আজঃ মঙ্গলবার ৯ ডিসেম্বর, ২০২৫

মোস্তফা – হাকিম গ্রুপের প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনে ব্রুনাই দারুস সালামের হাইকমিশনার হাজী হারিস বিন ওসমান

মোঃ আব্দুর রহিম

.

বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রুনাই দারুস সালামের হাইকমিশনার হাজী হারিস বিন ওসমান চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আলহাজ্ব মোহাম্মদ মনজুর আলম প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত এইচ.এম ষ্টীল, এইচ.এম. সেকশান স্টীল, এইচ.এম. অক্সিজেন ও মোস্তফা হাকিম ব্রিকস এবং আলহাজ¦ মোস্তফা হাকিম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজসহ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। আনোয়ারা উপজেলাধীন ডাঙ্গারচরে অবস্থিত অত্র কারখানাগুলো ৩ মার্চ ২০২৪ দুপুরে পরিদর্শন করেন মান্যবর হাই কমিশনার। তিনি, তাঁর স্ত্রী ম্যাডাম সুরাইয়া হাজী সালেহ ও হাইকমিশনের প্রথম সচিব রোজাইমি আবদুল্লাহসহ অত্র ইন্ডাষ্ট্রীতে পৌঁছালে মোস্তফা হাকিম গ্রুপের চেয়ারম্যান/ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মনজুর আলম, এইচ এম স্টিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলহাজ্ব মোহাম্মদ নিজামুল আলম, পরিচালক আলহাজ্ব মোহাম্মদ সরোয়ার আলম, আলহাজ্ব মোহাম্মদ ফারুক আজম, আলহাজ্ব মোহাম্মদ সাইফুল আলম, আলহাজ্ব মোহাম্মদ সাহিদুল আলম, নির্বাহী পরিচালক সামশুদোহা, জেনারেল ম্যানেজার বোরহান উদ্দিন আহমেদ ও প্রধান প্রকৌশলী এয়াকুব নবীসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ তাঁদের স্বাগত জানান। পরে মান্যবর হাইকমিশনার এইচ. এম ষ্টীল, এইচ.এম. সেকশান স্টীল, এইচ.এম. অক্সিজেন ও মোস্তফা হাকিম ব্রিকস-এর বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন এবং উৎপাদিত পণ্যের গুনগত মানের বিষয়ে সম্যক ধারণা নেন। সকালে মান্যবর হাইকমিশনার হাজী হারিস বিন ওসমান, তাঁর স্ত্রী ম্যাডাম সুরাইয়া হাজী সালেহ ও হাইকমিশনের প্রথম সচিব রোজাইমি আবদুল্লাহকে মোস্তফা হাকিম বিশ্ববিদ্যালয় এর পক্ষ থেকে দেশরতœ জননেত্রী শেখ হাসিনা মিলনায়তনে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র, সমাজ সেবক ও শিক্ষানুরাগী আলহাজ্ব মোহাম্মদ মনজুর আলম। মানবর হাইকমিশনার, তাঁর স্ত্রী ও সচিব অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হলে তাদেরকে সাবেক মেয়র আলহাজ¦ মোহাম্মদ মনজুর আলম শিক্ষানুরাগী আলহাজ¦ মোহাম্মদ সরোয়ার আলমসহ কলেজ কর্তৃপক্ষ ফুলেল শুভেচ্ছায় স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানে মান্যবর হাইকমিশনার, তাঁর স্ত্রী এবং প্রথম সচিব-কে ক্রেস্ট দিয়ে বরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে অত্র কলেজের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি, সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী আলহাজ্ব মোহাম্মদ সরোয়ার আলম আলহাজ¦ মোস্তফা হাকিম ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন ও আলহাজ¦ হোছনে আরা মনজুর ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত ১০৩টি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম মান্যবর হাইকমিশনারকে অবহিত করেন। স্বাগত বক্তব্য দেন অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলমগীর। অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন প্রফেসর লায়লা নাজনিন রব। সংবর্ধিত অতিথি মান্যবর হাইকমিশনার হাজী হারিস বিন ওসমান সাবেক মেয়র আলহাজ্ব মোহাম্মদ মনজুর আলম এর মানবকল্যান ও ধর্মীয় কার্যক্রমের ভুয়সি প্রশংসা করেন। পাশাপাশি তিনি তার শিল্পকারখানায় গুণগত মানসম্পন্ন নির্মাণ সামগ্রী উৎপাদন এবং বাজারজাতকরণের বিষয়টিকে কর্মসংস্থানের এক মহান উদ্যোগ বলে আখ্যায়িত করেন। তিনি আরো বলেন, এ ধরনের মানব সেবার দৃষ্টান্ত বিরল। মান্যবর হাইকমিশনার তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশের দ্রুত উন্নয়নেরও প্রশংসা করেন। তিনি দ্বিপাক্ষিক সুসম্পর্ক অটুট রাখতে সরকারকে এবং বেসরকারী উদ্যোক্তাদের সকল ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আগ্রহ প্রকাশ করেন। এছাড়াও তিনি এইচ.এম ষ্টীল এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিসহ শিল্প প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনকালে বেসরকারী শিল্প উদ্যোগের ব্যাপক প্রসারে সন্তোষ প্রকাশ করেন। সভাপতির বক্তব্যে সাবেক মেয়র আলহাজ্ব মোহাম্মদ মনজুর আলম মান্যবর রাষ্ট্রদুতের অবগতির জন্য বলেন যে, তাদের সকল কার্যক্রম আল্লাহ ও রাসুলের সন্তোষ্টি বিধানের জন্য পরিচালিত হচ্ছে। তাদের ১০৩ টি সেবা ধর্মী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শিক্ষার আলোতে আলোকিত মানুষ গড়া সহ ধর্মীয় কাজে সহযোগীতা দেয়া হচ্ছে। তিনি ব্রুনাই দারুস সালামের হাইকমিশনারের প্রশংসা করে তাঁর শিল্প কারখানা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করায় সাধুবাদ জানান।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রামে স্কুল ও দোকানে আগুন

চট্টগ্রাম মহানগরীর ইপিজেড থানাধীন কলসি দিঘির পাড় উত্তর রেল গেট এলাকায় একটি কেজি স্কুল ও পাশের দোকানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার ভোরে হযরত শাহ আলী কেজি স্কুল ও দোকানে আগুন লাগে।

সিইপিজেড ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার শাহাদাত হোসেন জানান, ভোরে খবর পেয়ে সোয়া ৬টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে। প্রায় ৪০ মিনিটের চেষ্টায় সকাল পৌনে ৭ টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার মালামাল পুড়ে গেছে। তবে দ্রুত পদক্ষেপে প্রায় ৫ লাখ টাকার মালামাল উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছে, তা জানা যায়নি।

মশা নিধনে আমেরিকান প্রযুক্তির লার্ভিসাইড বিটিআই ব্যবহার শুরু চসিকের।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন প্রথমবারের মতো মশা নিয়ন্ত্রণে আমেরিকান প্রযুক্তির লার্ভিসাইড বিটিআই ব্যবহারের কার্যক্রম শুরু করেছে। সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের নির্দেশক্রমে সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় ৩৯ নং দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ড কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি শুরু হয়। কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন চসিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিব মো. আশরাফুল আমিন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মোঃ শরফুল ইসলাম মাহি, কীটতত্ত্ববিদ রাশেদ চৌধুরী এবং অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) মশা নিয়ন্ত্রণে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অবলম্বন করে নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর আগে গত ২৬ মার্চ নগরীর ১৭ নম্বর বাকলিয়া ওয়ার্ডের সৈয়দ শাহ রোডের সামনের খালে পরীক্ষামূলকভাবে বিটিআই লার্ভিসাইড প্রয়োগ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। অর্জিত অভিজ্ঞতার আলোকে আজ থেকে ওয়ার্ড পর্যায়ে বিটিআই প্রয়োগ শুরু করল চসিক।

চসিকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত ফগিং, লার্ভিসাইড ছিটানো, নালা–নর্দমা পরিষ্কার, আবর্জনা অপসারণ এবং জনসচেতনতা কার্যক্রম আরও জোরদার করা হয়েছে। নতুন প্রজন্মের আমেরিকান প্রযুক্তির বিটিআই ব্যবহারে মশার লার্ভা ধ্বংসে আরও কার্যকর ফল পাওয়া যাবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।

বিটিআই হলো একটি প্রাকৃতিকভাবে উৎপন্ন ব্যাকটেরিয়াভিত্তিক লার্ভিসাইড, যা বিশেষভাবে মশা, ব্ল্যাক ফ্লাই ও ফাঙ্গাস গ্ন্যাটের লার্ভা দমনে ব্যবহৃত হয়। এটি পানিতে প্রয়োগ করার পর লার্ভা খাদ্যের সঙ্গে বিটিআই গ্রহণ করে এবং ব্যাকটেরিয়ার উৎপাদিত ক্রিস্টাল প্রোটিন টক্সিন লার্ভার পরিপাকতন্ত্রে কার্যকর হয়ে তাদের দ্রুত নিধন ঘটায়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, বিটিআই মানুষের শরীর, গৃহপালিত প্রাণী, মাছসহ অন্যান্য পরিবেশবান্ধব প্রাণীর জন্য ক্ষতিকর নয়; এমনকি উদ্ভিদ ও জলজ বাস্তুতন্ত্রেও কোনো বিষাক্ত প্রভাব ফেলে না। বিশ্বজুড়ে ডেঙ্গু, জিকা ও চিকুনগুনিয়ার মতো বাহক–বাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে এটি একটি নিরাপদ ও বৈজ্ঞানিকভাবে স্বীকৃত সমাধান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ