আজঃ শনিবার ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

কালুরঘাট সেতুতে টোল আদায় আজ থেকে শুরু

স ম জিয়াউর রহমান, চট্টগ্রাম।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সংস্কারের পর আধুনিক রূপ পাওয়া কালুরঘাট সেতু দিয়ে চলাচলরত যানবাহনের টোল আদায় শুরু হচ্ছে আজ থেকে। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের ভূ–সম্পত্তি বিভাগ সেতু থেকে টোল আদায়ের জন্য গত ডিসেম্বরে টেন্ডার আহ্বান করেছিল। টেন্ডারে মোট ৯টি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে। এর মধ্যে মাওয়া এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠান আগামী ১ বছরের জন্য সাড়ে ৬ কোটি টাকা ইজারা দিতে রাজি হয়েছে। সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে এ প্রতিষ্ঠানকে ইজারা দেওয়া হয়।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান ভূ–সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. মাহবুব উল করিম আজাদীকে বলেন, রেলওয়ের শর্ত মোতাবেক কালুরঘাট সেতুর ইজারাদার প্রতিষ্ঠান আজকে (মঙ্গলবার) এক বছরের ইজারার সকল টাকা পরিশোধ করেছে। আগামীকাল (বুধবার) আমাদের সার্ভেয়ার–কানুনগোসহ গিয়ে ইজারাদার প্রতিষ্ঠানকে সেতু বুঝিয়ে দেওয়া হবে। এরপর থেকে সেতুর টোল আদায় শুরু হবে।

মাওয়া গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আলম ববি বলেন, কালুরঘাট সেতুর উপর দিয়ে চলাচলরত যানবাহন থেকে টোল আদায়ে রেলওয়ে গত ডিসেম্বরে টেন্ডার আহ্বান করেছিল। মোট ৯টি প্রতিষ্ঠান টেন্ডারে অংশগ্রহণ করেছে। টেন্ডারে আমাদের মাওয়া এন্টারপ্রাইজ সর্বোচ্চ দরদাতা বিবেচিত হয়েছে। টেন্ডারে সরকারি ডাকমূল্য ছিল ৩ কোটি ৮৭ লাখ ৫৩ হাজার ৭৪২ টাকা। টেন্ডারে মাওয়া গ্রুপ ৫ কোটি ২০ লাখ টাকায় সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। এর সাথে ১৫ শতাংশ ভ্যাট ৭৮ লাখ টাকা, ৫ শতাংশ আয়কর ২৬ লাখ টাকা এবং ২৬ লাখ টাকা ব্যাংক গ্যারান্টি জমা দিতে হয়েছে। আজকে ইজারার সকল টাকা (সাড়ে ৬ কোটি) পরিশোধ করেছি। বুধবার বিকালে রেল কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে সেতু বুঝিয়ে দেবেন এবং এরপর থেকেই (বুধবার বিকাল থেকে ) সেতুর টোল আদায় শুরু হবে।

টোলের হার : সেতু পারাপারে বাসের টোল নির্ধারণ করা হয়েছে ১০০ টাকা, ট্রাকের টোল ১৫০ টাকা, মাইক্রোবাস ৬০ টাকা, প্রাইভেটকার ৫০ টাকা, জিপ ৫০ টাকা, সিএনজি টেঙি ২০ টাকা এবং মোটরসাইকেলের টোল ২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

৯৪ বছরের পুরনো এ সেতুর সংস্কার কাজ শুরু হয়েছিল ২০২৩ সালের ১ আগস্ট। ১৪ মাস সংস্কার কাজ শেষে নতুন রূপ পেয়েছে শতবর্ষী কালুরঘাট সেতুটি। গত বছরের ২৭ অক্টোবর সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল উন্মুক্ত করা হয়। বুয়েট বিশেষজ্ঞ দলের তত্ত্বাবধানে সংস্কারের পর এখন মজবুত ও দৃষ্টিনন্দন হয়েছে সেতুটি।

৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুটির সংস্কার কাজ করেছে ম্যাঙ ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। এক সময়ের ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি দিয়ে এখন কঙবাজারগামী ট্রেন চলাচলের পাশাপাশি যানবাহনও চলছে। প্রথমবারের মতো পুরনো এই সেতু দিয়ে পথচারী পারাপারের জন্য ওয়াকওয়ে নির্মাণ করেছে রেলওয়ে। ২০২৩ সালের ১২ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে সেতুটি দিয়ে ঢাকা–কঙবাজার রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে । তেলবাহী জাহাজটিতে বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কার ১৮ নাবিক রয়েছে। ইরানি গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা ফার্স জানায়- ছয় মিলিয়ন লিটার চোরাচালানকৃত ডিজেল বহনকারী একটি তেলবাহী জাহাজ ওমান উপকূলে আটক করা হয়েছে।

চন্দ্রগঞ্জ থানা পরিদর্শন করেন নবাগত পুলিশ সুপার মো:আবু তারেক

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

লক্ষ্মীপুর জেলার সদ্য যোগদান করা পুলিশ সুপার জেলার বিভিন্ন থানা পরিদর্শন ও থানায় কর্মরত অফিসারদের সাথে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করেন।
তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানা আকস্মিক পরিদর্শন করেন লক্ষ্মীপুর জেলার নবাগত পুলিশ সুপার মোঃ আবু তারেক। এসময় চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ও কর্মরত সবাই ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

থানা পরিদর্শনকালে পুলিশ সুপার ফোর্সদের থাকার ব্যারাক ও বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন এবং সকল পুলিশ সদস্যদের সাথে কুশল বিনিময় করেন। এছাড়াও সকল পুলিশ সদস্যদের আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন।

উল্লেখ্য চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মোরশেদ আলম চলতি মাসের ৬ তারিখে এ থানায় যোগদান করেন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ