আজঃ রবিবার ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫

চট্টগ্রামে যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রাম মহানগরীর একটি বাসা থেকে যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গত বুধবার রাতে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানার হাজিরপুল এলাকায় একটি ভবনের চতুর্থ তলার এক বাসার বাথরুম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, বাসাটি বাইরে থেকে তালাবদ্ধ ছিল। সেখানে যারা ভাড়া থাকেন, তারা সবাই পলাতক। ধারণা করা হচ্ছে, যুবককে খুন করে তারা পালিয়ে গেছেন। তবে কীভাবে খুন করা হয়েছে সেটি নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।
মৃত মো. জুনায়েদ হোসেন সিজার (২১) মিরসরাই উপজেলার ওসমানপুর গ্রামের আবু জাফরের ছেলে। তিনি পটিয়া মাদরাসার হিফজ বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী।
বায়েজিদ বোস্তামি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সঞ্জয় কুমার সিনহা বলেন, হাজিরপুলে জনৈক ডা. রফিকের মালিকানাধীন ভবনের চতুর্থতলার বাসার বাথরুমে লাশটি পাওয়া যায়। লাশের শরীর ফুলে গেছে। ধারণা করছি, কয়েকদিন আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। যে ফ্ল্যাট থেকে তার লাশ উদ্ধার হয়েছে সেটার পাশেই তার বাসা। এটা স্বাভাবিক মৃত্যু নাকি খুন সেটা ময়নাতদন্ত করলে জানা যাবে।
ঘটনাস্থলে যাওয়া বায়েজিদ বোস্তামি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুল ইসলাম জানান, ১ এপ্রিল রাতে জুনায়েদ তার মায়ের সঙ্গে রাগ করে বাসা থেকে বের হয়ে যান। পরে তার পরিবার অনেক খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান পায়নি।
বুধবার রাতে তার পরিবার জানতে পারে, জুনায়েদ হাজীরপুলে সওদাগর কলোনির পাশে একটি ভবনে আসা-যাওয়া করে। সে সূত্র ধরে ওই ভবনের চারতলার কক্ষের সামনে গেলে বাইরে থেকে তালা ঝুলানো দেখতে পান তারা। পরে তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকলে বাথরুমের ভেতরে জুনায়েদের লাশ দেখতে পান।
এসআই মনিরুল বলেন, আমরা ৯৯৯-এ কল পেয়ে ঘটনাস্থলে যায়। তার শরীরে তেমন কোনো আঘাতের চিহ্ন আমরা পাইনি। দুই দিন আগেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করছি। ঘরটি বাইরে থেকে তালা মারা ছিল। তাকে খুন করে বাইরে থেকে কেউ তালা মেরে পালিয়ে গেছে বলে প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি বলে তিনি জানান।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

দুর্গাপুর নানা আয়োজনে মুক্ত দিবস পালিত।

৬ ডিসেম্বর দুর্গাপুর মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সনের এই দিনে বাংলার দামাল ছেলেদের এক রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে নেত্রকোনার সীমান্তবর্তী দুর্গাপুর উপজেলাকে মুক্ত করেছিলেন। এ উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে, সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহনে নানা কর্মসুচীর মাধ্যমে এ দিবস পালিত হয়।এ উপলক্ষে সকাল ১১টায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন শেষে পায়রা উড়িয়ে দিবসের সুচনা করা হয়।

পরবর্তীতে এক বর্নাঢ্য র‌্যালি পৌরশহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বৃক্ষরোপন এবং উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফরোজা আফসানা এর সভাপতিত্বে উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মুহাম্মদ নাসির উদ্দিনে’র সঞ্চালনায় পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ শেষে অন্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন- বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বিকাশ সরকার, সাখাওয়াত হোসেন সজিব, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা সোহরাব হোসেন তালুকদার, প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক মাসুম বিল্লাহ, সিপিবি সভাপতি আলকাছ উদ্দীন মীর, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এডভোকেট এম এ জিন্নাহ্ সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীগণ।

বক্তারা বলেন, পাকিস্তানি মেজর সুলতানের নেতৃত্বে বিরিশিরিতে একটি শক্তিশালী পাকসেনা ঘাঁটি গড়ে উঠেছিল। এখান থেকেই বাংলার কুখ্যাত দালাল, আলবদর, রাজাকারদের সহযোগিতায় নিয়ন্ত্রন করতো দুর্গাপুর ও কলমাকান্দার সীমান্ত এলাকা গুলো। সেইসাথে ওই এলাকার বুদ্ধিজীবিদের ধরে এনে রাতের আঁধারে বিরিশিরি’র বধ্যভূমিতে নৃশংসভাবে হত্যা করতো।

এদের মধ্যে সর্বপ্রথম যাদের হত্যা করা হয়েছিল, তাদের মধ্যে নেত্রকোনা সরকারি কলেজের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক শহীদ আরজ আলী, এমকেসিএম পাইলট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল আওয়াল, দুর্গাপুরের তদানিন্তন এমএনএ গৌরাঙ্গ চন্দ্র সাহা, কুল্লাগড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেন, শিক্ষক আশুতোষ সান্যাল, কাকৈরগড়া ইউনিয়নের শিক্ষক জালাল উদ্দিন তালুকদার, সমাজসেবক ধীরেন্দ্র নাথ পত্রনবীশ, সুসং ডিগ্রি কলেজের ছাত্র দিলদার হোসেন, বিল্লাল হোসেন, কৃষক ইমাম হোসেন ও ছোট্রনী সহ নাম অজানা অনেককেই।

এছাড়া গাঁওকান্দিয়া গ্রামে ১৯ জন মুক্তিযোদ্ধাকে এক সাথে গুলি করে হত্যা করেছিলো পাকসেনারা। নতুন প্রজন্মের কাছে এসকল তথ্যগুলো জানাতে সকলকে অনুরোধ জানানো হয়।

চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে লাগেজে মিলল ৯০ লাখ টাকার সিগারেট

চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মালিকানাহীন ছয়টি লাগেজ থেকে ৮০০ কার্টন মন্ড ব্র্যান্ডের সিগারেট জব্দ করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। শনিবার সকাল ১১টার দিকে বিমানবন্দরের এরাইভাল হলের লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড কর্নারের পাশ থেকে এসব লাগেজ উদ্ধার করা হয়। জব্দ হওয়া সিগারেট প্রতি কার্টন ১১ হাজার ২৫০ টাকা মূল্য ধরে মোট ৯০ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় করা হয়েছে।

কাস্টমস সূত্র জানায়, লাগেজগুলোর সঙ্গে কোনো যাত্রীর নাম, ট্যাগ বা মালিকানার কাগজপত্র ছিল না। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পরও কেউ লাগেজের দাবি না করায় সেগুলোকে কাস্টমস আইন অনুযায়ী পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। পরে লাগেজ খুলে ৮০০ কার্টন সিগারেট পাওয়া যায় এবং তা জব্দ করা হয়।

শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল বলেন, লাগেজগুলো দীর্ঘ সময় ধরে মালিকবিহীন অবস্থায় ছিল। কেউ দায়িত্ব না নেওয়ায় সেগুলো পরিত্যক্ত ঘোষণা করে জব্দ করা হয়েছে। বিমানবন্দরে চোরাচালান ঠেকাতে নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে এবং অভিযান চলমান থাকবে বলে তিনি জানান।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ