আজঃ মঙ্গলবার ৯ ডিসেম্বর, ২০২৫

ট্রেনে-বাসে চট্টগ্রাম নগরী ছাড়ছে মানুষ।

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে দু’দিন ধরে দলে দলে ট্রেনে-বাসে চট্টগ্রাম নগরী ছাড়ছে মানুষ। বাস টার্মিনাল, রেলস্টেশন- সবখানেই মানুষের ভিড়। প্রতিদিনের কর্মস্থলে পৌঁছানোর তাড়া, সংসারের নিত্য চাহিদা মেটানোর তাগিদ, যানজট, সড়কে দুর্ভোগসহ আরও নানা নাগরিক বিড়ম্বনা- সবকিছুকে আপাতত ছুটি দিয়ে মানুষ ছুটছে তার ঘরের পানে।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর হতে পারে আগামী সোমবার অথবা মঙ্গলবার অর্থাৎ ৩১ মার্চ অথবা ১ এপ্রিল। তবে ঈদ যেদিনই হোক, বন্ধ থাকছে পুরো সপ্তাহ। কিছু বেসরকারি কলকারখানা-প্রতিষ্ঠান শনিবারও (২৯ মার্চ) খোলা থাকবে। তবে সার্বিকভাবে বন্ধ শুরু হয়ে গেছে শুক্রবার থেকেই।

২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসের সরকারি বন্ধ ছিল। এরপর বৃহস্পতিবার একদিন খোলার দিন গেছে। শুক্র-শনিবার আবারও সাপ্তাহিক বন্ধ। শনিবার বেসরকারিভাবে খোলার দিন হলেও কর্মজীবীদের অনেকেই বৃহস্পতিবার ও শনিবার ছুটি নিয়েছেন। এর ফলে চট্টগ্রামে এবার ঈদযাত্রা বলতে গেলে শুরু হয়েছে ২৬ মার্চের সকাল থেকেই। তবে মূল যাত্রা অর্থাৎ দলে দলে বাড়ি ফিরে যাওয়া শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) রাত থেকে।
যাত্রীরা বলছেন, এবার ট্রেনের টিকিট পেতে বিড়ম্বনা ছিল না। ভাড়া কিছুটা বাড়তি নেওয়া হলেও বাসের টিকিটও মিলেছে। আর লম্বা ছুটি হওয়ায় ধাপে ধাপে মানুষ চট্টগ্রাম নগরী ছেড়ে যাচ্ছেন। এর ফলে মোটামুটি স্বস্তিদায়ক পরিবেশেই হচ্ছে এবারের ঈদযাত্রা। প্রায় সবার চোখেমুখে আনন্দের ছটা।
শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, প্রচুর যাত্রীর সমাগম। তবে আগের মতো হুড়োহুড়ি কিংবা অস্বস্তির পরিবেশ দেখা যায়নি। বাস টার্মিনালগুলোতে, নগরীর প্রবেশপথগুলোতেও মানুষের ভিড় দেখা গেছে।
পল্লী বিদ্যুত সমিতির কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাঈম যাচ্ছেন কিশোরগঞ্জে গ্রামের বাড়িতে। চট্টগ্রাম রেলস্টেশন থেকে চেপে বসেছেন ট্রেনে। নাঈম বলেন, পল্লী বিদ্যুতে আমরা কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহের ১৯ জন আছি। সবাই বাড়ি চলে যাচ্ছি। ৯ দিনের ছুটি পেয়েছি। মা-বাবা, ভাই-বোনদের সঙ্গে একসাথে ঈদ করবো, এটা সবচেয়ে বেশি আনন্দের।
একটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহআলম বলেন, আমার বাড়ি নেত্রকোণা। আমার ছেলে বাড়িতে বসে অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কেটে দিয়েছে। এবার ট্রেনের টিকিট পেতে কোনো সমস্যা হয়নি। এবারের যাত্রাটা ভালো হচ্ছে। বাড়িতে যেতে সমস্যা হচ্ছে না, এটাই বড় কথা।
বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা আঁখি সুলতানা বাসে যাচ্ছেন কুমিল্লা। তিনি বলেন, আমার হাজবেন্ড ও আমি চট্টগ্রামে ব্যাংকে চাকরি করি। দুই ছেলেকে নিয়ে আমরা আজ যাচ্ছি। আমার শ্বশুরবাড়ি কুমিল্লায়, বাবার বাড়ি গাজীপুরে। ঈদটা শ্বশুরবাড়িতে করে ছুটির বাকি সময় বাবার বাড়িতে কাটাবো। লম্বা ছুটি হওয়ায় এবার সুবিধা হয়েছে।
চট্টগ্রাম থেকে ট্রেনে ঈদযাত্রা শুরু হয়েছে গত ২৪ মার্চ। ট্রেনের অগ্রিম টিকিটের যাত্রী পরিবহনের মধ্য দিয়ে এ ঈদযাত্রা শুরু হয়। তবে শুরুর দিন থেকে তিনদিন ধরে চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে ঘরমুখো মানুষের তেমন জটলা ছিল না।
চট্টগ্রাম রেলস্টেশনের ব্যবস্থাপক আবু বক্কর সিদ্দিকী বলেন, শুরুর দিকে ভিড় কম থাকলেও টানা বন্ধ শুরু হওয়ার পর চাপ বেড়েছে। ঈদ উপলক্ষে সব আন্তঃনগর ট্রেনের সাপ্তাহিক বন্ধ বাতিল করা হয়েছে। বিশেষ ট্রেন চলছে। যাত্রীর চাপ আছে, তবে এবার অস্বস্তিকর পরিবেশ নেই। ঈদে চট্টগ্রাম থেকে প্রতিদিন ট্রেনে করে ১৫ হাজার যাত্রী তাদের নির্ধারিত গন্তব্যে ফিরে যাচ্ছেন বলে এ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল কর্তৃপক্ষের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গত ১৪ মার্চ থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়। চাঁদ দেখার ওপর ভিত্তি করে ৩১ মার্চ বিক্রি করা হবে ফিরতি যাত্রার ১ ও ২ এপ্রিলের টিকিট।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মাহমুদা বেগম বলেন, মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে বাড়িতে যেতে পারেন, কোনো অনাকাঙ্খিত অপরাধমূলক ঘটনা বা বিড়ম্বনার শিকার না হন, সেজন্য আমরা রমজানের শুরুতেই প্ল্যান করেছি। রেলস্টেশন এবং বাস টার্মিনালগুলোতে আমাদের সার্বক্ষণিক টহল রয়েছে। সাদা পোশাকের পুলিশও নজরদারিতে রেখেছে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

উপজেলা নির্বাহী অফিসার বোয়ালখালীর বিভিন্ন স্কুল ও মাদ্রাসা পরিদর্শন।

বোয়ালখালী গোমদণ্ডী পাইলট উচ্চ মডেল বিদ্যালয় ও শাকপুরা দারুচ্ছন্নাত কামিল মাদ্রাসা পরিদর্শন বোয়ালখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেহেদী হাসান ফারুক এ সময় সাথে ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সালমা ইসলাম।

পরিদর্শনকালে একাডেমিক কার্যক্রম, চলমান বার্ষিক পরীক্ষা কেন্দ্রের পরিবেশ এবং সার্বিক শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছি।

শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক কার্যক্রম ও সৃজনশীলতার প্রতি আরও মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দেন । বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে ক্যাম্পাস আর ও পরিচ্ছন্ন, নিরাপদ ও শিক্ষাবান্ধব করে গড়ে তোলার নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

এ ছাড়া আসন্ন নির্বাচনী কেন্দ্র সমূহ সরেজমিনে ঘুরে দেখে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেছি, যাতে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা যায়।

শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং স্থানীয় সবার আন্তরিক সহযোগিতায় উন্নত, সুন্দর ও সমৃদ্ধ বোয়ালখালী গড়ে উঠবে এই প্রত্যাশা ও প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।

বোয়ালখালীতে বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্যোগে ৩২ টি চেক বিতরণ

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাষ্টের উদ্যোগে বোয়ালখালীতে ৩২ টি বৌদ্ধ প্রতিষ্ঠানে চেক বিতরণ করা হয়েছে। ৮ ডিসেম্বর বিকাল ৪টায় শাকপুরা প্রজ্ঞাবংশ বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এ উপলক্ষে এক সভা বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাষ্টের ট্রাষ্টি রূবেল বড়ুয়া হৃদয় এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন- চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ও চট্টগ্রাম-৮ আসনের বিএনপির মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আলহাজ্ব এরশাদ উল্লাহ। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বৌদ্ধ ঐক্য ফ্রন্ট বোয়ালখালী উপজেলা শাখার সভাপতি পল্টু কান্তি বড়ুয়া ও সমাজকর্মী রাজীব বড়ুয়ার উপস্থাপনায় এতে আশির্বাদক ছিলেন- শাকপুরা সার্বজনীন তপোবন বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত বসুমিত্র মহাস্থবির, ভদন্ত বিপস্সী মহাথের, ভদন্ত পরমানন্দ মহাস্থবির, ভদন্ত দীপানন্দ থেরো। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন -চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব আজিজুল হক চেয়ারম্যান,

জেলার সদস্য মোঃ শওকত আলম, বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক হাজী ইছহাক চৌধুরী, সাবেক সদস্য সচিব হামিদুল হক মান্নান চেয়ারম্যান, পৌরসভা বিএনপি সাবেক আহবায়ক শহীদুল্লাহ চৌধুরী, সাবেক প্রচার সম্পাদক সরোয়ার আলমগীর, বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, শওকত আলী চেয়ারম্যান, আবদুল আওয়াল মঞ্জু, শাকপুরা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আজম খান, পৌরসভা বিএনপি নেতা হাজী আবু আকতার, বোয়ালখালী উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মোঃ ইকবাল হোসেন, প্যানেল চেয়ারম্যান হাসান চৌধুরী, শ্রমিক দল নেতা মোঃ মোঃ ইলিয়াসসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ,

বোয়ালখালী সম্মিলিত বৌদ্ধ পরিষদের সভাপতি প্রকৌশলী জয়সেন বড়ুয়া, বাংলাদেশ বৌদ্ধ ঐক্য ফাউন্ডেশন বোয়ালখালী উপজেলা শাখার সভাপতি বিকাশ বড়ুয়া, বৈদ্যপাড়া পঞ্চরত্ন স্মৃতি পরিষদের সভাপতি দেশপ্রিয় বড়ুয়া, প্রদীপ বড়ুয়া, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বৌদ্ধ ঐক্য ফ্রন্ট মহানগর-জেলা ও উপজেলা শাখার নেতা কমল জ্যোতি বড়ুয়া,তাপস বড়ুয়া , সুমন বড়ুয়া, রনি বড়ুয়া চৌধুরী, বিপ্লব বড়ুয়া, প্রকৌশলী দিক্ষিত বড়ুয়া, অর্ণব বড়ুয়া,সুমন বড়ুয়া ছোটন বড়ুয়া,পিপলু বড়ুয়া সহ বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহার/ মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে আলহাজ্ব এরশাদ উল্লাহ বলেছেন- বাংলাদেশ সম্প্রতির মেলবন্ধ, এদেশে সকল ধর্মের সহবস্থান ছিল -আছে- থাকবে। তাই ধর্মীয় সৌহার্দ্য বজায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এরিই ধারাবাহিকতায় আসন্ন সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট আমাকে নির্বাচিত করুন আমি আপনাদের সকলের আশির্বাদ প্রার্থী। তিনি এসময় বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাষ্টের ট্রাস্টি রূবেল বড়ুয়ার ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন এখন সরকারী টাকা দপ্তরে গিয়ে আনতে হয়না, রূবেল বড়ুয়াই সরকারী টাকা নিয়ে আপনাদের নিকট হাজির। তার এ কর্মযজ্ঞকে আপনাদের আশির্বাদে রাখতে হবে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ