
চট্টগ্রাম নগরের পূর্ব পাহাড়তলীর মুক্তিযোদ্ধা কলোনীর লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। প্রায় সময় একটি ভূমিদস্যুচক্র ১৯৯৫ সালে গড়ে উঠা এ কলোনীটিতে হামলা, ভাংচুর ও মারধর করছে। মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়ি ঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে হুমকি দিচ্ছে। প্রতিরাতেই অস্ত্রের মহড়ার কারণে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবার আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম শাহ আলম। তার পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মুক্তিযোদ্ধা প্রগতি বহুমুখী সমবায় সমিতির প্রধান উপদেষ্টা এ এম তাহের।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, যুদ্ধাহত গরীব অসহায় বীর মুক্তিযোদ্ধারা সরকারি খাস জমি বরাদ্ধপ্রাপ্ত হয়ে ১৯৯৫ সাল থেকে বসবাস করে আসছে। ২০১৯ সালের ১ ডিসেম্বর হাইকোর্ট সমিতির পক্ষে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। সমিতির আওতাভুক্ত জায়গাটি সম্প্রতি জবর দখলের চেস্টা চালিয়ে যাচ্ছে একদল দুর্বৃত্ত। গত নভেম্বরের পর থেকেই প্রায় সময় ২০/২৫ জনের সন্ত্রাসীচক্র কলোনীতে ঘুমান্ত লোকজনের উপর হামলা,বাড়ি-ঘর ভাংচুর এবং বয়োবৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধাদের মারধর করছে। বাড়ি ঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে হুমকি দিচ্ছে। তারা বেশ কিছু জায়গা জবরদখলও করে নিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিষয়গুলো নিয়ে গত ৮ জানুয়ারি স্থানীয় থানায় সাধারণ ডায়েরি ও জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগও করা হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের নিস্ক্রিয়তায় সন্ত্রাসীচক্রটি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
এ এম তাহের বলেন, সমিতি মুক্তিযোদ্ধা, পঙ্গু, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ পরিবার ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যরা আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। তাদের রক্ষার জন্য সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ সিদ্দিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউছুফ
বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুদ্দোহা আলী, কীর মুক্তিযোদ্ধা সামশুল হুদা, বীর মুক্তিযোদ্ধা লেয়াকত হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা মজিবুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল বারী প্রমূখ।