আজঃ শনিবার ৬ ডিসেম্বর, ২০২৫

দুর্যোগ মোকাবিলায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে – আবু সুফিয়ান

প্রেস রিলিজ

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেছেন, গত ৫ আগষ্ট একটি ফ্যাসিস্ট, স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে একটি রক্তক্ষয়ী য্দ্ধু শেষ না হতেই দেশবাসীর সম্মুুখে আরেকটি যুদ্ধ অবতীর্ণ হয়েছে। তবে এ য্দ্ধুটা হলো- প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করে প্রকৃতির সাথে টিকে থাকার যুদ্ধ। এ যুদ্ধেও ছাত্র সমাজ কে সামনের কাতারে এগিয়ে আসতে হবে। কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও ভারত থেকে আসা ঢলে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় বন্যা কবলিত জেলাগুলোতে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ অসহায় মানুষদের রক্ষার্থে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সবাইকে এ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। আমাদের প্রথম কাজ হবে পানিবন্ধি মানুষকে উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসা এবং তাদের পর্যাপ্ত খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা। সর্বশেষ বন্যা পরবর্তীতে তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা।

তিনি আরোও বলেন, বিএনপির রাজনীতিই হলো জনগণের জন্য। সুখে-দু:খে ও সংকট-দুর্যোগ দেশের মানুষের পাশে থাকা। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় বন্যাকবলিত এলাকায় আমাদের নেতাকর্মীরা ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে আছে। চান্দগাঁও থানা ছাত্রদলের উদ্যোগে অসহায় বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর এই মহৎ কার্যক্রমকে আমি সাধুবাদ জানাই। স্বৈরাচার খুনী হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশী-বিদেশী গোষ্ঠী ছাত্র-জনতার বিজয় কে নস্যাৎ করার জন্য বিভিন্ন অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। তারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় হামলা, ভাংচুর, লুটপাট করে বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর দায় চাপানোর অপচেষ্টা করছে। আমাদের নেতাকর্মীদের ষড়যন্ত্রকারীদের এসকল অপতৎপরতার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। আমি দুর্যোগ মোকাবিলায় দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি দেশের বিত্তবানশ্রেণী সহ সর্বস্তরের মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই।

তিনি আজ ২৩ আগষ্ট (শুক্রবার) বিকেলে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে চান্দগাঁও থানা ছাত্রদলের উদ্যোগে ‘ত্রাণ ক্যাম্প তহবিল’ এর উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন লিপু। চান্দগাঁও থানা ছাত্রদলের আহবায়ক আব্দুর রহমান আলফাজ এর সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক কাউছার আলম এর সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চান্দগাঁও থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন ভুইয়া, চান্দগাঁও থানা যুবদলের আহবায়ক গোলজার হোসেন, বিএনপি নেতা সালামত আলী, মনছুর আলম, মহানগর যুবদল নেতা নুরুল আমিন, মো. আলমগীর, এম. আবু বক্কর রাজু, নওশাদ আল জাসেদুর রহমান, সাইদুল ইসলাম, নুরনবী, আকতার হোসেন, সাজিদ হাসান রনি, নাছির উদ্দিন, সাইফুল, মো. হাকিম, হোসেন মো. মাসুম, কামাল হোসেন খোকন, চান্দগাঁও থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক রায়হান সিদ্দিকী, পারভেজ করিম, মো. আসিফ, আরিফ মহিউদ্দিন, নাজিম উদ্দিন, মো. রুবেল, দেদুল বড়–য়া, সাদ্দাম হোসেন, রনি হোসেন, মোহাম্মদ কায়েস, মো. সাইফুল, মোক্তার হোসেন, মো. পারভেজ, সাফায়াত হোসেন সোহান, মো. আরমান, মো. তারেক, মো. আরাফাত, মো. রাকিব, মো. ইয়াছিন, ফারাজ করিম নয়ন, মো. তারিকুল ইসলাম, মো. রায়হান, মহিউদ্দিন বাবু, মিরাজ, মো. হাবীব প্রমুখ।

ক্যাপশন: বন্যার্তদের সহায়তায় চান্দগাঁও থানা ছাত্রদলের উদ্যোগে ‘ত্রাণ তহবিল ক্যাম্প’ উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন আবু সুফিয়ান।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

কুষ্টিয়ায় বাড়ি থেকে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার।

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় সোহাগ হোসেন নামের এক রাজমিস্ত্রির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুটি পিস্তল ও একটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওসমানপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওসমানপুর কলপাড়া গ্রামে এই অভিযান চালান সেনাসদস্যরা। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় খোকসা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোশাররফ হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ক্যাপ্টেন মেহেদীর নেতৃত্বে কুষ্টিয়া সেনাক্যাম্পের রওশন আরা রেজিমেন্ট আর্টিলারি ইউনিটের একটি দল ওসমানপুর গ্রামের সোহাগ হোসেন নামের এক যুবকের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় বাড়ি তল্লাশি করে দুটি পিস্তল, একটি ওয়ান শুটারগান, গুলি, দেশীয় চাকু ও হাঁসুয়া পাওয়া যায়। তবে অভিযানে কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। সোহাগ হোসেন পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। তাঁর বাবার নাম আশরাফ হোসেন।

পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন বলেন, সেনাবাহিনীর অভিযানে উদ্ধার করা অস্ত্র থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

ভোলায় জলসিঁড়ি সাহিত্য আসরের কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত ।

দ্বীপজেলা ভোলার আধুনিক সাহিত্য সংগঠন জলসিঁড়ি সাহিত্য আসরের ১৫ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হয়েছে ।গতকাল ৩ ডিসেম্বর ২০২৫ সন্ধ্যায় ভোলা সদরের গঙ্গাকীর্তি হারুন অর রশিদ স্মৃতি পাঠাগারে অনুষ্ঠিত জলসিঁড়ি সাহিত্য আসরের সাধারণ সভায় সংগঠনের আহ্বায়ক শিশুসাহিত্যিক শাহাবউদ্দিন শামীম এর সভাপতিত্বে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ রোদসী কৃষ্টিসংসারের চেয়ারম্যান ও জাতীয় কবিতা পরিষদ ভোলার প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র প্রভাষক কবি রিপন শান, জাতীয় সাহিত্য সাংস্কৃতিক ঐক্যজোট ভোলা জেলা শাখার সদস্য সচিব প্রভাষক কবি মিলি বসাক, জলসিঁড়ির সদস্য সচিব কবি মহিউদ্দিন মহিন, জাতীয় কবিতা পরিষদ ভোলার সাংগঠনিক সম্পাদক ও জলসিঁড়ির সংগঠক কবি নীহার মোশারফ, আবৃত্তিশিল্পী সমাজসেবক মীর মোশারেফ অমি প্রমুখ ।

সভায় উপস্থিত সদস্যদের ভোটাভুটির মাধ্যমে শিশুসাহিত্যিক শাহাবউদ্দিন শামীম কে সভাপতি, সিনিয়র প্রভাষক সাংবাদিক কবি রিপন শানকে নির্বাহী সভাপতি, সিনিয়র প্রভাষক সংগঠক মহিউদ্দিন মহিনকে সাধারণ সম্পাদক, কবি গবেষক কবি নীহার মোশারফ কে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট জলসিঁড়ি সাহিত্য আসরের কার্যনির্বাহী কমিটি ২০২৫- ২০২৭ গঠন করা হয়েছে ।

কমিটির সহ-সভাপতিগণ হচ্ছেন- সিনিয়র প্রভাষক কবি মিলি বসাক, কবি মোঃ জুলফিকার আলী। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গণ হচ্ছেন- কবি আল মনির, আবৃত্তিশিল্পী মীর মোশারেফ অমি । অর্থ ও দপ্তর সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন কবি বিলকিস জাহান মুনমুন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন কবি শাহনাজ পারুল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন সাংবাদিক মুহাম্মদ নুরুল্লাহ আরিফ । নির্বাহী সদস্যগণ হচ্ছেন- অধ্যক্ষ কবি এম এস জালাল বিল্লাহ, কবি দিলরুবা জ্যাসমিন, কবি চৌধুরী সাব্বির আলম এবং কবি এরশাদ সোহেল ।

আসছে ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ শনিবার বিকেল ৪ টায় ভোলা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিতব্য জলসিঁড়ির মাসিক সাহিত্য সভায় নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত হবে ।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ