আজঃ শুক্রবার ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫

৮২ হাজার বেতনে ওয়েভ ফাউন্ডেশনে চাকরির সুযোগ

বেসরকারি সংস্থা ওয়েভ ফাউন্ডেশন সম্প্রতি জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটিতে ৮ পদে ২২২ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত ওয়েভ ফাউন্ডেশনের ঠিকানায় আবেদনপত্র পাঠাতে হবে।

এক নজরে ওয়েভ ফাউন্ডেশনে চাকরি

প্রতিষ্ঠানের নাম

ওয়েভ ফাউন্ডেশন

চাকরির ধরন

বেসরকারি চাকরি

প্রকাশের তারিখ

০৬ জুলাই ২০২৩

পদ ও লোক সংখ্যা

৮টি পদ ও ২২২ জন

চাকরির খবর

ঢাকা পোস্ট জবস

আবেদন করার মাধ্যম

অনলাইন

আবেদন শুরুর তারিখ

০৬ জুলাই ২০২৩

আবেদনের শেষ তারিখ

২০ জুলাই ২০২৩

অফিশিয়াল ওয়েবসাইট

https://wavefoundationbd.org/

আবেদন করার লিংক

অফিশিয়াল নোটিশের নিচে

পদের নাম: উপ-পরিচালক। পদ সংখ্যা: ১টি। শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতকোত্তর। ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচিতে বাস্তবায়ন উপ-পরিচালক পদে কমপক্ষে ৩ বছরের অভিজ্ঞতাসহ মোট ১০ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। কম্পিউটার চালনায় দক্ষতা থাকতে হবে।

বয়সসীমা: ৪৮ বছর।

বেতন-ভাতা: শিক্ষানবিসকালে সর্বসাকুল্যে ৮২ হাজার। স্থায়ীকরণের পর মোট বেতন ও ভাতা ১০৭,৫০৩ টাকা।

পদের নাম: উপ-পরিচালক (উদ্যোক্তা উন্নয়ন)। পদ সংখ্যা: ১টি। শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতকোত্তর। ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচিতে উদ্যোক্তা উন্নয়ন, পরিচালনা, বাস্তবায়ন ও মনিটরিং কাজে উপ-পরিচালক পদে কমপক্ষে ৩ বছরের অভিজ্ঞতাসহ মোট ১০ বছর কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। কম্পিউটার চালনায় দক্ষতা থাকতে হবে।

বয়সসীমা: ৪৮ বছর।

বেতন-ভাতা: শিক্ষানবিসকালে সর্বসাকূল্যে ৮২ হাজার। স্থায়ীকরণের পর মোট বেতন ১০৭,৫০৩ টাকা।

পদের নাম: প্রোগ্রাম ম্যানেজার। পদ সংখ্যা: ৫টি। শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতকোত্তর। ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি বাস্তবায়নে কমপক্ষে ৪০/৪৫টি শাখা সমন্বয়ে ৪ বছরের অভিজ্ঞতাসহ মোট ১০ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। কম্পিউটার চালনায় দক্ষতা থাকতে হবে।

বয়সসীমা: ৪৫ বছর।

বেতন-ভাতা: শিক্ষানবিসকালে সর্বসাকূল্যে ৬৮ হাজার। স্থায়ীকরণের পর মোট বেতন ৮৭,৬৭৩ টাকা।

পদের নাম: রিজিওনাল ম্যানেজার। পদ সংখ্যা: ৫টি। শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতকোত্তর। ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি বাস্তবায়নে কমপক্ষে ২০টি শাখা সমন্বয়ে ৩ বছরের অভিজ্ঞতাসহ মোট ১০ বছর কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। কম্পিউটার চালনায় দক্ষতা থাকতে হবে।

বয়সসীমা: ৪৫ বছর।

বেতন-ভাতা: শিক্ষানবিসকালে সর্বসাকূল্যে ৬০ হাজার। স্থায়ীকরণের পর মোট বেতন ৮০,২৭৭ টাকা।

পদের নাম: এরিয়া ম্যানেজার। পদ সংখ্যা: ১০টি। শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতকোত্তর। ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি বাস্তবায়নে কমপক্ষে ৫টি শাখা সমন্বয়ে ৩ বছরের অভিজ্ঞতাসহ মোট ৭ বছর কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। কম্পিউটার চালনায় দক্ষতা থাকতে হবে।

বয়সসীমা: ৪০ বছর।

বেতন-ভাতা: শিক্ষানবিসকালে সর্বসাকূল্যে ৪৩,৮০০ টাকা। স্থায়ীকরণের পর মোট বেতন ৫৯,২৭৭ টাকা।

পদের নাম: ইউনিট ম্যানেজার। পদ সংখ্যা: ২০টি। শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতকোত্তর। ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচির ইউনিট ম্যানেজার পদে এমআরএ সনদপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানে কমপক্ষে ৩ বছর কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

বয়সসীমা: সর্বোচ্চ ৩৮ বছর।

বেতন-ভাতা: শিক্ষানবিসকালে সর্বসাকূল্যে ৩১,৫০০ টাকা। স্থায়ীকরণের পর মোট বেতন ৩৯,৯৩৯ টাকা।

পদের নাম: কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট অফিসার। পদ সংখ্যা: ৯০টি। শিক্ষাগত যোগ্যতা: ন্যূনতম স্নাতক। ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি বাস্তবায়নে এমআরএ সনদপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানে কমপক্ষে ১ বছরের মাঠ পর্যায়ে কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

বয়সসীমা: সর্বোচ্চ ৩২ বছর।

বেতন-ভাতা: শিক্ষানবিসকালে সর্বসাকূল্যে ১৯,৫০০ টাকা। স্থায়ীকরণের পর মোট বেতন ২৭,৭৯৯ টাকা।

পদের নাম: অ্যাসিসটেন্ট কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট অফিসার। পদ সংখ্যা: ৯০টি। শিক্ষাগত যোগ্যতা: ন্যূনতম স্নাতক। মোটরসাইকেল চালনায় দক্ষদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

বয়সসীমা: সর্বোচ্চ ৩২ বছর।

বেতন-ভাতা: শিক্ষানবিসকালে সর্বসাকূল্যে ১৬,৮০০ টাকা। স্থায়ীকরণের পর মোট বেতন ২৩,২২১ টাকা।

অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা: সকল পদের জন্য উৎসব ভাতা, বৈশাখী ভাতা ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে আবাসন সুবিধা থাকবে। ৬ মাস পর কাজের ফলাফল মূল্যায়নের ভিত্তিতে স্থায়ী নিয়োগের সুযোগ থাকবে। চাকরি স্থায়ীকরণের পর বর্ধিত বেতনসহ অন্যান্য সুবিধা প্রদান করা হবে।

আবেদন পদ্ধতি: আগ্রহী প্রার্থীদের পূর্ণাঙ্গ জীবনবৃত্তান্ত, শিক্ষার সনদ ও জাতীয় পরিচয় পত্র ও ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফটোকপি, অভিজ্ঞতার সনদ, এক কপি ছবি এবং ওয়েভ ফাউন্ডেশন শিরোনামে ২০০ টাকার ডিডি/পে-অর্ডারে আবেদনপত্র পাঠাতে হবে। ঠিকানা: প্রশাসন ও মানবসম্পদ বিভাগ, ওয়েভ ফাউন্ডেশন, ২২/১৩বি, ব্লক-বি, খিলজী রোড, মুহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭।

আবেদনে শেষ তারিখ: ২০ জুলাই, ২০২৩।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

পতেঙ্গা সৈকত দখলকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে চসিক : মেয়র

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত চট্টগ্রামের অমূল্য সম্পদ। বারবার সতর্ক করার পরও যারা সৈকত দখল করে অবৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনা করছেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে সিটি করপোরেশন। শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) সি-বিচ এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার পর তিনি এ কথা জানান।

মেয়র বলেন, ‘পতেঙ্গা দেশের ও আন্তর্জাতিক পর্যটকদের জন্য প্রধান আকর্ষণ। সৈকতকে সুশৃঙ্খল ও সুন্দর রাখা সব মানুষের দায়িত্ব। জনসাধারণের পথ বা বিচ ওয়াকওয়ে কেউ দখল করে ব্যবসা করতে পারবে না। যারা পর্যটকদের জোর করে খাবার খাওয়ায় বা বিল চাপিয়ে দেয়, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’তিনি আরও ব্যাখ্যা করেন, সৈকতের পেছনের অংশে পর্যাপ্ত দোকান ও খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে। তাই সৈকতে স্থায়ী ব্যবসা বা হোটেল গড়ে জনস্বার্থ বিপন্ন করা গ্রহণযোগ্য নয়। মেয়র জানান, ইতোমধ্যে সচেতনতামূলক কার্যক্রম এবং ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে অভিযান চালানো হয়েছে, এরপরও অবৈধ দখলকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত প্রক্রিয়া শুরু হবে। এই কার্যক্রম জেলা প্রশাসন, সিডিএ, টুরিস্ট পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে সমন্বয়ে পরিচালিত হবে।এদিন মেয়র জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে আয়োজিত প্লাস্টিক দূষণ মোকাবিলা সচেতনতামূলক কর্মসূচিতেও অংশ নেন। তিনি বলেন, ‘পতেঙ্গা শুধু পর্যটনকেন্দ্র নয়, এটি চট্টগ্রামের গর্ব। প্লাস্টিক দূষণ সৈকতের সৌন্দর্য ও জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি। আমরা এমন দায়িত্বশীল সংস্কৃতি গড়তে চাই, যেখানে প্রত্যেকে সৈকত পরিচ্ছন্ন রাখবে।’
ইউএনডিপি বাংলাদেশের সহকারী রেসিডেন্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ সরদার এম. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘প্রতিদিন এখানে জমা হওয়া প্লাস্টিক বর্জ্য সামুদ্রিক প্রাণী ও জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি। সবাইকে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানাই।’

এদিন তরুণ স্বেচ্ছাসেবীরা সৈকত পরিষ্কার কার্যক্রম পরিচালনা করেন, সচেতনতামূলক সাইনবোর্ড ও পরিবেশবান্ধব ডাস্টবিন স্থাপন করেন এবং আগত পর্যটকদের প্লাস্টিক কম ব্যবহারের জন্য উদ্বুদ্ধ করেন। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও স্থানীয় সংগঠনের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে দেখান, ছোট উদ্যোগ ও সম্মিলিত প্রচেষ্টা বড় পরিবর্তন আনতে পারে।
কর্মসূচিটি ইউএনডিপি বাংলাদেশের ‘প্লাস্টিক সার্কুলারিটি প্রজেক্ট’-এর অংশ, যা দ্য কোকা-কোলা ফাউন্ডেশনের সহায়তায় বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্পটির লক্ষ্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও টাঙ্গাইল জেলায় ১৫,০০০ টন প্লাস্টিক বর্জ্য পুনর্ব্যবহারযোগ্য সম্পদে রূপান্তরিত করা।

গাজীপুর সমাজ উন্নয়ন সংস্থার উদ্যোগে নারী দিবস পালন।

“অধিকার, সমতা, ক্ষমতায়ন, নারী ও কন্যার উন্নয়ন” এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে গাজীপুর সমাজ উন্নয়ন সংস্থার উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত হয়েছে।সংস্থার অস্থায়ী কার্যালয়ে “বিশ্ব নারী দিবস ২০২৫” বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সংস্থার সভাপতি হেলেনা বেগমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাবিহা আফরোজ সুরাইয়ার সঞ্চালনায় আত্মোপলব্ধি এবং স্ব স্ব অবস্থান থেকে নারীদের অবদান নিয়ে আলোচনার বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করেন।

এ ছাড়াও সংস্থার সহ সভাপতি মোঃ রফিকুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক, মুর্শিদা রহমান মুনিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক, সম্পা আক্তার, সদস্য রুমা রহমান, সদস্য মোঃ মোফাজ্জল হোসেন সানী, সদস্য মোঃ রাকিব হোসেন, সদস্য পারভীন আক্তার, নাহিদ সুলতানা, তানজিনা শারমিন চৌধুরী, শিউলী আক্তার উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, সকল ক্ষেত্রে নারীদের অধিকার সম্পর্কে তাদের নিজেদের সচেতন হতে হবে। বিশ্বাস, আস্থা এবং দৃঢ়তা থাকলে একজন নারী সকল ক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করতে পারবে। আধুনিক বিশ্বে নারীরা কর্মক্ষেত্রে অনেকাংশে সফলতা অর্জন করতে পেরেছে। নিজ অবস্থানে সকলকে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট হলেই নারীরা তাদের অধিকার আদায়ে সফল হওয়া সম্ভব।

বক্তারা আরও বলেন, সমাজ ও দেশের জন্য নারীরা অর্থনীতি, রাজনীতি ও সামাজিক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত রয়েছেন। সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করছেন নারী সমাজ। তারা নিজ কর্মে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে সুনাম অর্জন করে যাচ্ছেন। আলোচনা শেষে সকলের অংশগ্রহনে ইফতার করা হয়।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ