আজঃ সোমবার ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫

গাজীপুরের পূবাইলে ১২৪কেজি গাঁজাসহ তিন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার।

সুরুজ্জামান রাসেল গাজীপুর প্রতিনিধি:

গাজীপুর মহানগরীর পূবাইল থানা সংলগ্ন এলাকায় বুধবার র‌্যাব-১ এর একটি আভিযানিক দল তথ্য প্রযুক্তি ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ১২৪ কেজি গাঁজাসহ ৩ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১।

গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীরা হচ্ছে-সুমেরখোলা গ্রামের কালিয়া থানার নড়াইল জেলার মৃত মোঃ আঃ মজিদ এর ছেলে মোঃ সোহাগ শেখ (৩৯), নগগ্রামের কালিয়া থানার নড়াইল জেলার -মোঃ মিজানুর বিশ্বাস এর ছেলে মোঃ আশিক বিশ্বাস ওরফে আকাশ (২১) ও -মোঃ শফিক মিয়ার ছেলে মোঃ সাগর মিয়া (২০)

এসময় তাদের ব্যবহৃত বালু ভর্তি ট্রাক তল্লাশী করে ১২৪ কেজি গাঁজাসহ ৩টি মোবাইল ফোন, ৪টি সিমর্কাড এবং নগদ ৩ হাজার ৮ শত টাকা উদ্ধার করা হয়। র‌্যাব জানায়, ধৃত আসামীরা পরস্পর যোগসাজসে দীর্ঘদিন যাবৎ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের চোখ ফাকি দিয়ে দেশের সীমান্তবর্তী এলাকা হতে পাইকারী দরে গাঁজা ক্রয় করে নিয়ে এসে ঢাকা জেলা ও গাজীপুর শহরের বিভিন্ন এলাকায় খুচরা মাদক ব্যবসায়ীদের নিকট সরবরাহ করে থাকে। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যসহ গ্রেফতারকৃত আসামীদের পূবাইল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ঠাকুরগাঁওয়ে নবাগত পুলিশ সুপারের সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা

ঠাকুরগাঁওয়ে নবাগত পুলিশ সুপার বেলাল হোসেনের সাথে স্থানীয় সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৭ ডিসেম্বর রবিবার দুপুর ১২টায় জেলা পুলিশ সুপারের কনফারেন্স রুমে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।এসময় পুলিশ সুপার বেলাল হোসেন বলেন, মিডিয়ার গুরুত্ব অপরিসীম। মানুষের বাকস্বাধীনতা একমাত্র মিডিয়ার মাধ্যমেই রক্ষা করা সম্ভব।

তিনি আরও বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষের সেবা করাই আমার প্রথম কাজ। মাদক সব অপরাধের মূল উৎস। তাই যেকোনো মূল্যে সমাজকে মাদকমুক্ত করতে হবে। এসময় যানজট, মাদকমুক্ত করতে ও বিদ্যমান বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন পুলিশ সুপার।


এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) খোদাদাদ হোসেন,সহকারী পুলিশ সুপার রাণীশংকৈল সার্কেল স্নেহাশীষ কুমার দাস, ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের সভাপতি মনসুর আলী, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লুৎফর রহমান মিঠু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান তানু সহ জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।উল্লেখ্য,গত ২৯ নভেম্বর বেলাল হোসেন ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন।

কুষ্টিয়ায় বিষাক্ত অ্যালকোহল পানে কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যু

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বিষাক্ত অ্যালকোহল পানে হাকিম আহমেদ (২১) নামের এক কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর ) রাতে তাকে অসুস্থ অবস্থায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতেই তার মৃত্যু হয়।চিকিৎসকরা নিশ্চিত করে জানান, অতিরিক্ত অ্যালকোহল পানে পয়জনিংয়ের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।

এ ঘটনায় তার বন্ধু হযরত উদ্দিন গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি আছে।
নিহত হাকিম আহমেদ খলিসাকুন্ডি ডিগ্রী কলেজের এইচএসসির শিক্ষার্থী।সে দৌলতপুর উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের চকঘোগা পূর্বপাড়ার মোঃ হাসিবুল ইসলামের ছেলে। অসুস্থ অপরজন হলেন মোঃ হয়রত (২০)। সে একই গ্রামের বিচার উদ্দিনের ছেলে।

নিহত শিক্ষার্থীর চাচাতো ভাই মাসুম জানান, হাকিম তার এক বন্ধুকে সাথে নিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় গ্রামের একটি লিচু বাগানে বসে বিষাক্ত অ্যালকোহল পান করলে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাদের দৌলতপুর হাসপাতালে নিলে অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাকিমের মৃত্যু হয়। এবং তার বন্ধু হযরত উদ্দিন গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ