আজঃ রবিবার ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫

আইসিসির লাভের সিংহভাগই ভারতের পকেটে

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিশ্বকাপের আয়োজনের আগে বড় ধরণের সুসংবাদ পাচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। আইসিসির মোট লভ্যাংশের ৩৮ দশমিক ৫ শতাংশ বুঝে পাচ্ছে তারা। আগামী সপ্তাহে দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে আইসিসির বৈঠকে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবার কথা রয়েছে। বেশ আগে থেকেই এই বিষয়ে সমালোচনা হলেও নিজেদের সিদ্ধান্ত বদলাচ্ছে না ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।  

আইসিসির লভ্যাংশ বন্টনের এই হিসেবে ভারত পাবে প্রায় ২ হাজার ৪৫০ কোটি টাকারও বেশি। ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড পাবেন ৬ দশমিক ৮৯ শতাংশ, অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ডের কাছে যাবে ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ। বন্টনের হিসেবে বাংলাদেশ পাবে ৪ দশমিক ৪৬ শতাংশ!

তবে অন্যান্য বোর্ডের সাথে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের এমন বিস্তর ব্যবধানের কারণও ব্যাখ্যা করেছে আইসিসি। সংস্থাটির ভাষ্য, এই বন্টনের ক্ষেত্রে কাউকেই বাড়তি সুবিধা দেয়া হচ্ছেনা। অনেকগুলো বিষয়কে কেন্দ্র করেই বেশি ভাগ পাচ্ছে ভারত। 

সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে আইসিসির এক প্রতিনিধি জানান, কোন দেশের ক্রিকেট বোর্ড কত টাকা পাবে তা নির্ভর করে তিনটি বিষয়ের উপর। ১) আইসিসি র‍্যাঙ্কিংয়ে দেশের অবস্থান। ২) আইসিসি প্রতিযোগিতায় সেই দেশের ফলাফল। ৩) সম্প্রচার ও বিজ্ঞাপন থেকে সেই দেশ কত টাকা আয় করছে। 

মূলত ভারতে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা এবং বড় ধরণের স্পন্সরশিপের কারণে অন্য যেকোন বোর্ডের তুলনায় লভ্যাংশের ভাগ বেশি পাচ্ছে দেশটি। আইসিসির ভাষ্য,  এবছর অন্য সব দেশের ক্রিকেট বোর্ডও আগের চেয়ে বেশি অর্থ পাবে। 

ডারবানে আইসিসির এবারের বৈঠকের মূল বিষয়, সংস্থার আর্থিক লভ্যাংশের বিতরণ। বৈঠকে ভারতের পক্ষ থেকে যোগ দেবেন বিসিসিআই সচিব জয় শাহ। থাকবেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের অন্তর্বর্তী চেয়ারম্যান জাকা আশরাফও। শুরু থেকেই যিনি ভারতের এমন লভ্যাংশ প্রাপ্তি নিয়ে সমালোচনা করে আসছিলেন। 

পাকিস্তান ছাড়াও আইসিসির এমন লভ্যাংশ বিতরণের সমালোচনা করেছে সহযোগী দেশগুলো। তাদের মতে একটি দেশের এত বড় অংশ নিতে নেয়ার কারণে বাকি দেশগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হবে। বর্তমান কাঠামো অনুযায়ী, মোট লাভের ৮৮ দশমিক ৮১ শতাংশ পাবে ১২ টি পূর্ণ সদস্য। বাকি ১১ দশমিক ১৯ শতাংশ পাবে ৮২ টি সহযোগী দেশ। 

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে ।


সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে । তেলবাহী জাহাজটিতে বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কার ১৮ নাবিক রয়েছে। ইরানি গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা ফার্স জানায়- ছয় মিলিয়ন লিটার চোরাচালানকৃত ডিজেল বহনকারী একটি তেলবাহী জাহাজ ওমান উপকূলে আটক করা হয়েছে।

ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে ইরান।


সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে । তেলবাহী জাহাজটিতে বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কার ১৮ নাবিক রয়েছে। ইরানি গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা ফার্স জানায়- ছয় মিলিয়ন লিটার চোরাচালানকৃত ডিজেল বহনকারী একটি তেলবাহী জাহাজ ওমান উপকূলে আটক করা হয়েছে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।


সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ