আজঃ শনিবার ৬ ডিসেম্বর, ২০২৫

গাজীপুরের সালনায় অস্ত্রসহ ৩ ছিনতাইকারী গ্রেফতার

সুরুজ্জামান রাসেল গাজীপুর প্রতিনিধি:

সুরুজ্জামান রাসেল গাজীপুর প্রতিনিধি:

গাজীপুর মহানগরীর সদর থানার দক্ষিণ সালনা ইপসা গেইট এলাকায় ডাকাতির প্রস্ততি গ্রহন করাকালীন অস্ত্রসহ ৩ ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে সদর থানা পুলিশ। গত মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) রাতে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

অপরাধ (উত্তর) বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার রবিউল ইসলামের দিক-নির্দেশনায় সদর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার দ্বীন-ই-আলমসহ ওসি মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে এসআই কামরুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্সসহ মহানগরীর সদর থানার দক্ষিণ সালনা ইপসা গেইট এলাকায় পুলিশ অভিযানে যায়। এসময় এসআই কামরুলের নিরলস প্রচেষ্টায় ইপসা গেইটের সামনে ময়মনসিংহ টু ঢাকা মহাসড়কের পূর্ব পাশে পাকা রাস্তার উপর পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ১৫/১৬ জন ডাকাত ছুটাছুটি করে দৌঁড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাদের মধ্যে ০৩ জনকে আটক করে এবং অজ্ঞাতনামা ১২/১৩ জন ডাকাত দৌড়ে পালিয়ে যায়। উপস্থিত জনসাধারণের সামনে পর্যাপ্ত বৈদ্যুতিক আলো ও টর্চ লাইটের আলোতে সাবধানতার সাথে আটককৃতদের দেহ তল্লাশী করে বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র
উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত ডাকাত সদস্যরা হল- (১) ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল থানার নয়নপুর এলাকার মোঃ খোকন মিয়ার ছেলে সেলিম আহাম্মেদ (২৩),
(২) মুক্তাগাছা থানার আমোদপুর খাঁন বাড়া এলাকার মোঃ জাহেদ আলীর ছেলে মোঃ তোফাজ্জল হোসেন (২৭) এবং (৩) শেরপুর সদর থানার জুগনীবাগ এলাকার মৃত সুলতানের ছেলে মোঃ হানিফ (৪২)।

গ্রেফতারকৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানায়, তারা গভীর রাতে এই এলাকা সহ মহাসড়কের আশেপাশের এলাকায় বিভিন্ন অলিগলি ও মোড়ের সামনে দাঁড়িয়ে থেকে প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল, অটোরিক্সা ও ইজিবাইক যোগে যাতায়াতকারী যাত্রীদের থামিয়ে দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে আঘাত করে তাদের নিকট হতে নগদ টাকা-পয়সা, মোবাইল ফোন ও মালামাল ডাকাতি করে চলে যায়। মহাসড়কে যাতায়াতকারী যাত্রীদের টার্গেট করে তাদের সর্বস্ব ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে গিয়ার, চাপাতি, চাকু সহ বর্ণিত ঘটনাস্থলে অবস্থান নিয়েছিল। আসামীরা সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্রটি বিভিন্ন স্থানে সক্রিয় হয়ে উঠেছে।

এঘটনায় গ্রেফতারকৃত ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ৩৯৯/৪০২ ধারায় সদর থানায় ৩৯ নং মামলাটি রুজু করা হয়েছে। এছাড়াও গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে একাধিক ডাকাতির মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

এ বিষয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী হাসান পিপিএম জানান, চুরি, ছিনতাই, মাদক, ডাকাতিসহ যেকোনো অপরাধ দমনে সদর থানা পুলিশ সর্বদা তৎপর রয়েছে এবং অভিযান অব্যাহত থাকবে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

কুষ্টিয়ায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় বয়স্ক নারীর লাশ উদ্ধার।

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় হাত–পা বাঁধা অবস্থায় খাইরুন নেছা (৬০) নামের এক বয়স্ক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার রামচন্দ্রপুর মানিকের বাঁধ এলাকার পাশ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত নারী হলেন ঐ এলাকার মৃত রজব আলীর মেয়ে।

পুলিশ ও স্থানীয়দের বরাতে জানা গেছে, সকালেই মানিকের বাঁধের পাশে পানিতে ভেসে থাকা একটি লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে তাঁরা পুলিশে খবর দিলে ভেড়ামারা থানা–পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

এ বিষয়ে ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহাম্মদ জাহেদুর রহমান বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, তাঁকে হত্যা করে হাত–পা বেঁধে এখানে ফেলে রাখা হয়েছে।

বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছি। তদন্তে যা বের হবে, সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

কুষ্টিয়ায় বাড়ি থেকে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার।

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় সোহাগ হোসেন নামের এক রাজমিস্ত্রির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুটি পিস্তল ও একটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওসমানপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওসমানপুর কলপাড়া গ্রামে এই অভিযান চালান সেনাসদস্যরা। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় খোকসা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোশাররফ হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ক্যাপ্টেন মেহেদীর নেতৃত্বে কুষ্টিয়া সেনাক্যাম্পের রওশন আরা রেজিমেন্ট আর্টিলারি ইউনিটের একটি দল ওসমানপুর গ্রামের সোহাগ হোসেন নামের এক যুবকের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় বাড়ি তল্লাশি করে দুটি পিস্তল, একটি ওয়ান শুটারগান, গুলি, দেশীয় চাকু ও হাঁসুয়া পাওয়া যায়। তবে অভিযানে কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। সোহাগ হোসেন পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। তাঁর বাবার নাম আশরাফ হোসেন।

পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন বলেন, সেনাবাহিনীর অভিযানে উদ্ধার করা অস্ত্র থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ