আজঃ বৃহস্পতিবার ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫

চট্টগ্রামে এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে দুইটি মামলা, ৩ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ।

চট্টগ্রাম ব্যুরো

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

এস আলম গ্রুপের প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। জনতা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ্ওই টাকা আত্মসাৎ মামলায় গ্রুপটির কর্ণধার সাইফুল আলম মাসুদসহ ৩২ জনকে আসামি করা হয়েছে। আরেক মামলায় ৩৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলা দুইটিতে আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯, ৪২০ ও ১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ও ২০১২ সালের মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪(২) ধারায় অভিযোগ করা হয়েছে।বুধবার দুদক চট্টগ্রাম-১ কার্যালয়ে মামলা দুটি করা হয়েছে বলে সংস্থাটির উপ পরিচালক সুবেল আহমেদ জানিয়েছেন।

দুটি মামলার মধ্যে একটিতে এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের নামে ২ হাজার ৩২ কোটি ৩০ লাখ ৪৫ হাজার ৯১৮ টাকা ৪০ পয়সা আত্মসাতের অভিযোগ করেছে দুদক। এ মামলায় সাইফুল আলম মাসুদকে এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক আব্দুল্লাহ হাসান, সহযোগী প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ট্রেডিং করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাশেদুল আলমমহ এসআলম গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন পরিচালক ও জনতা ব্যাংকের কর্মকর্তাদের আসামি করা হয়েছে।

মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের নামে জনতা ব্যাংক থেকে ২০০৯ সালের ২৫ আগস্ট থেকে চলতি বছরের ৬ মার্চ পর্যন্ত কোভিড প্রণোদনা, এলটিআর লোনসহ বিভিন্ন উপায়ে ঋণ নিয়ে সুদেআসলে ওই টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। অপর মামলা এস আলাম সুপার এডিবল অয়েল লিমিটেডের নামে ২০০৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের ৬ মার্চ বিভিন্ন ভাবে ঋণ নিয়ে সুদে-আসলে ১ হাজার ১৫২ কোটি ৫১ লাখ ১৪ হাজার ১০৭ টাকা ৫২ পয়সা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়েছে।
ওই মামলায় এস আলাম সুপার এডিবল অয়েল লিমিটেডের পরিচালক শাহানা ফেরদৌস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিসকাত আহমেদ, জনতা ব্যাংকের ২হ জনসহ মোট ৩৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রাম মহানগরে ৬০টি অস্থায়ী দোকান উচ্ছেদ ছবি-৫

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

চট্টগ্রাম মহানগরে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে সড়ক ও ফুটপাত দখল করে বসানো ৬০টি অস্থায়ী দোকান, ভ্যানগাড়ি ও ফুড কার্ট উচ্ছেদ করা হয়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকা ও চকবাজারে বুধবার এ অভিযান পরিচালনা করেন চসিকের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট চৈতী সর্ববিদ্যা।

চসিক সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকা, কে বি ফজলুল কাদের রোড, চকবাজার কলেজ রোড এবং কেয়ারী ইলিশিয়াম সংলগ্ন রসিক হাজারী লেইনে অবৈধভাবে দোকান ও ফুড কার্ট বসিয়ে যান চলাচল ও পথচারীদের ভোগান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছিল। জনদুর্ভোগ কমাতে এসব অবৈধ দখল উচ্ছেদে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে সড়ক ও ফুটপাত দখল করে রাখা সব অস্থায়ী স্থাপনা সরিয়ে দেওয়া হয়।

জিপিএইচ ইস্পাত কুমিরা প্লান্টে বিনামূল্যে চক্ষু সেবা পেল ৫১২ জন নারী-পুরুষ ।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

জিপিএইচ ইস্পাত কুমিরা প্লান্টে দিনব্যাপী বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে। প্লান্ট সংলগ্ন প্রতিবেশী ও স্থানীয়দের স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ অন্যান্য সামাজিক ক্ষেত্রে দায়িত্ব এবং কর্তব্যের অংশ হিসেবে বুধবার সকালে এই সেবা কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়।

চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সৌমেন তালুকদার ও ডা. শুভ চক্রবর্তীর নেতৃত্বে আটজনের একটি মেডিক্যাল টিম দিনব্যাপী এই চিকিৎসা সেবা পরিচালনা করেন। এদিন মোট ৫১২ জন নারী ও পুরুষ রোগীকে চিকিৎসাসেবা প্রদানের পাশাপাশি বিনামূল্যে চশমা ও ওষুধ দেওয়া হয়।
উদ্বোধনকালে জিপিএইচ ইস্পাতের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলমাস শিমুল বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আমরা বিশেষ করে মহিলাদের জন্য স্তন ক্যান্সার সচেতনতা, প্রসূতি সেবা এবং খৎনাসহ সার্বিক চিকিৎসা সেবা ও সার্জারিতে সহযোগিতা দিয়ে আসছি।

জানা গেছে, করোনাকালে জিপিএইচ ইস্পাত সম্মুখসারির যোদ্ধা হিসেবে ভূমিকা পালন করেছে। তখন সীতাকুণ্ড ও বৃহত্তর চট্টগ্রামসহ সারাদেশে বিনামূল্যে অক্সিজেন সিলিন্ডার বিতরণ করা হয়েছিল। এরই ধারাবাহিকতায় ২৭ ডিসেম্বর সীতাকুণ্ডের কৃতি এইচএসসি শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তি ও সংবর্ধনা প্রদান করা হবে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ