আজঃ শুক্রবার ১৪ নভেম্বর, ২০২৫

জাপার ২৬ আসনে নৌকা হারালো ২৫ যে-সব আওয়ামী লীগ প্রার্থী।

ঢাকা অফিস:

চট্টগ্রামের বহুলালোচিত – ৮ আসনে সোলায়মান আলম শেঠ ও চট্টগ্রাম-৫ আসনটি ব্যারিষ্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ১৪ দলীয় মনোনয়ন পেলেও শরীক দলের মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন চট্টগ্রাম ২ ফটিকছড়ি আসনের তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি এছাড়াও সব মিলে ২৬টি আসন পেতে যাচ্ছে জাতীয় পার্টি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন সমঝোতায় ২৫টি আসন পেয়েছে জাতীয় পার্টি (জাপা)। নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে আগে থেকেই আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী না থাকায় মোট ২৬টি আসন নিশ্চিত করেছে দলটি। সমঝোতা হওয়া ২৫টি আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের কোনো প্রার্থী থাকবে না বলে জানা গেছে।

নৌকা হারালেন যে ২৫ প্রার্থী-

ঠাকুরগাঁও-৩ মো. ইমদাদুল হক, কিশোরগঞ্জ-৩ মো. নাসিরুল ইসলাম খান, রংপুর-১ মো. রেজাউল করিম রাজু

রংপুর-৩ তুষার কান্তি মণ্ডল, নীলফামারী-৪ মো. জাকির হোসেন বাবুল, কুড়িগ্রাম-১ মো. আছলাম হোসেন সওদাগর, কুড়িগ্রাম-২ মো. জাফর আলী, গাইবান্ধা-১ আফরুজা বারী, গাইবান্ধা-২ মাহবুব আরা বেগম গিনি, সিলেট-৩ হাবিবুর রহমান, নীলফামারী-৩ মো. গোলাম মোস্তফা, বগুড়া-৩ মো. সিরাজুল ইসলাম খান রাজু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ মো. শাহজাহান আলম, চট্টগ্রাম-৮ নোমান আল মাহমুদ, বগুড়া-২ তৌহিদুর রহমান মানিক, সাতক্ষীরা-২ মো. আসাদুজ্জামান বাবু, ফেনী-৩ মো. আবুল বাশার, চট্টগ্রাম-৫ মোহাম্মদ আবদুস সালাম, পটুয়াখালী-১ মো. আফজাল হোসেন, ময়মনসিংহ-৫ মো. আব্দুল হাই আকন্দ, ময়মনসিংহ-৮ মো. আব্দুছ ছাত্তার, পিরোজপুর-৩ মো. আশরাফুর রহমান, হবিগঞ্জ-১ ডা. মো. মুশফিক হুসেন চৌধুরী, মানিকগঞ্জ-১ মো. আব্দুস সালাম, বরিশাল-৩ সরদার মো. খালেদ হোসেন।


যে ২৬ আসন পেল জাতীয় পার্টি
আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়ে বিরোধী দল জাপার কয়েকদিন ধরে চলা আলোচনায় গতকাল এ অগ্রগতি হয়। তবে জাপা আরও বেশি আসন চায়। ফলে এ আলোচনা অব্যাহত থাকবে বলে জানা গেছে।

গত শুক্রবার রাতেও সংসদ ভবনে উভয় দলের নেতাদের মধ্যে বৈঠক হয়। কয়েক দফা বৈঠকের পর জাপাকে ২৬ আসনে ছাড় দিতে সম্মত হয় আওয়ামী লীগ। তবে ঢাকার কোনো আসন জাপাকে দিতে রাজি নয় ক্ষমতাসীনরা। টানা তিন মেয়াদে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক মিত্র জাপার এবারের দাবি ছিল ৫০ আসন। ৩৫-এর কম আসনে সমঝোতায় রাজি নয়—এমন মনোভাবও জানিয়েছিল দলটি।

১৯৯৬ সালে জাপাকে নিয়ে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। এরপর ২০০৮ থেকে সর্বশেষ ২০১৮ সালের নির্বাচন পর্যন্ত আসন ভাগাভাগি হয়েছে দুই দলের মধ্যে। এবার জাপা পৃথক নির্বাচন করার ঘোষণা দিলেও শেষ পর্যন্ত উভয়পক্ষই আসন বণ্টন করতে সম্মত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় চলছে আলোচনা।

ঘোষিত তপশিল অনুযায়ী, ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় রয়েছে। পরদিন ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। সবশেষ আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে ভোটগ্রহণ।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

অক্টোবরে ৪৬৯ সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৬৯ জন নিহত আহত ১২৮০ : যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

সিএনজি ও মোটররিক্সা নিয়ন্ত্রণ জরুর
অক্টোবরে ৪৬৯ সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৬৯ জন নিহত আহত ১২৮০ : যাত্রী কল্যাণ সমিতি

এম মনির চৌধুরী রানা

বিদায়ী অক্টোবর মাসে দেশের গণমাধ্যমে ৪৬৯ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৬৯ জন নিহত, ১২৮০ জন আহতের তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। এই মাসে রেলপথে ৫২টি দুর্ঘটনায় ৪৭ জন নিহত, ৩০ জন আহতের তথ্য গণমাধ্যমে উঠে এসেছে। তথ্যমতে, নৌ পথে ১১ টি দুর্ঘটনায় নিহত ১২ জন ও ০১ জন নিখোঁজ রয়েছে। সড়ক, রেল ও নৌ-পথে সর্বমোট ৫৩২ টি দুর্ঘটনায় ৫২৮ জন নিহত এবং ১৩১০ জন আহত হয়েছে। এই সময়ে ১৭০ টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৭৬ জন নিহত, ১৩৭ জন আহত হয়েছে। যা মোট দুর্ঘটনার ৩৬.২৪ শতাংশ, নিহতের ৩৭.৫২ শতাংশ ও আহতের ১০.৭০ শতাংশ। এই মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে ঢাকা বিভাগে ১২৬ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৩০ জন নিহত ও ৩৪৩ জন আহত হয়েছে, সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে ময়মনসিংহ বিভাগে ২০ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৭ জন নিহত ও ৩৭ জন আহত হয়েছে। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির দুর্ঘটনা মনিটরিং সেল গণমাধ্যম পর্যবেক্ষণে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

আজ ১২ নভেম্বর বুধবার সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই প্রতিবেদন তুলে ধরে সংগঠনটি। দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌ পথের দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।

সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে ৫০ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ১৩৯ জন চালক, ১১৯ জন পথচারী, ২৭ জন পরিবহন শ্রমিক, ৩৮ জন শিক্ষার্থী, ১৪ জন শিক্ষক, ৯৭ জন নারী, ৪০ জন শিশু, ০১ জন আইনজীবি, ০২ জন সাংবাদিক, প্রকোশলী ০৩ জন এবং ১৮ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর পরিচয় মিলেছে। এদের মধ্যে নিহত হয়েছে- ০৪ জন পুলিশ সদস্য, ০১ জন র‌্যাব সদস্য, ০১ জন বিজিবি সদস্য, ০১ জন আইনজীবি, ০৩ জন প্রকোশলী, ১৩৩ জন বিভিন্ন পরিবহনের চালক, ৯৯ জন পথচারী, ৫৮ জন নারী, ৩৫ জন শিশু, ৩৫ জন শিক্ষার্থী, ১৪ জন পরিবহন শ্রমিক, ১৩ জন শিক্ষক ও ১৪ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী।

এই সময় সড়ক দুর্ঘটনায় সংগঠিত ৭৭২ টি যানবাহনের পরিচয় মিলেছে। এতে দেখা যায়, ২৫.৯০ শতাংশ মোটরসাইকেল, ২১.২৪ শতাংশ ট্রাক-পিকাপ-কাভার্ডভ্যান ও লরি, ১৬.০৬ শতাংশ বাস, ১২.৮০ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিক্সা ও ইজিবাইক, ৪.২৭ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিক্সা, ৮.৪১ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা, ৪.৭৯ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাস সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে।

সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৪৯.৮৯ শতাংশ গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনা, ২৫.১৫ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৯.৬১ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে, ৪.৬৯ শতাংশ বিবিধ কারনে এবং ০.৬৩ শতাংশ ট্রেন-যানবাহনের সংঘর্ষে ঘটে।

দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা যায়, এই মাসে সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৪২.৪৩ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ২৩.৬৬ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ২৭.২৯ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়েছে। এছাড়াও সারা দেশে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৪.৬৯ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, ১.২৭ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে ও ০.৬৩ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে সংগঠিত হয়েছে।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণ মতে, অক্টোবর মাসে সড়ক দুর্ঘটনার উল্লেখযোগ্য কারণসমূহ :
১. বর্ষায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে দেশের সড়কের মাঝে ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি, এসব গর্তের কারনে দুর্ঘটনা বেড়েছে।
২. সড়ক-মহাসড়কে মোটরসাইকেল, ব্যাটারিচালিত রিক্সা, সিএনজি অটোরিক্সা, নসিমন-করিমন অবাধে চলাচল।
৩. জাতীয় মহাসড়কে রোড সাইন বা রোড মার্কিং, সড়কবাতি না থাকায় হঠাৎ ফিডার রোড থেকে যানবাহন উঠে আসা।
৪. সড়কে মিডিয়ান বা রোড ডিভাইডার না থাকা, সড়কে গাছপালায় অন্ধবাঁেকর সৃষ্টি।
৫. মহাসড়কের নির্মাণ ক্রটি, যানবাহনের ক্রটি, ট্রাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা।
৬. উল্টোপথে যানবাহন, সড়কে চাদাঁবাজি, পণ্যবাহী যানে যাত্রী পরিবহন।
৭. অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, অতিরিক্ত যাত্রীবহন।
৮. বেপরোয়া যানবাহন চালানো এবং বিরামহীন ও বিশ্রামহীনভাবে যানবাহন চালানো।

দুর্ঘটনার প্রতিরোধে সুপারিশসমূহ :
১. বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্থ দেশের সড়ক-মহাসড়ক জরুরী ভিত্তিতে মেরামত করা।
২. জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে রাতের বেলায় অবাধে চলাচলের জন্য আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা।
৩. দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ গ্রহন, যানবাহনের ডিজিটাল পদ্ধতিতে ফিটনেস প্রদান।
৪. গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় মহাসড়কে ফুটপাতসহ সার্ভিস লেইনের ব্যবস্থা করা।
৫. সড়কে চাদাঁবাজি বন্ধ করা, চালকের বেতন ও কর্মঘন্টা সুনিশ্চিত করা।
৬. মহাসড়কে ফুটপাত ও পথচারী পারাপারের ব্যবস্থা রাখা, রোড সাইন, রোড মার্কিং স্থাপন করা।
৭. সড়ক পরিবহন আইন উন্নত বিশ্বের আদলে ডিজিটাল প্রযুক্তিতে প্রয়োগ করা।
৮. সারাদেশে উন্নতমানের আধুনিক বাস নেটওর্য়াক গড়ে তোলা, নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।
৯. মানসম্মত সড়ক নির্মাণ ও মেরামত সুনিশ্চিত করা, নিয়মিত রোড সেইফটি অডিট করা।
১০. মেয়াদোর্ত্তীন গণপরিবহন ও দীর্ঘদিন যাবত ফিটনেসহীন যানবাহন স্ক্যাপ করার উদ্যোগ নেওয়া।
১২. ড্রাইভিং প্রশিক্ষন গ্রহনকারী চালকের উপর চাপিয়ে দেওয়া ভ্যাট ও আয়কর অব্যাহতি দিতে হবে।
১৩. মোটরসাইকেল ও ব্যাটারিচালিত রিক্সা আমদানী ও নিবন্ধন নিয়ন্ত্রণ করা ।

দাড়িপাল্লার বিজয়ে কোমর বেঁধে নামতে হবে — অধ্যক্ষ হেলালী

চট্টগ্রাম-১০ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ও সাবেক কাউন্সিলর অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী বলেছেন, “আগামী নির্বাচন হবে সত্য ও মিথ্যার, ন্যায় ও অন্যায়ের লড়াই। তাই সবাইকে সম্মুখ সমরে জিহাদের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে দাড়িপাল্লার বিজয় নিশ্চিত করতে কোমর বেঁধে মাঠে নামতে হবে।”

১১ অক্টোবর সকালে পাঁচলাইশ থানাধীন ৮ নং শুলকবহর ওয়ার্ড কেন্দ্র কমিটির বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যক্ষ হেলালী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, জনগণের ভোটের অধিকার পুনরুদ্ধার ও দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জামায়াতের কর্মীরা সবসময় প্রথম সারিতে ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে ইনশাআল্লাহ। ইসলামি মূল্যবোধের ভিত্তিতে ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনই তাঁর রাজনৈতিক অঙ্গীকার বলে তিনি উল্লেখ করেন।

অধ্যক্ষ হেলালী আরও বলেন, উন্নয়ন ও পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজন সৎ, ত্যাগী ও নীতিবান নেতৃত্ব। অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো এবং দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনই আজকের সময়ের দাবি। তিনি প্রত্যেক কর্মীকে জনগণের মাঝে দাড়িপাল্লার আদর্শ প্রচারে আন্তরিকভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন পাঁচলাইশ থানা জামায়াতের আমীর ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুল হাছান রুমী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম-১০ আসনের নির্বাচন পরিচালক ও হালিশহর থানা জামায়াতের আমীর ফখরে জাহান সিরাজী সবুজ।

সম্মানিত অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নগর আইনজীবী থানার আমীর অ্যাডভোকেট আরিফুর রহমান, পাঁচলাইশ থানা সেক্রেটারি মাওলানা মফিজুল হক, ইঞ্জিনিয়ার আরিফুল হোসাইন, শফিউল আজিম মন্টি, ইঞ্জিনিয়ার আবুল কালাম, শহীদুল্লাহ তালুকদার, নুরুল ইসলাম, ইমরান সিকদার, গিয়াস উদ্দীন তালুকদার, আল আমিন ভূঁইয়া ও ইফতেখার হোসাইন।

বক্তারা বলেন, দাড়িপাল্লার বিজয়ের মধ্য দিয়েই দেশ পাবে ন্যায়ভিত্তিক নেতৃত্ব ও সুশাসনের নিশ্চয়তা।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ