আজঃ শুক্রবার ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫

কুষ্টিয়ায় ক্ষেতে মুরগী ঢোকাকে কেন্দ্র করে চাচাতো ভাইয়ের হাতে খুন।

হৃদয় রায়হান কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

কুষ্টিয়ায় রসুন ক্ষেতে মুরগী ঢোকাকে কেন্দ্র করে পারিবারিক বিরোধের জেরে হাফিজুল ইসলাম (৪৫) নামে এক ব্যক্তি খুন হয়েছেন। মঙ্গলবার(১৬ ডিসেম্বর) বিকেলে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার মঠপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত হাফিজুল ইসলাম ওই গ্রামের মৃত নুরুল হুদার ছেলে। নিহতের ভাই আনোয়ার হোসেন জানান, দীর্ঘদিন ধরে চাচাতো ভাই মহিদের রসুন ক্ষেতে হাফিজুলের মুরগী ঢুকে রসুনের চারা নষ্ট করছিল। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলছিল। শনিবার দুপুরে আবারও রসুন ক্ষেতে মুরগী ঢুকলে মহিদ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। বিষয়টি নিয়ে উভয় পরিবারের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

একপর্যায়ে মহিদ বাড়ি থেকে ধারালো বল্লম এনে হাফিজুলকে আঘাত করে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কবির হোসেন মাতব্বর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিহতের মরদেহ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে এবং তদন্ত শেষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রামে ঝুঁকিপূর্ণ বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম উৎপাদন: জরিমানা গুনল ১২ লাখ টাকা

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

চট্টগ্রাম মহানগরে অনুমোদনবিহীন ও ঝুঁকিপূর্ণ বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম উৎপাদনের অভিযোগে একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছে র‌্যাব-৭। অভিযানে প্রতিষ্ঠানটিকে ১২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং বিপুল পরিমাণ বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে।সদরঘাট থানার কদমতলী এলাকায় সোমবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত কদমতলী এলাকায় ‘ওয়ানপ্লাস’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।

অভিযান শেষে র‌্যাব-৭ চট্টগ্রামের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাফিজুর রহমান জানান, গোপন খবরের ভিত্তিতে চালানো অভিযানে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)-এর অনুমোদন ছাড়াই ঝুঁকিপূর্ণ বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম উৎপাদন ও বাজারজাত করছিল।

র‌্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু হাসানের নেতৃত্বে এবং বিএসটিআইয়ের ফিল্ড অফিসার প্রকৌশলী মো. হাফিজুর রহমানের উপস্থিতিতে পরিচালিত অভিযানে কারখানাটি থেকে বিপুল পরিমাণ অনুমোদনবিহীন বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত শেষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতিষ্ঠানটিকে ১২ লাখ টাকা জরিমানা করেন। জব্দকৃত সরঞ্জামাদির বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
জনস্বার্থ ও ভোক্তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ ধরনের অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের এই কর্মকর্তা।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ