আজঃ সোমবার ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫

জলাবদ্ধতা চট্টগ্রাম নগরের অন্যতম বড় সমস্যা: মেয়র ডা. শাহাদাত

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

ঐতিহ্যবাহী বাওয়া স্কুলের মানোন্নয়নে পদক্ষেপ নেয়ার ঘোষণা নিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এবং বাংলাদেশ মহিলা সমিতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন। রোববার প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সভাপতি হিসেবে প্রথম সভায় অংশ নেন তিনি। এ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মেয়র বলেন, “বাংলাদেশ মহিলা সমিতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যা চট্টগ্রামে মেয়েদের শিক্ষার ক্ষেত্রে শীর্ষস্থানীয়। এই স্কুলে শিক্ষাদানের সুযোগ পাওয়া

শিক্ষকদের জন্য যেমন গর্বের, তেমনি এখানে সন্তানদের পড়ানোর সুযোগ পাওয়াও অভিভাবকদের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়। ঐতিহ্যবাহী বাওয়া স্কুলের মানোন্নয়নে পদক্ষেপ নিব। ”

তিনি বলেন, “চট্টগ্রামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে এই স্কুলটির একটি বিশেষ মর্যাদা রয়েছে। এটির ঐতিহ্য, গৌরব এবং শিক্ষার মান অক্ষুণ্ণ রাখতে আমরা কাজ করব। পাশাপাশি, শিক্ষার্থীদের জন্য আরও উন্নত সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। আমি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ যে, শিক্ষার্থীদের নিরাপদ পরিবেশ, মানসম্মত শিক্ষা এবং উন্নত জীবনধারার জন্য যা যা প্রয়োজন, তা নিশ্চিত করা হবে।”

ডা. শাহাদাত হোসেন স্কুলের সামনের রাস্তায় যানজট এবং অপ্রতুল পরিকল্পনার বিষয়ে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “স্কুলের সামনের রাস্তায় যানজট ও বিশৃঙ্খলা শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। দায়িত্ব গ্রহণের পর আমি এ বিষয়গুলো সমাধানের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। এটি কেবল একটি স্কুলের সমস্যা নয়, চট্টগ্রাম নগরের বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনেই একই সমস্যা বিদ্যমান। এই বিষয়গুলো সমাধানের জন্য সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। আমি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে স্কুলগুলোর সামনের রাস্তা, ফুটপাত এবং যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নত করার জন্য কাজ করছি।”

চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা সমস্যার ওপর আলোকপাত করে মেয়র বলেন, “জলাবদ্ধতা চট্টগ্রাম নগরের অন্যতম বড় সমস্যা। এই সমস্যা দীর্ঘদিনের অপরিকল্পিত উন্নয়ন কার্যক্রমের ফলে সৃষ্টি হয়েছে। চট্টগ্রামের ৭১টি খালের মধ্যে বর্তমানে ৫৭টির অস্তিত্ব রয়েছে, কিন্তু এখন পর্যন্ত মাত্র ৩৬টি খালে কাজ চলছে। বাকি ২১টি খালের উন্নয়নে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য বড় অসুবিধার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দায়িত্ব গ্রহণের পর আমি বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরেছি। চট্টগ্রামকে জলাবদ্ধতামুক্ত করতে হলে এই খালগুলোও খনন করতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “ জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পে অসংগঠিত পরিকল্পনার কারণে অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এখন প্রায় ১৪০০০ কোটি টাকায় পৌঁছেছে বাজেট। কিন্তু তাতেও কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন নিশ্চিত হয়নি। জলাবদ্ধতা নিরসনে আরও সমন্বিত ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা দরকার। পরিকল্পনাবিদদের সঙ্গে আলোচনা এবং বাস্তবায়নকারীদের দায়িত্বশীল ভূমিকা নিশ্চিত করাই এই সমস্যার সমাধান এনে দিতে পারে।”

মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, “চট্টগ্রামকে পরিচ্ছন্ন, সবুজ এবং বাসযোগ্য নগরে পরিণত করার জন্য সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আমি ইতোমধ্যে ৪০ হাজারের বেশি ডাস্টবিন বিতরণ করেছি এবং আরও পরিকল্পনা আছে প্রতিটি স্কুল ও দোকানের সামনে এগুলো স্থাপন করার। এছাড়া, জলাবদ্ধতার অন্যতম কারণ পলিথিন এবং প্লাস্টিক বর্জ্য। এগুলো অপসারণের জন্য আমরা সচেতনতামূলক কার্যক্রম শুরু করেছি।”

তিনি শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নের গুরুত্ব নিয়ে বলেন, “মানসিক স্বাস্থ্য আজকের দিনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি স্কুলে একজন সাইকোলজিস্ট থাকা প্রয়োজন। অনেক ছাত্র-ছাত্রী তাদের পারিবারিক বা সামাজিক সমস্যার কারণে সঠিকভাবে পড়াশোনা করতে পারে না। সাইকোলজিক্যাল কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে তাদের মনস্তাত্ত্বিক সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। প্রতিটি স্কুলে সাইকোলজিস্ট নিয়োগ প্রয়োজন, যা শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মান বাড়াতে সহায়তা করবে।”

শিক্ষার্থীদের পুষ্টির বিষয়ে মেয়র বলেন, “সকালের নাস্তা শিক্ষার্থীদের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি মনে করি, প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রীকে স্কুলে যাওয়ার আগে এক গ¬াস দুধ, একটি ডিম এবং একটি কলা খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। এটি তাদের পড়াশোনায় মনোযোগ বৃদ্ধি এবং ভালো ফলাফল অর্জনে সহায়তা করবে।”
মেয়র তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, “আমি মেয়র হিসেবে নই, বরং একজন সেবক হিসেবে কাজ করতে চাই। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন নগর গড়ে তোলা আমাদের সবার দায়িত্ব। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে চট্টগ্রামের উন্নয়নে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। তবে এগুলো সফল করতে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।”

শেষে তিনি বলেন, “আজকে আমি মেয়র হিসেবে আছি, কাল থাকব না। কিন্তু আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম এই নগরের দায়িত্ব নিবে। তাদের জন্য একটি সুন্দর নগর উপহার দেওয়া আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। আমি আশাবাদী, চট্টগ্রামকে আমরা একটি পরিচ্ছন্ন, সবুজ এবং উন্নত নগরীতে রূপান্তরিত করতে পারব।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মহিলা সমিতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আরিফ উল হাসান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্কুলের অভিভাবক প্রতিনিধি মো. ইউসুফ। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক প্রতিনিধি হোসনে আরা বেগম, সহকারী প্রধান শিক্ষক খাদিজা বেগম, রাজিয়া বেগমসহ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

দেশ বদলাতে থ্রি জিরো থিওরি আদর্শ মডেল: চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার

চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ জিয়াউদ্দীন বলেছেন, দেশ বদলাতে তথা পৃথিবী বদলাতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর থ্রি জিরো থিওরি একটি আদর্শ মডেল। এ মডেল অনুসরণ করে আমাদের তরুণ সমাজ কাজ করলে দেশে যেমন ক্ষুধা এবং বেকারত্ব দূর হবে, তেমনি মানবজাতি জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বেঁচে থাকবে।
কমিশনার রোববার চট্টগ্রামের জেলা তথ্য অফিস

আয়োজনে চট্টগ্রাম যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের অডিটোরিয়ামে ‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই সব কথা বলেন।বিভাগীয় কমিশনার বলেন, আজকের বিশ্বে তরুণদের জন্য সম্ভাবনা ও সুযোগের ক্ষেত্র দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। বর্তমানে শুধু চাকরির পিছনে ছুটে সীমাবদ্ধ না থেকে নিজেদের যোগ্যতা, সৃজনশীলতা এবং উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে উদ্যোক্তা হতে হবে।

সভপতির বক্তব্যে মোঃ বোরহান উদ্দীন বলেন, যুবক-যুবতীদের নিজেরা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার এবং পরিবারের লোকদেরকে ভোট দিতে উৎসাহিত করেন। তিনি বলেন, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে নির্বাচন উৎসব হবে। এই উৎসবে সকল প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ আশা করে সরকার। এজন্য নির্বাচনী পরিবেশকে অবাধ, সুষ্ঠু ও ভয়হীন করার জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

জেলা তথ্য অফিস, চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোঃ বোরহান উদ্দীন সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ আবুল বাশার, আঞ্চলিক তথ্য অফিস, চট্টগ্রামের সিনিয়র তথ্য অফিসার বাপ্পী চক্রবর্তী, সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজের অধ্যক্ষ এস এম গিয়াসউদ্দিন বাবর, আব্দুল বারী প্রমূখ বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন । যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণরত প্রায় ১৫০ জন প্রশিক্ষণার্থী এবং প্রিন্ট ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ঠাকুরগাঁওয়ে নবাগত পুলিশ সুপারের সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা

ঠাকুরগাঁওয়ে নবাগত পুলিশ সুপার বেলাল হোসেনের সাথে স্থানীয় সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৭ ডিসেম্বর রবিবার দুপুর ১২টায় জেলা পুলিশ সুপারের কনফারেন্স রুমে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।এসময় পুলিশ সুপার বেলাল হোসেন বলেন, মিডিয়ার গুরুত্ব অপরিসীম। মানুষের বাকস্বাধীনতা একমাত্র মিডিয়ার মাধ্যমেই রক্ষা করা সম্ভব।

তিনি আরও বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষের সেবা করাই আমার প্রথম কাজ। মাদক সব অপরাধের মূল উৎস। তাই যেকোনো মূল্যে সমাজকে মাদকমুক্ত করতে হবে। এসময় যানজট, মাদকমুক্ত করতে ও বিদ্যমান বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন পুলিশ সুপার।


এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) খোদাদাদ হোসেন,সহকারী পুলিশ সুপার রাণীশংকৈল সার্কেল স্নেহাশীষ কুমার দাস, ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের সভাপতি মনসুর আলী, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লুৎফর রহমান মিঠু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান তানু সহ জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।উল্লেখ্য,গত ২৯ নভেম্বর বেলাল হোসেন ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ