আজঃ বৃহস্পতিবার ১৩ মার্চ, ২০২৫

আলকরার ৬ নং ওয়াড়ে প্রবাসীদের উদ্যোগে জামায়াতের শীতবস্র বিতরন।

জহিরুল ইসলাম সুমন চৌদ্দগ্রাম প্রতিনিধি

: পৌষ মাস আসলে মানুষ শীতে জুবুথুবু হয়ে যায়। এই জুবুথুবু হয়ে যাওয়া দুস্হ ও অসহায় শীর্তার্থ মানুষের কষ্টে লাগব করার লক্ষে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছেন আলকরা ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামী

আলকরা ইউনিয়ন ৬ নং ওয়াড় প্রবাসীদের উদ্যোগে জামায়াতে ইসলামীর আয়োজনে ইউনিয়নের চিনাইমুডী নুরানী মাদ্রাসা মাঠে আয়োজিত শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চৌদ্দগ্রাম উপজেলা আমীর মাহফুজুর রহমান।প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাহফুজুর রহমান বলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সব সময় মানবতার কল্যাণে কাজ করে থাকেন। অতিতেও আমরা জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে করোনা, বন্যাসহ যে কোনো দুর্যোগে মানুষের পাশে দাড়িয়েছি। জামায়াতে ইসলামী একটি কল্যানকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত করতে চায়,।বক্তরা যে সব প্রবাসী ভাইয়েরা অর্থ দিয়ে শীতবস্র বিতরনে সহযোগিতা করেছেন সকলকে ধন্যবাদ জানান এবং সব সময়,মানবতার কাজে সহযোগিতার আহ্বান জানান। আলকরা ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর যুব বিভাগের সভাপতি মনির আহম্মেদ মানিকের পরিচালোনায় এতে আরো বক্তব্য রাখেন আলকরা ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা কুতুব উদ্দিন, সেক্রেটারী আবু নাছের। আলকরা ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর মজলিশে সুরা সদস্য মাহফুজুর রহমান । ৬ নং ওয়াড় সভাপতি মো : ইয়াকুব ও সেক্রেটারী মোস্তফা কামাল । ৪ নং ওয়াড় সভাপতি সাইফুল ইসলাম ।মো : আনোয়ার । এ সময় জামায়াতে ইসলামীর নেতা কর্মীসহ ওয়াড়ের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চমেক হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতিতে বহির্বিভাগে চিকিৎসা সেবা বন্ধ

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতিতে বহির্বিভাগে চিকিৎসা সেবা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। জরুরি বিভাগেও স্বাভাবিক সেবা মিলছে না। এতে দূর-দূরান্ত থেকে শত, শত রোগী ও তাদের স্বজনদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। তবে হাসপাতালের অন্যান্য চিকিৎসা কার্যক্রম সীমিতভাবে চালু আছে। সেখানে ইন্টার্ন চিকিৎসক ছাড়া অন্যরা রোগীদের সেবা দিচ্ছেন।

বুধবার ভোর থেকে প্রতিদিনের মতো রোগীরা চমেক হাসপাতালের বহির্বিভাগে আসতে থাকেন। সকাল গড়াতেই শত, শত রোগীর ভিড় জমে যায়। কিন্তু বহির্বিভাগের টিকিট কাউন্টার থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে প্রথমে অনেক রোগী হতচকিত হয়ে পড়েন। পরে আস্তে আস্তে জানা যায়, চিকিৎসকেরা কর্মবিরতি পালন করছেন। এরপরও চিকিৎসার আশায় রোগী ও তাদের স্বজনরা বহির্বিভাগের সামনে জড়ো ছিলেন।
জানা গেছে, এমবিবিএস-বিডিএস ডিগ্রিপ্রাপ্ত ছাড়া কাউকে নামের আগে ‘ডাক্তার’ পদবি ব্যবহার করতে না দেওয়াসহ পাঁচদফা দাবিতে সারাদেশে একযোগে কর্মবিরতি শুরু করেছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। চট্টগ্রামে তাদের সঙ্গে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল, ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, মেরিন সিটি এবং সাউদার্ন মেডিকেলের শিক্ষার্থী ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরাও এ কর্মসূচি পালন করছেন। তবে দুপুরে এ সংক্রান্ত রীটের ওপর শুনানি শেষে হাইকোর্টের এক রায়ে বলা হয়েছে, এমবিবিএস (ব্যাচেলর অব মেডিসিন, ব্যাচেলর অব সার্জারি) ও বিডিএস (ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি) ডিগ্রিপ্রাপ্ত ছাড়া অন্য কেউ তাদের নামের আগে ডাক্তার পদবি ব্যবহার করতে পারবেন না।

চমেক হাসপাতালে গৃহিণী মর্জিনা বেগম এসেছেন কক্সবাজার থেকে। তার শরীরে টিউমার অস্ত্রোপচারের কথা ছিল। কিন্তু চিকিৎসকের দেখা না পেয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানালেন মর্জিনা ও তার মা তৈয়বা বেগম। মর্জিনা বলেন, আজকে (বুধবার) টিউমার অপারেশনের কথা ছিল। গত সোমবার এসেছিলাম। তখন কিছু পরীক্ষা দিয়েছিল। বলেছিল, আজ (বুধবার) রিপোর্ট নিয়ে ডাক্তারকে দেখাতে। আজ রিপোর্ট নিয়ে এসে দেখি কাউন্টার থেকে টিকিটই দিচ্ছে না। সকাল ৭টায় এসেছি। আমাদের বেশি হয়রানি করা হচ্ছে। এভাবে হয়রানি করার কোনো মানে হয় না। এর আগে তিনদিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। একটা প্যারাসিটামলও দেয়নি।
তৈয়বা বেগম বলেন, একবার কক্সবাজার আসতে-যেতে দুইজনের এক হাজার টাকার বেশি খরচ হয়ে যায়।

আমরা গরীব মানুষ। না হলে ক্লিনিকে নিয়ে অপারেশন করে ফেলতাম, সরকারি হাসপাতালে আসতে হতো না। এভাবে হয়রানি করা হলে আমরা যাব কোথায় ?
কন্ঠনালীতে সমস্যা নিয়ে কর্ণফুলী উপজেলা থেকে আসা আব্দুল হক বেলা ১২টার দিকে বলেন, সকাল ৮টা থেকে বসে আছি। টিকিট দিচ্ছে না। ডাক্তারদের দেখছি না। নার্সদের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বলছে ডাক্তার না দেখলে আমরা কী করবো।
রাঙ্গুনিয়া থেকে আসা হৃদরোগে আক্রান্ত বৃদ্ধ আনিসুল হক বলেন, ধর্মঘটের কথা যদি আগে আমাদের বলে দিত আমরা আসতাম না। কেউ কোনো কথা বলছে না। ধর্মঘট চলছে, সেটাও কেউ বলছে না। রোজা-রমজানের দিন, কত কষ্ট করে এসেছি। একবার আসতে-যেতে ৮০০ টাকা গাড়িভাড়া চলে যায়।
পায়ে ফ্র্যাকচার নিয়ে নগরীর আতুরার ডিপো এলাকা থেকে চিকিৎসা নিতে আসা জিসান সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বলেন, আউটডোরে টিকিট কাউন্টার বন্ধ। ডাক্তাদের কাউকে দেখছি না। এখন বাসায় চলে যাচ্ছি।
চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তসলিম উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, হাসপাতালের বহির্বিভাগে সমস্যা হচ্ছে। সেখানে রোগীদের পুরোপুরি চিকিৎসা সেবা দেয়া যাচ্ছে না। তবে জরুরি বিভাগ, বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিটে সেবা চালু আছে। সিনিয়র ডাক্তাররা সেবা দিচ্ছেন স্বাভাবিকভাবে। আইসিইউ সেবাও চালু আছে।

যাকাত প্রদান প্রক্রিয়া সহজতর করতে হবে: চট্টগ্রামে সেমিনার

চট্টগ্রামে জেলা প্রশাসন চট্টগ্রাম এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যেগে দারিদ্র বিমোচনে যাকাতের ভূমিকা নিয়ে বিভাগীয় সেমিনার আয়োজন করা হয়েছে। এতে জেলা প্রশাসক ফরিদা খানমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দিন।বুধবার সকাল ১১ টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ সম্মেলন কক্ষে এ সেমিনার আয়োজন করা হয়। সেমিনারে যাকাতের তাত্ত্বিক পর্যালোচনা ও গুরুত্ব বিষয়ে একটি উপস্থাপনা প্রদর্শন করা হয়। পরে চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা ইসলামিক ব্যক্তিদের সাথে উন্মুক্ত আলোচনা করা হয়।

বিভাগীয় কমিশনার বলেন, আমরা যেহেতু সবাই দায়িত্বশীল এবং নিজ দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হব, তাই সকলকেই নিজ অধিক্ষেত্রে যাকাতের গুরুত্ব সম্পর্কে প্রচারণা চালাতে হবে, যাকাত প্রদান প্রক্রিয়া সহজতর করতে হবে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম বলেন, যাকাত প্রদান করলে সম্পদ কমে না বরং বাড়তে থাকে, তাই যাকাত প্রদানের গুরুত্ব সম্পর্কে সকলকেই অবগত ও সচেতন করতে হবে। এ সময় বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক ইসলামিক ফাউন্ডেশন যাকাত ফান্ডে অর্থ প্রদান করেন।
সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা, চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. কামরুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. শরীফ উদ্দিন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর সমন্বয় বিভাগের পরিচালক মো. মহিউদ্দিন, কেন্দ্রীয় যাকাত বোর্ডের সদস্য শায়খ মুফতি জসীম উদ্দিনসহ প্রমুখ।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ