
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব আবু সুফিয়ান বলেছেন, এ বিজয় দেশের সাধারণ ছাত্রছাত্রী ও জনতার বিজয়। দেশের গণতন্ত্রকামী, নির্যাতিত নিষ্পেষিত মানুষের বিজয়। ফ্যাসিস্ট হায়েনা সরকারের কবল থেকে মুক্তি পাওয়ায় দেশবাসীকে অভিনন্দন জানাই। নিরীহ, কোমলমতি,সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই বিজয় আমরা সবাই সমুন্নত রাখবো। আমি শাহাদাত বরণকারী সকল ছাত্রছাত্রী এবং সাধারণ মানুষের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি। অতি দ্রুত নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে সকল হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিতের দাবি জানাই। দেশবাসীকে শান্ত এবং সতর্ক থাকার আহবান করছি কোনো দুষ্কৃতিকারী যেন দেশে কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তৈরি করতে না পারে। ছাত্রসমাজ, শিক্ষক সহ সকল শ্রেণি পেশার মানুষ এবং রাজনৈতিক দলসমূহ যারা এই আন্দোলনকে সফল করে তোলার জন্য যে অনন্য ভূমিকা রেখেছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। ঐক্যবদ্ধভাবে একটি সুন্দর দেশ, সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে।তিনি আরও বলেন, আশা করি এই অবৈধ ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে দেশে শান্তি শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। মানুষ তার ভোটাধিকার, বাকস্বাধীনতা ফিরে পাবে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হবে। বিগত ১৭ বছর দেশের মানুষের উপর একটি ফ্যাসিস্ট কর্তৃত্ববাদী সরকার জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসে ছিল। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আমরা রাজপথে লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে গেছি। আজকে সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে দেশের মানুষ পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হয়েছে। অতি শীঘ্রই গণতন্ত্রের আপোসহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মুক্ত হবে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বীরের বেশে দেশে ফিরে আসবেন।তিনি আজ অবৈধ সরকারের পতনে বিজয় মিছিল পূর্ব সমাবেশে একথা বলেন। মিছিলটি বহদ্দারহাট মোড় থেকে শুরু করে চকবাজার, আন্দরকিল্লা হয়ে কোতোয়ালি মোড় এসে শেষ হয়। এসময় হাজার হাজার সাধারণ মানুষ বিজয় মিছিলে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য মাহবুবুল আলম, আনোয়ার হোসেন লিপু, এড. সিরাজুল ইসলাম, চান্দগাঁও থানা বিএনপির আহবায়ক গিয়াস উদ্দিন ভুইয়া, হাজী ইলিয়াস শেকু, মুহাম্মদ হাসান লিটন, ম. হামিদ, গোলজার হোসেন, এম আবু বক্কর রাজু, সালামত আলী, মো. আলমগীর, জাহেরু মাসুদ, সাজিদ হাসান রনি, নাছির উদ্দিন প্রমুখ।













