আজঃ শনিবার ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

চট্টগ্রামে শিশু আপহরনের প্রধানসহ গ্রেপ্তার তিনজন

এম মনির চৌধুরী রানা

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

চট্টগ্রামের বাঁশখালীর সাধনপুর এলাকা বাসিন্দা মহিউদ্দিন। কাজ করতেন নগরীর চকবাজারের একটি ফটোকপির দোকানে। এরমধ্যে জড়িয়ে পড়েন অনলাইন জুয়া খেলায়। জুয়া খেলে নিঃস্ব হয়ে পড়েন। টাকার অভাবে অপহরণের পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর চরণদ্বীপ এলাকা থেকে আফরান নুর আবির (৮) নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রকে অপহরণ করে। কিন্তু মুক্তিপণ আদায়ে পুলিশের পাতানো ফাঁদে পড়ে ধরা পড়ল অপরহরণকারী চক্র। গত ২৫ মার্চ (সোমবার) দুপুরে অপহৃত হয় মতে, বোয়ালখালীর চরণদ্বীপ এলাকার মাদ্রাসা শিক্ষার্থী মো. আফরান নুর আবির (৮)। আবির ওই এলাকার নুরুল আজিমের ছেলে। ২ ভাই ও ১ বোনের মধ্যে সবার ছোট। অপহৃত আবিরের বাবা নুরুল আজিম বলেন, ২০১২ সালের দিকে নগরীর চকবাজারে ফটোকপির দোকানে পরিচয় হয় বাঁশখালীর সাধনপুর গ্রামের মহিউদ্দিনের সঙ্গে। সেই সূত্রে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। অনেক টাকা ধার দিয়েছিলাম। ২০২২ সালে দেখা করে টাকা ধার চেয়েছিল। কিন্তু দিতে পারিনি। কিন্তু সেই মহিউদ্দিন এমন ঘটনা ঘটাবে তা কল্পনাও করতে পারিনি।
বোয়ালখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম সারোয়ার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আবিরের বাবা থানায় জিডি করলেও কোনো ক্লু পাচ্ছিলাম না। একদিন পর (২৬ মার্চ মঙ্গলবার) ভোরে আবিরের পিতার মোবাইলের ইমুতে এক ব্যক্তি টেক্সট (বার্তা) পাঠিয়ে ৫ লাখ টাকা দাবি করে। সেই সূত্র ধরে আবিরের ছবি নিয়ে নিশ্চিত হই। তারপর টাকার অঙ্ক নিয়ে দর কষাকষি চলে। চার লাখ টাকায় রাজি হয় অপহরণকারীরা।রওসি বলেন, ‘তাদের দাবি মতো পর্যায়ক্রমে চার লাখ টাকা মোবাইল ব্যাংকিং নাম্বারে পাঠানো হয়। এরপর ২৬ মার্চ দুপুরে আবিরকে নগরীর চান্দগাঁও বাহির সিগন্যাল এলাকার একটি মাদ্রাসার সামনে সিএনজি ট্যাক্সি থেকে নামিয়ে দেয়। আবিরকে অক্ষত উদ্ধার করে অপহরণকারীদের ধরার অভিযান শুরু হয়। পুরো বিষয়টি মনিটরিং ও নির্দেশনা দেন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম সানতু স্যার। পুলিশ সূত্র জানায়, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় জেলা ডিবি ও বাঁশখালী থানা পুলিশের সহায়তায় অপহরণে ব্যবহৃত সিএনজি ট্যাক্সিসহ চালক নুরুল আলমকে (৩৬) গ্রেপ্তার করা হয়। অপরদিকে, যশোর জেলার শার্শা থানা পুলিশ মুক্তিপণের টাকা গ্রহণের সময় ইকবাল হোসেন (২৭) এবং মূল পরিকল্পনাকারী মহিউদ্দিনকে (৪০) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বোয়ালখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. খায়রুল ইসলাম খান বলেন, ‘অপহরণের মূল পরিকল্পনাকারী মহিউদ্দিন অনলাইনে জুয়া খেলে। জুয়া খেলে টাকা পয়সা সব হারিয়ে ফেলে। আবিরের পিতার কাছে সম্প্রতি টাকা ধার চেয়েছিল মহিউদ্দিন। মূলত টাকার জন্য আবিরকে অপহরণের পরিকল্পনা করা হয়।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি দুর্বৃত্তদের গুলিতে গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।আহত ওসমান হাদীর সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। এছাড়া চিকিৎসা কার্যক্রম নিবিড়ভাবে তদারকি করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেছেন।


একই সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দ্রুত ও ব্যাপক তদন্ত চালিয়ে হামলায় জড়িত সবাইকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ, প্রত্যক্ষদর্শীর তথ্য গ্রহণ, সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা এবং হামলার পেছনে কোনো সংগঠিত পরিকল্পনা থাকলে তা উন্মোচনের জন্য তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিতে বলেছেন।

কুষ্টিয়ায় নারী পুলিশ কনস্টেবলের মোবাইল ছিনতাইচেষ্টা, যুবক আটক

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় এক নারী পুলিশ কনস্টেবলের মোবাইল ফোন ছিনতাইচেষ্টার অভিযোগে আশিকুর রহমান (২১) নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে।

গতকাল বুধবার রাত ৯টার দিকে থানাপাড়া পাঁচ বিল্ডিং এলাকায় এই ছিনতাইচেষ্টার ঘটনা ঘটে। পরে তাঁকে আটক করা হয়। আশিকুর রহমান খোকসা চরপাড়া এলাকার বিল্লাল হোসেনের ছেলে।

আজ বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে তাঁকে চুরি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।সন্ধ্যায় খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোতালেব হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ওসি বলেন, থানার পাশেই ভুক্তভোগী নারী কনস্টেবলের বাসা। ডিউটি শেষে ফেরার পথে তাঁর মোবাইল ছিনতাইয়ের চেষ্টা করা হয়। এ ঘটনায় এক যুবককে আটক করা হয়েছে। তাঁকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ