আজঃ রবিবার ১৬ মার্চ, ২০২৫

চট্টগ্রামে অস্থির চালের বাজার বস্তাপ্রতি বেড়েছে ২-৩শ’ টাকা।

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

চট্টগ্রামে সরকারি গুদামে চালের মজুত দ্বিগুণ বেড়েছে।মজুদ থাকা সত্বেও অস্থির হয়ে উঠেছে চালের বাজার। বর্তমানে চালের দাম বেড়েছে বস্তাপ্রতি ২-৩শ’ টাকা।অথচ চাল আমদানি করে মজুত বাড়ানো হয়েছে। খাদ্য কর্মকর্তা ও চাল ব্যবসায়ীরা জানান, পর্যাপ্ত চাল মজুত থাকার পরও কর্পোরেট গ্রুপগুলো কারসাজি করে চালের দাম বাড়াচ্ছে।

পাইকারি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত সপ্তাহের ব্যবধানে জিরাশাইল, নাজিরশাইল, কাটারি আতপসহ চিকন চালের দাম বস্তাপ্রতি ২-৩শ টাকা বেড়েছে। এতে ফের বিপত্তিতে পড়েছে মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ। বর্তমানে জিরাশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে বস্তাপ্রতি ৪১০০-৪১৫০ টাকা। এর আগে ৩৯০০-৪০০০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।

নাজিরশাইল ৪২০০ টাকা থেকে বেড়ে ৪৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাটারি আতপ ৪০০০ টাকা থেকে বেড়ে ৪৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যন্য চালের দাম অনেকটা অপরিবর্তিত রয়েছে।চট্টগ্রাম চলাচল ও সংরক্ষণ নিয়ন্ত্রক জ্ঞানপ্রিয় বিদূষী চাকমা বলেন, সরকার ৯-১০ লাখ টন খাদ্যশস্য আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে। ইতিমধ্যেই লক্ষাধিক টন খাদ্যশস্য দেশে পৌঁছেছে। বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরে চারটি জাহাজ থেকে আমদানি করা চাল খালাস করা হচ্ছে।

পাহাড়তলী বণিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম নিজাম উদ্দিন বলেন, চাল আমদানির কিছুটা প্রভাব পড়েছিল। কিন্তু এক সপ্তাহ ধরে চার ধরনের চালের দাম বস্তাপ্রতি ২-৩শ’ টাকা বেড়েছে। তিনি বলেন, বাজারে প্রচুর চাল রয়েছে। কয়েকটি কোম্পানি কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে চালের দাম বাড়াচ্ছে। চালের ওপর সরকারের কোনো নজরদারি না থাকায় বাজার বার বার অস্থির হয়ে উঠছে।

কর্পোরেট কোম্পানি ও উত্তর বঙ্গের বড় চাতাল এবং মোকাম সিন্ডিকেটের কাছে চালের বাজার জিম্মি হয়ে পড়েছে বলে দাবি করেছেন প্রবীণ চাল ব্যবসায়ী নিজাম উদ্দিন। তিনি বলেন, দেশে সরকারি ও বেসরকারি খাতে প্রচুর পরিমাণ চাল মজুত রয়েছে। সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারায় সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। বাজার ও বড় ব্যবসায়ীদের গুদামে মনিটরিং করা হলেই বাজারে স্বস্তি ফিরে আসবে।

খাদ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, চট্টগ্রামে সরকারি খাদ্য গুদামে খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে এক লাখ ৬৫ হাজার ৪৪৭ মেট্রিক টন। এরমধ্যে চালের মজুত আছে এক লাখ ২৮ হাজার ৫৮৫ মে. টন। গম মজুত রয়েছে ৩৬ হাজার ৫৭৫ টন। গত বছর (২০২৪ সাল) একই সময়ে খাদ্য মজুত ছিল ৮১ হাজার ৩২২ টন। চাল ছিল ৭০ হাজার ৯৮১ টন। গম ছিল ১০ হাজার ২৯৯ টন। এক বছরে চালের মজুত বেড়েছে এক দশমিক ৫৮ গুণ।
চালের দাম বৃদ্ধির জন্য কর্পোরেট কোম্পানিগুলোকে দায়ী করেছেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের খাদ্য পরিদর্শক (কারিগরি) ফখরুল আলম। তিনি বলেন, সরকার চাল আমদানির পর বাজারে চালের দাম কিছুটা কমেছে। কিন্তু কিছু কোম্পানি বস্তা পাল্টিয়ে ব্র্যান্ডের নামে চালের দাম বাড়িয়ে নিচ্ছেন।

ফুডগ্রেন লাইসেন্সের আওতায় খাদ্য অধিদপ্তর ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিচালনা করা হয় বলে জানান খাদ্য কর্মকর্তা ফখরুল আলম। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম খাদ্য সংকট এলাকা। এখানে ধানি জমি কমে যাচ্ছে। শিল্প-কারখানা বাড়ছে। তাই প্রতিদিন বিভিন্ন জেলা থেকে ৬০-৭০ ট্রাক চাল চট্টগ্রামে আসে।

পাইকারি মোকামে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অজুহাতে বেড়েছিল চালের দাম। আগস্ট মাসে সরকার পতনের পর আরেক দফা বেড়েছিল। পরিবহন সংকট ও গাড়ি ভাড়া বৃদ্ধির অজুহাতে দুই দফায় বাড়ানো হয়েছিল। জুলাই মাস থেকে ক্ষণে ক্ষণে বেড়েছিল চালের দাম। বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকার চাল আমদানির অনুমতি দেয়। সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে চাল আমদানির পরও সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

রিহ্যাব চট্টগ্রাম ফেয়ার ২০২৫ পর্দা নামছে আগামীকাল রবিবার

পর্দা নামছে ৪ দিনব্যাপী রিহ্যাব চট্টগ্রাম ফেয়ার ২০২৫ এর । গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বন্দরনগরীর পাঁচ তারকা হোটেল রেডিসন ব্লু চট্টগ্রাম বে ভিউ এ শুরু হয় রিহ্যাব চট্টগ্রামে ফেয়ার ২০২৫। আগামীকাল রবিবার রিহ্যাব চট্টগ্রাম ফেয়ার-২০২৫- এর পর্দা নামবে রাত ৯ টায়। মেলার মাধ্যমে আবাসন খাতের অচলাবস্থা কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করছে চট্টগ্রামের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।

বন্দরনগরীর পাঁচ তারকা হোটেল রেডিসন ব্লু চট্টগ্রাম বে ভিউ এ অনুষ্ঠিত মেলায় প্রথম বারের মত আগত ক্রেতাদের শিশুদের জন্য মনোরোম কিডস জোন এর ব্যবস্তা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা: শাহাদাত হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে মেলার উদ্বোধন করেন। সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ক্রেতা দর্শনার্থীরা মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন। মেলায় প্রবেশে সিঙ্গেল এন্ট্রি টিকিটের প্রবেশ মূল্য ৫০ টাকা। আর মাল্টিপল এন্ট্রি টিকিটের মূল্য ধরা হয়েছে ১০০ টাকা। মাল্টিপল এন্ট্রি টিকিট দিয়ে একজন দর্শনার্থী মেলার সময় ৪ বার প্রবেশ করতে পারবেন। টিকিটের রাফেল ড্রতে প্রতিদিন থাকছে থাকছে আকর্ষণীয় পুরস্কার।
মেলার শেষ দিন অনেক ক্রেতা দর্শনার্থীর জনসমাগম হবে এমন প্রত্যাশা করছেন মেলায় অংশ কারী প্রতিষ্ঠানগুলো। মেলায় এক সাথে অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান অংশ নেওয়াতে ক্রেতারা সহজে যাচাই বাছাই করে কাংখিত ফ্ল্যাট-প্লট খুঁজে নিতে পারবেন। মেলা উপলক্ষে অংধিকাংশ প্রতিষ্ঠান তাদের প্রকল্পের ফ্ল্যাট ও প্লটে বিশাল ডিস্কাউন্ট দিচ্ছেন। মাধ্যমে তিনি চেষ্টা করছেন নাগরিকদের মৌলিক অধিকার পুরণ করতে।

এবারের ফেয়ারে ৬৩টি স্টল রয়েছে। রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠান ছাড়াও ৫টি বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালস ও ৫টি অর্থলগ্নীকারী প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নিয়েছে। অর্থলগ্নীকারী ব্যাংকগুলো মেলা উপলক্ষে সহজে ঋণের ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন। সব মিলে ৪৩টি প্রতিষ্ঠান মেলায় তাদের পণ্য এবং সেবা তুলে ধরছেন।

চালের বাজারে দরপতন, বেড়েছে ছোলা ও ডালের দাম

বন্দরনগরী চট্টগ্রামে পাইকারিতে চালের দর নিম্নমুখী হতে শুরু করেছে। তবে খুচরায় এখনও তেমন প্রভাব না পড়লেও আগামী সপ্তাহ থেকে কমতে শুরু করবে বলে আশা বিক্রেতাদের। অন্যদিকে বেড়েছে ছোলা ও ডালের দাম। ডিমের দাম কমেছে, বেড়েছে খাসির মাংসের দাম। তবে শবে বরাতকে সামনে রেখে বিভিন্ন সময় গরুর মাংসের দর বাড়তি থাকলেও এবারের চিত্র ভিন্ন। এবার গরুর মাংসের দাম স্থিতিশীল রয়েছে।

বিক্রেতারা জানিয়েছেন, রমজানে চাহিদা কমে যাওয়া, বিপুল পরিমাণ আমদানি ও সরকারিভাবে ন্যায্যমূল্যে চাল বিক্রির খবরে দরপতন শুরু হয়েছে।
শুক্রবার চট্টগ্রামের পাহাড়তলী চালের আড়ত, রিয়াজউদ্দিন বাজার ও বিভিন্ন ভ্রাম্যমাণ দোকান থেকে নিত্যপণ্যের দামের এ চিত্র পাওয়া গেছে।এ ছাড়া অন্যান্য মুদিপণ্য, শাকসবজির দাম আগের মতোই আছে।

শাকসবজি বরাবরের মতো ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে আছে। মাছের কিছুটা চড়া দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
পাহাড়তলীর আড়তগুলো ভারত থেকে আমদানি করা স্বর্ণা, বেতি আতপ, নাজিরশাইল, পাইজাম চালে সয়লাব। প্রতিকেজি বেতি আতপ তিন টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৫৩ টাকায়। ৩৮ টাকার সিদ্ধ নাজিরশাইল ৩৫ থেকে ৩৬ আর ৩০ টাকার পাইজাম বিক্রি হচ্ছে ২৮ টাকায়।

তবে দেশি নাজিরশাইল, মিনিকেট ও কাটারি আতপের দাম এখনও কমেনি। প্রতি কেজি কাটারি আতপ ৮৫ টাকা, নাজিরশাইল হাফসিদ্ধ মানভেদে ৮৫ ও ৮৮ টাকা, মিনিকেট আতপ ও সিদ্ধ ৭৪-৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, মৌসুম শেষ হয়ে যাওয়ায় এসব চালের দাম তেমন কমেনি। তবে না কমলেও আর বাড়ার সম্ভাবনা নেই।

পাহাড়তলী বাজারের আড়তদার এস এম নাজিম উদ্দিন বলেন, কয়েকদিন পর রমজান মাস শুরু হবে। তখন চালের চাহিদা কমে যাবে। ঈদের পরেই শুরু হবে বোরো মৌসুম। আবার ভারত, মায়ানমার থেকে যে পরিমাণ চাল এসেছে, আড়তে এখন প্রচুর মজুত আছে। টিসিবি বলছে, তারা ন্যায্যমূল্যে চাল বিক্রি করবে। সব মিলিয়ে চালের দাম নিম্নমুখী হয়েছে। এটা আস্তে আস্তে আরও কমবে।

রিয়াজউদ্দিন বাজারের খুচরা মুদি দোকান হারুন এন্টারপ্রাইজের কর্মচারী সাইফুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘খুচরায় কেজিতে ১-২ টাকা কমেছে। দুইমাস আগে পাইকারিতে বস্তায় যেখাতে ২০০-৩০০ টাকা বেড়েছিল, সেখানে কমেছে মাত্র ৪০-৫০ টাকা। এটা আরও কমলে খুচরায় প্রভাব পড়বে।
তবে নগরীর আসকার দিঘীর পাড় এলাকার এক দোকানি বলেন, খুচরায় চাল আমরা এখনও কম দামে বিক্রি করতে পারছি না। ২৫ কেজি কিংবা ৫০ কেজির বস্তায় ৪০-৫০ টাকা কমেছে। কিন্তু গাড়ি ভাড়ায় পোষাচ্ছে না। আরও কমলে তখন গড়পরতা হিসেবে আমরাও কম দামে বিক্রি করতে পারব।

রিয়াজউদ্দিন বাজারে ছোলা বিক্রি হচ্ছে মানভেদে কেজিপ্রতি ১২০ থেকে ১৪০ টাকায়। গত সপ্তাহে ছোলা ১২০ থেকে ১৩০ কিংবা ১৩৫ টাকার মধ্যে ছিল বলে বিক্রেতারা জানিয়েছেন। ডালের মধ্যে ছোট মসুরের ডাল ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা, মোটা মসুরের ডাল ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা জানালেন, মসুর ডালের দাম কেজিতে অন্তঃত ৫ টাকা বেড়েছে। এছাড়া বড় মুগ ডাল ১৩০ টাকা, ছোট মুগ ডাল ১৭০ টাকা, খেসারি ডাল ১২৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে ছোট মুগ ডাল কেজিতে বেড়েছে অন্তঃত ২৫ টাকা।

অন্যান্য পণ্যের মধ্যে খোলা আটা ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, প্যাকেট আটা ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, খোলা ময়দা ৫৫ থেকে ৬৫ টাকা এবং প্যাকেট ময়দা ৭০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। বাজারে প্যাকেটজাত চিনির ঘাটতি আছে। খোলা চিনির মধ্যে সাদা ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা ও লাল চিনি ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ এখনও স্বাভাবিক হয়নি। তবে খুচরা পর্যায়ে দামে তেমন একটা হেরফের হয়নি। বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৮৫ থেকে ১৯০ টাকা ও প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৮০ টাকা, পাম সুপার ১৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
রমজানের আরেক অত্যাবশ্যকীয় পণ্য খেজুর।

রিয়াজউদ্দিন বাজারে প্যাকেটজাত খেজুরের মধ্যে প্রতি কেজি দাবাস খেজুর ৪৫০ থেকে ৪৮০ টাকা, জিহাদি খেজুর ২৪০ টাকা, আজওয়া খেজুর ৯০০ টাকা, বরই খেজুর ৪০০ টাকা, মরিয়ম খেজুর ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।বাজারে ব্রয়লার মুরগির ডিম প্রতি ডজন ১২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, দাম কমেছে ৫ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের দামও প্রতি ডজনে অন্তঃত ৫০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ২৪৫ থেকে ২৫০ টাকা দরে। হাঁসের ডিম আগের দরে প্রতিডজন ২৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে ব্রয়লার মুরগি প্রতিকেজি গত সপ্তাহে ১৮০ থেকে ১৯৫ টাকা, সোনালী মুরগি ৩৩০ টাকা, সোনালি হাইব্রিড ২৯০ টাকা, দেশি মুরগি ৫৪০ থেকে ৫৮০ টাকা, লেয়ার লাল মুরগি ৩০০ টাকা এবং সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। মুরগির দর গত সপ্তাহের মতোই আছে।

শবে বরাতের আগেরদিন গরুর মাংস হাড়ছাড়া প্রতিকেজি ৯৫০ টাকা এবং হাড়সহ ৭৫০ থেকে ৭৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এবার দাম বাড়েনি। তবে খাসির মাংসের দাম প্রতিকেজিতে ১০০ টাকা বেড়ে ১২০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।এছাড়া বাজারে আকারভেদে প্রতিকেজি রুই মাছ ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা, কাতলা মাছ ৩২০ থেকে ৪৫০ টাকা, পাবদা ও শিং মাছ ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, বেলে ও আইড় ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। ট্যাংরা প্রতিকেজি ৬০০ টাকা, শোল মাছ ৭০০ থেকে ১ হাজার টাকা, চাষের কই ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, পাঙ্গাস ১৮০ থেকে ২৫০ টাকা এবং গলদা চিংড়ি বিক্রি হয়েছে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা দরে।

শীতকালীন শাকসবজির সরবরাহে ঘাটতি না থাকায় দাম ক্রেতার নাগালের মধ্যেই আছে। বাজারে মুন্সিগঞ্জের নতুন আলু মানভেদে প্রতিকেজি ২০ থেকে ২৫ টাকা, লাল আলু, সাদা আলু, বগুড়ার আলু ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সবজির মধ্যে কাঁচামরিচ ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, বেগুন, মানভেদে ২০ থেকে ৩০ টাকা, মূলা, বাঁধাকপি, ফুলকপি, শিম, শসা, টমেটোর দাম ১৫ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া শসা ৩০, মিষ্টিকুমড়া ৩০, করলা ৪০, মটরশুঁটি ৭০, গাজর ৪০ টাকা, বরবটি ৫০ ও লাউ ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শাকের মধ্যে লাল শাক, লাউ শাক, মুলা শাক, পালং শাক, কলমি শাক, ডাঁটা শাক ১০ থেকে ২০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

বাজারে দেশি পেঁয়াজ প্রতিকেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৭০ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতিকেজি দেশি রসুন ২৩৫, চায়না রসুন ২০০ থেকে ২২০ টাকা, ভারতীয় আদা ১০০ থেকে ১২০ টাকা, চায়না আদা ২২৫ টাকা, দেশি আদা ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ