আজঃ রবিবার ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫

চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক হাসপাতালের তোপের মুখে সহ-সভাপতি, পুলিশ এসে উদ্ধার

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতালের গিয়ে তোপের মুখে পড়েছেন হাসপাতালটির সহ-সভাপতি লায়ন ইঞ্জিনিয়ার জাবেদ আবছার চৌধুরী। আওয়ামী রাজনীতির সাথে যুক্ত এমন দাবিতে আনুমানিক ১০ থেকে ১২ জন যুবক তাকে হাসপাতালে অবরুদ্ধ করে রেখেছিল। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ এসে হাসপাতালের একটি কক্ষ থেকে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

ইঞ্জিনিয়ার জাবেদ আবছার চৌধুরী চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার শিলাইগড়া গ্রামের নুরুল আবছার চৌধুরীর ছেলে। তিনি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মীর নাছির উদ্দীনের উন্নয়ন উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে জাবেদ আবছার আওয়ামী লীগ বা দলটির অঙ্গসংগঠনের কোনো পদবীতে আছেন কিনা তা জানা যায়নি। তিনি চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের নির্বাহী কমিটির সদস্য।

ঘটনাস্থলে থাকা একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, লায়ন ইঞ্জিনিয়ার জাবেদ আবছার চৌধুরী আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত এমন দাবি করে আনুমানিক ১২ জন যুবক হাসপাতালের বাইরে জড়ো হয়। তারা তাকে হাসপাতালে অবরুদ্ধ করে রাখেন। একপর্যায়ে সেখানে খুলশী থানা পুলিশ উপস্থিত হয়। এরপর তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মজিবুর রহমান জানিয়েছেন, তাকে জনরোষ থেকে বাঁচাতে পুলিশ উদ্ধার করে থানায় নিয়েছেন। তার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
হাসপাতালে কর্মরত একজন কর্মচারী জানিয়েছেন, জাবেদ আবছার বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক চর্চা শিশু কিশোর সংগঠন নামে একটি সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিলেন। আওয়ামী লীগের আমলের অনেক সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের সাথেও তার সখ্যতা ছিল।

ঘটনাস্থলে যাওয়া খুলশী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাকির হোসেন বলেন, আমরা খবর পাই জাবেদ আবছারকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। সেখানে গিয়ে আমরা তাকে একটি কক্ষ থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। সেখানে যারা উপস্থিত ছিল তাদের দাবি তিনি আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে । তেলবাহী জাহাজটিতে বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কার ১৮ নাবিক রয়েছে। ইরানি গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা ফার্স জানায়- ছয় মিলিয়ন লিটার চোরাচালানকৃত ডিজেল বহনকারী একটি তেলবাহী জাহাজ ওমান উপকূলে আটক করা হয়েছে।

চন্দ্রগঞ্জ থানা পরিদর্শন করেন নবাগত পুলিশ সুপার মো:আবু তারেক

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

লক্ষ্মীপুর জেলার সদ্য যোগদান করা পুলিশ সুপার জেলার বিভিন্ন থানা পরিদর্শন ও থানায় কর্মরত অফিসারদের সাথে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করেন।
তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানা আকস্মিক পরিদর্শন করেন লক্ষ্মীপুর জেলার নবাগত পুলিশ সুপার মোঃ আবু তারেক। এসময় চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ও কর্মরত সবাই ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

থানা পরিদর্শনকালে পুলিশ সুপার ফোর্সদের থাকার ব্যারাক ও বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন এবং সকল পুলিশ সদস্যদের সাথে কুশল বিনিময় করেন। এছাড়াও সকল পুলিশ সদস্যদের আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন।

উল্লেখ্য চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মোরশেদ আলম চলতি মাসের ৬ তারিখে এ থানায় যোগদান করেন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ