আজঃ রবিবার ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫

প্রতীক বরাদ্দের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তার সামনে মেয়র প্রার্থীর উপর হামলা, সম্মেলন কক্ষ ভাংচুর

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে প্রতীক বরাদ্দের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তা ও পুলিশ প্রশাসনের সামনেই মেয়র প্রার্থী রফিকুল ইসলামের উপর হামলা চালিয়েছে তার প্রতিদ্বন্দী মেয়র প্রার্থী দেওয়ান আবুল বাশার বাদশা। এসময় মেয়রকে প্রায় ১০ মিনিট অবরুদ্ধ করে রাখে বাদশার সমর্থকরা। এক পর্যায়ে তারা উপজেলা সম্মেলন কক্ষের দরজা, জানালা ভাঙচুর ও চেয়ার ছোঁড়াছোঁড়ি করে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সোমবার বেলা ১১ টার দিকে রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় আবুল বাশার বাদশাকে মৌখিক ভাবে সতর্ক করেছে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব প্রাপ্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ইস্তাফিজুল হক আকন্দ।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সোমবার উপজেলা সম্মেলন কক্ষে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করছিলেন রিটার্নিংকর্মকর্তা। উপজেলা নির্বাচন অফিসার তাজাল্লি ইসলাম, রূপগঞ্জ থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহাসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন। প্রতীক বরাদ্দের আগে থেকেই মেয়র প্রার্থীদের জন্য নির্ধারিত স্থানে নিজের প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারীদের নিয়ে বসে ছিলেন রফিকুল ইসলাম।
এসময় আবুল বাশার বাদশা লোকজন নিয়ে সম্মেলন কক্ষে প্রবেশ করে রফিককে আসন ছেড়ে পেছনে গিয়ে বসতে বলেন। রফিক চেয়ার ছাড়তে রাজি না হলে বাদশা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং রফিকুলের গায়ে ধাক্কা দেন। এসময় রফিকের সমর্থকরা ঘটনার প্রতিবাদ জানালে বাদশার সঙ্গে আসা লোকজন রফিকের সমর্থকদের উপর হামলা চালায়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও চেয়ার ছোড়াছুড়ি হয়। পরে বাদশার লোকজন সম্মেলন কক্ষের দরজা, জানালা ও প্রজেক্টর ভাংচুর করেন।
এসময় উপজেলা পরিষদ এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

মেয়র প্রার্থী রফিকুল ইসলাম বলেন, বাদশা বহিরাগত ভাড়া করে এনে নির্বাচন করছে। তাতেও ভোটারদের মধ্যে নিজের কোন প্রভাব তৈরি করতে পারছে না। নিজের পরাজয় নিশ্চিত জেনে সে প্রতীক বরাদ্দের সময় আমার এবং আমার সমর্থকদের উপর হামলা চালিয়েছে। ওরা প্রশাসনের সামনেই আমার উপর হামলা করার দুঃসাহস দেখায়। নির্বাচন যেন অবাদ ও সুষ্ঠু হয়, বহিরাগতরা যেন নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করতে না পারে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি।

আবুল বাশার বাদশা বলেন, বসা নিয়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। ওরা রিফুজি, ওরা সামনে বসবে কেন? তাই আমি তাদেরকে চেয়ার থেকে উঠিয়ে দিয়েছি।

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে। এটা যেনো আর না হয় সেদিকে দৃষ্টি আছে।

জেলা রিটানিং অফিসার ইস্তাফিজুল হক আকন্দ বলেন, অনাকাঙ্খিত একটি ঘটনা ঘটে যাওয়ায় আমার আন্তরিকভাবে দুঃখিত। এ ব্যাপারে বাদশাকে মৌখিকভাবে সতর্ক করা হয়েছে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান জামায়াতে যোগ দিলেন

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জামায়াতে যোগ দিয়েছেন সাবেক মন্ত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান। শনিবার ১৩ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

জামায়াত আমিরের উপস্থিতিতে মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নীতি ও আদর্শ, দেশপ্রেম এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অবিচল অবস্থানের প্রতি গভীর আস্থা ও সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি সংগঠনের প্রাথমিক সহযোগী সদস্য ফরম পূরণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেন।

আওয়ামিলীগের সাবেক পৌর কাউন্সিলর জুলফিকার মিয়ার বিএনপিতে যোগদান।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

লালমোহন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী জুলফিকার মিয়া বিএনপিতে যোগদান করেছেন। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে তিনি ঢাকায় বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ভোলা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (বীর বিক্রম) এর বাসায় গিয়ে ফুল দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান সম্পন্ন করেন।

এ সময় মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ তাকে দলে স্বাগত জানান। দলীয় একটি সূত্র বলছে, আগাম রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে সামনে রেখে জুলফিকার মিয়ার এই যোগদান বিএনপির স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন উদ্দীপনা তৈরি করবে বলে সকলে মনে করছেন।

অন্যদিকে বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে আওয়ামিলীগের এমপি নুরনবী চৌধুরী শাওন কর্তৃক নির্যাতিত, নিষ্পেষিত বিএনপির অনেক ত্যাগি নেতারা এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। নাম জানাতে অনিচ্ছুক এক নেতা বলেন- বিএনপির এমন দিন আসবে কখনো চিন্তাও করিনি। তবে কী আওয়ামিলীগ দিয়ে বিএনপির ত্যাগীদের আবার নির্যাতনের স্বীকার করতে চায় মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ? কেন আমরা এতদিন নির্যাতিত ছিলাম? এই দিন দেখার জন্য?

এ বিষয়ে জুলফিকার মিয়াকে একাধিকবার ফোন করলে তার মুঠো ফোনটি বন্ধ দেখায়। তবে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে তার এই সিদ্ধান্ত ঘিরে আলোচনা সমালোচনার শুরু হয়েছে। কেউ কেউ মনে করছে; এভাবে আওয়ামিলীগ দ্বারা বিএনপি সাজাতে থাকলে ভোটের মাঠে এর প্রভাব বিস্তার করবে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ