আজঃ শনিবার ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

চৌদ্দগ্রাম উপজেলা সহকারী শিক্ষক সমিতির কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত

জহিরুল ইসলাম সুমন চৌদ্দগ্রাম প্রতিনিধি

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি(এস ১২০৬৮) কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা শাখার কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কুমিল্লা জেলা সহকারী শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ শহিদুল ইসলাম।
এ উপলক্ষে শনিবার দুপুরে চৌদ্দগ্রাম বাজারস্থ এম এ করিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপজেলা সহকারী শিক্ষক সমিতি আহবায়ক মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন কুমিল্লা জেলা সহকারী শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক মোঃ রাশেদ মিয়া, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল বাশাল, মিডিয়া সম্পাদক বিশ^জিৎ।
গুণবতী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্যে রাখেন কাশিরনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোস্তফা কামাল, আঠারবাক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোজাম্মেল হোসেন, কালকোট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাহাবুদ্দিন, শাহ ইমরান, পায়ের খোলা বালক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক দেবাশীষ, কোমারডগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হাফেজ আনোয়ার, গোমারবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হারুনুর রশিদ, শামুকসার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবদুর রহমান, রামরায়গ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোর্শেদা আক্তার, শ্রীপুর উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কাজী মাহমুদুল হক শাহাদাত, ঝিকড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক গাজী সাইফুল ইসলাম, ফালগুণকরা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ আবদুস সহিদ চৌধুরী, খিরণশাল ইসলামিয়া ফাযিল মাদ্রাসার প্রভাষক জহিরুল ইসলাম মজুমদার, দক্ষিণ শ্রীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কাজী তারেক মাহমুদ, শ্রীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবু তাহের, ফুলের নাওড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফরিদ আহমদ, বধুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাহমুদুর রহমান, ঝিকড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আমান উল্যাহ, নানকরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আমির হোসেন, আলকরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সুমন চন্দ্র দেবনাথ, বধুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবুল হোসেন মাহফুজ, কাশিনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ওমর ফারুক মজুমদার ও পাঁচরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক চন্দন সাহা প্রমুখ।
কাউন্সিল অধিবেশন শেষে ১১১ সদস্য বিশিষ্ট চৌদ্দগ্রাম উপজেলা সহকারী শিক্ষক সমিতির কমিটি ঘোষণা করেন কুমিল্লা জেলা সহকারী শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ শহিদুল ইসলাম। কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্তরা হলেন: সভাপতি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, সিনিয়র সহসভাপতি মোঃ সেলিম মিয়া, মোঃ মহিউদ্দিন, গোলাম সারোয়ার, মোঃ আবু তাহের, ফরিদ উদ্দিন, আবুল হোসেন মাহফুজ, মোঃ আমির হোসেন, ছালেহ আহম্মদ, সাজেদা সুলতানা লিখা, ফেরদৌস আরা নাছিমা, সহসভাপতি মোঃ আমান উল্যাহ ভূঁইয়া, মোঃ শাহাদাত হোসেন, মোঃ মিজানুর রহমান, লুৎফুন নাহার মুক্ত, হাফেজ আনোয়ার হোসেন, শাহজাহান কবির সোহাগ, কামরুন নাহার শিমু, মোতালেব হোসেন, সুমন চন্দ্র দেবনাথ, পলাশ চন্দ্র সূত্রধর, হোসনা আক্তার, সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ আবদুস সহিদ চৌধুরী, ওমর ফারুক মজুমদার, ফখরুল ইসলাম, মোঃ শাহীন মিয়া, সাহাব উদ্দিন মজুমদার, মোঃ নজরুল ইসলাম, কামরুল হাসান, মনির আহম্মদ, গাজী মোঃ সোহরাব হোসেন, জাহিদুল ইসলাম শামীম, আবদুল গণি, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মাইনুর রশিদ সেলিম, ফজলুল করিম মজুমদার, মোঃ জামাল উদ্দিন, মোঃ দেলোয়ার হোসেন, জামাল উদ্দিন, কোহিনুর আক্তার, মোহাম্মদ ইলিয়াছ, মোঃ ইয়াছিন, সহসাধারন সম্পাদক আবুল হাছান, মোঃ শাহ আলম, সীমা রায়, তামান্না আক্তার, মাহফুজুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সাইফুল ইসলাম, সহসাংগঠনিক সম্পাদক শাহ ইমরান, জাকির হোসেন, কাজী হোসাইন, মোজাম্মেল হক, মহিলা সম্পাদক আয়েশা আক্তার জুঁই, সহমহিলা সম্পাদক মোর্শিদা আক্তার, নিগার সুলতানা, হোসনেয়ারা, দপ্তর সম্পাদক চন্দন চন্দ্র সাহা, সহ দপ্তর সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন, অর্থ সম্পাদক কাজী মাহমুদুল হক, সহ অর্থ সম্পাদক চৌধুরী, জহির উদ্দিন, ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া সম্পাদক নুরুল আমিন, সহ ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, প্রচার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, সহ প্রচার সম্পাদক মোসাম্মৎ সায়েমা আক্তার, সোহেল রানা শুভ, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, সহ ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক তোফায়েল হোসেন, রফিকুল ইসলাম, দেবাশীষ কর্মকার, সামাজিক ও যোগাযোগ মাধ্যম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মহিউদ্দিন, সহ সামাজিক ও যোগাযোগ মাধ্যম বিষয়ক সম্পাদক আকলিমা আক্তার, জাহিদ পাটোয়ারী, শিক্ষা প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এফরানুল হক, সহ শিক্ষা প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক মামুনুর রশিদ মোল্লা, সায়মা, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক ছোটন হাজারী, সহ সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মায়মুনা আক্তার, শামিম হোসেন, আইন সম্পাদক আবু হানিফ, সহ আইন সম্পাদক সাব্বির আহমেদ, আলেয়া আক্তার, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মোস্তফা কামাল, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক(অন্যান্য) জীবন কৃঞ্চ সূত্রধর, সহ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা রহমান, অশোক কুমার, সমবায় ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম পাটোয়ারী, সহ সমবায় ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মহিবুল্লাহ, বিপুল ভট্টাচার্য, আপ্যায়ন সম্পাদক আবুল কাশেম রনি, সহ আপ্যায়ন সম্পাদক জোটন হাজারী, আবদুল হাকিম, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ, সহ তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক কাজী তারেক মাহমুদ, আবু বক্কর ছিদ্দিক, প্রাক-প্রাথমিক বিষয়ক সম্পাদক রুবায়েত ইসলাম, প্রাক-প্রাথমিক বিষয়ক সম্পাদক নুরে আলম জিকু, যোবায়ের হোসেন, উদ্ভাবনী ও পরিকল্পনা সম্পাদক আবদুর রহিম, সহ উদ্ভাবনী ও পরিকল্পনা সম্পাদক মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন, কাব বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান, সহ কাব বিষয়ক সম্পাদক মনির হোসেন, আতিকুর রহমান, সদস্য তানজিনা আক্তার, ইভানা চৌধুরী, সেলিনা আক্তার, কাজী সিলভিয়া নেনসারিন, মোসাম্মৎ নাঈমা আক্তার, আইরিন সুমি, রাজিব আহম্মদ ও শারমিন আক্তার।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

বোয়ালখালীতে বিলুপ্ত পথে কালোজিরা ধানের আবাদ।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বোয়ালখালীতে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে কৃষকের ঐতিহ্যবাহী কালোজিরা ধানের আবাদ। এক সময় কৃষকরা বিভিন্ন ধানের পাশাপাশি এই কালো জিরা ধানের চাষও করত। অন্যান্য ধানের চেয়ে খরচ বেশি ও ফলন কম হওয়ায় কালো জিরা ধান চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে কৃষকরা। ফলে এই কালো জিরা ধানের জায়গা দখল করে নিয়েছে উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান। আধুনিক উচ্চ ফলনশীল জাতের ধানের প্রতি কৃষকদের আগ্রহ বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং বীজের অভাবেও এই ঐতিহ্যবাহী ধানের আবাদ হ্রাস পাচ্ছে বলে জানান উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকেরা জানান । তবে সরকারিভাবে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা কিংবা প্রদর্শনী পাওয়া গেলে ধীরে ধীরে বিলুপ্তির পথ থেকে উত্তরনের সম্ভব হবে বলে মনে করছেন তারা।

বুধবার বিকেলে বোয়ালখালীর বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, আমন মৌসুমে সর্বত্রই চাষ হয়েছে বিভিন্ন জাতের উচ্চ ফলনশীল ধানের। কালো জিরা ধানের চাষ একে বারেই নেই বললেই চলে। হাতে গুনা কয়েকজনে এই চাষ করেছে তাও সীমিত আকারে। তবে সুখের কথা, বিচ্ছিন্নভাবে কম পরিমাণে হলেও বিলুপ্তপ্রায় কালোজিরা ধানের চাষ করেছেন সারোয়াতলীর কৃষক নুরুল আলম , করলডেঙ্গার কৃষক কাওসার, পোপাদিয়া কৃষক আনোয়ার।

তিনি বলেন, একসময় প্রতিটি কৃষক পরিবারের ঐতিহ্য ছিলো সুগন্ধিযুক্ত কালোজিরা, বিন্নী, কাশিয়াবিন্নি, সরুসহ নানান জাতের ধান। এ ধান কাটার সময়কে ঘিরে গ্রাম বাংলা মেতে উঠত নবান্নের উৎসবে। এ চিকন চাল দিয়ে পিঠা-পুলি, পোলাও, বিরিয়ানি, খিচুড়ি, ক্ষির, পায়েস, ফিরনি ও জর্দাসহ আরও সুস্বাদু মুখরোচক নানা ধরনের খাবার তৈরী করে খাওয়ানো হতো পাড়া প্রতিবেশীদের । আবহমান বাংলার ঐতিহ্য অনুযায়ী শ্বশুরবাড়িতে জামাই এলে জামাই পাতে সুগন্ধিযুক্ত চিকন চালের ভাত দিয়ে আপ্যায়ন করা হতো। বর্ণাঢ্য পরিবার থেকে শুরু করে নিন্ম মধ্যবিত্ত হলে ও একবেলা অবশ্যই এই চালের ভাত রান্না করা হতো। সেইসব এখন অতীত দিনের স্মৃতি। ক্রমবর্ধমান খাদ্যের চাহিদা মেটাতে সারাদেশ থেকেই হারিয়ে যাচ্ছে প্রকৃতিবান্ধব এ সমস্ত জাতের দেশি ধান।

কৃষকরা জানান , কালোজিরা ধানের ফলন হয় কম। কানিপ্রতি অন্য জাতের ধান যেখানে ৮০ থেকে সর্বোচ্চ ১০০ আড়ি উৎপাদন হয় সেখানে এ জাতের ফলন হয় সর্বোচ্চ ৩০ আড়ি পর্যন্ত। তবে বাজারে দাম দ্বিগুণ পাওয়া যায়। প্রতি কেজি চাল ৮০ থেকে ১২০ টাকা বিক্রি করা যায় । লাভের কথা মাথায় রেখে কৃষকেরা আমন ধানে বেশি আগ্রহী হলে ও এখন ও গ্রামের গৃহস্থ পরিবারের কাছে এ ধানের কদর সবসময়ই রয়েছে। আর তাছাড়া হাট বাজারে এখন আর এই চাল পাওয়া যায় না। এখন প্রায় বিলুপ্তের পথে ঐতিহ্যবাহী এসব সুগন্ধি ধান।

উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, গত ৫ বছর পূর্বে বোয়ালখালীতে ২৫ হেক্টর কৃষি জমিতে কালোজিরা ধান চাষ হতো। বর্তমানে ৫ হেক্টর জমিতে এ ধানের চাষ করেছেন কৃষকেরা। স্থানীয়ভাবে ‘কালোজিরা ধানের আবাদ কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে কৃষি অফিসার মো. শাহানুর ইসলাম বলেন, বর্তমানে আমন ধানের অনেক উচ্চ ফলনশীল জাত রয়েছে, যে গুলোর ফলন অনেক বেশী এবং রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণ কম। অন্যান্য উচ্চ ফলনশীল জাতের তুলনায় কালোজিরা ধানের ফলন কম হয়। ফলন কম হলেও বাজারে এর দাম বেশি থাকে, খরচ বেশি হওয়ার কারণে কৃষকরা এ চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন।

বোয়ালখালীর ভারাম্বা খালে গিলে খাচ্ছে সড়ক বসতবাড়ি

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বোয়ালখালীতে ক্রমাগত ভাঙনে ভারাম্বা খাল গিলে খাচ্ছে সড়ক ও বসতবাড়ি। উপজেলার ৮ নং শ্রীপুর খরণদ্বীপ ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে কর্ণফুলী নদীতে মিশে যাওয়া এ খালটি ১০নং আহল্লা করলডেঙ্গা ইউনিয়নের বৈদ্যানী খাল থেকে নেমে আসে। খালের উভয় পাশে অবস্থিত চৌধুরী পাড়া, বড়ুয়া পাড়া, জলদাসপাড়া, শান্তিবাজার, কুলালপাড়া ও সৈয়দ আমির পাড়ার মানুষের চলাচলের একমাত্র পথ এখন ভাঙনের আতঙ্কে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, খালের পশ্চিমপাশের বড়ুয়া পাড়া, চৌধুরী পাড়া সড়কটি প্রায় দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ প্রতিদিন প্রায় হাজার মানুষ পায়ে হেঁটে চলাচল করেন এ সড়কে। খালের ভাঙনে কাঁচা সড়কের বড় অংশ বিলীন হয়ে যাচ্ছে। বর্ষায় দুর্ভোগ আর ও প্রকট হয়।

শুধু কাঁচা সড়ক নয়, খালের পূর্ব পাশের পাকা সড়কটিও কয়েক জায়গায় ভেঙে পড়েছে,বন্ধ রয়েছে যান চলাচল। ঝুঁকিতে রয়েছে কবরস্থান, মসজিদ, মন্দিরসহ ধর্মাবলম্বীর গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। বড়ুয়া ও জলদাসপাড়ার বেশ কয়েকটি বাড়ি ইতোমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

বড়ুয়া পাড়ার বাসিন্দা পলাশ বড়ুয়া, ননা বড়ুয়া, মিলন বড়ুয়া এবং জলদাসপাড়ার রাখাল দাশ ও রসনা দাশ জানান, বাড়িঘর খালের ভাঙনে শেষ হয়ে যাচ্ছে। পথে ঝুঁকি নিয়ে চলতে হয়। সরকার দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বহু মানুষ গৃহহীন হবে। কালিছড়ি মন্দির এলাকার রতন মাস্টার বলেন, ‘দেড় কিলোমিটার সড়কটি পাকা হলে ১০ হাজার মানুষের ভোগান্তি কমবে।

শ্রীপুর খরণদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান হাসান চৌধুরী বলেন, ‘শ্রীপুর চৌধুরী পাড়া, জলদাসপাড়া, পশ্চিম জৈষ্ঠপুরা বড়ুয়া পাড়া, দক্ষিণ কুড়াল পাড়ার অর্ধেক অনেক জায়গাই খালের ভাঙনে বিলীন হয়েছে। রসনা বড়ুয়া, শিবু বড়ুয়া ও কালিছড়ি মায়ের মন্দির পুরোপুরি নদীগর্ভে চলে গেছে। গত বছর সৈয়দ আমির পাড়ার সড়ক সংস্কারের সময় গাইড ওয়াল ভেঙে পড়ে। তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা হিসেবে ২১০ মিটার এলাকায় ব্লক বসানো হয়। এখনো ৭০০ মিটার অংশ ভাঙন ঝুঁকিতে আছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে।

উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুন্নবী চৌধুরী বলেন, খালের দুই পাশের ভাঙনরোধ ও সড়ক পাকাকরণ এখন জরুরি। ইতিমধ্যে অনেকের বাড়িঘর গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ভাঙনে পড়েছে। তিনি সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানান।

উপজেলা সহকারি নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফারুক জানান, ভাঙনরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ব্লকের কাজ চলমান রয়েছে। ব্লকের কাজ শেষ হলে শান্তি বাজার থেকে আমির পাড়া ৭০০ মিটার পর্যন্ত সড়কের কাজ শুরু হবে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ