আজঃ শুক্রবার ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫

শোরুমে হামলার অভিযোগ কামরুন্নাহাট- নোমান দম্পতির বিরুদ্ধে।

কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:

 

 

 

রাজধানীর কুড়িলে হ্যালো কারস নামে একটি শোরুমে সংঘবদ্ধ হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। ২৮ আগস্ট সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে পরিকল্পিতভাবে শোরুমে প্রবেশ করে হামলা চালান একদল দুর্বৃত্ত। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়—প্রথমে তারা ক্রেতা সেজে প্রবেশ করে, কর্মীরা আপ্যায়ন করতে ব্যস্ত। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যেই বেরিয়ে আসে তাদের আসল রূপ। চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর থেকে শুরু করে অরাজকতা সৃষ্টি করে পুরো শোরুম তছনছ করে দেয় তারা।

সিসি ক্যামেরার ফুটেছে দেখা যায়, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর উপপরিচালক কামরুন নাহার মুখে মাস্ক পড়ে লোকজন নিয়ে শোরুমে প্রবেশ করছেন, সঙ্গে ছিলেন তার স্বামী এ এস এম নোমান আলমও।

উল্লেখ্য, এই শোরুমটি তাদের মালিকানাধীন জায়গায় ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৫ বছরের জন্য ভাড়া নেয় হ্যালো কারস কর্তৃপক্ষ। চুক্তি অনুযায়ী মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ২০২৫ সালের ডিসেম্বর মাসে।

শোরুম ম্যানেজার মোজাইদুল ইসলাম তামিম অভিযোগ করে বলেন— “এতদিনে কোনো ভাড়া বা অন্য কোনো কারণে ঝামেলা হয়নি। কিন্তু মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে জায়গার মালিক অগ্রিম দেয়া এক কোটি টাকা হাতিয়ে নিতে পরিকল্পিতভাবে এ হামলা করেন।

 

 

হামলার পর তাৎক্ষণিকভাবে ট্রিপল নাইনে ফোন করা হলেও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে সময় নেয় দুই ঘণ্টারও বেশি সময়। অথচ ঘটনাস্থল ভাটারা থানার কাছেই প্রগতি সরণিতে অবস্থিত। আরও অভিযোগ রয়েছে, পরবর্তীতে ভুক্তভোগীরা থানায় মামলা করতে চাইলে পুলিশ তা গ্রহণ করেনি।

ভাটারা থানার অফিসার ইনচার্জ রাকিবুল হাসান সাংবাদিকদের মুঠোফোনে বলেন, উনি আনসারের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। উনি মনে হয়-আদালত থেকে মিসগাইড হয়েছেন। উনি তার জায়গা দখলে যাওয়ার জন্য আদালত থেকে কোন কাগজ পাওয়ার পরে দখলে গেছেন। আর এ ব্যাপারে আমি কোন এজহার পাইনি।

থানায় মামলা নিতে গড়িমসি করায় ভুক্তভোগীরা সরাসরি আদালতে মামলা করেন। মামলায় আসামী করা হয়—নোমান আলম, তার স্ত্রী কামরুন নাহারসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৫০ জনকে।
গত ৭ সেপ্টেম্বর আসামিরা আদালতে হাজির হলে, কামরুন নাহার জামিন পান। তবে তার স্বামী নোমান আলমের জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে কামরুন নাহার ব্যস্ততার অজুহাত দেন। পরবর্তীতে আর কোনো জবাব দেননি।
অন্যদিকে, ভুক্তভোগীদের দাবি—মূল আসামী ছাড়া বাকিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকায় তারা এখনো নিরাপত্তা শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন। পাশাপাশি, আকস্মিক এ ঘটনায় তাদের ব্যবসায়িক সুনাম ও আর্থিক ক্ষতিও মারাত্মকভাবে বেড়েছে।

এমন একটি ঘটনায় রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে থাকা একজন উচ্চপদস্থ আনসার কর্মকর্তার নাম জড়িয়ে পড়া নিঃসন্দেহে উদ্বেগজনক। ভুক্তভোগীরা এখন ন্যায়বিচারের আশায় দিন গুনছেন।

 

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

কুষ্টিয়ায় বাড়ি থেকে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার।

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় সোহাগ হোসেন নামের এক রাজমিস্ত্রির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুটি পিস্তল ও একটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওসমানপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওসমানপুর কলপাড়া গ্রামে এই অভিযান চালান সেনাসদস্যরা। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় খোকসা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোশাররফ হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ক্যাপ্টেন মেহেদীর নেতৃত্বে কুষ্টিয়া সেনাক্যাম্পের রওশন আরা রেজিমেন্ট আর্টিলারি ইউনিটের একটি দল ওসমানপুর গ্রামের সোহাগ হোসেন নামের এক যুবকের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় বাড়ি তল্লাশি করে দুটি পিস্তল, একটি ওয়ান শুটারগান, গুলি, দেশীয় চাকু ও হাঁসুয়া পাওয়া যায়। তবে অভিযানে কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। সোহাগ হোসেন পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। তাঁর বাবার নাম আশরাফ হোসেন।

পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন বলেন, সেনাবাহিনীর অভিযানে উদ্ধার করা অস্ত্র থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

ভোলায় জলসিঁড়ি সাহিত্য আসরের কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত ।

দ্বীপজেলা ভোলার আধুনিক সাহিত্য সংগঠন জলসিঁড়ি সাহিত্য আসরের ১৫ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হয়েছে ।গতকাল ৩ ডিসেম্বর ২০২৫ সন্ধ্যায় ভোলা সদরের গঙ্গাকীর্তি হারুন অর রশিদ স্মৃতি পাঠাগারে অনুষ্ঠিত জলসিঁড়ি সাহিত্য আসরের সাধারণ সভায় সংগঠনের আহ্বায়ক শিশুসাহিত্যিক শাহাবউদ্দিন শামীম এর সভাপতিত্বে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ রোদসী কৃষ্টিসংসারের চেয়ারম্যান ও জাতীয় কবিতা পরিষদ ভোলার প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র প্রভাষক কবি রিপন শান, জাতীয় সাহিত্য সাংস্কৃতিক ঐক্যজোট ভোলা জেলা শাখার সদস্য সচিব প্রভাষক কবি মিলি বসাক, জলসিঁড়ির সদস্য সচিব কবি মহিউদ্দিন মহিন, জাতীয় কবিতা পরিষদ ভোলার সাংগঠনিক সম্পাদক ও জলসিঁড়ির সংগঠক কবি নীহার মোশারফ, আবৃত্তিশিল্পী সমাজসেবক মীর মোশারেফ অমি প্রমুখ ।

সভায় উপস্থিত সদস্যদের ভোটাভুটির মাধ্যমে শিশুসাহিত্যিক শাহাবউদ্দিন শামীম কে সভাপতি, সিনিয়র প্রভাষক সাংবাদিক কবি রিপন শানকে নির্বাহী সভাপতি, সিনিয়র প্রভাষক সংগঠক মহিউদ্দিন মহিনকে সাধারণ সম্পাদক, কবি গবেষক কবি নীহার মোশারফ কে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট জলসিঁড়ি সাহিত্য আসরের কার্যনির্বাহী কমিটি ২০২৫- ২০২৭ গঠন করা হয়েছে ।

কমিটির সহ-সভাপতিগণ হচ্ছেন- সিনিয়র প্রভাষক কবি মিলি বসাক, কবি মোঃ জুলফিকার আলী। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গণ হচ্ছেন- কবি আল মনির, আবৃত্তিশিল্পী মীর মোশারেফ অমি । অর্থ ও দপ্তর সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন কবি বিলকিস জাহান মুনমুন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন কবি শাহনাজ পারুল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন সাংবাদিক মুহাম্মদ নুরুল্লাহ আরিফ । নির্বাহী সদস্যগণ হচ্ছেন- অধ্যক্ষ কবি এম এস জালাল বিল্লাহ, কবি দিলরুবা জ্যাসমিন, কবি চৌধুরী সাব্বির আলম এবং কবি এরশাদ সোহেল ।

আসছে ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ শনিবার বিকেল ৪ টায় ভোলা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিতব্য জলসিঁড়ির মাসিক সাহিত্য সভায় নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত হবে ।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ