
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতারের সাথে তার অফিস কক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের মান্যবর হাইকমিশনার মি. এইচ. ই. সৈয়দ আহমেদ মারুফ এর নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদল সোমবার সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। এ সময় চবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিন, চবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, চবি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মো. এনায়েত উল্যা পাটওয়ারী, চবি রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. এ. কে. এম. মাহফুজুল হক (মাহফুজ পারেভেজ) ও উক্ত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এ. জি. এম নিয়াজ উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। প্রতিনিধি দলের মধ্যে অন্যান্য সদস্যবৃন্দ হলেন পাকিস্তান হাইকমিশনের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংযুক্তি জাইন আজিজ ও পাকিস্তানের হাই কমিশন এর কাউন্সেলর কামরান ধাঙ্গল।
উপাচার্য অতিথিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পাহাড়ঘেরা সবুজ ক্যাম্পাসে শুভেচ্ছা ও স্বাগত জানান। তিনি অতিথিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করেন। উপাচার্য বলেন, বাংলাদেশে জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর নতুন প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম উন্নত, সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে পরিচালনার পাশাপাশি দেশ-বিদেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে শিক্ষা ও গবেষণা বিনিময়ে যৌথ কার্যক্রম পরিচালনা করছে, যা ইতোমধ্যেই সুধী মহলে প্রশংসিত হচ্ছে। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে উর্দু বিভাগ খোলার ব্যাপারে পাকিস্তানের হাইকমিশনের প্রস্তাবের প্রতিউত্তরে পাকিস্তানের করাচিতে বাংলা ভাষা শিক্ষা বিভাগ চালুর প্রস্তাব দেন।

পাকিস্তানের মান্যবর হাইকমিশনার মি. এইচ. ই. সৈয়দ আহমেদ মারুফ চবি উপাচার্যের কথা অত্যন্ত মনোযোগ ও আগ্রহ সহকারে শোনেন। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার সুষ্ঠ, শান্তিপূর্ণ ও চমৎকার পরিবেশের কথা জেনে অত্যন্ত সন্তোষ ও আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি চবি উপাচার্যকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি পাকিস্তানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী বিনিময়ের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেন। হাইকমিশনার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে উর্দু বিভাগ খোলার বিষয়ে উপাচার্যের কাছে প্রস্তাব পেশ করেন।