আজঃ শনিবার ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

চট্টগ্রাম মহানগরীর নিরাপত্তায় মাঠে থাকবে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে দেড়গুণ পুলিশ।

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

পবিত্র ঈদুল ফিতরের টানা বন্ধে চট্টগ্রাম নগরীতে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে দেড়গুণ বেশি পুলিশ সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে। সাদা পোশাকের সদস্যরাসহ সকল ইউনিটকে মাঠে নামানোর সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)।
সিএমপির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রমজানের শুরু থেকেই পুরো চট্টগ্রাম নগরীতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। মূল সড়কের পাশাপাশি অলি-গলিতে টহল জোরদার করা হয়েছে। মধ্য রমজান থেকে মার্কেট-শপিংমলের সামনে পুলিশি কার্যক্রম বাড়ানো হয়েছে। এর পরের কার্যক্রম শুরু হবে ঈদের ছুটির শুরুর দিন থেকে, যাতে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যরা মাঠে নামবেন।

ঈদের ছুটিসহ বন্ধের পুরোসময় ফাঁকা নগরী, ঈদ জামাত এবং বিনোদন কেন্দ্রগুলোকে ঘিরে এবার ঈদের নিরাপত্তা পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এডিসি-মিডিয়া) মাহমুদা বেগম বলেন, আমরা যখন রমজান নিয়ে প্ল্যান করছিলাম, তখন ঈদেরটাও মোটামুটি করে রেখেছিলাম। কারণ রমজানের শেষ ১০ দিনে মার্কেটগুলোতে মানুষের ভিড় বাড়ে। মার্কেটকেন্দ্রিক আমাদের পেট্টল টিম কাজ করছে। আবার ঈদের ছুটিতে বাড়ি-ঘরে যাওয়ার তাড়া থাকে। এবার সরকারি ছুটি বেশি। মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে বাড়ি যেতে পারে, সেজন্য বাস টার্মিনালগুলোতে আমরা নিরাপত্তা বাড়িয়েছি।
তিনি বলেন, ঈদের সময় নগরী ফাঁকা হয়ে যাবে।

মানুষজন থাকবে না। আমাদের নাগরিকদের আমরা আহ্বান জানাবো, নিজেদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে। নিজেদের বাসায় সিসিটিভি ক্যামেরা লাগালে তাহলে সেটা মোবাইলের মাধ্যমে দেশের যে প্রান্তেই থাকুক না কেন দেখতে পারবে। এ ছাড়া ঈদে পুলিশের টহল স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বাড়ানো হবে।
এডিসি মাহমুদা আরও জানিয়েছেন, ঈদের সময় স্বাভাবিকের চেয়ে নগরীতে দেড়গুণ বেশি পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট থানাগুলো থেকে আবাসিক এলাকার তালিকার পাশাপাশি তাদের চূড়ান্ত নিরাপত্তা পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।

আবাসিক এলাকা এবং বাণিজ্যিক ভবনগুলোর দিকে পুলিশের নজর বেশি থাকবে বলে তিনি জানান।
নগর পুলিশের বিশেষ শাখার উপ-কমিশনার মোখলেছুর রহমান জানিয়েছেন, ঈদ উপলক্ষ্যে ঘরমুখো মানুষের নিরাপত্তা এবং ফাঁকা নগরীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সাদা পোশাকে ২০০ পুলিশ সদস্য এবার মাঠে নামানো হচ্ছে। এর পাশাপাশি পুলিশের অন্যান্য টিমও থাকবে।

তিনি আরও বলেন, সিটিএসবির ২০০ সদস্যকে আমরা মাঠে রাখব। ঈদের নামাজ, বিনোদন কেন্দ্র, ফাঁকা নগরীর নিরাপত্তা- মোটামুটি সবকিছু নিয়েই প্ল্যান করা হয়েছে। মানুষ যাতে ঈদে বাড়ি যাওয়ার সময় হয়রানির শিকার না হয়, সেটাও আমরা নজরদারিতে রাখব।
সিএমপি কর্মকর্তারা বলছেন, গত বছরের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর নগরীতে যেভাবে ছিনতাই-চুরি বেড়ে গিয়েছিল, রমজান আসার আগেই সেটার

লাগাম টানতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। ১৬ থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে প্রচুর চোর-ছিনতাইকারীসহ পেশাদার অপরাধী গ্রেফতার করা হয়েছে। ছিনতাই কমে যাওয়ায় এবার নগরবাসী স্বস্তিতে ঈদের বাজার করতে পারছেন। একইভাবে ঈদুল ফিতরও স্বস্তিতে কাটবে বলে সিএমপি কর্মকর্তাদের।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে । তেলবাহী জাহাজটিতে বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কার ১৮ নাবিক রয়েছে। ইরানি গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা ফার্স জানায়- ছয় মিলিয়ন লিটার চোরাচালানকৃত ডিজেল বহনকারী একটি তেলবাহী জাহাজ ওমান উপকূলে আটক করা হয়েছে।

চন্দ্রগঞ্জ থানা পরিদর্শন করেন নবাগত পুলিশ সুপার মো:আবু তারেক

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

লক্ষ্মীপুর জেলার সদ্য যোগদান করা পুলিশ সুপার জেলার বিভিন্ন থানা পরিদর্শন ও থানায় কর্মরত অফিসারদের সাথে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করেন।
তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানা আকস্মিক পরিদর্শন করেন লক্ষ্মীপুর জেলার নবাগত পুলিশ সুপার মোঃ আবু তারেক। এসময় চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ও কর্মরত সবাই ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

থানা পরিদর্শনকালে পুলিশ সুপার ফোর্সদের থাকার ব্যারাক ও বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন এবং সকল পুলিশ সদস্যদের সাথে কুশল বিনিময় করেন। এছাড়াও সকল পুলিশ সদস্যদের আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন।

উল্লেখ্য চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মোরশেদ আলম চলতি মাসের ৬ তারিখে এ থানায় যোগদান করেন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ