আজঃ মঙ্গলবার ৯ ডিসেম্বর, ২০২৫

চট্টগ্রাম সাংস্কৃতিক পরিষদের ‘সাংস্কৃতিক উৎসব’

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

চট্টগ্রাম সাংস্কৃতিক পরিষদের ‘সাংস্কৃতিক উৎসব’ সম্পন্ন হয়েছে। সদস্যদের মিলনমেলা উপলক্ষে কাপ্তাই উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বিকেলে উক্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পরিষদের সভাপতি, বাংলাদেশ বেতার ও বিটিভির গীতিকার এস.এম ফরিদুল হক। পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ, বেতার ও বিটিভির কণ্ঠশিল্পী শহীদ ফারুকী সঞ্চলনায় প্রধান অতিথি ছিলেন, কর্ণফুলী পেপার মিলের

মহাব্যবস্থাপক (কারিগরি) আবুল কাশেম রনি। বিশেষ অতিথি ছিলেন, চিত্র পরিচালক নুরুল ইসলাম নুরু, কাপ্তাই শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক ঝুলন দত্ত, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মু.আনিসুর রহমান।

সংগীত পরিবেশন করেন, বাংলাদেশ বেতার ও বিটিভির কণ্ঠশিল্পী, সুরকার ও সংগীত পরিচালক যথাক্রমে ফজলুল কবির চৌধুরী ও দিদারুল ইসলাম দিদার, বেতার ও বিটিভির কণ্ঠশিল্পী শহীদ ফারুকী, ইকবাল পিন্টু, রফিক আহমেদ, জুলেখা আক্তার জুলি, আব্দুল মন্নান, মোহাম্মদ উল্ল্যাহ, শাকিল আরাফাত, নোমান প্রমূখ। এছাড়া সদস্য-সদস্যাদের মিউজিক্যাল চেয়ার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
উপস্থিত ছিলেন,পরিষদের সহ-সভাপতি উত্তম কুমার আাচার্য্য, যুগ্ন সম্পাদক সাংবাদিক সরোজ আহমেদ, সহ সম্পাদক সাইফ আজাদ, অর্থ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন রনি, সহ অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ উল্ল্যাহ, প্রকাশনা সম্পাদক সাংবাদিক বিশ্বজিৎ পাল, রুহুল আমিন সালমান প্রমূখ। অনুষ্ঠানে সংগীত ও নাটকে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ঝুলন দত্ত ও মু.আনিসুর রহমানকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।

এর আগে সকালে সদস্যদের চা চক্র, লেক ভ্রমন, প্রীতিভোজের মাধ্যমে প্রথম পর্বের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। পরিশেষে প্রতিযোগিতা ও র‌্যাফেল ড্রয়ের বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

 

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চুয়ান্নটি বছর

স্বাধীনতার চুয়ান্নটি বছর চলেছে একই নীতিতে!
সত্যিই এবার পরিবর্তন প্রয়োজন।
স্বপ্ন আর আশা,
এই নিয়ে দেশের মানুষের বেঁচে থাকা।

কেহ দেশের শান্তি ফেরাতে দিয়েছেন প্রাণ,
কেহ আবার সব ভুলে গিয়ে নিজের সুবিধা আর আসন পাওয়া নিয়ে ব্যস্ততা,
আর এক শ্রেণীর মানুষের নেই ঘুম!

সুন্দর স্বপ্নময় দেশ গড়তে,
সর্ব প্রথম আইন,
বিচার ব্যবস্থা আর প্রশাসনের সঠিক উন্নয়ন প্রয়োজন। এই তিনটি যেন কারো ব্যক্তিগত কারো সম্পত্তি না হয়।

বিগত চুয়ান্ন বছর পর আবারও দেশ ও দেশের মানুষের নতুন অধ্যায়!
যেন বিগত দিন, মাস, বছর পর বছর আর নয়,
সর্বত্র হোক বিরাজমান সত্য ও সততার আগমন।

রঙের দেখা

একেক পাখির একেক রং,
ফুলের সুগন্ধে মন ছুঁয়ে রয়!
নীল আকাশে সাদা মেঘের ক্ষণে ক্ষণে মেলা হয়।

হরেক রঙের মানুষের দেখা,
ভিন্ন ভিন্ন দেশে। ভাষাও আবার ভিন্ন হয়,
আবহাওয়াও ভিন্ন রুপে।

একই দেশের মানুষ মোরা ভিন্ন ভিন্ন ভবের।
আচার- আচরণও হয় ভিন্ন!

চাওয়া পাওয়ার হিসেব মেলাতে জীবনে সকলেই চিন্তিত! হয়তো প্রকাশ ভঙ্গি ভিন্ন।

সকাল সন্ধ্যা! কতো স্মৃতি আর অনুভূতি আসে বারে বারে এ মনে!
মনের অজান্তেই কথা হয়,
চুপিচুপি একাকী নিরজনে!

ফুলদানিতে কতো ফুল রাখি,
আস্তে আস্তে শুকিয়ে,
নয় তো ঝড়ে যায়!
চেনা চেনা কতো মানুষও আবার,
দুঃসময়ে দূরে সরে চলে যায়!

দুনিয়ায় আসা হয় একা,
একা চলে যেতে হয়!
এর বিকল্পও নেই,
তবুও মানুষের সাথে মানুষের অবিচার অবক্ষয়!

দুনিয়ায় কতো কিছু,
কতো রঙে ভরা,
শুধু রক্তের একটিই রঙ!
মানুষ, দেশ, জাতি যেমনই হোক, সকলের রক্তের রঙ লাল।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ