আজঃ শনিবার ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক এখন মৃত্যুকূপ তিন দিনে প্রাণ হারিয়েছে ১৫ জন।

নিজস্ব প্রতিবেদক

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক এখন মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে। তিন দিনে এই মহাসড়কে দূর্ঘটনায় ১৫ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। এই মহাসড়কের অনেকস্থানে পাহাড়ি এলাকার উঁচু নিচু সড়ক। ঢালু পাহাড়ি রাস্তা আর অপ্রশস্ত সড়কে ঘন ঘন বাঁক। সারা বছরই ওই সড়কে দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়। এবারের ঈদযাত্রায় সেই সড়কে ৭২ ঘণ্টায় ঝরে গেছে ১৫টি তাজা প্রাণ। সারা বছর দুর্ঘটনা ঘটলেও ঈদযাত্রার তিন দিনে ১৫ মৃত্যুর খবরে আলোচনায় এসেছে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি জাঙ্গালিয়া সড়কটি।

এর মধ্যে সবশেষ গত বুধবার সকালে মাইক্রোবাস ও বাসের সংঘর্ষে ১০ জনের মৃত্যু হয়। যে স্থানে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, সেখান থেকে মাত্র ৩০-৩৫ গজ দূরে ঈদের দিন সোমবার (৩১ মার্চ) সকালে বাস ও মিনিবাসের সংঘর্ষে ৫ ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছিল। একই এলাকায় ঈদের দ্বিতীয় দিন (মঙ্গলবার) ভোরে দুইটি মাইক্রোবাস রাস্তার পাশে ৩০ ফুট খাদে পড়ে ৯ জন আহত হন।

গাড়ি চালক, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ওই এলাকার উঁচু-নিচু সড়কে বাঁকগুলো খুব বিপদজনক। ঈদের ছুটির মৌসুমে দেশের অন্যান্য জেলা থেকে আসা চালকরা অপ্রশস্ত এ অচেনা সড়কে দুর্ঘটনায় পড়ছেন। পাশাপাশি চিংড়ি ও মাছবাহী গাড়ি থেকে পানি পড়ে সড়কটি পিচ্ছিল হয়ে ওঠে; বেশিরভাগ সময় সকালেই দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটছে। এবারের তিনটি দুর্ঘটনাও ঘটেছে সকালবেলা। ঈদযাত্রায় এমন ভয়াবহ দুর্ঘনটার পর স্থানীয়দের মাঝে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা সৃষ্টি হয়েছে।

লোহাগাড়ার চুনতি এলাকার বাসিন্দা ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, লোহাগাড়া উপজেলার চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতি জাঙ্গালিয়া এলাকা অত্যন্ত সড়ক দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা। এই এলাকার মহাসড়ক দিয়ে দুইটি গাড়ি চলাচলের কোনো সুযোগ নেই। এখানে রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক। আমি বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে একনেক মিটিং এ বাজেট প্রণয়ন করে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কটি ৬ লেনে উন্নীত করার দাবি জানাচ্ছি।

দোহাজারী হাইওয়ে থানার ওসি শুভ রঞ্জন চাকমা জানান, ঈদের দিন থেকে পর পর ৩ দিন লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি জাঙ্গালিয়া এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় এই পর্যন্ত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। তিনটি দুর্ঘটনা ঘটেছে সকাল বেলা।

দুর্ঘটনার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম- কক্সবাজার মহাসড়কটির চুনতি জাঙ্গালিয়া এলাকা অন্য জেলার চালকের জন্য অপরিচিত। এখানকার সড়কটি প্রশস্ত না থাকা, সড়কে সিগন্যাল না থাকা, বিপজ্জনক বাঁক থাকা, সকালে লবণ- মাছবাহী গাড়ি থেকে পানি পড়ে সড়ক পিচ্ছিল হওয়া দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে । তেলবাহী জাহাজটিতে বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কার ১৮ নাবিক রয়েছে। ইরানি গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা ফার্স জানায়- ছয় মিলিয়ন লিটার চোরাচালানকৃত ডিজেল বহনকারী একটি তেলবাহী জাহাজ ওমান উপকূলে আটক করা হয়েছে।

চন্দ্রগঞ্জ থানা পরিদর্শন করেন নবাগত পুলিশ সুপার মো:আবু তারেক

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

লক্ষ্মীপুর জেলার সদ্য যোগদান করা পুলিশ সুপার জেলার বিভিন্ন থানা পরিদর্শন ও থানায় কর্মরত অফিসারদের সাথে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করেন।
তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানা আকস্মিক পরিদর্শন করেন লক্ষ্মীপুর জেলার নবাগত পুলিশ সুপার মোঃ আবু তারেক। এসময় চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ও কর্মরত সবাই ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

থানা পরিদর্শনকালে পুলিশ সুপার ফোর্সদের থাকার ব্যারাক ও বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন এবং সকল পুলিশ সদস্যদের সাথে কুশল বিনিময় করেন। এছাড়াও সকল পুলিশ সদস্যদের আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন।

উল্লেখ্য চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মোরশেদ আলম চলতি মাসের ৬ তারিখে এ থানায় যোগদান করেন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ