আজঃ শুক্রবার ১৮ এপ্রিল, ২০২৫

ব্লগবাড়ির আয়োজনে হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা “নূরের পাখি সিজন-২” সম্পন্ন

স ম জিয়াউর রহমান, চট্টগ্রাম।

মননশীল প্লাটফরম ব্লগবাড়ির আয়োজনে ও ফুলের হাসি ফাউন্ডেশন তত্ত্বাবধানে “হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা “নূরের পাখি সিজন-২ ২০২৫” প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে এ প্রতিযোগিতা সম্পন্ন হয়। ফুলের হাসি ফাউন্ডেশন সভাপতি অধ্যক্ষ ডা সানাউল্লাহর সভাপতিত্বে দিনব্যাপী এই প্রতিযোগিতায়, ব্লোগ বাড়ির চেয়ারম্যান কাজী সাঈদের তত্বাবধানে, গিয়াস উদ্দীন ও তসলিম হাসানের যৌথ সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল কলেজের চেয়ারম্যান লায়ন মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান এবং হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতার প্রোগ্রাম চেয়ারম্যান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ আইয়ুব।

এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক আজাদীর নির্বাহী পরিচালক শিহাব মালেক, ফিলনে প্রোপার্টিজ লিমিটেড সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার আব্দুল্লাহ নাসের, এপিক প্রোপার্টিজ লি. এর হেড অব ব্র‍্যান্ড কমিউনিকেশন মোহাম্মদ সালাহ উদ্দীন, ফুলকলি গ্রুপ জিএম আবদুস সবুর, ডাক্তার মেসবাহ উদ্দীন তুহিন, নাগরিক টিভির ব্যুরোচিফ এ কে আজাদ, পটিয়া জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক দিদারুল আলম, হালিশহর প্রিমিয়ার ব্যাংক প্রিন্সিপাল অফিসার গিয়াস উদ্দিন সেলিম, বেওয়ারিশ চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠাতা শওকত হোসেন পিপিএম, মোঃ নাসির উদ্দিন, হালিশহর প্রি-ক্যাডেট স্কুল সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন, ফুলের হাসি ফাউন্ডেন উপদেষ্টা মোস্তাফিজুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার মো: লোকমান হোসাইন, এডভোকেট বরকতুল্লাহ খান, এডভোকেট আল-আমিন, এডভোকেট হুমায়ুন কবির হিমু, আব্দুল নুর, প্রবাসী ক্লাব চেয়ারম্যান খন্দকার হেলাল উদ্দিন সিআইপি, ক্যাপ্টেন মুসলিম ফারুকসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।

উক্ত প্রতিযোগিতায় ৩০০ অধিক প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন, যেখানে প্রথম পুরস্কার নগদ ২০,০০০ টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার নগদ ১৫,০০০ টাকা, তৃতীয় পুরস্কার নগদ ১০,০০০ টাকা এবং চতুর্থ থেকে দশম স্থান অর্জন কারীদের প্রদান করা হয়েছে সম্মাননা স্মরক।

প্রথম পুরস্কার অর্জন করেন হাফেজ আব্দুল্লাহ আল ফাহিম, দ্বিতীয় পুরস্কার অর্জন করেন হাফেজ রেজাউল করিম, তৃতীয় পুরস্কার অর্জন করেন হাফেজ মোহাম্মদ সাঈদ।
এছাড়া চতুর্থ থেকে দশম স্থান অর্জন করেন যথাক্রমে হাফেজ আব্দুল্লাহ আল তামিম, হাফেজ নাফিছ উদ্দীন, হাফেজ আব্দুর রহমান, হাফেজ মোহাম্মদ ওমায়ের, হাফেজ জাহেদুল ইসলাম, হাফেজ মোহাম্মদ আনাছ ও হাফেজ মুফিজুর রহমান।

অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে সভাপতির বক্তব্যে অধ্যক্ষ ডা সানাউল্লাহ বলেন, সুস্থ সংস্কৃতি মননে এবং দ্বীনের খেদমতে ব্লগবাড়ি’র কার্যক্রম গতিশীল থাকবে।
ব্লগবাড়ির লক্ষ্য কেবল চট্টগ্রাম আঞ্চলিক বা দেশের মধ্যে আবব্ধ নয়, আমরা চাই এই কুরআনের প্রতিযোগিতা আন্তর্জাতিক মানে পৌঁছে দিতে। এতে আপনাদেরও সহযোগিতা আমরা কামনা করছি।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

টেলিপ্যাবের সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন নন্দিত নির্মাতা মীর ফখরুদ্দিন ছোটন ।

টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ- টেলিপ্যাব’র আসন্ন নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন সংগঠনটি বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক বিশিষ্ট নির্মাতা শিল্পোদ্যোক্তা ও পর্যটক মীর ফখরুদ্দিন ছোটন । দেশের শিল্প সংস্কৃতির নিবেদিতপ্রাণ ব্যতিক্রমী এই নির্মাতা বিগত দিনের সাংগঠনিক অবদানকে যথোপযুক্ত মূল্যায়ন করবার জন্য টেলিপ্যাবের সকল ভোটারের দোয়া ও অকুণ্ঠ সমর্থন কামনা করেছেন । সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনের আগে নির্বাচিত আর্কাইভ সম্পাদক হিসেবেও টেলিপ্যাবের উন্নয়নে সুনামের সাথে কাজ করেছেন প্রযোজক মীর ফখরুদ্দিন ছোটন ।

পলিমাটির জনপদ দ্বীপজেলা ভোলার গুণীসন্তান মীর ফখরুদ্দিন ছোটন ভোলা জেলা জাসাসের সভাপতি ছিলেন দীর্ঘদিন ।নতুনত্বের আলোকসন্ধানী সৃষ্টি সুখের উল্লাসে উজ্জীবিত পরিশীলিত নির্মাতা ফখরুদ্দিন ছোটন জানান-‘আমি বরাবরই দেশের বাইরে নাটকের শুটিং করতে পছন্দ করি। এ জন্য অনেকেই আমাকে বিদেশি প্রযোজক বলে থাকেন। লোকেশনের ভিন্নতা আনতেই মূলত এই কাজটি আমি করে থাকি। কারণ এই উত্তরা আর পূবাইলের কিছু লোকেশন দেখতে দেখতে দর্শকরা বিরক্ত হন। সেই জায়গা থেকে আমার এই ভিন্নধর্মী পরিকল্পনা শুরু থেকেই চলমান রয়েছে। তাছাড়া আমি চাই আমার নাটকে অনেক জনপ্রিয় স্টার থাকবে, গ্লামার থাকবে। যদিও আমি নতুনদের সুযোগ দিয়ে থাকি।’

দেশের বাইরে নিজের প্রযোজিত নাটকের শুটিং করার কারণ প্রসঙ্গে কথাগুলো বলেন প্রযোজক ও টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মীর ফখরুদ্দীন ছোটন। নিজের প্রযোজিত নাটক প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘আমার প্রতিটি নাটকেই কোনো না কোনো বার্তা দিয়ে থাকি। পাশাপাশি চেষ্টা করি নতুন নাট্যকার, অভিনেতা-অভিনেত্রীর সুযোগ দেওয়ার। কারণ নতুনদের সুযোগ না দিলে দর্শকরা একই মুখ দেখতে দেখতে বিরক্ত হয়ে পড়েন। তবে অনেক চ্যানেল ঈদের সময়গুলোতে বলে দেয় গুটিকতক শিল্পীকে নিয়ে কাজ করতে। কিন্তু আমি এই চর্চার পক্ষে নই| নতুন, পুরনো সবাইকে নিয়ে কাজ করতে হবে। চরিত্রের প্রয়োজনে যাকে দরকার তাকে নিতে হবে। এতে কাজেও ভিন্নতা আসবে, নতুন শিল্পী তৈরি হবে।’

নিয়মিত কাজের পাশাপাশি ঈদের সময়গুলোতে প্রযোজক-নির্মাতা-শিল্পীদের কাজের পরিধি বাড়ে কয়েকগুণ। সেই জায়গা থেকে নিজের ব্যস্ততা প্রসঙ্গে ছোটন বলেন, ‘আমার প্রযোজিত গুটিবাজি ধারাবাহিকটি প্রচারিত হচ্ছে। পাশাপাশি উগান্ড ফোর, টাকা কোনো সমস্যা না ধারাবাহিক দুটির কাজ চলছে। এছাড়া ঈদ উপলক্ষে সম্প্রতি একটি একক নাটকের কাজ দেশের বাইরে শেষ করলাম। এতে আমি একটি চরিত্রে অভিনয়ও করেছি। এর বাইরে আরও বেশ কয়েকটি নাটকের শুটিং সামনে শুরু করব।’

নিয়মিত প্রযোজনার বাইরে টেলিপ্যাবের গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্ববান নেতা মীর ফখরুদ্দিন ছোটন, সংগঠনটির কার্যক্রম নিয়ে আরও বলেন, ‘টেলিপ্যাবের সদস্য হওয়া ছাড়া যেন কেউ নাটক নির্মাণ করতে না পারেন এবং সংগঠনের সব প্রযোজক যাতে কাজ পান সেই চেষ্টা করব । টিভি চ্যানেলগুলোর কাছে আমাদের বকেয়া পাওনা নিয়েও কাজ করছি। এছাড়াও সংগঠনের স্বার্থে সামনে আরও বেশ কিছু পরিকল্পনা বাস্তবায়নের প্রস্তুতি নিচ্ছি । ইনশাআল্লাহ সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হতে পারলে পরিকল্পনাগুলোকে ঢেলে সাজাবো ।

সারাদিন ভাংড়ি সংগ্রহ করে চলে এদের জীবন।

সারাদিন বিভিন্ন জায়গায় ভ্যান নিয়ে ঘুরে এরা। চলে যায় একেবারে গ্রামের ভিতর। পুরাতন কাগজ, বই, কার্টুন, পুরাতন টিন, নষ্ট বোতল, নষ্ট প্লাস্টিকের কোটা, ইত্যাদি বিভিন্ন রকম মাল সংগ্রহ করে ভ্যানে নিয়ে আসে তাদের মহাজনের কাছে। মহাজন সেগুলো একটা দাম ধরে কিনে নেয়।

কথা হলো শহিদুল নামের একজনের সাথে। মোটামুটি যা হয় তাই দিয়ে চলে তাদের সংসার । তারপর মহাজন সেগুলো বিভিন্ন ভাগে ভাগ করেন। কাগজ আলাদা, টিন আলাদা, লোহা আলাদা। মহাজনের রয়েছে ৩ জন লোক। তাদের কাজ এগুলো বাছাই করা বস্তায় ভর্তি করে ওজন দেয়া। তারপর সেগুলো যাবে রাজশাহী বিসিক এলাকায়, কিছু প্রতিষ্ঠান এগুলো কিনে নিয়ে। তারা আবার এগুলো নিয়ে, মেশিনের সাহায্যে কুচি, কুচি করে ঢাকাতে পা ঠায়। এভাবেই চলছে তাদের জীবন। ঢাকা যাবে আবার এগুলো বিভিন্ন জায়গায়। এসব দিয়ে আবার নতুন করে জিনিস তৈরি করা হবে। এই ভাবে চলে কিছু মানুষের জীবন জিবিকা।এই পুরাতন জিনিস গুলো আবার নতুন রুপে বাজারে আসবে, এই রিসাইকেল হয়ে ।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ