এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক এখন মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে। তিন দিনে এই মহাসড়কে দূর্ঘটনায় ১৫ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। এই মহাসড়কের অনেকস্থানে পাহাড়ি এলাকার উঁচু নিচু সড়ক। ঢালু পাহাড়ি রাস্তা আর অপ্রশস্ত সড়কে ঘন ঘন বাঁক। সারা বছরই ওই সড়কে দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়। এবারের ঈদযাত্রায় সেই সড়কে ৭২ ঘণ্টায় ঝরে গেছে ১৫টি তাজা প্রাণ। সারা বছর দুর্ঘটনা ঘটলেও ঈদযাত্রার তিন দিনে ১৫ মৃত্যুর খবরে আলোচনায় এসেছে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি জাঙ্গালিয়া সড়কটি।

এর মধ্যে সবশেষ গত বুধবার সকালে মাইক্রোবাস ও বাসের সংঘর্ষে ১০ জনের মৃত্যু হয়। যে স্থানে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, সেখান থেকে মাত্র ৩০-৩৫ গজ দূরে ঈদের দিন সোমবার (৩১ মার্চ) সকালে বাস ও মিনিবাসের সংঘর্ষে ৫ ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছিল। একই এলাকায় ঈদের দ্বিতীয় দিন (মঙ্গলবার) ভোরে দুইটি মাইক্রোবাস রাস্তার পাশে ৩০ ফুট খাদে পড়ে ৯ জন আহত হন।
গাড়ি চালক, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ওই এলাকার উঁচু-নিচু সড়কে বাঁকগুলো খুব বিপদজনক। ঈদের ছুটির মৌসুমে দেশের অন্যান্য জেলা থেকে আসা চালকরা অপ্রশস্ত এ অচেনা সড়কে দুর্ঘটনায় পড়ছেন। পাশাপাশি চিংড়ি ও মাছবাহী গাড়ি থেকে পানি পড়ে সড়কটি পিচ্ছিল হয়ে ওঠে; বেশিরভাগ সময় সকালেই দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটছে। এবারের তিনটি দুর্ঘটনাও ঘটেছে সকালবেলা। ঈদযাত্রায় এমন ভয়াবহ দুর্ঘনটার পর স্থানীয়দের মাঝে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা সৃষ্টি হয়েছে।

লোহাগাড়ার চুনতি এলাকার বাসিন্দা ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, লোহাগাড়া উপজেলার চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতি জাঙ্গালিয়া এলাকা অত্যন্ত সড়ক দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা। এই এলাকার মহাসড়ক দিয়ে দুইটি গাড়ি চলাচলের কোনো সুযোগ নেই। এখানে রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক। আমি বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে একনেক মিটিং এ বাজেট প্রণয়ন করে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কটি ৬ লেনে উন্নীত করার দাবি জানাচ্ছি।
দোহাজারী হাইওয়ে থানার ওসি শুভ রঞ্জন চাকমা জানান, ঈদের দিন থেকে পর পর ৩ দিন লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি জাঙ্গালিয়া এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় এই পর্যন্ত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। তিনটি দুর্ঘটনা ঘটেছে সকাল বেলা।
দুর্ঘটনার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম- কক্সবাজার মহাসড়কটির চুনতি জাঙ্গালিয়া এলাকা অন্য জেলার চালকের জন্য অপরিচিত। এখানকার সড়কটি প্রশস্ত না থাকা, সড়কে সিগন্যাল না থাকা, বিপজ্জনক বাঁক থাকা, সকালে লবণ- মাছবাহী গাড়ি থেকে পানি পড়ে সড়ক পিচ্ছিল হওয়া দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ।











