আজঃ রবিবার ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫

ভারতের পরে রাশিয়ার তেল সস্তা মূল্যে পাকিস্তানে পৌঁছেছে 

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকেই বিশেষ ছাড়ে রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল কিনছে ভারত। সেই তেল ভারতে পরিশোধিত হয়ে আবার ইউরোপ, আমেরিকাতে পৌঁছচ্ছে। এতে লাভ হচ্ছে ভারতের সংস্থাগুলোর। অপরদিকে পাকিস্তানের অবস্থা এখন খুবই করুণ। আকাশছোঁয়া দাম হয়েছে পেট্রোলের।

এদিকে রাশিয়ান অপরিশোধিত তেলের প্রতীক্ষিত কার্গো ৫০ হাজার টন তেল নিয়ে রোববার পাকিস্তানের করাচি পোর্ট ট্রাস্টে নোঙর করেছে। রাশিয়ার কাছ থেকে ছাড়ে পাওয়া এই তেল ওমানের বন্দর হয়ে পাকিস্তানের জলসীমায় পৌঁছেছে।

পাকিস্তান স্টেট অয়েলের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, রাশিয়ান অপরিশোধিত পণ্য বহনকারী একটি কার্গো জাহাজ রোববার ভোর ৩টায় করাচি পোর্ট ট্রাস্ট (কেপিটি) এখতিয়ারে পৌঁছেছে এবং আনুষ্ঠানিকভাবে কেপিটিতে নোঙর করেছে।

তিনি বলেন, সোমবার (আজ) থেকে অপরিশোধিত তেল অফলোড করার প্রক্রিয়া শুরু হবে এবং পাকিস্তান রিফাইনারি লিমিটেড (পিআরএল) স্টোরে সংরক্ষণ করা হবে।

ওই কর্মকর্তা বলেন, অপরিশোধিত তেল পরিশোধন করার পর তেলের গুণমান, ফলন, পরিবহন খরচ এবং বাণিজ্যিক কার্যকারিতা নিয়ে সরকারের কাছে একটি প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। প্রতিবেদনের অনুমোদনের পর, সরকার রাশিয়ার সাথে জিটুজি দীর্ঘমেয়াদী চুক্তিতে যাবে।

পাকিস্তানি কর্মকর্তা বলেন, রাশিয়ান কার্গো এক লাখ টন অপরিশোধিত তেল বহনকারী একটি পাইলট জাহাজ ২৭-২৮ মে ওমানে পৌঁছানোর কথা ছিল। তবে সেটি সময়সূচি পিছিয়ে ৭ জুন ডুকম ওমানি বন্দরে পৌঁছায়।

পরে ওমান থেকে ৫০ হাজার টন ধারণক্ষমতার একটি ছোট জাহাজে রাশিয়ান কর্তৃপক্ষ পাকিস্তানে অপরিশোধিত পণ্য পরিবহনের ব্যবস্থা করে। জাহাজটি ডুকমে ফিরে যাবে এবং ২০ জুনের মধ্যে অবশিষ্ট ৫০ হাজার টন অপরিশোধিত তেল পাকিস্তানে আনবে।

পাকিস্তান তার অপরিশোধিত তেলের ৭০ শতাংশ আমদানি করে। এগুলো পিআরএল, ন্যাশনাল রিফাইনারি লিমিটেড, পাক আরব রিফাইনারি লিমিটেড এবং বাইকো পেট্রোলিয়াম পরিশোধন করে।

বাকি ৩০ শতাংশ স্থানীয়ভাবে উৎপাদন এবং পরিশোধন করে অ্যাটক রিফাইনারি লিমিটেডসহ স্থানীয় শোধনাগারগুলো। বৈশ্বিক মূল্যবৃদ্ধির মধ্যে পাকিস্তান তার তেল আমদানির উৎসকে বৈচিত্র্য আনতে চাইছে বলে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

ইউক্রেনে হামলার পর বহুমুখী নিষেধাজ্ঞায় পড়েছে রাশিয়া। এমন অবস্থায় বিশ্বের অপরিশোধিত তেলের অন্যতম উৎপাদক দেশটি ব্যাপক ছাড়ে তেল বিক্রি করছে। ভারত ব্যাপকভাবে রাশিয়া থেকে তেল ক্রয় বাড়িয়েছে। অর্থনৈতিক সংকটে থাকা পাকিস্তানও রাশিয়া থেকে তেল ক্রয়ের চেষ্টা করছে।

প্রাথমিকভাবে এক লাখ টন তেল নেবে পাকিস্তান। সেটি ঠিকভাবে বাস্তবায়ন হলে চুক্তি বাড়াবে দুই দেশ। ব্যাংক অব চায়নার মাধ্যমে চীনা মুদ্রা ইউয়ানে রাশিয়াকে তেলের মূল্য পরিশোধ করবে পাকিস্তান।

সূত্র: দ্য নিউজ পিকে

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

যুক্তরাষ্ট্রে পরিক্ষা চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে গুলিবর্ষণে নিহত ২ শিক্ষার্থী।


সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

যুক্তরাষ্ট্রের রোড আইল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে গুলিবর্ষণে নিহত হয়েছেব২ শিক্ষার্থী।যুক্তরাষ্ট্রের রোড আইল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা চলাকালে ভয়াবহ গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। বন্দুকধারীর হামলায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন এবং অন্তত আটজন গুরুতর আহত হয়েছেন।স্থানীয় সময় শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে এই ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে ।


সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে । তেলবাহী জাহাজটিতে বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কার ১৮ নাবিক রয়েছে। ইরানি গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা ফার্স জানায়- ছয় মিলিয়ন লিটার চোরাচালানকৃত ডিজেল বহনকারী একটি তেলবাহী জাহাজ ওমান উপকূলে আটক করা হয়েছে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।


সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ