আজঃ সোমবার ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫

জকিগঞ্জে ট্রাক শ্রমিকের ঈদ পুনঃমিলনী ও আলোচনা সভা

আবুল কালাম আজাদ:

 ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ও সিলেট-৫ (জকিগঞ্জ-কানাইঘাট) আসনের সংসদ সদস্য মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী এমপি বলেছেন, ড্রাইভাররা হয়রানী হন এটা সত্য। একটা এক্সিডেন্ট হলেই ড্রাইভারের উপর চলে যায়, দূর্ঘটনা হলে ড্রাইভারকে দায়ী করে গাড়ী ভাংচুর করা হয়, এটা অত্যন্ত গর্হিত ও বিবেকহীন কাজ। কারন কোনো দুর্ঘটনা মানুষ ইচ্ছা করে ঘটায় না। আপনাদেরকে নিশ্চিত করতে হবে অবৈধ লাইসেন্সধারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে। যদি প্রকৃত লাইসেন্সধারীদের নিয়ে আসতে পারেন, তাহলে পুলিশী হয়রানি ও সামাজিক হয়রানি থেকে আপনারা বাঁচবেন। আমি যাদের পক্ষে কথা বলছি তারা যদি বয়কট করে তাহলে আপনারা পণ্য পাবেন না। আপনাদের দোকানে খাদ্য পন্য আসবে না। এটা আমরা জানি। তাদেরকে সম্মান দিয়ে বলছি, তাদের মধ্যে যে সকল দূর্বলতা রয়েছে সেগুলো ঠিক দূর করার আশ্বাস দিলে তাদের সকল বিপদ আপদ দেখার দায়িত্ব আমরা গ্রহন করবো। তিনি আরো বলেন, শ্রমিকদের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করুন। আল্লাহর নবী বলেছেন যদি কোনো মানুষ কোনো শ্রমিকের শ্রম নিয়ে তাকে তার পাওনা থেকে আংশিক বঞ্চিত রাখে, তাহলে ঐ শ্রমিকের পক্ষে কিয়ামতের দিন আমি নবী ওকালতি করবো। আল্লাহর নবী (সা) যার বিরুদ্ধে ওকালতি করবেন তার অবস্থা কি হবে? সুতরাং শ্রমিকদের শ্রমের মর্যাদা প্রতিষ্টা করুন। মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী এমপি গত শনিবার জকিগঞ্জ উপজেলার কালীগঞ্জ বাজারে সিলেট জেলা ট্রাক, পিকাপ, কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন রেজি নং চট্র-২১৫৯ এর অন্তর্ভুক্ত জকিগঞ্জ উপকমিটির আওতাধীন সর্বস্তরের শ্রমিকদের উদ্যোগে আয়োজিত ঈদ পুণঃমিলনী ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। অনুষ্ঠানে শ্রমিকদের পক্ষ থেকে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী এমপিকে ক্রেষ্ট দিয়ে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
শ্রমিকনেতা আব্দুর রহিম চৌধুরী আদু মিয়ার সভাপতিত্বে ও সিলেট জেলা ট্রাক,পিকাপ,কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক মাছুম আহমদ লস্করের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জকিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান লোকমান উদ্দিন চৌধুরী, সিলেট জেলা পরিষদ সদস্য ইফজাল আহমদ চৌধুরী, জকিগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুস সবুর, সিলেট জেলা ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি দিলু মিয়া, জেলার কার্যকরি সভাপতি আব্দুস সালাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহমদ আলী স্বপন, সহ-সাধারণ সম্পাদক বিলাল মিয়া, কোষাধ্যক্ষ জুলহাস হোসেন বাদল, কানাইঘাট শাখার সভাপতি জসিম উদ্দিন ও বিয়ানীবাজার শাখার সহ-সভাপতি লোকমান উদ্দিন।
শ্রমিক নেতা আব্দুল মালিক মলিকের স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন জকিগঞ্জ উপজেলা কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক হেলাল আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হুসেন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী এমপি শ্রমিকদের জন্য জকিগঞ্জের প্রতিটি বাজারে স্ট্যান্ড করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে বলেন আপনাদেরকে এগুলো থেকে গাঁজার আসর, ড্রাগ বিক্রয় ও অসামাজিক কার্যকলাপ থেকে বিরত রাখতে হবে। তাহলে আঞ্চলিক বাধার সম্মুখীন হবেন না।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ভাঙ্গুড়ায় ধর্ষণ মামলায় স্কুল ছাত্রীর কথিত প্রেমিক গ্রেফতার

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ধর্ষণ মামলায় নবম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীর কথিত প্রেমিক কে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। কথিত প্রেমিকের নাম বুলবুল (২০)। তিনি উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়নের চাচকিয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলী ফকিরের ছেলে।রবিবার(৭ ডিসেম্বর) সকালে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গত শুক্রবার রাত ১১টার দিকে চাচকিয়া বিলের মধ্য নিয়ে গিয়ে ওই স্কুল ছাত্রী কে তার প্রেমিক বুলবুল সহ বন্ধুরা মিলে দলবদ্ধ ভাবে ধর্ষণ করে।

এ ঘটনায় শনিবার রাতে ভুক্তভোগী মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে ভাঙ্গুড়া থানায় ধর্ষণ মামলা রজ্জু করেন। মামলায় তথিত প্রেমিক বুলবুল সহ ৪ জন কে আসামি করা হয়।

ধর্ষণের খবর পেয়ে এএসপি সার্কেল (চাটমোহর) আবু বক্কার সিদ্দিক ও থানার ওসি মোঃ শফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

জানা গেছে, ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর সঙ্গে বুলবুল এর প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। ঘটনার দিন গত শুক্রবার রাত ১১ টার দিকে ওই স্কুল ছাত্রীকে চাচকিয়া বিলের মধ্যে ডেকে নিয়ে গিয়ে বুলবুল তার বন্ধু সোহানুজ্জামান ও তাওহিদ মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এসময় তারা মেয়েটির অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে এবং ঘটনাটি কাউ কে জানালে তা ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। পরদিন শনিবার দুপুরে ঘটনা জানার পর ভুক্তভোগী মেয়েটির বাবা থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃত বুলবুল কে দুপুরে পাবনা আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে। মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাবনা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

সাঘাটায় নবযোগদানকৃত ইউএনও আশরাফুল কবীরকে সাংবাদিকদের ফুলেল শুভেচ্ছা

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় নবযোগদানকৃত উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আশরাফুল কবীরকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা। বৃহস্পতিবার সকালে ইউএনও কার্যালয়ে এ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।

সাংবাদিকরা ইউএনওকে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য অভিনন্দন জানান এবং সাঘাটার সার্বিক উন্নয়ন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় তাঁর সাফল্য কামনা করেন। এসময় ইউএনও আশরাফুল কবীর সাংবাদিকদের শুভেচ্ছা গ্রহণ করে বলেন,
“সাঘাটার উন্নয়ন ও জনসেবার মানোন্নয়নে প্রশাসন ও গণমাধ্যম পরস্পরের পরিপূরক। স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সংবাদকর্মীদের সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”তিনি আরও বলেন,সাঘাটা উপজেলার সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে একটি জনবান্ধব প্রশাসন গড়ে তুলতে চাই। এ কাজে গণমাধ্যমের গঠনমূলক ভূমিকা অব্যাহত থাকবে বলে আমি বিশ্বাস করি।”

শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে সাংবাদিকরা নতুন ইউএনওর সঙ্গে বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা, প্রশাসনিক কার্যক্রম এবং স্থানীয় সমস্যাবলি নিয়ে মতবিনিময় করেন। অনুষ্ঠানে জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকা, অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় মহলে ধারণা করা হচ্ছে, ইউএনও আশরাফুল কবীরের যোগদানে সাঘাটা উপজেলায় প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড আরও গতিশীল হবে এবং উন্নয়ন কার্যক্রমে নতুন দিগন্ত যুক্ত হবে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ