আজঃ রবিবার ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫

নেত্রকোনায় সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকি ও জিম্মিকরনের চেষ্টা থানায় জিডি।

মোঃ নুর উদ্দিন মন্ডল দুলাল, নেত্রকোনা।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

নেত্রকোনায় সাংবাদিকতার পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাঁধা, প্রাণনাশের হুমকি ও জিম্মিকরনের চেষ্টার ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেছেন নেত্রকোনা দায়িত্বপালনকারী দুজন গণমাধ্যম কর্মী।সাংবাদিকদ্বয় হলেন- ‘চ্যানেল আই টিভি’ ও ‘দৈনিক বাংলাদেশ খবরে’র নেত্রকোনা প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী জাহিদ হাসান। আরেকজন ‘দৈনিক জনতা’র নেত্রকোনা প্রতিনিধি রতন মিয়া।

 

রবিবার (৫ জানুয়ারী) বেকারি শিল্পের অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা ও বেহালদশার বস্তু নিষ্ঠু অনুসন্ধানমূলক প্রতিবেদন তৈরীর জন্য নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলাধীন সিধলী বাজারে যান। সেখানে আজিজুলে’র বেকারি পরিদর্শনকালে পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাঁধার সম্মুখীন হন। প্রাণনাশের হুমকিসহ দুজন গণমাধ্যম কর্মীকে জিম্মিকরণের চেষ্টা করা হয়।

 

এমন অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তি হলেন- বেকারির মালিক ও নেত্রকোনা সদর উপজেলার রাজাপুর গ্রামের আ. কদ্দুস খানের ছেলে আজিজুলসহ আরো অপরিচিত কয়েকজন।

গণমাধ্যম কর্মীদের জিডিতে উল্লেখ, সিধলী বাজারে আজিজুলে’র বেকারি পরিদর্শনকালে বেকারির মালিক আজিজুল অপরিচিত কয়েকজনকে নিয়ে তাদেরকে দায়িত্বপালনে বাধা দেন। এসময় গণমাধ্যম কর্মীদের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। অকথ্য ও অশোভন ভাষায় গালমন্দ করে মারপিট, খুন, জখমের হুমকি দেওয়া হয় এবং তাদের দুজনকে বেকারির ঘরে আটক করে ঘিরে রেখে জিম্মি করেন। পরে লোকজনের ভিড়ে সুযোগ বুঝে জিম্মিকারীদের কাছ থেকে মুক্ত পান দুই সাংবাদিক।

 

কলমাকান্দার থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি’র দায়িত্বে থাকা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. নজমুল হুদা জিডি’র বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দুজন সাংবাদিক ঘটনাস্থলে গেয়েছিলেন। কথা কাটাকাটি ও বাকবিতন্ডার একপার্যায়ে খারাপ আচরণ করেছে বেকারির মালিক। এরজন্য জিডি করেছেন সাংবাদিকদ্বয়। সিধলী তদন্ত কেন্দ্রের একজন সরকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) এনামুল হককে তদন্ত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আদালতের নির্দেশে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।

 

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে । তেলবাহী জাহাজটিতে বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কার ১৮ নাবিক রয়েছে। ইরানি গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা ফার্স জানায়- ছয় মিলিয়ন লিটার চোরাচালানকৃত ডিজেল বহনকারী একটি তেলবাহী জাহাজ ওমান উপকূলে আটক করা হয়েছে।

চন্দ্রগঞ্জ থানা পরিদর্শন করেন নবাগত পুলিশ সুপার মো:আবু তারেক

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

লক্ষ্মীপুর জেলার সদ্য যোগদান করা পুলিশ সুপার জেলার বিভিন্ন থানা পরিদর্শন ও থানায় কর্মরত অফিসারদের সাথে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করেন।
তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানা আকস্মিক পরিদর্শন করেন লক্ষ্মীপুর জেলার নবাগত পুলিশ সুপার মোঃ আবু তারেক। এসময় চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ও কর্মরত সবাই ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

থানা পরিদর্শনকালে পুলিশ সুপার ফোর্সদের থাকার ব্যারাক ও বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন এবং সকল পুলিশ সদস্যদের সাথে কুশল বিনিময় করেন। এছাড়াও সকল পুলিশ সদস্যদের আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন।

উল্লেখ্য চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মোরশেদ আলম চলতি মাসের ৬ তারিখে এ থানায় যোগদান করেন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ