংঘ যে কাজটি আজ করছে সে কাজ তানোর বাসীর জন্য উপকারী।

শুভ কাজে সবার পাশে দাড়িয়ে তানোর উপজেলা শুভ সংঘের কমিটির সদস্যরা। বসুন্ধরা শুভসংঘ তানোর উপজেলা কমিটির সভাপতি দোলোয়ার হোসেন বলেন, শুভ কাজে সবার পাশে শ্লোগান নিয়ে আমরা মাঠে নেমেছি। আমি মনে করি তানোরের বিত্তবানরা যদি আমাদের সঙ্গে থেকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন, তাহলে এলাকার অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে আমাদের আরো সহজ হবে। আমরা ভালো কাজে সব সময় সঙ্গে থাকবো।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

নেত্রকোনা গাঁজাসহ ২ মাদক কারবারি গ্রেফতার

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ থেকে ১২ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।বুধবার (১২ নভেম্বর) সকালে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।এরআগে গতকাল মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে পৌরশহরে চেকপোস্ট বসিয়ে তলাশি করার সময় ওই দুইজনকে গাঁজাসহ গ্রেফতার করা হয়।মোহনগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেফতাররা হলেন— হবিগঞ্জ জেলার মাদবপুর এলাকার অন্তু সাঁওতাল (২৫) ও মো. আব্দুল করিম (১৮)।পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার বিকেলে পৌরশহরের স্টেশনরোড এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে সন্দেহজনক যানবাহন তল্লাশি করছিলেন এসআই মো. রবিউল আওয়ালের নেতৃত্বে একদল পুলিশ। এসময় যাত্রীবেশে থাকা ওই দুই যুবকের ব্যাগ তল্লাশি করে ১২ কেজি গাঁজা পাওয়া যায়। পরে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।

মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় ওই দুই যুবকের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দেওয়া হয়েছে। আজ সকালে তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

ছবি যুক্ত,
মোঃ নূর উদ্দিন মন্ডল দুলাল
নেত্রকোনা।
১২ নভেম্বর ২৫
০১৭১১০০১৭১৯

পূর্বধলায় গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু।

নেত্রকোণার পূর্বধলায় গাছের ডালের প্রায় ১৪-১৫ ফুট উঁচুতে ঝুলন্ত অবস্থায় লিটন মিয়া (২২) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পূর্বধলা থানা পুলিশ। বুধবার (১২ নভেম্বর) সকালে উপজেলার খলিশাউড় ইউনিয়নের হাঁপানিয়া মধ্যপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।মৃত লিটন মিয়া ওই গ্রামের মো. খাদেমুল ইসলামের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে প্রতিবেশী মো. সেলিম মিয়া দেখতে পান, লিটন মিয়া একটি আমগাছে পুরনো নাইলনের রশি দিয়ে গাছের ডালের প্রায় ১৪-১৫ ফুট উঁচুতে ঝুলে আছেন। তিনি চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন, মৃতের পরিবারের সদস্যরা ও স্বজনরা ঘটনাস্থলে ছুটে এসে লিটনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।খবর পেয়ে পূর্বধলা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রায় তিন-চার বছর আগে পাইলিংয়ের কাজে অংশ নেওয়ার সময় লিটন পিঠে আঘাত পান। এরপর থেকে তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং মানসিকভাবেও ভেঙে যান। পরিবারের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে হতাশার কথাও বলতেন বলে জানা গেছে।

পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নূরুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ