আজঃ রবিবার ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫

চট্টগ্রামে যুবদলের নতুন কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে বাদশার নেতৃত্বে আনন্দ মিছিল

নিজস্ব প্রতিবেদক

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় নতুন কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ মিছিল করেছে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের নেতাকর্মীরা।বুধবার (১০ জুলাই) বিকালে মহানগর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশার নেতৃত্বে নগরীর কাজীর দেউরী মোড় থেকে এই মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি নুর আহম্মেদ সড়ক প্রদক্ষিন করে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
আজ আব্দুল মোনায়েম মুন্নাকে সভাপতি ও নুরুল ইসলাম নয়নকে সাধারণ সম্পাদক করে ৬ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়।

সমাবেশে যুবদলের নতুন কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে এমদাদুল হক বাদশা বলেন, ডামি নির্বাচনের সরকার দেশের মানুষের সকল অধিকার কেড়ে নিয়েছে। দুর্নীতি আর লুটপাটের মাধ্যমে দেশকে ফোখলা করে দিয়েছে। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব আজ হুমকির মুখে। তাই দেশের জনগণ তাকিয়ে আছে তরুণ যুবকদের দিকে। দেশজুড়ে যে অনাচার চলছে তার থেকে মুক্তি পেতে যুব সমাজকেই এগিয়ে আসতে হবে।শেখ হাসিনার পতনের মধ্য দিয়েই আনন্দ উদযাপন করবে যুবদল।

কেন্দ্রীয় যুবদলের নতুন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, নতুন কমিটির নেতৃত্বে বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশিত গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলন বেগবান হবে। বর্তমান ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের কবল থেকে এদেশের যুবদল কর্মীরা খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবেই।

তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং নবগঠিত কমিটির নেতৃবৃন্দকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান।

মিছিলে অংশ নেন চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সহ সভাপতি নাসির উদ্দিন চৌধুরী নাছিম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল উদ্দিন, সহ অর্থ সম্পাদক জিয়াউল হক মিন্টু, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক মো. আলাউদ্দিন, সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ইদ্রিস সবুজ, প্রাথমিক গণশিক্ষা সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন, সহ সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মো. সালাউদ্দিন, সহ শিল্প সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন জিতু, সদস্য সাব্বির ইসলাম ফারুক, বাকলিয়া থানা যুবদলের আহবায়ক ইসমাইল হোসেন লেদু, চকবাজার থানা যুবদলের আহবায়ক মো. সেলিম, কোতোয়ালি থানা যুবদলের সদস্য সচিব মো. হাসান, সি. যুগ্ম আহবায়ক এম এ জলিল, বাকলিয়া থানা যুবদলের সি. যুগ্ম আহবায়ক মুস্তাকিম মাহমুদ, চকবাজার থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রিদওয়ানুল হক রিদু, মহানগর যুবদল নেতা আমিন উল্লাহ, মো. আলী, সাইফুল্লাহ ইসলাম, থানা যুবদল নেতা জাকির হোসেন, আবদুর রহিম মিনু, মাইনুদ্দিন খান রাজিব, সিরাজ খান রাজু, সাদ্দামুল হক সাদ্দাম, শফিউল বসর সাজু, ইয়াকুব খান, মো. ওসমান, মো. রায়হান, মো. মামুন, আবদুস সোবহান, ওমর ফারুক রানা, মো. শরীফ, দেলোয়ার হোসেন, মো. ফারুক, সাব্বির ইসলাম, মো. বাপ্পি, রাসেল করিম রাসেল, শহিদুল করিম শহীদ, আবুল হোসেন, মো. কাউসার, আবদুর রশিদ, আবদুল হামিদ, মো. আলমগীর, মো. মহসিন, নেজাম উদ্দিন, মো. মিজান, ফরিদ, মানিক, জাবেদ, হামিদ, রশিদ, রাসেল সহ ১৫টি থানা ও ৪৩ টি ওয়ার্ডের যুবদল নেতৃবৃন্দ।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান জামায়াতে যোগ দিলেন

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জামায়াতে যোগ দিয়েছেন সাবেক মন্ত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান। শনিবার ১৩ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

জামায়াত আমিরের উপস্থিতিতে মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নীতি ও আদর্শ, দেশপ্রেম এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অবিচল অবস্থানের প্রতি গভীর আস্থা ও সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি সংগঠনের প্রাথমিক সহযোগী সদস্য ফরম পূরণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেন।

আওয়ামিলীগের সাবেক পৌর কাউন্সিলর জুলফিকার মিয়ার বিএনপিতে যোগদান।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

লালমোহন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী জুলফিকার মিয়া বিএনপিতে যোগদান করেছেন। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে তিনি ঢাকায় বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ভোলা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (বীর বিক্রম) এর বাসায় গিয়ে ফুল দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান সম্পন্ন করেন।

এ সময় মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ তাকে দলে স্বাগত জানান। দলীয় একটি সূত্র বলছে, আগাম রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে সামনে রেখে জুলফিকার মিয়ার এই যোগদান বিএনপির স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন উদ্দীপনা তৈরি করবে বলে সকলে মনে করছেন।

অন্যদিকে বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে আওয়ামিলীগের এমপি নুরনবী চৌধুরী শাওন কর্তৃক নির্যাতিত, নিষ্পেষিত বিএনপির অনেক ত্যাগি নেতারা এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। নাম জানাতে অনিচ্ছুক এক নেতা বলেন- বিএনপির এমন দিন আসবে কখনো চিন্তাও করিনি। তবে কী আওয়ামিলীগ দিয়ে বিএনপির ত্যাগীদের আবার নির্যাতনের স্বীকার করতে চায় মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ? কেন আমরা এতদিন নির্যাতিত ছিলাম? এই দিন দেখার জন্য?

এ বিষয়ে জুলফিকার মিয়াকে একাধিকবার ফোন করলে তার মুঠো ফোনটি বন্ধ দেখায়। তবে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে তার এই সিদ্ধান্ত ঘিরে আলোচনা সমালোচনার শুরু হয়েছে। কেউ কেউ মনে করছে; এভাবে আওয়ামিলীগ দ্বারা বিএনপি সাজাতে থাকলে ভোটের মাঠে এর প্রভাব বিস্তার করবে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ