আজঃ মঙ্গলবার ১১ নভেম্বর, ২০২৫

বাংলাদেশ ফাইটার কারাতে এসোসিয়েশনের কমিটি গঠন।

কে এম রাজীব

সভাপতি ওস্তাদ জাহাঙ্গীর আলম, সাধারণ সম্পাদক নায়ক রুবেল


মার্শাল আর্ট প্রশিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের কেন্দ্রীয় সংগঠন বাংলাদেশ ফাইটার কারাতে এসোসিয়েশন এর নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। গতকাল সংগঠনের নিজ কার্যালয়ে বার্ষিক সাধারণ সভায় ৭৭ সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটি গঠন করা হয়। নতুন কমিটিতে সভাপতি পদে আবারও নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশের মার্শাল আর্টের জনক প্রযোজক, পরিচালক ও নায়ক ওস্তাদ জাহাঙ্গীর আলম ও সাধারণ সম্পাদক পদে আবারও নির্বাচিত হয়েছেন মার্শাল আর্টের কিংবদন্তি লড়াকু নায়ক মাসুম পারভেজ রুবেল।

কমিটির সম্পাদকিয় অন্যান্য সদস্যরা হলেন, সিনিয়র সহসভাপতি পদে নুর মোহাম্মদ খালিদ আহম্মেদ বিদ্যূত, সহ-সভাপতি বি এম আশরাফ, মার্শাল শাহাজাদা মোল্লা, আমিনুল ইসলাম, আনিসুর রহমান নয়ন, মোহাম্মদ আলী, ইদ্রিস আলী, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তনু পান্ডে, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাফুদ্দৌলা সিদ্দিকী খোকন, আলমগীর চৌধুরী আলম, রেহেনা পারভিন, রোমানা ইসলাম মুক্তি, মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ইউনুস খান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শরিতুল, মোঃ জাহাঙ্গীর,

ক্রীড়া সম্পাদক আব্দুল লতিফ চিতা, সহ–ক্রীড়া সম্পাদক মোঃ আব্দুর রহমান, মোঃ শরীফ, অর্থ সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম, সহ- অর্থ সম্পাদক মোঃ হানিফ, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মাসুকা নাসরীন রাকা, সহ-মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নূরানী আশরাফ নাজু, শিক্ষা ও আইন বিষয়ক সম্পাদক মোঃ ইসমাইল সিকদার, সহ- শিক্ষা ও আইন বিষয়ক সম্পাদক মইনুল ইসলাম মনু, প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ সংযম ইসলাম প্রাপ্ত, সহ-প্রকাশনা সম্পাদক ময়নাল হোসেন মঈন, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক শাহাজাদা বাবু, সহ-সমাজ কল্যাণ সম্পাদক জালাল আহম্মেদ,

গবেষণা সম্পাদক তাজওয়ার আলম, দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ মাহাবুবুর রহমান, সহ-দপ্তর সম্পাদক মোঃ মুজিবুর রহমান ভূইয়া, প্রচার সম্পাদক তরিকুল ইসলাম পলাশ খান, সহ-প্রচার সম্পাদক মোঃ শহিদুল ইসলাম, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক মার্শাল জনি, সহ-তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক মোঃ কবির, যুব মানবাধিকার সম্পাদক কে এম সাইফুল ইসলাম খান, সহ-মানবাধিকার সম্পাদক সাইদ, সাংস্কৃতি সম্পাদক মিজানুর রহমান শামীম, সহ-সাংস্কৃতি সম্পাদক বিথী, বাধন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন ও সহ- আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রাজগুল আহম্মেদ রাজু।

এছাড়া সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন, সাহেদ, শিপলু, আশা, ফারুক, আলমগীর, মোশারফ, আব্দুল মতিন, শরিফুল, জয়নাল, মার্শাল হাসান, মোঃ সুমন, জুয়েল সরকার, বাবুল আহম্মেদ, তপন মন্ডল, রুহুল আমিন, হান্নান, ইব্রাহিম খলিল, সিরাজুল ইসলাম, কে এম রাজীব, মুহাম্মদ সাহিদ এমরান সিশু, রাজওয়ার আলম, এস এইচ প্রীতম, লিটন গাজী, নুরে আলম, তাহের, পাভেল, কাজল পাশা, ওয়াদুদ, আনোয়ার, হায়দার, কাজল আইচ ও আক্তার হোসেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

দাড়িপাল্লার বিজয়ে কোমর বেঁধে নামতে হবে — অধ্যক্ষ হেলালী

চট্টগ্রাম-১০ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ও সাবেক কাউন্সিলর অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী বলেছেন, “আগামী নির্বাচন হবে সত্য ও মিথ্যার, ন্যায় ও অন্যায়ের লড়াই। তাই সবাইকে সম্মুখ সমরে জিহাদের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে দাড়িপাল্লার বিজয় নিশ্চিত করতে কোমর বেঁধে মাঠে নামতে হবে।”

১১ অক্টোবর সকালে পাঁচলাইশ থানাধীন ৮ নং শুলকবহর ওয়ার্ড কেন্দ্র কমিটির বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যক্ষ হেলালী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, জনগণের ভোটের অধিকার পুনরুদ্ধার ও দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জামায়াতের কর্মীরা সবসময় প্রথম সারিতে ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে ইনশাআল্লাহ। ইসলামি মূল্যবোধের ভিত্তিতে ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনই তাঁর রাজনৈতিক অঙ্গীকার বলে তিনি উল্লেখ করেন।

অধ্যক্ষ হেলালী আরও বলেন, উন্নয়ন ও পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজন সৎ, ত্যাগী ও নীতিবান নেতৃত্ব। অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো এবং দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনই আজকের সময়ের দাবি। তিনি প্রত্যেক কর্মীকে জনগণের মাঝে দাড়িপাল্লার আদর্শ প্রচারে আন্তরিকভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন পাঁচলাইশ থানা জামায়াতের আমীর ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুল হাছান রুমী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম-১০ আসনের নির্বাচন পরিচালক ও হালিশহর থানা জামায়াতের আমীর ফখরে জাহান সিরাজী সবুজ।

সম্মানিত অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নগর আইনজীবী থানার আমীর অ্যাডভোকেট আরিফুর রহমান, পাঁচলাইশ থানা সেক্রেটারি মাওলানা মফিজুল হক, ইঞ্জিনিয়ার আরিফুল হোসাইন, শফিউল আজিম মন্টি, ইঞ্জিনিয়ার আবুল কালাম, শহীদুল্লাহ তালুকদার, নুরুল ইসলাম, ইমরান সিকদার, গিয়াস উদ্দীন তালুকদার, আল আমিন ভূঁইয়া ও ইফতেখার হোসাইন।

বক্তারা বলেন, দাড়িপাল্লার বিজয়ের মধ্য দিয়েই দেশ পাবে ন্যায়ভিত্তিক নেতৃত্ব ও সুশাসনের নিশ্চয়তা।

ভাঙ্গুড়ায় সার কালোবাজারে বিক্রি: ডিলারকে জরিমানা, ১৫ বস্তা সার জব্দ।

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় সরকারি সার কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগে বিসিআইসি ডিলার সেলিম হোসেন কে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার দিয়ার পাড়া গ্রামে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সরকারি বরাদ্দের সার গোপনে চাটমোহরে পাচারের চেষ্টা করছিলেন ওই ডিলার। ভ্যানযোগে সার পরিবহনের সময় স্থানীয় জনতা বিষয়টি টের পেয়ে গাড়ি আট কে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সার সহ গাড়িটি আটক করে।

অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মিজানুর রহমান। তিনি বলেন,“সার (ব্যবস্থাপনা) আইন, ২০০৬-এর ১২(৩) ধারা অনুযায়ী ডিলার কে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জব্দ কৃত ৬ বস্তা ডিএপি, ৭ বস্তা ইউরিয়া ও ২ বস্তা পটাশ সার কৃষি অফিসের হেফাজতে রাখা হয়েছে।”

অভিযানের সময় উপজেলা কৃষি অফিসার মোছাঃ শারমিন জাহান, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শফিকুল ইসলাম সহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, ডিলার সেলিম হোসেন নিয়মিতই সরকারি সার চাহিদার তুলনায় কম দেন এবং বিক্রয় করেন।

উপজেলা কৃষকদলের সভাপতি আখিরুজ্জামান মাসুম বলেন, যখন কৃষকরা সার সংকটে ভুগছেন, তখনই কিছু অসাধু ডিলার মুনাফার আশায় সার পাচার করছে। এর আগেও অভিযোগ করা হলেও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার মোছাঃ শারমিন জাহান বলেন, “মানুষ আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনতেই পারেন। তবে আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, এখানে আমার কোনো গাফিলতি নেই। সরকারি সার সরবরাহ ও বিতরণ কার্যক্রম নিয়মিতভাবে মনিটর করা হয়। প্রতিটি ইউনিয়নে ডিলারদের কার্যক্রম তদারকির জন্য কৃষি কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেওয়া আছে। কোথাও অনিয়ম ধরা পড়লে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এই ঘটনাটিও তদন্ত করা হবে। যদি যে কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে সার কালোবাজারে বিক্রি করে থাকে, তার বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ