আজঃ বৃহস্পতিবার ১৩ মার্চ, ২০২৫

রঙিন ফুলকপির চাহিদা ও দামে লাভবান কৃষক শহীদুল্লাহ

চাহিদা ও দামে লাভবান কৃষক শহীদুল্লাহ ওবায়দুর রহমান, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

একই খেতে সবুজ পাতার ভেতর থেকে দেখা যাচ্ছে দুই ধরণের রঙিন ফুলকপি। একটির রং হলুদ, অপরটির রং গোলাপি। বাজারের চাহিদা ও দামে লাভবান কৃষক মোঃ শহীদুল্লাহ । ময়মনসিংহের গৌরীপুরে এই প্রথম রঙিন ফুলকপি চাষ করে তাক লাগিয়েছেন তিনি।
উপজেলার তাঁতকুড়া গ্রামে বাড়ি মোঃ শহীদুল্লাহর। তিনি তার বাড়ির পাশে ৬৫ শতক জমির ২০ শতক জমিতে রঙিন ফুলকপি আর ৫ শতক জমিতে রেড ক্যাবেজ (বাঁধাকপি) ও ৪০ শতক জমিতে সাদা ফুলকপির চাষ করেছেন।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্র জানায়, এ উপজেলায় এই প্রথম দুটি জাতের রঙিন ফুলকপির চাষ করা হয়েছে। হলুদ রঙের ফুলকপির নাম ক্যারোটিনা আর গোলাপি রঙের ফুলকপির নাম ভ্যালেন্টিনা। এই উপজেলায় ২০ শতক জমিতে এই রঙিন ফুলকপির চাষ করা হয়েছে। এটি দেখতেও সুন্দর। সাদা ফুলকপির চেয়ে রঙিন ফুলকপিতে পুষ্টিগুণও বেশি। গতানুগতিক সাদা রঙের চেয়ে রঙিন ফুলকপির বাজারমূল্য বেশি।
গত রোববার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে তাঁতকুড়া গ্রামের মোঃ শহীদুল্লাহর খেতে দেখা গেছে, কিছুটা লম্বা সবুজ পাতার আড়ালে ফুটে আছে হলুদ ও গোলাপি রঙের রঙিন ফুলকপি।
কৃষক মোঃ শহীদুল্লাহ জানান, তিনি উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের মাধ্যমে এই রঙিন জাতের ফুলকপির বীজ আনেন। রঙিন দুই জাতের ফুলকপি সাধারণ ফুলকপির মতোই পরিচর্যা করতে হয়। অল্প জমিতে এই ফুলকপি চাষ করে বেশি লাভ পাওয়া যায়। রঙিন ফুলকপি চাষে বাড়তি কোন শ্রম ও খরচ নেই। সাধারণ ফুলকপি চাষের মতো শ্রম ও টাকা খরচ হয়। রঙিন ফুলকপি প্রতিটি ৬০-৭০ টাকা বিক্রি করেছেন আর সাদা ফুলকপি প্রতিটি ২৫-৩০ টাকা বিক্রি করছেন বলেও তিনি জানান।
প্রতিদিনই বিভিন্ন জায়গা থেকে রঙিন ফুলকপির ফলন দেখতে দর্শনার্থীরা ভিড় করেন বলেও তিনি জানান।
মোঃ শহীদুল্লাহ আরও জানান, এবার তিনি ২০ শতক জমিতে রঙিন ফুলকপি, ৫ শতক জমিতে রঙিন বাঁধাকপি ও ৪০ শতক জমিতে সাদা ফুলকপি চাষ করেছেন। এতে তার খরচ হয়েছে ৪০ হাজার টাকা। তিনি আনুমানিক ২ লক্ষ টাকা বিক্রি করবেন এই ফুলকপি।
শ্রীরামপুর গ্রামের বাসিন্দা শহীদুল ইসলাম বলেন, রঙিন ফুলকপি ও বাঁধাকপি চাষ করছে তাই দেখতে আসছি। দেখতেও সুন্দুর। বাজারে এই ফুলকপির চাহিদার পাশাপাশি সাদা ফুলকপির চেয়ে দামেও বেশি।
নন্দীগ্রামের কৃষক আঃ জলিল রিপন বলেন, আগে তো সাদা ফুলকপি দেখছি। এইবারই প্রথম শহীদুল্লাহ ভাই রঙিন ফুলকপি করছেন। তা দেখে আমরা উৎসাহিত হয়েছি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারি সুমন চন্দ্র সরকার বলেন, বৃহত্তম ময়মনসিংহ অঞ্চলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় মোঃ শহীদুল্লাহকে এই প্রদর্শনীটি দিয়েছি। এখানে বেগুনি ও হলুদ রঙের ফুলকপি ও রঙিন বাঁধাকপি (রেড ক্যাবেজ) দেয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে নতুন সবজি চাষে কৃষককে উদ্বুদ্ধ করা ও অধিক লাভবান হতে পারে এটা নিশ্চিত করা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফার ইয়াসমিন জলি বলেন, মোঃ শহীদুল্লাহ একজন আদর্শ কৃষক। তিনি সবসময় ব্যতিক্রমী কিছু করতে চায়। রঙিন ফুলকপি সাদা ফুলকপির তুলনায় অধিক পরিমাণে সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর। বাজারে এই ফুলকপির চাহিদা রয়েছে। এটি বাজারে ৬০-৭০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এতে রয়েছে বিটা-কেরোটিন ও এন্থোসায়োনিন্স যা রোগ প্রতিরোধ করে থাকে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চৌদ্দগ্রামে দুই প্রবাসীর গাড়িতে ডাকাতি পুলিশের অভিযানে আন্তঃজেলা ডাকাতদলের ৪ সদস্য গ্রেফতার

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দুই প্রবাসীর গাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত গাড়ি ও দেশীয় অস্ত্রসহ আন্তঃজেলা ডাকাতদলের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত ডাকাতরা হলো; চাঁদপুরের কচুয়ার মনপুরা এলাকার আবদুল মান্নানের ছেলে আবদুল হান্নান(৩৫), লক্ষীপুরের রায়পুরের চরমোহনার মৃত সিরাজ মোল্লার ছেলে শরীফ হোসেন(৪৫), কুমিল্লার চান্দিনার নুরপুরের তাজুল ইসলামের ছেলে মোঃ আলা উদ্দিন(৩৫) ও

জোরপুকুরিয়ার মৃত হাজী রমিজ উদ্দিনের ছেলে নজরুল ইসলাম(৬০)। এ সময় তাদের হেফাজত থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত গাড়ি ও লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার করা হয়। বুধবার দুপুরে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ।

জানা গেছে, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ও ১ মার্চ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফালগুনকরা এলাকায় একই কায়দায় কুয়েত প্রবাসী নাইমুল ইসলাম ও মালয়েশিয়া প্রবাসী বেলাল হোসেনের ভাড়া গাড়িতে ডাকাতি করে সর্বস্ব লুটে নেয় সংঘবদ্ধ ডাকাতদল। এরপর নড়েচড়ে বসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পুলিশসহ কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থা। মহাসড়কের সিসিটিভি ফুটেজ ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় গত দুইদিন চাঁদপুর ও কুমিল্লা বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আন্তঃজেলা ডাকাতদলের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম ও ডাকাতির মালামাল
উদ্ধার করা করে পুলিশ। আটককৃত ডাকাতদলের সদস্য আবদুল হান্নান, শরীফ হোসেন, আলা উদ্দিন ও নজরুল ইসলামকে গ্রেফতারের পর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়। এ সময় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি পিকআপ, দুইটি স্টিলের কিরিচ, দুইটি রামদা, একটি চাইনিজ কুড়াল, একটি দেশীয় কুড়াল, একটি লোহার শাবল, একটি লোহার রড, একটি মোটা রশি জব্দ করা হয়। এছাড়া ডাকাতদল থেকে ১৬ কুয়েতি দিনার, ৮০ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত, বাংলাদেশী ৩৫০০ টাকা ও একটি বিদেশী কম্বল উদ্ধার করা হয়েছে।

চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, মহাসড়কে প্রবাসীর গাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত গাড়ি ও দেশীয় অস্ত্রসহ ৪ ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় প্রবাসীদের থেকে লুণ্ঠিত কুয়েতি দিনার ও মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত উদ্ধার করা হয়েছে।

ছবির ক্যাপশান: কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মহাসড়কে দুই প্রবাসীর গাড়িতে ডাকাতির ঘটনায অস্ত্র ও লুণ্ঠিত মালামালসহ আন্তঃজেলা ৪ ডাকাত গ্রেফতার

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক ওমরা হাজীর কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকার স্বর্ণের চালান জব্দ করেছে নিরাপত্তা সংস্থার সদস্যরা। বুধবার সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে গোপন খবরের ভিত্তিতে এনএসআই চট্টগ্রাম বিমানবন্দর টিম অভিযান চালিয়ে স্বর্ণগুলো উদ্ধার করে।

বিমান বন্দর সূত্র জানায়, শাহিন আল মামুন নামে এক যাত্রী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ইএ-১৩৬ ফ্লাইটে জেদ্দা থেকে সকাল ৮টা ৩৬ মিনিটে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে পৌঁছান। কাস্টমস গ্রীন চ্যানেল অতিক্রম করে আন্তর্জাতিক রুটে ৩ নম্বর গেট দিয়ে বের হওয়ার সময় তাকে আটক করা হয়। পরে তল্লাশি চালিয়ে তার হাতব্যাগ ও প্যান্টের পকেট থেকে ৪০০ গ্রাম স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়। শাহিন আল মামুন নামে ওই যাত্রী ওমরাহ হজ শেষে দেশে ফিরছিলেন।উদ্ধারকৃত স্বর্ণালংকার বাজারমূল্য ৫০ লাখ ৭০ দুইশত টাকা।
এ বিষয়ে কাস্টমস ও নিরাপত্তা সংস্থার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, আটক যাত্রী স্বর্ণালংকারগুলো অবৈধভাবে বহন করছিলেন এবং শুল্ক ফাঁকি দেওয়ার উদ্দেশ্যেই এসব স্বর্ণ আনতে চেয়েছিলেন। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ