আজঃ শনিবার ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

বিবিধ বৈভবে দ্বীপজেলা ভোলায় অনু্ষ্ঠিত হলো জেলা সাহিত্য মেলা

বিশেষ সম্পাদক: রিপন শান।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায়, বাংলা একাডেমির সমন্বয়ে এবং জেলা প্রশাসন ভোলা এর বাস্তবায়নে ভোলায় দিনব্যাপী জেলা সাহিত্য মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (৭ অক্টোবর ২০২৩) সকাল ১০ টায় ভোলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা সাহিত্য মেলা -২০২২/২২০২৩এ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জেলা সরকারি স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত জেলা সাহিত্য মেলায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি : ভোলা-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব তোফায়েল আহমেদ এমপি । ভোলা জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান এর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভোলা জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মাহিদুজ্জামান (বিপিএম), বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড দক্ষিণ জোন এর জোনাল কমান্ডার আল-ফারুক মাহমুদ হোসাইন, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব আইরীন ফারজানা, ভোলা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবদুল গফুর, ভোলা সরকারি শেখ ফজিলাতুন্নেছা মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ ইসরাফিল, বাংলা একাডেমির ব্যবস্থাপক মোঃ মনিরুজ্জামান, ভোলা সরকারি শেখ ফজিলাতুন্নেছা মহিলা কলেজ এর প্রাক্তন অধ্যক্ষ প্রফেসর রুহুল আমীন জাহাঙ্গীর, দৈনিক বাংলার কন্ঠে‘র সম্পাদক এম হাবিবুর রহমান, দৈনিক আজকের ভোলা সম্পাদক মুহাম্মদ শওকাত হোসনে এবং সাপ্তাহিক সময় পূর্বাপর সম্পাদক কবি হাসান মাহমুদ। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় কবিতা পরিষদ ভোলা’র সভাপতি কবি কায়সার আাহমেদ দুলাল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রিপন কুমার সাহা, বীরমুক্তিযোদ্ধা মাহাবুব আলম নিরব মোল্লা, ভোলা জেলা মুুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ- এর সভাপতি কবি রিপন শান, ভোলা জেলা সংগীতের রচয়িতা কবি হাওলাদার মাকসুদ, কবি নীহার মোশাররফ, কবি গাজূী তাহের লিটন, ঢাকা থেকে আগত ভোলা জেলার লেখক মামুন সারওয়ার, বোরহান মাসুদ, নেয়ামুল হক, হাসনাইন আহমেদ সহ জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী, সুধী এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ।

 

 

আলোচনাপর্বে অতিথিরা তাদের বক্তব্যে বলেন- এই সময়ে তরুন ছেলে-মেয়ে তথা শিক্ষার্থীরা স্মার্টফোনে বেশি আসক্ত হওয়ায় সাহিত্য পাঠে মনোযোগ হারিয়ে ফেলছে, এই মেলার মাধ্যমে তা ফিরিয়ে আনার এক নব-দিগন্ত সৃষ্টি হবে বলে আমরা আশা করছি।
এসময় বক্তারা আরো বলেন, বর্তমান প্রজন্মের তরুণ সমাজ মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন এটা আমাদের আশার দিক। আমাদের তরুনদের সাহিত্যসহ ভাল কাজে তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। আজকে যারা ছাত্র আগামীতে তারাই সমাজ ও দেশের নেতৃত্ব দিবে। আগামী প্রজন্মকে সঠিক দিক নির্দেশনার জন্য আমাদের কে পূনরায় সাহিত্য চর্চায় ফিরে যেতে হবে।

 

মেলা উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভা শেষে বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে জেলা সাহিত্য মেলা -২০২২ এর শুভ উদ্বোধন করে ভোলা জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান। এ সময় জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মাহিদুজ্জামান, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আইরীন ফারজানা সহ আমন্ত্রিত অন্যান্য অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।

 

এরপর ভোলার কবি-সাহিত্যিক ও ঢাকা থেকে আগত সাহিত্যিকদের অংশগ্রহণে দিনব্যাপী ভোলা জেলার সাহিত্য ও সংস্কৃতি নিয়ে সাহিত্য পাঠ ও লেখক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। লেখক কর্মশালায় সুদীর্ঘ বক্তব্য রাখেন- নন্দিত লেখক মন্দ্বীপ ঘড়াই। অনুষ্ঠানে কবি-সাহিত্যিক ও অতিথিরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। মেলার সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে আগত শিল্পীদের অংশগ্রহণে ভোলা জেলা শিল্পকলার একাডেমির শিল্পীরা পরিবেশন করে বাহারি সাংস্কৃতিক অনু্ষ্ঠান। সকাল থেকে সন্ধ্যায় নদীবিধৌত জনপদের এই মিলনমোহনার নান্দনিক সঞ্চালনা করেন শিল্পী বাঁধন তালুকদার ।

 

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

সাঘাটা হানাদারমুক্ত দিবস পালন: বীরত্বের ইতিহাসে উচ্ছ্বাসমুখর মানবসমাগম

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলা হানাদারমুক্ত দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে। ১৯৭১ সালের ৮ ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহিনীর দখলমুক্ত হয় সাঘাটা। দিবসটিকে স্মরণীয় রাখতে সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উদ্যোগে র‌্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।দিনটি উপলক্ষে সকালে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি উপজেলা চত্বর থেকে বের হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র‌্যালিতে মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

পরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আশরাফুল কবীর। সভায় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি, মুক্তাঞ্চল প্রতিষ্ঠার তাৎপর্য এবং স্বাধীনতার সত্য ইতিহাস নতুন প্রজন্মের মাঝে পৌঁছে দেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন যুদ্ধকালীন রুস্তম কোম্পানির ১১ নং সেক্টরের সরকারি কোম্পানি কমান্ডার গৌতম চন্দ্র মোদক, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু বক্কর সিদ্দিক, সাঘাটা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ্ব মোহাম্মদ আলী, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মঈন প্রধান লাবু, জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা ইব্রাহিম হোসেন, সাংগঠনিক সেক্রেটারি এনামুল হক সরকার, বীর মুক্তিযোদ্ধা মতলুবর রহমান রেজা, আশরাফুল আলম, যুবদলের আহ্বায়ক আহমেদ কবীর শাহীন এবং বোনারপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জসিউল করিম পলাশ প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, ৮ ডিসেম্বর সাঘাটা হানাদারমুক্ত হওয়ায় এ অঞ্চলের মানুষ গণহত্যা ও নির্যাতন থেকে মুক্তির স্বাদ পেয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা নতুন প্রজন্মের মাঝে পৌঁছে দিতে এ ধরনের আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।অনুষ্ঠানের শেষে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া পরিচালনা করা হয়।

চুয়ান্নটি বছর

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

স্বাধীনতার চুয়ান্নটি বছর চলেছে একই নীতিতে!
সত্যিই এবার পরিবর্তন প্রয়োজন।
স্বপ্ন আর আশা,
এই নিয়ে দেশের মানুষের বেঁচে থাকা।

কেহ দেশের শান্তি ফেরাতে দিয়েছেন প্রাণ,
কেহ আবার সব ভুলে গিয়ে নিজের সুবিধা আর আসন পাওয়া নিয়ে ব্যস্ততা,
আর এক শ্রেণীর মানুষের নেই ঘুম!

সুন্দর স্বপ্নময় দেশ গড়তে,
সর্ব প্রথম আইন,
বিচার ব্যবস্থা আর প্রশাসনের সঠিক উন্নয়ন প্রয়োজন। এই তিনটি যেন কারো ব্যক্তিগত কারো সম্পত্তি না হয়।

বিগত চুয়ান্ন বছর পর আবারও দেশ ও দেশের মানুষের নতুন অধ্যায়!
যেন বিগত দিন, মাস, বছর পর বছর আর নয়,
সর্বত্র হোক বিরাজমান সত্য ও সততার আগমন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ