আজঃ মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল, ২০২৫

আত্রাইয়ে আইসক্রিম বিক্রি করেই চলে যার সংসার

ফিরোজ আহমেদ প্রতিনিধি আত্রাই নওগাঁ।

নওগাঁ:

উত্তর জনপদের জেলা নওগাঁ, এ জেলার আত্রাই উপজেলার বিভিন্ন স্কুল, কলেজ,হাসপাতাল, রেলস্টেশন ও বিভিন্ন গ্রামের অলিগলি ঘুরে ঘুরে আইসক্রিম বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন আমজাদ হোসেন।

আমজাদ হোসেন আত্রাই উপজেলার ক্যাশবপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ।

কড়া রোদ, তার ওপর ভ্যাপসা গরম। দুইয়ে মিলে যায়যায় অবস্থা। ঘর থেকে বের হাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘামে ভিজে যায় কাপড়। এ অবস্থায় সামান্য স্বস্তি খোঁজতে মরিয়া আত্রাইবাসী। অনেকেই তীব্র গরম থেকে বাঁচতে বেচে নেন ঠান্ডা কোমল পানীয়। আবার অনেকের ভরসা আইসক্রিম। তাই প্রত্যেক বছর মার্চের শুরু থেকে বেড়ে যায় আইসক্রিমের চাহিদা। ব্যতিক্রম হয়নি এবারও।

সোমবার দুপুরে উপজেলার ভবানীপুর বাজারে দেখা মেলে আমজাদ হোসেনের সাথে, আলাপচারিতায় তিনি জানান, শীত, গরম, রোদ, বৃষ্টি যাই হোক না কেন তাকে আইসক্রিম বিক্রি করতে যেতেই হবে। তানা হলে সংসার চলবে কি করে? এক প্রশ্নের জবাবে আমজাদ হোসেন বলেন, আমি নিজের তৈরি করি আইসক্রিম এতে দুধ, চিনি, এলাচ, বাদাম, কিসমিচ আর গরম মসলার মিশ্রণে তৈরি হয় আইসক্রিম। স্বাদের সঙ্গে সুঘ্রাণেরও যে নিবিড় একটা সম্পর্ক আছে, সেটা তুলার মতো নরম আইসক্রিমে কামড় দিয়ে স্বাধ নিতে পারেন যে কেউ। তাই শীত, গরম মৌসুমেও আমজাদ হোসেনের আইসক্রিম বেশ জনপ্রিয়।

তিনি আরও বলেন, গত ৩৭ বছর ধরে আইসক্রিম বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছি। সারা বছর আইসক্রিম বিক্রি করলেও শীত মৌসুমে বিক্রি কম হয়।
আইসক্রিম কিনতে আসা জাকির হোসেন নামে এক ক্রেতা বলেন, যখন স্কুলে পড়তাম প্রতিদিন বাবা-মায়ের কাছে বায়না করতাম আইসক্রিম খাওয়ার জন্য। স্কুলের সামনে বসতো আইসক্রিম ওয়ালা ওখান থেকে অনেক আইসক্রিম খাওয়া হয়েছে তবে এখন আর আইসক্রিম কেনা হয় না। এখন আগের মতো আইসক্রিম বিক্রিতাদের রাস্তা-ঘাটে দেখাও যায় না।

শ্রীরামপুর গ্রামের নাঈম বিল্লাহ নামে এক যুবক বলেন, গরিব হলেও আমজাদ হোসেন খুব সৎ মানুষ। কষ্ট করলেও তার মুখে সবসময় হাসি লেগেই থাকে। সবসময় পরিপাটি থাকা মিষ্টভাষী এই মানুষটি কখনও কারও ক্ষতি করেন না। তাই এলাকার মানুষও তাকে খুব পছন্দ করেন, ভালোবাসেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

রুয়েট ছাত্র-ছাএীদের তিন দফা দাবিতে বিক্ষোভ

রুয়েট ছাত্র-ছাত্রীরা তিন দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেছে । রাজশাহীর ভদ্রার মোড়ে দশম গ্রেড সবার জন্য উন্মুক্ত করা হোক। দশম গ্রেড, থেকে পরীক্ষার মাধ্যমে প্রমোশন নিয়ে নবম গ্রেডে আসতে হবে।

প্রকৌশলী শুধু প্রকৌশলী দের অধিকার। বি,এস ,সি, পাশ না করেও ডিপ্লোমা পাশ করে প্রকৌশলী লিখছেন। প্রকৌশলী লিখতে বি,এস,সি, পাশ করতে হবে। বি,এস,সি পাশ হলে, প্রকৌশলী নামের পূর্বে বা পরে লিখা যাবে । সকল প্রকার বৈষম্য দূর করে রুয়েট ছাত্র-ছাত্রীরা এই আন্দোলন করছেন। ছাত্র-ছাত্রীরাদের সাথে, রুয়েট কর্তৃপক্ষ উপস্থিত ছিলেন। ছাত্র-ছাত্রীরা রুয়েট কর্তৃপক্ষকে এবং জেলা প্রশাসককে স্মারকলি, প্রদান করেন। ছাত্র-ছাত্রীদের প্রত্যাশা তাদের এই দাবি সরকার দ্রুততম সময়ের মধ্যে মেনে নিবেন, অন্যথায় পরবর্তীতে কঠোর আন্দোলনে
যাবেন তারা।

১০ লাখ টাকা ছিনতাই ঘটনার চাঞ্চল্যকর তথ্য

রাজশাহী নগরীতে ব্যবসায়ীর চোখে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে ১০ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় রিক্সাকে ফাঁদ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল। একমাস ধরে তাকে প্রশিক্ষণ মহড়াও দেওয়া হয়েছে। ছিনতাইকারী চক্রটি একমাস ধরে ব্যবসায়ীর ওপর নজরদারিও করে আসছিল। গ্রেপ্তার রিক্সাচালকের জবানবন্দির বরাত দিয়ে পুলিশ এসব তথ্য জানিয়েছে। নিজেও এ ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন
রিক্সাচালক মাসুম (৩০)।

গ্রেপ্তারের পর রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-২ আদালতের বিচারক মামুনুর রশিদের কাছে ১৬৪ ধারায় এই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় রিক্সাচালক। মাসুমের জবানবন্দির ভিত্তিতে পুলিশ জানায়, শুক্র ও শনিবার ব্যাংক বন্ধ থাকায় ওই দুইদিনের বিক্রির টাকা দিলীপ কুমার প্রামাণিকের বাসায় থাকে-এ তথ্য পেয়ে ছিনতাইকারী চক্রটি রবিবার সকালে তাকে লক্ষ্য করে পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনামতো কোন রাস্তায় রিক্সা চালাতে হবে, কখন দাঁড়াতে হবে-এসব নিয়ে চালক মাসুমকে মহড়া দেওয়া হয়। রাজশাহী নগরীর বোয়ালিয়া থানার ওসি মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, রিক্সাকে ফাঁদ হিসেবে ব্যবহার করেছে ছিনতাইকারীরা। এক মাস ধরে তারা ওই এলাকায় নজরদারি চালিয়েছে।এভাবেই বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ