আজঃ শনিবার ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

নেত্রকোণায় বাংলাদেশ গ্রন্থাগার ফাউন্ডেশন কতৃক অনুমোদিত গ্রন্থাগারের কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

নেত্রকোনা জেলা গ্রন্হাগারের কমিটি গঠন। সভাপতি সাখাওয়াত, সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমানগ্রন্থাগারে বই পড়ি,আলোকিত মানুষ গড়ি”- এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ গ্রন্থাগার ফাউন্ডেশন কতৃক অনুমোদন পেয়েছে ৩৫ সদস্যবিশিষ্ট (২০২৫-২৬)নেত্রকোণা জেলা কার্যনির্বাহী কমিটি।

 

বাংলাদেশ গ্রন্থাগার ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট মো: এমাযুস সরদার রাহাত এবং শাহিনূর আক্তারের (নির্বাহী পরিচালক) যৌথ স্বাক্ষরে এ কমিটি অনুমোদন পায়।৩৫ সদস্যবিশিষ্ট জেলা কার্যনির্বাহী কমিটিতে (২০২৫-২৬) যারা স্হান পেয়েছেন ;যথাক্রমে সাখাওয়াত হোসেন মাস্টার, সভাপতি, আয়েশা সুলেয়মান পল্লী পাঠাগার, বারহাট্টা,

নেত্রকোণা,সিনিয়র সহ- সভাপতি, মাহমুদুল হাসান শামীম তালুকদার, প্রতিষ্ঠাতা, আরফান তালুকদার স্মৃতি পাঠাগার, নেত্রকোণা সদর, সহ- সভাপতি, রতন কুমার দাস, প্রতিষ্ঠাতা, বনমালী পাঠাগার, দিগজান,নেত্রকোণা সদর,সহ- সভাপতি, কামাল হোসেন, প্রতিষ্ঠাতা,আ: লতিফ স্মৃতি পাঠাগার, মদন,নেত্রকোণা,সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান, নির্বাহী পরিচালক, এমপি হাবিবা খান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণা একাডেমি লাইব্রেরি, নেত্রকোণা,সহ- সাধারণ সম্পাদক, রেজোয়ান মাসুদ,প্রতিষ্ঠাতা,আবুল হাসিম মাস্টার স্মৃতি পাঠাগার, পূর্ব ধলা, নেত্রকোণা,সাংগঠনিক

সম্পাদক, শফিকুল ইসলাম, প্রতিষ্ঠাতা,রাজ পাড়া যুব পাঠাগার, পূর্ব ধলা, নেত্রকোণা, কোষাধ্যক্ষ, রেবেকা সুলতানা, লাইব্রেরিয়ান, কর্ণেল আবু তাহের পাঠাগার,পূর্ব ধলা, নেত্রকোণা, দপ্তর সম্পাদক শাহরিয়া জামিল,প্রতিষ্ঠাতা,আব্দুল মোতালেব স্মৃতি পাঠাগার, ইসলামপুর,নেত্রকোণা সদর, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক লাকী আক্তার, পরিচালক, মনসুর নাহার গ্রন্থাগার, পূর্ব ধলা,নেত্রকোণা,পাঠাগার সম্পাদক খাদিজাতুল কুবরা,পরিচালক, আমানউল্লাহ ক্লিনিক এন্ড পাঠাগার, পূর্ব ধলা,নেত্রকোণা,শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক, নাজিম উদ্দীন, প্রতিষ্ঠাতা,হবিবপুর জনকল্যাণ পাঠাগার, পূর্ব ধলা,নেত্রকোণা, সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক শিমুল বাশার,সভাপতি, আ: মজিদ স্মৃতি পাঠাগার, কলমাকান্দা, নেত্রকোণা,তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক, আজজামা আসকা

হৃদি,পরিচালক, ফজলুর রহমান খান এমপি জনকল্যাণ পাঠাগার, নেত্রকোণা, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক, রোকেয়া আক্তার, প্রতিষ্ঠাতা, ডা.নুরুল ইসলাম ভূঁইয়া জনকল্যাণ পাঠাগার, বারহাট্টা, নেত্রকোণা,সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক হামিদুর রহমান, পরিচালক, শুনই প্রগতি পাঠাগার, আটপাড়া, নেত্রকোণা,নির্বাহী সদস্য যথাক্রমে নিপা কর্মকার,প্রতিষ্ঠাতা,স্বপ্ন পাঠাগার,

 

কেন্দুয়া,নেত্রকোণা,সাজ্জাদ হোসেন খান, প্রতিষ্ঠাতা,মোমেন আলী আজম গ্রন্থাগার, কেন্দুয়া,নেত্রকোণা,আ: হাই,প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক , শহর আলী স্মৃতি পাঠাগার, পূর্ব ধলা, নেত্রকোণা,শিল্পী বেগম, বুবাস্টার, গ্রামীণ সমাজ কল্যাণ সংস্থা লাইব্রেরি, পূর্ব ধলা, নেত্রকোণা,মোস্তাফিজুর রহমান , প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, মোস্তাফিজুর রহমান জনকল্যাণ পাঠাগার, পূর্ব ধলা,নেত্রকোণা,তাহমিনা আক্তার, প্রতিষ্ঠাতা,বুবলী জনকল্যাণ পাঠাগার, পূর্ব ধলা,নেত্রকোণা,খাইরুল বাশার সেলিম, পরিচালক, রহিমা রাশিদ জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন এন্ড পাঠাগার, সাত পাই,নেত্রকোণা সদর, বুলবুল আহমেদ, পরিচালক, হাজী আজিম উদ্দিন জনকল্যাণ পাঠাগার, পূর্ব ধলা,নেত্রকোণা,মোশাররফ হোসেন জসিম পাঠান,পরিচালক, জসিম পাঠান জনকল্যাণ পাঠাগার, নেত্রকোণা, রফিকুল ইসলাম, পরিচালক, হাজী সুরুজ আলী জনকল্যাণ পাঠাগার, কেন্দুয়া, ফখর উদ্দিন, পরিচালক, ফখর উদ্দিন জনকল্যাণ পাঠাগার, নিশ্চিন্তপুর,

নেত্রকোণা,কাওসার,পরিচালক,কাওসার জনকল্যাণ পাঠাগার, পূর্ব ধলা,নেত্রকোণা,খাজে আলী খান,পরিচালক, খাজে আলী জনকল্যাণ পাঠাগার, পূর্ব ধলা,নেত্রকোণা,রেশমা বেগম,পরিচালক, রেশমা বেগম মহিলা পাঠাগার, পূর্ব ধলা,নেত্রকোণা,শারমিন আক্তার পলি,পরিচালক, শারমিন আক্তার জনকল্যাণ পাঠাগার, দুর্গাপুর,নেত্রকোণা,শিপা আক্তার, পরিচালক, শহিদ মিয়া জনকল্যাণ

 

পাঠাগার, পূর্ব ধলা,নেত্রকোণা,হোসনা আক্তার, পরিচালক,নোভা জনকল্যাণ পাঠাগার, পূর্ব ধলা,নেত্রকোণা,আব্দুল মোমেন,পরিচালক, ওয়াজেদ আলী কালা মিয়া স্মৃতি পাঠাগার, পূর্ব ধলা, নেত্রকোণা।

 

 

 

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের বর্ণাঢ্য আয়োজন।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

যথাযথ মর্যাদা ও উৎসবমূখর পরিবেশে আগামী ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানের কর্মসূচীতে রয়েছে-১৬ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সূর্যোদয়ের সাথে সাথে কাট্টলীস্থ’ মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে (ডিসি পার্কের দক্ষিণ পার্শ্বে) ৩১ বার তোপধ্বনি ও পুস্পস্তবক অর্পণ, সকল সরকারী-বেসরকারী, আধা-সরকারী ও বেসরকারী ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৮টায় চট্টগ্রাম জেলা স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত পরিবেশন, বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে মহান বিজয় দিবসের শুভ উদ্বোধন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদেও সমাবেশ, কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে প্রদর্শন।

ঐদিন সকাল সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ প্রাঙ্গনে বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ পরিবার ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সম্মানে সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠান। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিতব্য মহান বিজয় দিবস ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ জিয়াউদ্দীন।

বিশেষ অতিথি থাকবেন চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজ, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ আহসান হাবীব পলাশ ও জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ নাজির আহমেদ খাঁন। বেলা ১২টায় সিনেমা হলসমূহে বিনা টিকেটে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চল”িচত্র প্রদর্শনী, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মিলনায়তনে বা উন্মুক্ত ¯’ানে ব¯‘ুনিষ্ট ও নৈর্ব্যত্তিক মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্য চল”িচত্র প্রদর্শনী। এছাড়া বিজয় দিবসের দিন সুবিধাজনক সময়ে শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদেও বিদেহী আত্মার মাগফেরাত,

বীর মুক্তিযোদ্ধা ও যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সুস্বা¯’্য, জাতির শান্তি-সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোড়া ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ মোনাজাত/প্রার্থনা, জেলা পর্যায়ে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে ক্রীড়া অনুষ্ঠান, টি-২০ ক্রিকেট টুর্ণামেন্ট, প্রদর্শনী ফুটবল ম্যাচ, কাবাডি, হা-ডু-ডু ইত্যাদি খেলার আয়োজন। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে সুবিধাজনক সময়ে শিশুদের অংশগ্রহণে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক রচনা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, আবৃত্তি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। দুপুর দেড়টায় হাসপাতাল, জেলখানা, বৃদ্ধাশ্রম, এতিমখানা, ডে-কেয়ার, শিশু বিকাশ কেন্দ্র, শিশু পরিবার, পথশিশু পুনর্বাসন কেন্দ্র, প্রতিবন্ধী কর‌্যাণ কেন্দ্র, শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র ও ভবঘুরে পুনর্বাসন কেন্দ্রসমূহে প্রীতিভোজের আয়োজন।

দিনব্যাপী শিশু পার্ক, ডিসি পার্ক, জাদুঘর ও চিড়িয়াখানা শিশুদের জন্য সকাল-সন্ধ্যা উন্মুক্ত রাখা ও বিনা টিকেটে প্রদর্শনীর ব্যবস্থাকরণ, পর্যটন কেন্দ্রে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন এবং ডিশ ক্যাবল অপারেটর/ মালিকগণ কর্তৃক মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচিত্র প্রদর্শন। ১৫-১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান/ স্থাপনায় আলোকসজ্জাকরণ এবং মহান বিজয় দিবসের পরদিন ১৭ ডিসেম্বর বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় ‘চট্টগ্রাম হানাদার মুক্ত দিবস পালন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও সর্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।

সাঘাটা হানাদারমুক্ত দিবস পালন: বীরত্বের ইতিহাসে উচ্ছ্বাসমুখর মানবসমাগম

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলা হানাদারমুক্ত দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে। ১৯৭১ সালের ৮ ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহিনীর দখলমুক্ত হয় সাঘাটা। দিবসটিকে স্মরণীয় রাখতে সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উদ্যোগে র‌্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।দিনটি উপলক্ষে সকালে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি উপজেলা চত্বর থেকে বের হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র‌্যালিতে মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

পরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আশরাফুল কবীর। সভায় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি, মুক্তাঞ্চল প্রতিষ্ঠার তাৎপর্য এবং স্বাধীনতার সত্য ইতিহাস নতুন প্রজন্মের মাঝে পৌঁছে দেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন যুদ্ধকালীন রুস্তম কোম্পানির ১১ নং সেক্টরের সরকারি কোম্পানি কমান্ডার গৌতম চন্দ্র মোদক, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু বক্কর সিদ্দিক, সাঘাটা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ্ব মোহাম্মদ আলী, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মঈন প্রধান লাবু, জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা ইব্রাহিম হোসেন, সাংগঠনিক সেক্রেটারি এনামুল হক সরকার, বীর মুক্তিযোদ্ধা মতলুবর রহমান রেজা, আশরাফুল আলম, যুবদলের আহ্বায়ক আহমেদ কবীর শাহীন এবং বোনারপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জসিউল করিম পলাশ প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, ৮ ডিসেম্বর সাঘাটা হানাদারমুক্ত হওয়ায় এ অঞ্চলের মানুষ গণহত্যা ও নির্যাতন থেকে মুক্তির স্বাদ পেয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা নতুন প্রজন্মের মাঝে পৌঁছে দিতে এ ধরনের আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।অনুষ্ঠানের শেষে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া পরিচালনা করা হয়।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ