আজঃ শনিবার ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

চট্টগ্রামে অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায়,গ্রেফতার-৪

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

চট্টগ্রাম মহানগরীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের প্রতিনিধি পরিচয়ে মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে নগরীর দামপাড়া পুলিশ লাইনের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) পশ্চিম বিভাগের উপ কমিশনার হুসাইন মোহাম্মদ কবির ভূঁইয়া এসব তথ্য জানান। গ্রেফতারকৃতরা গার্মেন্টস কর্মকর্তাসহ দুজনকে অপহরণ করেছিল। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর আকবর শাহ থানার কাট্টলী ও সিডিএ আবাসিক এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার চারজন হলেন, নাজমুল আবেদিন (২২), নইমুল আমিন ইমন (২২), আরাফাত হোসেন ফহিম (২২) ও রিসতি বিন ইউসুফ (২৩)।

সংবাদ সম্মেলনে উপ-পুলিশ কমিশনার হুসাইন মোহাম্মদ কবির ভূঁইয়া জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে নগরীর আকবর শাহ থানার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের সিডিএ আবাসিক এলাকার নিজ বাসা থেকে আবদুল আল মামুন ও তার ব্যক্তিগত গাড়ির ড্রাইভার জুয়েলকে তুলে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা। আবদুল আল মামুন সিইপিজেডের কমার্শিয়াল এক্সপোর্ট প্যাসিফিক জিন্স নামে একটি গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানের অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত আছেন।

অপহরণকারীরা নিজেদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র প্রতিনিধি পরিচয়ে মামুনের স্ত্রীকে কল দিয়ে নগদ পাঁচ লাখ টাকা এবং ব্যাংকের চেকে ১৫ লাখ টাকা আদায় করেন। এরপর তারা মামুন ও তার ড্রাইভারকে খুলশীর অ্যাপোলো ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের সামনে ফেলে রেখে চলে যান। পরে পুলিশ খবর পেয়ে তাদের উদ্ধার করে।
পুলিশ কর্মকর্তা হুসাইন মোহাম্মদ কবির ভূঁইয়া বলেন, মামুনকে উদ্ধারের পর নগর পুলিশের পাহাড়তলী জোন ও গোয়েন্দা বিভাগ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে।

তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় পরে ওই চারজনকে আমরা তাদের নিজ নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করি। তিনি আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের পর নইমুল আমিন ইমনের বাসা থেকে মুক্তিপণের টাকাগুলো উদ্ধার করি। এ ঘটনায় অপি, আলাউদ্দিন, আরাফাত, আসিফ নামে আরও চারজনের নাম আমরা পেয়েছি। তাদের গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে । তেলবাহী জাহাজটিতে বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কার ১৮ নাবিক রয়েছে। ইরানি গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা ফার্স জানায়- ছয় মিলিয়ন লিটার চোরাচালানকৃত ডিজেল বহনকারী একটি তেলবাহী জাহাজ ওমান উপকূলে আটক করা হয়েছে।

চন্দ্রগঞ্জ থানা পরিদর্শন করেন নবাগত পুলিশ সুপার মো:আবু তারেক

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

লক্ষ্মীপুর জেলার সদ্য যোগদান করা পুলিশ সুপার জেলার বিভিন্ন থানা পরিদর্শন ও থানায় কর্মরত অফিসারদের সাথে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করেন।
তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানা আকস্মিক পরিদর্শন করেন লক্ষ্মীপুর জেলার নবাগত পুলিশ সুপার মোঃ আবু তারেক। এসময় চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ও কর্মরত সবাই ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

থানা পরিদর্শনকালে পুলিশ সুপার ফোর্সদের থাকার ব্যারাক ও বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন এবং সকল পুলিশ সদস্যদের সাথে কুশল বিনিময় করেন। এছাড়াও সকল পুলিশ সদস্যদের আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন।

উল্লেখ্য চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মোরশেদ আলম চলতি মাসের ৬ তারিখে এ থানায় যোগদান করেন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ