আজঃ সোমবার ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫

গফরগাঁও উপজেলা হিসাবরক্ষণ ও অডিটর বাবর আলীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ।

প্রনব কুমার দেব গফরগাঁও:

ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসার ও অডিটর বাবর আলী ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে গফরগাঁও খায়রুল্লাহ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক বাংলাদেশের মহাহিসাব নীরিক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, হিসাব মহানিয়ন্ত্রক এবং ডিভিশনাল হিসাব কর্মকর্তার বরাবরে বহুবার ঘুষ- দূর্নীতির অভিযোগ করেছেন । কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থাই নেয়া হচ্ছে না জানা গেছে।
সরাসরি ঘুষের অভিযোগ থাকায় উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিসার আশরাফুল ইসলাম ও অডিটর বাবর আলী ভূইয়াকে বিধি মোতাবেক সাময়িক বরখাস্ত করা প্রয়োজন ছিল অথবা বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো দরকার ছিল কিন্তু কর্তৃপক্ষ তা না করে তাদেরকে অবাধ ঘুষ-দূর্নীতি চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন।
ঘুষের বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষ বিষয় । কিন্তু কিছু অভিযোগ ডকুমেন্টারি সহজেই প্রমাণিত । যেমন – সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারী একই কর্মস্থলে ৩ বছরের বেশী সময় কর্মরত থাকতে পারেন না।
কিন্তু বাবর আলী ভূঁইয়া একযুগের বেশী সময় ধরে কর্মরত রয়েছেন , মাঝখানে স্বল্প সময়ের জন্যে অন্যত্র বদলী হলেই উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে বশীভূত করে পুনরায় গফরগাঁও উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসেই বদলী নিয়ে চলে আসেন । একই কর্মস্থলে একযুগের বেশী সময় ধরে কর্মরত থাকা কিংবা একই কর্মস্থলে বার বার বদলী হয়ে আসা সরকারী চাকুরীবিধির পরিপন্থী । খায়রুল্লাহ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট শিক্ষক অভিযোগ করার পর ঘুষখোর অডিটর বাবর আলী ভূইয়াকে ফুলবাড়িয়া উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসে তড়ঘড়ি বদলী করে তাকে রক্ষা করা হয়েছে। আশরাফুল ইসলামকেও ঢাকায় বদলী করে রক্ষার চেষ্টা চলছে বলে জানা গিয়েছে ।
উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসার জনাব মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম কর্মস্থলে অবস্থান করেন না । তিনি ঢাকার উত্তরা থেকে অগ্নিবীণা ট্রেনে এসে কয়েক ঘণ্টা পরেই আবার ঢাকার উত্তরায় চলে যান। সরকারী বিধি অনুযায়ী প্রতিষ্ঠান প্রধানের কর্মস্থলে পরিবার সহ সার্বক্ষণিক অবস্থান করা বাধ্যতামূলক । এছাড়া একজন নিম্ন বেতন ভোগী কর্মকর্তা প্রতিদিন ঢাকার উত্তরা থেকে CNG ও ট্রেন যোগে হাজার টাকা খরচ করে অফিস করার অর্থ সংস্থানও তদন্তের বিষয় । বাবর আলী ভূঁইয়া কর্তৃক সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে” হিন্দুর বাচ্চা, মালোয়ানের বাচ্চা ” বলে গালি-গালাজ করার বিষয়টি সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ দেখলেই বুঝা যাবে। আজকাল পানের দোকানেও সিসি ক্যামেরা লাগানো থাকে, যদি গফরগাঁও উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসে সিসি ক্যামেরা লাগানো না থাকে তবে বুঝতে হবে বিষয়টি উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
এবিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রয়োজন।

বিগত ০৫/০৪/২০২৩ খ্রি: তারিখে গফরগাঁও উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসার আশরাফুল ইসলাম ও অডিটর বাবর আলী ভূইয়ার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক এবং হিসাব মহানিয়ন্ত্রক বরাবরে খায়রুল্লাহ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় একজন শিক্ষক কর্তৃক আনীত ঘুষ ও দূর্নীতির অভিযোগের তদন্ত করেন ডিসিএ ময়মনসিংহ কর্তৃপক্ষ । জানা গিয়েছে যে তদন্তকারী দল আগের দিন রাতে মোবাইলে অভিযোগকারী শিক্ষককে তদন্তে উপস্থিত থাকার জন্যে নির্দেশ করেন – যা বিধি বহির্ভূত । তদন্তের বিধি অনুযায়ী কমপক্ষে ৭ দিন আগে উভয়পক্ষকে লিখিত ভাবে তদন্তে উপস্থিত থাকার জন্যে নোটিশ প্রদান করতে হবে এবং নোটিশের সাথে অভিযোগের সত্যায়িত কপি, উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনামা, তদন্তকারী দলের নাম,পদবী সংযুক্ত করে দিতে হয় । কিন্তু এক্ষেত্রে তা না করার রহস্য কি ?
চণ্ডিপাশা সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী শাহেব আলী ভালুকা হিসাবরক্ষণ অফিসের ঘুষ-দূর্নীতি নিয়ে বাংলাদেশ মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক বরাবরে অভিযোগ করলে ডিসিএ, ময়মনসিংহকে তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়। সেখানেও তারা শাহেব আলীকে আগের দিন সন্ধ্যায় মোবাইলে পরদিন তদন্তে উপস্থিত থাকার জন্যে নির্দেশ প্রদান করেন ।

ডিসিএ কর্তৃক তদন্তের বিধিমালা লংঘন করার মানে কী ?
০৫ /০৪/২০২৩ তারিখের তদন্তে কি গফরগাঁও উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসার আশরাফুল ইসলাম ও অডিটর বাবর আলী ভূইয়ার ঘুষ-দুর্নীতি ও দূর্নীতি কি প্রমাণিত হয়েছে ? যদি প্রমাণিত হয়ে থাকে, তবে বিধি মোতাবেক উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিসার আশরাফুল ইসলাম ও অডিটর বাবর আলী ভূইয়াকে চাকুরীচ্যূত করে তাঁদের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা প্রয়োজন ছিল আর ঘুষ-দুর্নীতি প্রমাণিত না হলে খায়রুল্লাহ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন ছিল কিন্তু এ পর্যন্ত কারো বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেয়ার রহস্য কি ?
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় যে, ঘুষ – দূর্নীতির অভিযোগে অডিটর বাবর আলী ভূইয়াকে ফুলবাড়িয়া উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসে বদলী করা হয়েছে – ঘুষখোরদেরকে বদলী করার কোন আইন আছে কি ?
উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসার আশরাফুল ইসলামকেও কি বদলী করে রক্ষা করা হবে ?
সংশ্লিষ্ট শিক্ষক, গফরগাঁও উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসার আশরাফুল ইসলাম ও অডিটর বাবর আলী ভূইয়ার বিরুদ্ধে ঘুষ – দূর্নীতির মামলা করার জন্যে হিসাব বিভাগের উর্ধতন কতৃপক্ষের নিকট বার বার গফরগাঁও উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসার আশরাফুল ইসলাম ও অডিটর বাবর আলী ভূইয়ার তথ্য চেয়ে অদ্যাবধি তথ্য পাননি।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

সাঘাটায় নবযোগদানকৃত ইউএনও আশরাফুল কবীরকে সাংবাদিকদের ফুলেল শুভেচ্ছা

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় নবযোগদানকৃত উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আশরাফুল কবীরকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা। বৃহস্পতিবার সকালে ইউএনও কার্যালয়ে এ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।

সাংবাদিকরা ইউএনওকে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য অভিনন্দন জানান এবং সাঘাটার সার্বিক উন্নয়ন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় তাঁর সাফল্য কামনা করেন। এসময় ইউএনও আশরাফুল কবীর সাংবাদিকদের শুভেচ্ছা গ্রহণ করে বলেন,
“সাঘাটার উন্নয়ন ও জনসেবার মানোন্নয়নে প্রশাসন ও গণমাধ্যম পরস্পরের পরিপূরক। স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সংবাদকর্মীদের সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”তিনি আরও বলেন,সাঘাটা উপজেলার সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে একটি জনবান্ধব প্রশাসন গড়ে তুলতে চাই। এ কাজে গণমাধ্যমের গঠনমূলক ভূমিকা অব্যাহত থাকবে বলে আমি বিশ্বাস করি।”

শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে সাংবাদিকরা নতুন ইউএনওর সঙ্গে বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা, প্রশাসনিক কার্যক্রম এবং স্থানীয় সমস্যাবলি নিয়ে মতবিনিময় করেন। অনুষ্ঠানে জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকা, অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় মহলে ধারণা করা হচ্ছে, ইউএনও আশরাফুল কবীরের যোগদানে সাঘাটা উপজেলায় প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড আরও গতিশীল হবে এবং উন্নয়ন কার্যক্রমে নতুন দিগন্ত যুক্ত হবে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে হাল্ট প্রাইজ ২০২৫ রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম।

হাল্ট প্রাইজ ২০২৫/২৬ সনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নিবন্ধন কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে।এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে নিবন্ধন বুথ, অনলাইন রেজিস্ট্রেশন এবং ক্লাস প্রমোশন চালু করা হয়েছে। এ বছর প্রতিযোগিতায় ব্যক্তিগত ও দলীয়—উভয়ভাবেই অংশগ্রহণের সুযোগ রয়েছে। ব্যক্তিগত নিবন্ধন ১০ ডিসেম্বর (বুধবার) এবং দলীয় নিবন্ধন ১৫ ডিসেম্বর (সোমবার) তারিখে সমাপ্ত হবে।

এবারের প্রতিযোগিতার চ্যালেঞ্জ থিম “আনলিমিটেড”-যা শিক্ষার্থীদের জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDGs)-এর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বৈশ্বিক সমস্যাগুলোর উদ্ভাবনী সমাধান উপস্থাপন করার সুযোগ করে দিচ্ছে।এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীরা তাদের সৃজনশীলতা এবং উদ্যোক্তা দক্ষতার মাধ্যমে দারিদ্র্য, জলবায়ু পরিবর্তন, অসমতা এবং শিক্ষার মতো বৈশ্বিক সমস্যার উদ্ভাবনী সমাধান উপস্থাপন করতে পারবেন। এটি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি ব্যতিক্রমধর্মী প্ল্যাটফর্ম যেখানে সীমাহীন চ্যালেঞ্জের ভিত্তিতে তাদের ধারণাগুলোকে বাস্তবায়নে রূপ দেওয়া যাবে।

এ বছরের ক্যাম্পাস ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ অনিক, চিফ অব স্টাফ কাজী মুহাইমিনুল ইসলাম মুনাজ এবং চিফ স্ট্র্যাটেজিস্ট কারিন সাফফানা—তাদের নেতৃত্বে প্রতিযোগিতাটি সফলভাবে আয়োজনের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

প্রতিযোগিতায় ২–৪ সদস্যের দল অংশ নিতে পারবে এবং সকল অংশগ্রহণকারীর বয়স ন্যূনতম ১৮ বছর হতে হবে। প্রতিটি দলে অন্তত একজন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী থাকা বাধ্যতামূলক। দলের অন্যান্য সদস্য যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে অংশগ্রহণ করতে পারবে।এছাড়া এ বছর দল না থাকলেও শিক্ষার্থীরা ব্যক্তিগতভাবে নিবন্ধন করতে পারবেন; পরবর্তীতে তাদের নিয়ে দল গঠন করা হবে।

রেজিস্ট্রেশন বুথ অথবা অফিসিয়াল ফেসবুক পেজের মাধ্যমে দলীয় অথবা ব্যক্তিগতভাবে নিবন্ধন করা যাবে। নিবন্ধনে কোনো ফি নেই।দলীয় সদস্যরা যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই আসুন না কেন, প্রতিযোগিতায় তারা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিত্ব করবেন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ