আজঃ শনিবার ৬ ডিসেম্বর, ২০২৫

উখিয়ার টিএনটি গুচ্ছ গ্রামে মসজিদ- মাদ্রাসার দখল কৃত জমি উদ্ধারে অবস্থান কর্মসূচি

আবু বক্কর সিদ্দিক উখিয়াঃ

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের টিএনটি গুচ্ছ গ্রাম জামে মসজিদ ও ফোরকানিয়া মাদ্রাসার জমি, কবরস্থানের জায়গায় রাস্তা এবং উখিয়া স্পেশালাইজড হাসপাতাল কতৃক জোরপূর্বক জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ কৃত জায়গা উদ্ধারের লক্ষ্যে মসজিদ পরিচালনা কমিটি ও স্থানীয় জনসাধারণ স্পেশালাইজড হাসপাতালের প্রবেশপথে  অবস্থান  কর্মসূচি পালন করেছে।

স্থানীয় গ্রামবাসীর অভিযোগ তাদের মসজিদের জায়গা দখল,বৃটিশ আমলের জনপথ দূমোয়ার পথ ( রাস্তা) দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করে।  পরে কবরস্থানের উপর দিয়ে আরেকটি রাস্তা করে দেওয়ায় হয়, যেটি সবচাইতে মর্মান্তিক বলে দাবি করে তারা। তারা আরো জানায় ঐ গ্রামের মানুষ ও ছাত্র-ছাত্রীদের একমাত্র খেলার একটি মাঠ ছিল । ২০১৭ সালের আগস্টে মানবতার খাতিরে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দে সরকার। তখন রোহিঙ্গাদের সেবায় দেশি-বিদেশি অনেক এনজিও কাজ করতে আসে উখিয়াতে। সেখান থেকে কিছু এনজিও ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি প্রভাবশালী মহল যুগ সাজসে তাদের একমাত্র খেলার মাঠটি দখল করে অবৈধ সুবিধা নিয়ে এনজিওদের কে সহযোগিতা করে স্থাপনা নির্মাণ করে পরে সেটি উখিয়া স্পেশালাইজ হাসপাতাল হয়। তখনকার সময়ে তারা মানববন্ধন বিক্ষোভ সহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা সহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে গিয়েও তারা ন্যায় বিচার পায়নি বলে দাবি করে।

অবস্থান কর্মসূচি থেকে বক্তারা বলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার উখিয়া বরাবরে তারা লিখিত অভিযোগ করেছেন। এই ন্যায্য দাবি আদায়ে গত একমাস ধরে মসজিদ পরিচালনা কমিটি ও স্থানীয় জনগণ শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করা যাচ্ছেন সেই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় গত ১৮ সেপ্টেম্বরে স্পেশালাইজড হাসপাতালের সামনে গত ২৬ সেপ্টেম্বর উখিয়া সদর স্টেশনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত সমাধান করার জন্য কোন উদ্যোগ না নেয়ায় খুব ও হতাশা প্রকাশ করেন তারা। তাদের দাবি দখলকৃত সমস্ত জায়গা তাদেরকে ফেরত দিতে হবে ও উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থাও করতে হবে। যদি তাদের দাবি মেনে না নেওয়া হয় তাহলে তারা পরবর্তীতে অনশন, বিক্ষোভ সহ বড় ধরনের কর্মসূচিতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন। তাই রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, এনজিওর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার উখিয়া ও সহকারী কমিশনার ভুমির প্রতি জোর দাবি জানিয়ে তাদের দখলকৃত জায়গা উদ্ধারে সহযোগিতা কামনা করেন।

অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন উখিয়া উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি নুরুল ইসলাম সিকদার,উখিয়া উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আব্দুল মালেক মানিক,উপজেলা যুবদলের আহবায়ক সাইফুল রহমান সিকদার, কেন্দ্রীয় ওলামা দলের নেতা মাওলানা নুরুল হাসান আযাদ যুক্তিবাদী, রাজাপালং ইউনিয়ন দক্ষিণ শাখা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন সিকদার, উখিয়া উপজেলা মৎস্যজীবী দলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক হেলাল উদ্দিন,রাজাপালং সাংগঠনিক ইউনিয়ন দক্ষিণ শাখা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, রাজাপালং দক্ষিণ ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম সিকদার, যুবনেতা নেতা রফিক উদ্দিন,এনামুল কবির,মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি নুরুল আলম সওদাগর, সাধারণ সম্পাদক তুফা সওদাগর,সহ মসজিদ পরিচালনা কমিটির সকল সদস্যবৃন্দ, স্থানীয় জনসাধারণ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, পেশাজীবি ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। তারা এতদিন পর্যন্ত এটির সমাধান না হওয়ায় খুব প্রকাশ করেন এবং এনজিও কর্মকর্তা ও প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান দ্রুত সময়ের মধ্যে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাথে বসে যেন সমাধান করে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

কুষ্টিয়ায় বাড়ি থেকে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার।

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় সোহাগ হোসেন নামের এক রাজমিস্ত্রির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুটি পিস্তল ও একটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওসমানপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওসমানপুর কলপাড়া গ্রামে এই অভিযান চালান সেনাসদস্যরা। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় খোকসা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোশাররফ হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ক্যাপ্টেন মেহেদীর নেতৃত্বে কুষ্টিয়া সেনাক্যাম্পের রওশন আরা রেজিমেন্ট আর্টিলারি ইউনিটের একটি দল ওসমানপুর গ্রামের সোহাগ হোসেন নামের এক যুবকের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় বাড়ি তল্লাশি করে দুটি পিস্তল, একটি ওয়ান শুটারগান, গুলি, দেশীয় চাকু ও হাঁসুয়া পাওয়া যায়। তবে অভিযানে কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। সোহাগ হোসেন পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। তাঁর বাবার নাম আশরাফ হোসেন।

পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন বলেন, সেনাবাহিনীর অভিযানে উদ্ধার করা অস্ত্র থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

ভোলায় জলসিঁড়ি সাহিত্য আসরের কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত ।

দ্বীপজেলা ভোলার আধুনিক সাহিত্য সংগঠন জলসিঁড়ি সাহিত্য আসরের ১৫ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হয়েছে ।গতকাল ৩ ডিসেম্বর ২০২৫ সন্ধ্যায় ভোলা সদরের গঙ্গাকীর্তি হারুন অর রশিদ স্মৃতি পাঠাগারে অনুষ্ঠিত জলসিঁড়ি সাহিত্য আসরের সাধারণ সভায় সংগঠনের আহ্বায়ক শিশুসাহিত্যিক শাহাবউদ্দিন শামীম এর সভাপতিত্বে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ রোদসী কৃষ্টিসংসারের চেয়ারম্যান ও জাতীয় কবিতা পরিষদ ভোলার প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র প্রভাষক কবি রিপন শান, জাতীয় সাহিত্য সাংস্কৃতিক ঐক্যজোট ভোলা জেলা শাখার সদস্য সচিব প্রভাষক কবি মিলি বসাক, জলসিঁড়ির সদস্য সচিব কবি মহিউদ্দিন মহিন, জাতীয় কবিতা পরিষদ ভোলার সাংগঠনিক সম্পাদক ও জলসিঁড়ির সংগঠক কবি নীহার মোশারফ, আবৃত্তিশিল্পী সমাজসেবক মীর মোশারেফ অমি প্রমুখ ।

সভায় উপস্থিত সদস্যদের ভোটাভুটির মাধ্যমে শিশুসাহিত্যিক শাহাবউদ্দিন শামীম কে সভাপতি, সিনিয়র প্রভাষক সাংবাদিক কবি রিপন শানকে নির্বাহী সভাপতি, সিনিয়র প্রভাষক সংগঠক মহিউদ্দিন মহিনকে সাধারণ সম্পাদক, কবি গবেষক কবি নীহার মোশারফ কে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট জলসিঁড়ি সাহিত্য আসরের কার্যনির্বাহী কমিটি ২০২৫- ২০২৭ গঠন করা হয়েছে ।

কমিটির সহ-সভাপতিগণ হচ্ছেন- সিনিয়র প্রভাষক কবি মিলি বসাক, কবি মোঃ জুলফিকার আলী। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গণ হচ্ছেন- কবি আল মনির, আবৃত্তিশিল্পী মীর মোশারেফ অমি । অর্থ ও দপ্তর সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন কবি বিলকিস জাহান মুনমুন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন কবি শাহনাজ পারুল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন সাংবাদিক মুহাম্মদ নুরুল্লাহ আরিফ । নির্বাহী সদস্যগণ হচ্ছেন- অধ্যক্ষ কবি এম এস জালাল বিল্লাহ, কবি দিলরুবা জ্যাসমিন, কবি চৌধুরী সাব্বির আলম এবং কবি এরশাদ সোহেল ।

আসছে ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ শনিবার বিকেল ৪ টায় ভোলা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিতব্য জলসিঁড়ির মাসিক সাহিত্য সভায় নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত হবে ।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ