আজঃ শনিবার ১৪ জুন, ২০২৫

কলকাতা:

জগদ্ধাত্রী সিরিয়ালের দিব্যা কেনো পাহাড়ে বিয়ে করতে চান

বিনোদন ডেস্ক:

সিনেমা:

মনের মতো পাত্র পেলেই বিয়ে করবেন কলকাতার অভিনেত্রী প্রিয়া পাল। তাও আবার পাহাড়ে গিয়ে বিয়ে করতে চান। আর এই লক্ষ্যে বেনারসি শাড়ি আর গহনা রেডি আছে তার। মনের মতো পাত্র খুঁজে পাচ্ছেন না বলে পত্রিকান্তরে পাত্র খুঁজে দেওয়ার অনুরোধ করেছেন এই অভিনেত্রী। কলকাতার একটি গণমাধ্যম থেকে জানা গেছে, কলকাতার টিভি ধারাবাহিক ‘জগদ্ধাত্রী’র খলনায়িকা ‘দিব্যা সেন’ ওরফে প্রিয়া পাল কিছুতেই মনের মতো পাত্র খুঁজে পাচ্ছেন না! এবার তাই পাত্র খোঁজার দায়িত্ব দিয়েছেন গণমাধ্যমকে।

পাত্ররা তো প্রিয়াকে জগদ্ধাত্রীর খলনায়িকা হিসেবে চেনেন। মেজাজের ধরন শেয়ারবাজারের ওঠাপড়ার মতোই তার। এই চড়ে গেল তো পরক্ষণেই ঠান্ডা! এটুকু মানিয়ে নিতেই হবে পাত্রকে। তার জন্য বিয়ে বানচাল হচ্ছে না তো ? এমন প্রশ্নে আবারও হাসতে হাসতে জবাব দিলেন, ওটা তো অভিনয়। বাস্তবে আমি ও রকম নাকি।

অভিনয়ের বাইরে এবার নিজের বিয়ে নিয়ে মুখ খুলেছেন প্রিয়া পাল। মনের কষ্টের কথাও অকপটে ফাঁস করলেন তিনি। যেটুকু বলতে পারেননি সেসব ভাগ করে নিয়েছেন ওই গণমাধ্যমের সঙ্গে। সেখানে তিনি পাত্র হিসেবে কাদের দেখতে চান – এমন প্রশ্নের উত্তরে প্রিয়া পাল জানান, বিরাট কোহলি, রণবীর সিং, জন আব্রাহাম, সিদ্ধার্থ মালহোত্রা ও মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকে।

কিন্তু উল্লিখিত পাত্ররা তো সবাই যে বিবাহিত। পাত্র পাচ্ছেন না বলে অভিনেত্রী কি শেষে ঘর ভাঙতেও রাজি – এমন প্রশ্ন শুনে হেসে প্রিয়া পাল বলেন, একেবারেই কারও ঘর ভাঙতে চাই না। যে পাঁচজনের নাম বলেছি, তারা উদাহরণ মাত্র। তাদের মতো আমার পুরুষ পছন্দ।তিনি বলেন, তার কপালই খারাপ। বাকি অন্য যারা অবিবাহিত পুরুষ আছেন, তাদের প্রতি আমার কোনো আকর্ষণ নেই! তাদের সুপাত্র হিসেবে মানতে নারাজ প্রিয়া।

অভিনেত্রীদের বিয়ে নিয়ে বেশ কৌতূহল সাধারণ মানুষের। কেমন পাত্র চাই ? কেমন পাত্র হলে তিনি পছন্দ করবেন। কী কী বৈশিষ্ট্য থাকা উচিত – এমন প্রশ্ন করতেই এই অভিনেত্রী ওই গণমাধ্যমের ওপরে পাত্র নির্বাচনের ভার দেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, বেনারসি শাড়ি আর গহনাও রেডি করে রেখেছেন। কেবল পাত্র চাই। পাত্র খুঁজে দিলেই তিনি দেরি করবেন না, বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন।

প্রশ্ন ওঠে – কেমন বিয়ে পছন্দ তার ? ডেস্টিনেশন বিয়ে, বাঙালি বিয়ে না কি সোনাক্ষীর মতো ছিমছাম বিয়ে – এমন প্রশ্নে প্রিয়া পাল বলেন, খুব ইচ্ছে পাহাড়ে গিয়ে বিয়ে করবো। হাড়কাঁপানো ঠান্ডা থাকবে। লোকে এমনিতেই কম যাবে। এভাবেই বিয়ের খরচ কমিয়ে ফেলবো। আর এখানেই শেষ নয়। যে টাকাটা বাঁচবে, সেই টাকা দিয়ে তিনি বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করবেন! তাই পাত্রকে অবশ্যই তার মতো ভ্রমণবিলাসী হতে হবে বলেও জানান এই আলোচিত অভিনেত্রী।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ঈদুল আজহার উৎসবে চট্টগ্রামের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে মানুষের ঢল।

বন্দর নগরী চট্টগ্রামে ঈদুল আজহার উৎসবের মধ্যে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে মানুষের ঢল নেমেছে। নানা বয়সের, নানা শ্রেণিপেশার বিনোদন পিয়াসী মানুষ আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। শুধু চট্টগ্রাম নগরী কিংবা আশপাশের এলাকা নয়, ঢাকাসহ দূর-দূরান্ত থেকেও লোকজন ভিড় করছেন পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত, ফয়’সলেক, চিড়িয়াখানা, সীতাকুণ্ডের গুলিয়াখালী, মিরসরাইয়ের মহামায়াসহ আরও বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে। গত তিন দিন ধরেই এমন চিত্র সাগর-পাহাড়ঘেরা বন্দরনগরীর নৈসর্গিক সৌন্দর্যমণ্ডিত স্থানগুলোর।

জানা গেছে, গত শনিবার (৭ জুন) কোরবানির দিনে ব্যস্ততার কারণে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে লোকজনের আনাগোণা স্বাভাবিকভাবেই কম ছিল। কিন্তু রোববার ও সোমবার দিনভর মানুষ ছুটেছে সেখানে, হাজার, হাজার মানুষ।মঙ্গলবারও ছিল মানুষের ঢল চোখে পড়ার মত।
নগরীর পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে সোমবার সকাল থেকেই মানুষের আনাগোণা শুরু হয়। প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, মোটর সাইকেলে চড়ে তরুণ-যুবকেরা গেছেন। অনেকে স্ত্রী-সন্তান নিয়েও বেড়াতে গেছেন। দুপুরের পর থেকে রীতিমতো সৈকতে মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।

সৈকতের বালুচরে শিশু-কিশোরদের ছুটোছুটি, সাগরের ঢেউয়ের সঙ্গে মিতালী, ফুচকাওয়ালার হাঁকডাক, কাঁকড়া ভাজা, গরম পিঁয়াজুর স্বাদ- সব মিলিয়ে এ এক অনন্য বিকেল ! গোধূলিবেলায় তরুণীদের সেলফি, পাথরে বসে তরুণদের গিটার বাজিয়ে গান আনন্দ সম্মিলনকে যেন ভিন্নমাত্রা দিয়েছে।

নগরীর হাজারী লেইন থেকে স্ত্রী ও দুই কিশোরী মেয়েকে নিয়ে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে যান পারফিউম ব্যবসায়ী তারেকুল হাবিব। তিনি বলেন, আমাদের গ্রামের বাড়ি রাউজানে। কোরবানিতে বাড়িতে ছিলাম সবাই। সোমবার (৯ জুন) সকালে এসে বিকেলে সবাইকে নিয়ে বের হয়েছি।

কলেজ শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন বলেন,পতেঙ্গা সৈকত, কক্সবাজার সৈকত আমাকে খুব টানে। প্রতিবার ঈদে পতেঙ্গায়, না হলে কক্সবাজারে যাবার চেষ্টা করি।চট্টগ্রামে ঈদুল ফিতর কিংবা ঈদুল আজহা- সবসময় সবচেয়ে বেশি ভিড় হয় চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা ও ফয়’সলেক কনকর্ড অ্যামিউজমেন্ট পার্কে। দুটি পাশাপাশি বিনোদন স্পট।

পাহাড় ও হ্রদবেস্টিত ৩৩৬ একরের ফয়’সলেক কনকর্ড অ্যামিউজমেন্ট পার্কে এবারও দর্শনার্থীর ভিড় লেগেই আছে।পাহাড়ের বুক চিড়ে প্রায় পাঁচ কিলোমিটারের আঁকাবাঁকা লেক, ওয়াটার পার্ক সী-ওয়ার্ল্ডের কৃত্রিম সমুদ্র, বেসক্যাম্প, অ্যামিউজমেন্ট পার্কের রাইড- সবখানেই মুখর। তবে সবচেয়ে বেশি সমাগম হয়েছে কৃত্রিম সমুদ্রে, যেখানে হাজারো নারী, পুরুষ, শিশু আনন্দে মেতেছিলেন। ডিজে গানের সঙ্গে তরুণ-তরুণীদের পানিতে দাপাদাপি, হইহুল্লোড়ে দিনভর অন্যরকম আবহ তৈরি হয়।

ওয়ান ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক ইসমাইল হোসেন বলেন, এবার টানা দশদিনের বন্ধ। এত লম্বা বন্ধ আগে পাইনি। সিদ্ধান্ত নিয়েছি, কোরবানির দিন বাদে প্রত্যেকদিন ছেলেমেয়েদের নিয়ে ঘুরবো। গতকাল পতেঙ্গা গিয়েছিলাম। আজ ফয়’সলেক এসেছি। রাঙামাটি যাবার ইচ্ছে আছে।
অ্যামিউজমেন্ট পার্ক পরিচালনাকারী কনকর্ডের উপ-ব্যবস্থাপক (বিপণন) বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, ঈদের পরদিন থেকে লোকজন আসতে শুরু করেছেন। প্রথমদিন রোববার প্রায় সাড়ে তিন হাজার দর্শনার্থী এসেছেন।

সোমবার আট হাজারের মতো প্রবেশ করেছেন। ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে প্রচুর দর্শনার্থী আসছেন। আমাদের রেস্ট হাউজ পুরো বুকড। আশা করছি আগামী শনিবার সরকারি বন্ধের শেষদিন পর্যন্ত এমন সমাগম থাকবে।
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় প্রতিদিন হাজার, হাজার দর্শনার্থীর সমাগম ঘটছে। বিরল সাদা বাঘ, সিংহ, জলহস্তী, নানা জাতের পাখি টানছে শিশু-কিশোরসহ সব বয়সীদের।
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর ডা. শাহাদাত হোসেন শুভ বলেন, ঈদের দিন ২ হাজার টিকিট বিক্রি হয়েছিল। পরদিন থেকে ১০ হাজার ১৩ হাজারের মতো দর্শনার্থী প্রবেশ করেছে।

অপূর্ব নৃত্যশৈলীতে সুরাঙ্গন এর নৃত্য মঞ্জুরী।

গীতবাদ্যের ছন্দে অঙ্গভঙ্গির দ্বারা মঞ্চে চিত্রকলা উপস্থাপনের ললিতকলাই যে নৃত্য, তা আবারো একবার প্রমাণ করল সুরাঙ্গন বিদ্যাপীঠ ছাত্র-ছাত্রীরা। আজ ৩ জুন সন্ধ্যায় নান্দনিক এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়ে গেল জেলা শিল্পকলা একাডেমির অডিটোরিয়াম মঞ্চে। শাস্ত্রীয় ও উপশাস্ত্রীয় সঙ্গীতে মনোমুগ্ধকর নৃত্যানুষ্ঠানের আয়োজন করে সুরাঙ্গন বিদ্যাপীঠ।


২ শতাধিক নৃত্যপ্রেমী দর্শকের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত দুই যুগ পূর্তির বর্ণীল এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ছিলেন শিক্ষাবিদ প্রফেসর রীতা দত্ত। অতিথি ছিলেন প্রয়াস-চট্টগ্রাম এর অধ্যক্ষ লে. কর্ণেল মাহাবুব মোর্শেদ, জেলা কালচারাল অফিসার সৈয়দ মুহম্মদ আয়াজ মাবুদ, রেলওয়ে পুলিশ সুপার শাকিলা সোলতানা, বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থা চট্টগ্রাম এর সভাপতি শারমীন হোসেন।

আবৃত্তিশিল্পী কংকন দাশের সঞ্চালনায় ও সুরাঙ্গন বিদ্যাপীঠের অধ্যক্ষ হিল্লোল দাশ সুমনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে গুরুমাতা সংবর্ধনা প্রদান করা হয় ‘স্কুল অফ ওরিয়েন্টাল ডান্স’ এর অধ্যক্ষ শ্রীমতি শুভ্রা সেন গুপ্তাকে। অনুষ্ঠানে সুরাঙ্গন বিদ্যাপীঠের শতাধিক শিক্ষার্থী নৃত্য পরিবেশন করেন।

এছাড়াও সুরাঙ্গন বিদ্যাপীঠ সঙ্গীত বিভাগের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় দলীয় সঙ্গীত পরিবেশিত হয়। অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন সুরাঙ্গন বিদ্যাপীঠের অধ্যক্ষ হিল্লোল দাশ সুমন। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন চয়ন দেবনাথ ও সুস্মিতা ঘোষ মুমু।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ