আজঃ শনিবার ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হলেন মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন রাউজান (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সদ্য মনোনীত চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, সাবেক ছাত্রনেতা ও সাতকানিয়ার কৃতি সন্তান মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হলেন। সংগঠনের চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিন জেলার নেতৃবৃন্দ সৌজন্য এক সাক্ষাতে বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মনোনীত হওয়ায় তাকে ঊষ্ণ শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
এসময় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে জসিম উদ্দিন বলেন, ফ্যাসিবাদী হাসিনার দোসররা এখনো দেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত করছে। কাজেই এই মুহুর্তে দলের হাইকমান্ডের নির্দেশিত আচরণবিধির উপর গুরুত্ব দিতে হবে। দলের ভাবমুর্তি নষ্ট হয় সেধরনের কার্যকলাপ থেকে আমাদের বিরত থাকতে হবে। তিনি আরো বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক দেশপ্রেমিক তারেক রহমান দেশের বর্তমান পরিস্থিতি সুক্ষ ভাবে পর্যবেক্ষন করছেন। কাজেই দেশের উদ্ভুদ্ধ এই পরিস্তিতিতে আমাদের সকলকে ঐক্যব্দ থাকতে হবে। জসিম উদ্দিন বলেন, দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশে কৃষক দলের সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন ও ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক মোশারফ হোসেন এর নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী কৃষক দল কৃষি প্রধান এই বাংলাদেশে প্রকৃত কৃষি বিপ্লব ঘঠানোর লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। যাতে কৃষিখাতের উন্নয়ন সাধিত হয় এবং কৃষি শিল্পের মাধ্যমে অর্থনৈতিক সাফল্য অর্জন হয়। আসুন দেশের ভাবমুর্তি বাড়াতে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের পতাকা তলে সকলেই ঐক্যবদ্ধ হই। এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর কৃষকদলের আহবায়ক মুহাম্মদ আলমগীর, চট্টগ্রাম দক্ষিন জেলা কৃষক দলের আহবায়ক মহসিন রানা, মহানগর কৃষক দলের সদস্য সচিব সাবের আহমেদ টারজেন, দক্ষিন জেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব জাকির হোসেন, মহানগর কৃষক দলের সিনিয়র যুগ্ম- আহবায়ক ইয়াসিন রেজা রাজু, যুগ্ম-আহবায়ক মুহাম্মদ সেকান্দর, সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক এম এনাম হোসেন, সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক মোজাহারুল কাদের, সাইফুল ইসলাম, আবু তৈয়ব, মুহাম্মদ ইলিয়াছ, মহানগর সেচ্ছাসেবক দলের সহ- নাঠ্য বিষয়ক সম্পাদক মুহাম্মদ আবদুল্লাহ, রহমত আলী, মুহাম্মদ মাহাবু, পতেঙ্গা থানা ছাত্রদলের আহবায়ক মুহাম্মদ রাব্বি হোসেন রিমনসহ প্রমুখ।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি দুর্বৃত্তদের গুলিতে গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।আহত ওসমান হাদীর সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। এছাড়া চিকিৎসা কার্যক্রম নিবিড়ভাবে তদারকি করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেছেন।


একই সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দ্রুত ও ব্যাপক তদন্ত চালিয়ে হামলায় জড়িত সবাইকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ, প্রত্যক্ষদর্শীর তথ্য গ্রহণ, সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা এবং হামলার পেছনে কোনো সংগঠিত পরিকল্পনা থাকলে তা উন্মোচনের জন্য তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিতে বলেছেন।

নির্বাচনী প্রচারণাকালে ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের প্রার্থী ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান নির্বাচনী প্রচারণাকালে ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হয়েছে। দুপুরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

জুলাই ঐক্যের অন্যতম সংগঠক ইস্রাফিল ফরায়েজী জানিয়েছেন,নির্বাচনী প্রচারণাকালে তাকে গুলি করা হয়। এর আগে, গত নভেম্বর মাসে দেশি-বিদেশি ৩০টি নম্বর থেকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি পেয়েছেন বলে জানিয়েছিলেন হাদি। ১৪ নভেম্বর ফেসবুকে একটি পোস্টে তিনি জানিয়েছিলেন, তাকে হত্যা, তার বাড়িতে আগুনসহ তার মা, বোন ও স্ত্রীকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়েছে।

ওসমান হাদি ইতিমধ্যে তার ভেড়িফাইড ফেইস বুকে লিখেছিলেন, গত তিন ঘণ্টায় আমার নম্বরে আওয়ামী লীগের খুনিরা অন্তত ৩০টা বিদেশি নম্বর থেকে কল ও টেক্সট করেছে। যার সামারি হলো- আমাকে সর্বক্ষণ নজরদারিতে রাখা হচ্ছে। তারা আমার বাড়িতে আগুন দেবে। আমার মা, বোন ও স্ত্রীকে ধর্ষণ করবে এবং আমাকে হত্যা করবে।

আজ শুক্রবার ১২ ডিসেম্বর গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।জুলাই ঐক্যের অন্যতম সংগঠক ইস্রাফিল ফরায়েজী জানিয়েছেন-নির্বাচনী প্রচারণাকালে তাকে গুলি করা হয়।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ