আজঃ শুক্রবার ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫

বাংলাদেশ ফাইটার কারাতে এসোসিয়েশনের কমিটি গঠন।

কে এম রাজীব

সভাপতি ওস্তাদ জাহাঙ্গীর আলম, সাধারণ সম্পাদক নায়ক রুবেল


মার্শাল আর্ট প্রশিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের কেন্দ্রীয় সংগঠন বাংলাদেশ ফাইটার কারাতে এসোসিয়েশন এর নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। গতকাল সংগঠনের নিজ কার্যালয়ে বার্ষিক সাধারণ সভায় ৭৭ সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটি গঠন করা হয়। নতুন কমিটিতে সভাপতি পদে আবারও নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশের মার্শাল আর্টের জনক প্রযোজক, পরিচালক ও নায়ক ওস্তাদ জাহাঙ্গীর আলম ও সাধারণ সম্পাদক পদে আবারও নির্বাচিত হয়েছেন মার্শাল আর্টের কিংবদন্তি লড়াকু নায়ক মাসুম পারভেজ রুবেল।

কমিটির সম্পাদকিয় অন্যান্য সদস্যরা হলেন, সিনিয়র সহসভাপতি পদে নুর মোহাম্মদ খালিদ আহম্মেদ বিদ্যূত, সহ-সভাপতি বি এম আশরাফ, মার্শাল শাহাজাদা মোল্লা, আমিনুল ইসলাম, আনিসুর রহমান নয়ন, মোহাম্মদ আলী, ইদ্রিস আলী, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তনু পান্ডে, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাফুদ্দৌলা সিদ্দিকী খোকন, আলমগীর চৌধুরী আলম, রেহেনা পারভিন, রোমানা ইসলাম মুক্তি, মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ইউনুস খান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শরিতুল, মোঃ জাহাঙ্গীর,

ক্রীড়া সম্পাদক আব্দুল লতিফ চিতা, সহ–ক্রীড়া সম্পাদক মোঃ আব্দুর রহমান, মোঃ শরীফ, অর্থ সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম, সহ- অর্থ সম্পাদক মোঃ হানিফ, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মাসুকা নাসরীন রাকা, সহ-মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নূরানী আশরাফ নাজু, শিক্ষা ও আইন বিষয়ক সম্পাদক মোঃ ইসমাইল সিকদার, সহ- শিক্ষা ও আইন বিষয়ক সম্পাদক মইনুল ইসলাম মনু, প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ সংযম ইসলাম প্রাপ্ত, সহ-প্রকাশনা সম্পাদক ময়নাল হোসেন মঈন, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক শাহাজাদা বাবু, সহ-সমাজ কল্যাণ সম্পাদক জালাল আহম্মেদ,

গবেষণা সম্পাদক তাজওয়ার আলম, দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ মাহাবুবুর রহমান, সহ-দপ্তর সম্পাদক মোঃ মুজিবুর রহমান ভূইয়া, প্রচার সম্পাদক তরিকুল ইসলাম পলাশ খান, সহ-প্রচার সম্পাদক মোঃ শহিদুল ইসলাম, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক মার্শাল জনি, সহ-তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক মোঃ কবির, যুব মানবাধিকার সম্পাদক কে এম সাইফুল ইসলাম খান, সহ-মানবাধিকার সম্পাদক সাইদ, সাংস্কৃতি সম্পাদক মিজানুর রহমান শামীম, সহ-সাংস্কৃতি সম্পাদক বিথী, বাধন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন ও সহ- আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রাজগুল আহম্মেদ রাজু।

এছাড়া সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন, সাহেদ, শিপলু, আশা, ফারুক, আলমগীর, মোশারফ, আব্দুল মতিন, শরিফুল, জয়নাল, মার্শাল হাসান, মোঃ সুমন, জুয়েল সরকার, বাবুল আহম্মেদ, তপন মন্ডল, রুহুল আমিন, হান্নান, ইব্রাহিম খলিল, সিরাজুল ইসলাম, কে এম রাজীব, মুহাম্মদ সাহিদ এমরান সিশু, রাজওয়ার আলম, এস এইচ প্রীতম, লিটন গাজী, নুরে আলম, তাহের, পাভেল, কাজল পাশা, ওয়াদুদ, আনোয়ার, হায়দার, কাজল আইচ ও আক্তার হোসেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রাম ও চাঁদপুরে অভিযানে তিনমাসে ২৬২১টি কচ্ছপ উদ্ধার

ছবি-১
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম থেকে একের পর এক পাচার হচ্ছে ‘প্রকৃতির ঝাড়ুদার’ কচ্ছপ। চট্টগ্রাম মহানগরের রিয়াজউদ্দিন বাজার কচ্ছপ পাচারের ট্রানজিট পয়েন্ট। বিশেষ করে পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে কচ্ছপের মাংস ও স্যুপ জনপ্রিয় এবং বিলাসবহুল খাবার হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। কচ্ছপের মাংসের চড়া দাম থাকায় পাচারকারীরা আর্থিক লাভের আশায় বাংলাদেশ থেকে কচ্ছপ সংগ্রহ করে। বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া কচ্ছপের গন্তব্য চীন, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, হংকং এবং সিঙ্গাপুর। সবচেয়ে বড় বাজার চীনে।

খাবার ছাড়াও চীনে কচ্ছপের মাংস ও খোলস দিয়ে বিভিন্ন ধরনের টনিক বা ওষুধ তৈরি করা হয় বলে সূত্রে জানা গেছে। এদিকে গত তিনমাসে ২৬২১টি বিভিন্ন প্রজাতির কচ্ছপ উদ্ধার করেছে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট। এরমধ্যে নভেম্বর মাসে ৫৭২, অক্টোবরে ৪০৯ ও সেপ্টেম্বরে ১৬৪০টি।জানা গেছে, ‘বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন-২০১২’ অনুযায়ী কচ্ছপ শিকার, হত্যা, বিক্রি ও পাচার দণ্ডনীয় অপরাধ। এই অপরাধে জেল ও জরিমানার বিধান রয়েছে। পাচারকারী চক্র বিপন্ন করে তুলছে কচ্ছপের জীবনচক্র।

বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট সূত্রে জানা গেছে, গত তিনমাসে চট্টগ্রাম ও চাঁদপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২৬২১টি কচ্ছপ উদ্ধার করেছে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট। এরমধ্যে গত ২৫ নভেম্বর মিরসরাই বড় তাকিয়া বাজার এলাকা থেকে ১৭ কেজি, মিরসরাই বাজার থেকে ২২টি, বড় তাকিয়া বাজার থেকে ২৯ কেজি, মিরসরাই হাদি ফকিরহাট থেকে ৫২টি, ২৬ নভেম্বর মিরসরাই মিঠাছড়া বাজার থেকে ১৯ কেজি, নয় দুয়ারিয়া বাজার থেকে ২১ কেজি, বাঁশখালীর বাণীগ্রাম থেকে ৩৪টি, ১৯ নভেম্বর চাঁদপুরের দোয়াভাঙ্গা এলাকা থেকে ২৫কেজি, শাহরাস্তি সূচিপাড়া থেকে ৫০ কেজি, ১৮ নভেম্বর মিরসরাই হাদী ফকির হাট থেকে ২ কেজি, বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে ২০ কেজি, চাঁদপুর সদর বড় মসজিদ এলাকা থেকে ৪২টি, চট্টগ্রাম থেকে নেয়ার পথে কুমিল্লা এলাকা বাস থেকে ৪০ কেজি, ২১ অক্টোবর চাঁদপুর সদর বড় মসজিদ এলাকা থেকে ৪২টি, ১৪ অক্টোবর চাঁদপুরের শাহরাস্তির শিতোশী এলাকা থেকে ২০ কেজি, ১৫ অক্টোবর চাঁদপুর রেলস্টেশন এলাকা থেকে ১০০ কেজি, ১৩ অক্টোবর নোয়াখালীর সূবর্ণচর এলাকা থেকে ৩০ কেজি, ৮ অক্টোবর চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা থেকে পাচার করার সময় যাত্রাবাড়ি ও ফরিদপুরের ভাঙ্গা এলাকায় বাস থেকে ১২ কেজি কচ্ছপ উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধার করা কচ্ছপের মধ্যে সুন্ধি প্রজাতির কচ্ছপের সংখ্যা বেশি। ধুম ও কড়ি প্রজাতির কচ্ছপের সংখ্যাও রয়েছে। এর আগে পাচারের সময় গত ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকা শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক যাত্রীর লাগেজ থেকে ৯২৫টি কচ্ছপ উদ্ধার করে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট। কচ্ছপগুলো মালেয়েশিয়া নেয়া হচ্ছিল।

বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট কর্মকর্তারা জানান, দেশের সীমানা পেরিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত চীন, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, হংকং এবং সিঙ্গাপুর যাচ্ছে কচ্ছপের চালান। দেশে খাল-বিল ও হাওড়ে প্রচুর পরিমাণ মিঠাপানির কচ্ছপ দেখা যায়। এর মধ্যে ‘সুন্ধি’ কচ্ছপ অন্যতম। অবাধ শিকার ও আন্তর্জাতিক পাচারকারী চক্রের কারণে প্রাণীটি বিপন্ন হয়ে পড়েছে। কচ্ছপকে বলা হয় ‘প্রকৃতির ঝাড়ুদার’। এরা মরা মাছ ও পচা আবর্জনা খেয়ে পানি পরিষ্কার রাখে। কচ্ছপ হারিয়ে গেলে জলজ বাস্তুতন্ত্র ভেঙে পড়বে এবং পানির গুণাগুণ নষ্ট হবে।

জানা গেছে, বাংলাদেশ থেকে কচ্ছপের চালান প্রথমে অবৈধভাবে ভারতে পাচার হয়। বিশেষ করে যাশোর (বেনাপোল), সাতক্ষীরা(ভোমরা) আগরতলা এবং সিলেটের সীমান্ত এলাকা দিয়ে পাচার হয়। ভারতে পৌঁছানোর পর সেখান থেকে আন্তর্জাতিক পাচারকারী চক্রের মাধ্যমে মিয়ানমার বা নেপাল হয়ে কচ্ছপগুলো চীন ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে পাঠানো হয়। বাংলাদেশে প্রায় ২৫-৩০ প্রজাতির কচ্ছপ ও কাছিম রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পাচার হয় সুন্ধি কচ্ছপ। এটি আকারে ছোট এবং সহজলভ্য হওয়ায় এর পাচার হয় সবচেয়ে বেশি। খোলসের চাহিদার কারণে কড়ি কচ্ছপ ও মাংসের জন্য পাচার হয় ধুম কচ্ছপ। চট্টগ্রামে যেসব এলাকা থেকে কচ্ছপ পাচার করা হয় তা হলো, বান্দরবান ও রাঙামাটি সীমান্তবর্তী এলাকা, ফটিকছড়ি, বাঁশখালী এবং মিরসরাই।

নগরীর রিয়াজ উদ্দিনবাজার কচ্ছপ পাচারের ট্রানজিট পয়েন্ট হিসাবে ব্যবহার হয়।বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিদর্শক অসীম মল্লিক জানান, অক্টোবর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত কচ্ছপ পাচারের মৌসুম। ডোবা, পুকুর কিংবা নদীতে এ সময় পানি কম থাকায় পাচারকারীরা সক্রিয় হয়ে উঠে। চট্টগ্রামের রিয়াজউদ্দিন বাজার কচ্ছপ পাচারের ট্রানজিট পয়েন্ট। দেশে ২৫ থেকে ৩০ ধরনের কচ্ছপ রয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি পাচার হয় সুন্ধি কচ্ছপ। কড়ি ও ধুম কচ্ছপও মাঝে মাঝে পাচার হয়। অসীম মল্লিক আরো জানান, সাম্প্রতিক সময়ে চট্টগ্রামে আমরা বেশ কয়েকটি অভিযান চালিয়েছি। ঢাকা থেকে গিয়ে অভিযান চালানো অনেকটা সময় সাপেক্ষ। তারপরও আমরা চেষ্টা করছি বন্যপ্রাণী রক্ষা করতে।

এফ. এ. ক্রিয়েটিভ ফার্মের যুগপূর্তি উদযাপন নিরবিচ্ছিন্ন সেবা পাচ্ছে প্রায় ১ হাজারেরও অধিক গ্রাহক —–

দেশের অন্যতম জনপ্রিয় সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এফ. এ. ক্রিয়েটিভ ফার্ম লিমিটেড তাদের প্রতিষ্ঠার এক যুগপূর্তি উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কাস্টমার মিটআপ ও যুগপূর্তি অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে।


গত রোববার সকালে আগ্রাবাদ আকতারুজ্জামান সেন্টারে কোম্পানির কর্পোরেট অফিসে খতমে কোরআন এর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় এবং পরবর্তীতে কেক কাটার মধ্য দিয়ে উৎসবের উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানের প্রথম দিন কেক কেটে যুগপূর্তি উৎসবের শুভ সূচনা করেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ফোরামের প্রেসিডেন্ট কাজী আবুল মনছুর।


এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন দৈনিক চাঁটগার চোখ এর সম্পাদক ও প্রকাশক একে এম জহুরুল ইসলাম,সাপ্তাহিক পূর্ববাংলা এর সম্পাদক ও প্রকাশক এম আলী হোসেন, দৈনিক গিরিদর্পণ এর পরিচালনা সম্পাদক এম কে মোমিন, বাংলাদেশ টেলিভিশন বিটিভি’র অনুষ্ঠান পরিচালক ও মোনালিসা মিউজিক এর কর্নধার ফরিদ বঙ্গবাসী, সাপ্তাহিক আজকের সত্যসংবাদ এর সম্পাদক ও প্রকাশক হারুন অর রশিদ, কর্ণফুলি নিউজ সম্পাদক ও প্রকাশক সাইফুল ইসলাম, অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি, রেয়াজউদ্দিন বাজার শাখার ব্যবস্থাপক আনিসুল মোস্তাফা, নকশায়ন প্রোপার্টিস এর চেয়ারম্যান ইঞ্জিয়ার স্নেহশীস দে, গ্রীণ ইন্টারন্যাশনাল এর সিইও বেলাল হোসেন, এমটিআই ট্রাভেল ইন্টারন্যাশনাল এর প্রোপ্রাইটর তাহিদ আলাল, স্যাম শিপিং এজেন্সি ও ইন্টারমেরিন শিপ সার্ভিস এর ব্যবস্থাপনা অংশীদার ইমরানুল হকসহ অন্যান্য বিশিষ্ট অতিথিবৃন্দ।


দ্বিতীয় ও সমাপনী দিনে কেক কেটে সবার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন দৈনিক দিনকাল এর চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান হাসান মুকুল।এ সময় উপস্থিত ছিলেন, দৈনিক ভোরের আকাশ আবাসিক সম্পাদক কামাল পারভেজ, সনাতনী দর্পণ এর সম্পাদক ও প্রকাশক নিতাই ভট্টাচার্য, দৈনিক একত্তর বাংলাদেশ সম্পাদক ও প্রকাশক শেখ সেলিম, দৈনিক ঘোষণা এর ব্যুরো প্রধান মুজিব উল্লাহ তুষার,
দৈনিক রূপালী বাংলাদেশ এর স্টাফ রিপোর্টার সাহাবউদ্দিন, ভয়েস চট্টগ্রাম এর চেয়ারম্যান ফরমান উল্যাহ, অফিসার ইউনিয়ন ব্যাংক রকিবুল ইসলাম সায়েম, কায়সার মাহমুদ, সহকারি পরিচালক সিল্ক রোড় ট্রেডিং এন্ড ম্যানুফ্যাকচারিং লি: সহ অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

এফ. এ. ক্রিয়েটিভ ফার্ম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরহাদ আমিন ফয়সল বলেন, দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে দেশ-বিদেশের গ্রাহকদের রেগুলার ও কাস্টম সফটওয়্যার নির্মাণ, শতাধিক স্বনামধন্য পত্রিকা ও প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপ ডিজাইন-ডেভেলপমেন্ট এবং ডোমেইন–হোস্টিংসহ বিভিন্ন আইটিইএস সেবা দিয়ে আসছে এফ. এ. ক্রিয়েটিভ ফার্ম লিমিটেড। ২০২৬ সালের মধ্যে আমরা মধ্যম আয়ের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য নামমাত্র সাবস্ক্রিপশনে একটি ঝগঊ SME Application আনতে যাচ্ছি, যাতে প্রযুক্তি সেবার বাইরে থাকা ব্যবসায়ীরাও সহজে প্রযুক্তির সুবিধা নিতে পারেন।

তিনি বলেন, বর্তমানে প্রায় ১ হাজারেরও অধিক গ্রাহককে নিরবিচ্ছিন্ন সেবা দিয়ে আসছে আমাদের প্রতিষ্টান, আগামীতেও আরও উন্নত ও মানসম্মত গ্রাহকসেবা প্রদানে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।দুই দিনের এই আয়োজনে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারী, গ্রাহক, গণমাধ্যমকর্মী এবং সম্মানিত আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ