আজঃ সোমবার ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫

রাউজানে বিসিসিইউএল হাসপাতালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডা. শাহাদাত হোসেন

নিজস্ব প্রতিবেদক

চিকিৎসকরা ভালোভাবে সময় দেন না বলেই রোগীরা বিদেশে চলে যায় দেশের চিকিৎসকরা ভালোভাবে সময় দেন না বলেই রোগীরা বিদেশে চলে যায় বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের ডাক্তাররা অনেক অভিজ্ঞ অনেক শিক্ষিত। আমরা রোগীদের সময় দিতে পারি না বিধায়, আমাদের রোগীরা বিদেশে চলে যাচ্ছে। ডাক্তাররা যদি বেশী রোগীর পরিবর্তে ২০ থেকে ২৫ জন রোগী দেখেন। আর প্রতিজন রোগীকে যদি ২০ মিনিট ধরে সময় দেওয়া যায় তাহলেই রোগীর আসল রোগের অবস্থা জেনে ভালো চিকিৎসা দেওয়া যাবে।

তিনি শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে রাউজান উপজেলাধীন চুয়েট সংলগ্ন পাহাড়তলী চৌমুহনীস্থ হাজী মকবুল টাওয়ারে বিসিসিইউএল জেনারেল হাসপাতালের শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

রাউজানের নতুন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে উদ্দেশ্য করে শাহাদাত হোসেন বলেন, একটি হসপিটাল উদ্বোধন করা বড় কথা নয়, হসপিটালের মান ধরে রাখাই বড় কথা। হসপিটালের মান ধরে রাখার জন্য সবার প্রচেষ্টা থাকতে হবে।

তিনি বলেন, আপনারা যারা হসপিটালটি করেছেন এ হসপিটালের মান আপনারা ধরে রাখবেন। আমাদের এখান থেকে অধিকাংশ রোগী ভারতে চলে যায়, ভারতে যাতে রোগী চলে যেতে না হয় সেজন্য আপনাদের হাসপাতালে সেবার মান বৃদ্ধি করবেন।

রাউজানে ডায়ালাইসিস মেশিন আনার কারণে গ্রামবাসীর জন্য উপকার হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, রাউজানে এ প্রথম ডায়ালাইসিস মেশিন, এটা আমার খুব ভালো লেগেছে। গ্রামবাসীর জন্য উপকারে আসবে। এছাড়াও বাচ্চাদের জন্য এনআইসিইউ সেন্টার, শহরের বেশ কয়েক জায়গায় থাকলেও গ্রামে নেই। রাউজানে থাকছে, এটা একটা চমৎকার উদ্যোগ নিয়েছেন আপনারা।

জনগণের অধিকার ঠিকভাবে পূরণ করতে হবে মন্তব্য করে চসিক মেয়র বলেন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বস্ত্র, চিকিৎসা, এসব মানুষের অধিকার। যেগুলো আমরা এতদিন পাইনি, এই অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। এখন আমরা যারা আছি, সবাইকে মানুষের অধিকার যথাযথভাবে দিতে হবে। আমরা যদি আগের মতো মনে করি যে, তাদের অধিকার হরণ হয়েছে দেখে আমরাও অধিকার হরণ করবো, তা হবে না। এ চিন্তা থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। এরপরই ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ শহরকে আমাদের প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। তাহলেই আমরা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পারব।

দি বিসিসিইউএল জেনারেল হাসপাতালের চেয়ারম্যান ভদন্ত শাসন রক্ষিত ভিক্ষু’র সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়ুয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় যুগ্ম নিবন্ধক বাবু আশীষ কুমার বড়ুয়া, মো. দুলাল মিঞা, রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিসান বিন মাজেদ, জেলা সমবায় অফিসার মুরাদ আহম্মদ, রাউজান সহকারি কমিশনার (ভূমি) অং ছিং মারমা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি প্রফেসর জাহাঙ্গীর চৌধুরী, সম্মানিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রাউজান থানার ওসি একেএম শফিকুল আলম চৌধুরী, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বাবু রুবেল বড়ুয়া হৃদয়, রাউজান উপজেলা প্রকৌশলী আবুল কালাম, উপজেলা সমবায় অফিসার ওবাইদুল হক, কালব’র

পরিচালক বাবু উত্তম কুমার দে, পাহাড়তলী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়াররম্যান শ্রীমতি অর্পিতা মুৎসুদ্দী, মকবুল টাওয়ারের স্বত্বাধিকারী আবদুল হক, মো. মোস্তফা, বিসিসিইউএল’র ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক উজ্জ্বল মুৎসুদ্দী, বাংলাদেশ বুড্ডিস্ট ডক্টরস এসোসিয়েশনের সভাপতি প্রফেসর ডা. চৌধুরী চিরঞ্জীব বড়ুয়া প্রমূখ।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ভাঙ্গুড়ায় ধর্ষণ মামলায় স্কুল ছাত্রীর কথিত প্রেমিক গ্রেফতার

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ধর্ষণ মামলায় নবম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীর কথিত প্রেমিক কে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। কথিত প্রেমিকের নাম বুলবুল (২০)। তিনি উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়নের চাচকিয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলী ফকিরের ছেলে।রবিবার(৭ ডিসেম্বর) সকালে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গত শুক্রবার রাত ১১টার দিকে চাচকিয়া বিলের মধ্য নিয়ে গিয়ে ওই স্কুল ছাত্রী কে তার প্রেমিক বুলবুল সহ বন্ধুরা মিলে দলবদ্ধ ভাবে ধর্ষণ করে।

এ ঘটনায় শনিবার রাতে ভুক্তভোগী মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে ভাঙ্গুড়া থানায় ধর্ষণ মামলা রজ্জু করেন। মামলায় তথিত প্রেমিক বুলবুল সহ ৪ জন কে আসামি করা হয়।

ধর্ষণের খবর পেয়ে এএসপি সার্কেল (চাটমোহর) আবু বক্কার সিদ্দিক ও থানার ওসি মোঃ শফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

জানা গেছে, ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর সঙ্গে বুলবুল এর প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। ঘটনার দিন গত শুক্রবার রাত ১১ টার দিকে ওই স্কুল ছাত্রীকে চাচকিয়া বিলের মধ্যে ডেকে নিয়ে গিয়ে বুলবুল তার বন্ধু সোহানুজ্জামান ও তাওহিদ মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এসময় তারা মেয়েটির অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে এবং ঘটনাটি কাউ কে জানালে তা ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। পরদিন শনিবার দুপুরে ঘটনা জানার পর ভুক্তভোগী মেয়েটির বাবা থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃত বুলবুল কে দুপুরে পাবনা আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে। মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাবনা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

সাঘাটায় নবযোগদানকৃত ইউএনও আশরাফুল কবীরকে সাংবাদিকদের ফুলেল শুভেচ্ছা

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় নবযোগদানকৃত উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আশরাফুল কবীরকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা। বৃহস্পতিবার সকালে ইউএনও কার্যালয়ে এ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।

সাংবাদিকরা ইউএনওকে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য অভিনন্দন জানান এবং সাঘাটার সার্বিক উন্নয়ন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় তাঁর সাফল্য কামনা করেন। এসময় ইউএনও আশরাফুল কবীর সাংবাদিকদের শুভেচ্ছা গ্রহণ করে বলেন,
“সাঘাটার উন্নয়ন ও জনসেবার মানোন্নয়নে প্রশাসন ও গণমাধ্যম পরস্পরের পরিপূরক। স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সংবাদকর্মীদের সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”তিনি আরও বলেন,সাঘাটা উপজেলার সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে একটি জনবান্ধব প্রশাসন গড়ে তুলতে চাই। এ কাজে গণমাধ্যমের গঠনমূলক ভূমিকা অব্যাহত থাকবে বলে আমি বিশ্বাস করি।”

শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে সাংবাদিকরা নতুন ইউএনওর সঙ্গে বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা, প্রশাসনিক কার্যক্রম এবং স্থানীয় সমস্যাবলি নিয়ে মতবিনিময় করেন। অনুষ্ঠানে জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকা, অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় মহলে ধারণা করা হচ্ছে, ইউএনও আশরাফুল কবীরের যোগদানে সাঘাটা উপজেলায় প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড আরও গতিশীল হবে এবং উন্নয়ন কার্যক্রমে নতুন দিগন্ত যুক্ত হবে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ