আজঃ সোমবার ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫

কবি,ছড়াকার ও সংগঠক আফসার আলাউদ্দিএর জন্মদিন উপলক্ষে সমতট সাহিত‍্যাঙ্গনের কবি ও কবিতার গল্প আড্ডা অনুষ্ঠিত।

জহিরুল ইসলাম সুমন চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি :

বিশিষ্ট কবি, ছড়াকার, সংগঠক সমতট সাহিত‍্যাঙ্গনের নির্বাহী সদস্য আফসার আলাউদ্দিনের ৪৭তম জন্মদিন উপলক্ষে স্বনামধন্য সাহিত্য সংগঠন ‘সমতট সাহিত‍্যাঙ্গন’ আয়োজন করে ‘কবি ও কবিতার গল্প আড্ডা ‘। ১০ জানুয়ারি ১০টায় কুয়াশা ঢাকা হিম শীতল সকালে ফেনী ভিক্টোরিয়া উচ্চ বিদ‍্যালয় মিলনায়তনে ফেনী সহ

 

আশেপাশের এলাকার কবি, সাহিত‍্যিক, সম্পাদক, কলামিস্ট ও সাংস্কৃতিক ব‍্যক্তিবর্গ অংশ নেন। কবি ও সম্পাদক স্বাধীন মুরশিদের কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। আলোচনায় কবি আফসার আলাউদ্দিন বলেন দেশ তথা বিশ্বের সকল কবি লেখক এক আত্মার ও এক হৃদয়ের। তিনি সকল কবি লেখক ও সাংস্কৃতিক ব‍্যক্তিকে একটি বুদ্ধিভিত্তিক ও কল‍্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় কলম চালিয়ে যাওয়ার আহবান জানান। এমন একটি সুন্দর আয়োজনের জন্য সমতট সাহিত‍্যাঙ্গনের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। কবির সাহিত্যকর্ম নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন কবি ও সাহিত্য সমালোচক

 

শাহাদাত মাহমুদ সিদ্দিকী। কবির কবিতা পাঠ ও আলোচনায় অংশ নেন কবি সাহিত্য সভার অন‍্যতম সংগঠক শামীম পাটোয়ারী, কবি ও প্রকাশক মোস্তফা মুহিত,দৈনিক ফেনীর সাহিত্য সম্পাদক কবি বকুল আক্তার দরিয়া, কবি হেলাল শাহদাত,শাহজালাল ইসলামী ব‍্যাংক বকশীর হাট শাখা ব‍্যবস্থাপক মাসুদুর রহমান,কবি ও সম্পাদক উত্তম অরন,কবি ও সমাজকর্মী মোসলেহ উদ্দিন, অভিনেতা এম এ কাইয়ুম,কবি সালেহা খানম,কবি নিজাম ফরায়েজী,কবি ইবনে বেলায়েত, কবি নাট‍্যকার এফ আই ফিরোজী,অনুবাদক নাজিম মোহাম্মদ, সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম সুমন, সমাজকর্মী জামাল হোসেন শামীম ও মোহাম্মদ আলমগীর, শিক্ষক জিয়াউর রহমান রানা,

 

কামরুন নাহার রোজি, মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম প্রমূখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সমতট সাহিত‍্যাঙ্গনের সভাপতি কবি ও কলামিস্ট সফিউল হক।সঞ্চালনা করেন কবি ও ত্রিমাত্রা সম্পাদক কামাল মাহতাব। কবির কবিতা পাঠ ও গানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি টানা হয়।কবি আফসার আলা উদ্দিন কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী কুলাসার গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন।¦

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চুয়ান্নটি বছর

স্বাধীনতার চুয়ান্নটি বছর চলেছে একই নীতিতে!
সত্যিই এবার পরিবর্তন প্রয়োজন।
স্বপ্ন আর আশা,
এই নিয়ে দেশের মানুষের বেঁচে থাকা।

কেহ দেশের শান্তি ফেরাতে দিয়েছেন প্রাণ,
কেহ আবার সব ভুলে গিয়ে নিজের সুবিধা আর আসন পাওয়া নিয়ে ব্যস্ততা,
আর এক শ্রেণীর মানুষের নেই ঘুম!

সুন্দর স্বপ্নময় দেশ গড়তে,
সর্ব প্রথম আইন,
বিচার ব্যবস্থা আর প্রশাসনের সঠিক উন্নয়ন প্রয়োজন। এই তিনটি যেন কারো ব্যক্তিগত কারো সম্পত্তি না হয়।

বিগত চুয়ান্ন বছর পর আবারও দেশ ও দেশের মানুষের নতুন অধ্যায়!
যেন বিগত দিন, মাস, বছর পর বছর আর নয়,
সর্বত্র হোক বিরাজমান সত্য ও সততার আগমন।

রঙের দেখা

একেক পাখির একেক রং,
ফুলের সুগন্ধে মন ছুঁয়ে রয়!
নীল আকাশে সাদা মেঘের ক্ষণে ক্ষণে মেলা হয়।

হরেক রঙের মানুষের দেখা,
ভিন্ন ভিন্ন দেশে। ভাষাও আবার ভিন্ন হয়,
আবহাওয়াও ভিন্ন রুপে।

একই দেশের মানুষ মোরা ভিন্ন ভিন্ন ভবের।
আচার- আচরণও হয় ভিন্ন!

চাওয়া পাওয়ার হিসেব মেলাতে জীবনে সকলেই চিন্তিত! হয়তো প্রকাশ ভঙ্গি ভিন্ন।

সকাল সন্ধ্যা! কতো স্মৃতি আর অনুভূতি আসে বারে বারে এ মনে!
মনের অজান্তেই কথা হয়,
চুপিচুপি একাকী নিরজনে!

ফুলদানিতে কতো ফুল রাখি,
আস্তে আস্তে শুকিয়ে,
নয় তো ঝড়ে যায়!
চেনা চেনা কতো মানুষও আবার,
দুঃসময়ে দূরে সরে চলে যায়!

দুনিয়ায় আসা হয় একা,
একা চলে যেতে হয়!
এর বিকল্পও নেই,
তবুও মানুষের সাথে মানুষের অবিচার অবক্ষয়!

দুনিয়ায় কতো কিছু,
কতো রঙে ভরা,
শুধু রক্তের একটিই রঙ!
মানুষ, দেশ, জাতি যেমনই হোক, সকলের রক্তের রঙ লাল।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ