আজঃ শুক্রবার ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫

বাংলা সিনেমা:

এবার অপুকে বুবলী’র কড়া ভাষায় হুশিয়ারি

বিনোদন বাংলা ডেস্ক:

বাংলা সিনেমা:

দেশীয় চলচ্চিত্রের সুপারস্টার শাকিব খান ক্যারিয়ারের বাইরে বিভিন্ন সময় ব্যক্তিজীবনের দুই স্ত্রী নিয়েই বেশি আলোচনায় থাকেন। তবে বিভিন্ন সময় দেখা যায় – শাকিবকে নিয়ে প্রথম স্ত্রী অপু বিশ্বাস কথা বলছেন, আবার কখনও কথা বলছেন তার দ্বিতীয় স্ত্রী বুবলী। এরা দু’জন প্রায় সময়ই একে অপরের নাম উল্লেখ না করে ইঙ্গিতমূলক কথা কিংবা স্বামী শাকিবের সঙ্গে নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে কথা বলতে দেখা যায়। ফলে বছরের অধিকাংশ সময়ই ক্যারিয়ারের চাইতে ব্যক্তিজীবন নিয়ে শিরোনামে থাকেন এই দুই নায়িকা। বিশেষ করে অপু বিশ্বাসের হাতে কোনো ছবি না থাকায়, তিনি এসব নিয়েই এখন ব্যস্ত থাকেন।

জানা যায়, এবার অপু বিশ্বাসকে নিয়ে গণমাধ্যমে খোলামেলা কথা বলেছেন বুবলী। শাকিব খানের নাম সবখানে মুখে নিয়ে তিনি ক্লান্ত হয়ে গেছেন – সংবাদমাধ্যমে বুবলীকে উদ্দেশ্য করে এমন ধরনের মন্তব্য করেন অপু বিশ্বাস। এমন বক্তব্যের জবাবে বুবলী বলেন, সব থেকে হাস্যকর হলো, সে নিজের নিঃশ্বাসের থেকেও বুবলী নামটা বেশি নেয়। সব জায়গায় শুধু বুবলী বুবলী। ভাইরাল হওয়ার জন্য সে এমন কিছু নেই, যা করছে না। তিনি বুবলী নাম নিতে নিতে মানসিক রোগী হয়ে গেছেন।

এর আগে বুবলী জানান, শাকিবকে নিয়ে যিনিই আপত্তিকর ও অসম্মানজনক কথা বলবে, তার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক রাখবেন না তিনি। এই মন্তব্যকে হাস্যকর আখ্যা দিয়ে অপু বিশ্বাস বলেন, তিনি শাকিবের নাম মুখে নিতে নিতে ক্লান্ত। আর যারা শাকিবকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করেন, তাদের সঙ্গেই কাজ করেন বুবলী। তিনি চুরি করেন আর ধরা পড়েন। আর এটাকে দুর্বল ‘গেমপ্ল্যান’ হিসেবে অ্যাখ্যা দেন অপু বিশ্বাস।

এরপর অপু বিশ্বাসকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বুবলী বলেন, সে ভেবেছে আমাকে ও আমার ছেলেকে নিয়ে সবসময় মিথ্যাচার করবে; আর আমিও বরাবরের মতো চুপ থাকবো ? কখনোই না। কেননা, আমার কখনোই তাকে নিয়ে কথা বলার রুচি হয় না। তবে যখন দেখছি সে তার নিজ স্বার্থসিদ্ধির জন্য আদাজল খেয়ে শেহজাদকে তার বাবার থেকে আলাদা করার জন্য নেমেছে, তখন আমি চুপ থাকবো কেন ? সে এসব নিয়ে সারাক্ষণ বাজে ‘গেম প্ল্যান’ করে বলেই এই ‘গেম প্ল্যান’ শব্দ তার মুখ থেকে এসেছে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

একাত্তরের জননী – রমা চৌধুরী স্বাধীনতা যুদ্ধে নির্যাতিত একজন বীরাঙ্গনা।

 

১৯৭১ সালের ১৩ মে ভোরে তিনি পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে নিজ বাড়িতে নির্যাতনের শিকার হন। সম্ভ্রম হারানোর পর পাকিস্তানি দোসরদের হাত থেকে পালিয়ে পুকুরে নেমে আত্মরক্ষা করেছিলেন। হানাদাররা গানপাউডার লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয় তাঁর ঘরবাড়িসহ যাবতীয় সহায়-সম্পদ। তিনি তার উপর নির্যাতনের ঘটনা “একাত্তরের জননী” নামক গ্রন্থে প্রকাশ করেন।
১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদাররা তাঁর একমাত্র ভিটেটুকু পুড়িয়ে ছারখার করে দেয়। সেই পোড়া ভিটা, সেই পোড়া মাটির ঘর আজও তাঁর বাসগৃহ, যা এখন ‘দীপঙ্কর স্মৃতি অনাথালয়’ নামে একটি অনাথ আশ্রম হিসেবে গড়ে তোলার প্রচেষ্টায় রত রমা চৌধুরী নিজেই।
রমা চৌধুরী ১৯৪১ সালের ১৪ অক্টোবর চট্টগ্রামের বোয়ালখালী থানার পোপাদিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। বলা হয়ে থাকে তিনি দক্ষিণ চট্টগ্রামের প্রথম নারী স্নাতকোত্তর (এমএ)। তিনি ১৯৬১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। রমা চৌধুরী ১৯৬২ সালে কক্সবাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকার দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে পূর্ণাঙ্গ কর্মজীবন শুরু করেন। পরে দীর্ঘ ১৬ বছর তিনি বিভিন্ন উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকার দায়িত্ব পালন করেন। বিজয়লাভের পর ২০ ডিসেম্বর তাঁর বড় ছেলে সাগর নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। এর ১ মাস ২৮ দিন পর মারা যায় আরেক ছেলে টগর। এরপর তিনি জুতা পরা বাদ দেন। পরে অনিয়মিতভাবে জুতা পরতেন তিনি। ১৯৯৮ সালের ১৬ ডিসেম্বর আরেক ছেলে মারা গেলে পুত্রশোকে তিনি আর জুতা পায়ে দেননি। খালি পায়ে হেঁটে নিজের লেখা বই বিক্রি করে চলতেন এই নারী।
স্বাধীনতার পরে ২০ বছর তিনি লেখ্যবৃত্তিকে পেশা হিসেবে নিয়েছেন। প্রথমে তিনি একটি পাক্ষিক পত্রিকায় লিখতেন। বিনিময়ে সম্মানীর বদলে পত্রিকার ৫০টি কপি পেতেন। সেই পত্রিকা বিক্রি করেই চলত তাঁর জীবন-জীবিকা। পরে নিজেই নিজের লেখা বই প্রকাশ করে বই ফেরি করতে শুরু করেন। প্রবন্ধ, উপন্যাস ও কবিতা মিলিয়ে তিনি নিজে ১৮টি গ্রন্থ প্রকাশ করেছেন।
উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ:-
একাত্তরের জননী।
১০০১ দিন যাপনের পদ্য।
আগুন রাঙা আগুন ঝরা অশ্রু ভেজা একটি দিন।
ভাব বৈচিত্রে রবীন্দ্রনাথ।
অপ্রিয় বচন।
লাখ টাকা।
হীরকাঙ্গুরীয়
একাত্তরের জননী’সহ ১৮টি গ্রন্থের লেখক, মুক্তিযুদ্ধে নির্যাতনের শিকার নারী রমা চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হাড়ের ব্যথাসহ নানা রোগে ভুগছিলেন। চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ২০১৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর সোমবার ভোররাত ৪টা ৪০ মিনিটে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর।

সাইফুদ্দিন খালেদ খসরু সমাজ বদলের স্বপ্ন দেখতেন-শোকসভা।

সাইফুদ্দিন খালেদ খসরু তাঁর কর্মের মাধ্যমে আমাদের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন। প্রগতিশীল আন্দোলনের কর্মী ও বিশিষ্ট পেশাজীবি সাইফুদ্দিন খালেদ খসরুর শোকসভার নগরীর থিয়েটার ইনিস্টিউট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। সাইফুদ্দিন খালেদ খসরু এর নাগরিক শোকসভা কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক মহীবুল আজিজ এর সভাপতিত্বে এবং আবৃত্তিশিল্পী ও নাগরিক কমিটির সদস্য মো: মুজাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় শোকসভায় বক্তব্য রাখেন, সাইফুদ্দিন খালেদ খসরু এর নাগরিক শোকসভা কমিটির সদস্য সচিব মোঃ আতিক, সাবেক ছাত্রনেতা ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডা. ফজলে এলাহী মিলাদ, কবি ও সাংবাদিক অভীক ওসমান, সমাজ সমীক্ষা সংঘের সভাপতি কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু, কবি ও সাংবাদিক নাজিমুদ্দীন শ্যামল, শিক্ষাবিদ আজাদ বুলবুল, খেলাঘর চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিত বসু, যুব ইউনিয়ন চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সভাপতি মোঃ শাহ আলম, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক এড. অসীম কুমার দাশ, সমাজ সমীক্ষা সংঘের নির্বাহী পরিচালক কল্লোল দাশ, নজরুল সংগীত শিল্পী সংস্থার সিনিয়র সহ সভাপতি এবং বাংলাদেশ সংগীত সংগঠন সমন্বয় পরিষদের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক দীপেন চৌধুরি, সম্মিলিত আবৃত্তি জোটের সহ সভাপতি প্রণব চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের ২১ ব্যাচের শিক্ষার্থী ইউসুফ হোসেন ভুইঁয়া, বিশিষ্ট ব্যাংকার অশ্রুত কুমার চক্রবর্তী, সমাজ সমীক্ষা সংঘের প্রতিষ্ঠাকালীন পরিচালক সুমন চৌধুরী মনি, ২১ ব্যাচের শিক্ষার্থী জহিরুল আলম, সাইফুদ্দিন খালেদ খসরুর কন্যা যাহবা শবনম আভা প্রমুখ। সভায় বক্তারা সাইফুদ্দিন খালেদ খসরুর স্মৃতিচারণ করে বলেন, আমৃত্যু তিনি ছিলেন একজন অসাম্প্রদায়িক, বিজ্ঞানমনষ্ক, মানবিক মানুষ।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তার শৈশব কৈশোর ও ছাত্র জীবনে তিনি বিভিন্ন মননশীল, ঋদ্ধ, গুণী ব্যক্তিদের নিত্য সংস্পর্শে ছিলেন। একটি সুরুচি সম্পন্ন সাংস্কৃতিক আবহে গড়ে ওঠেছে তার প্রাথমিক বেড়ে ওঠার দিনগুলো। আমৃত্যু তিনি প্রগতিশীল আন্দোলনের সাথে যুক্ত ছিলেন। সাইফুদ্দিন খালেদ খসরু বিশ্বাস করতেন মুক্ত মানুষের মুক্ত সমাজে। যুক্তি ও বুদ্ধির মুক্তিতে সাইফুদ্দিন খালেদ খসরুর আশাবাদ ছিল সবসময়।

বক্তারা আরো বলেন, আধুনিকতার নামে ভোগবাদী সমাজ, শোষণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যুক্ত থেকে সাইফুদ্দিন খালেদ খসরু সমাজ বদলের স্বপ্ন দেখতেন। প্রকৃত মানুষের মানবিকতা, উদারতা নিয়ে মানুষের জন্য কাজ করার স্বপ্ন ছিল সাইফুদ্দিন খালেদ খসরুর। তিনি সকলের কাছে একই সাথে আস্থা, ভালোবাসা ও নির্ভরতার মানুষ ছিলেন। স্মরণ সভার শুরুতে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে সাইফুদ্দিন খালেদ খসরুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন করা হয় এবং তাঁর স্মৃতির স্মরণে একমিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ