আজঃ শুক্রবার ২৫ এপ্রিল, ২০২৫

বোয়ালখালীর সাকিয়া পেল প্রেসিডেন্ট,স স্কাউট আ্যওয়ার্ড

এম মনির চৌধুরী রানা চট্টগ্রাম

বাংলাদেশ স্কাউটসের সর্বোচ্চ স্বীকৃতি ‘‘প্রেসিডেন্ট’স স্কাউট অ্যাওয়ার্ড’’ অর্জন করেছে চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার করলডেঙ্গার ইউনিয়নের কৃর্তসন্তান আফছানা আকতার সাকিয়া। সে ২০২৩ সালের পিএস মূল্যায়ন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ স্কাউটসের প্রোগ্রাম বিভাগের পরিচালক মোছা. মাহফুজা পারভীনের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মনোনীত হওয়াদের ফলাফল প্রকাশিত হয়। ফলাফলে পূর্ণ চন্দ্র সেন

সারোয়াতলী উচ্চ বিদ্যালয়ের গার্লস ইন স্কাউট আফছানা আকতার সাকিয়া ‘‘প্রেসিডেন্ট’স স্কাউট অ্যাওয়ার্ডের’’ জন্য চূড়ান্তভাবে মনোনীত হন। সে ওই স্কুলের দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। সাকিয়ার গ্রামের বাড়ি আহলা করলডেঙ্গা ইউনিয়নের আহলা শেখ চৌধুরী পাড়ায়। তার বাবার নাম জহুরুল আলম ও মায়ের নাম পারভিন আকতার। জানা গেছে, গাজীপুর মৌচাকে জাতীয় স্কাউট প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় পর্যায়ের প্রেসিডেন্ট’স স্কাউট অ্যাওয়ার্ড এবং প্রেসিডেন্ট’স রোভার স্কাউট অ্যাওয়ার্ড প্রার্থীদের মূল্যায়ন ক্যাম্প। যেখানে প্রেসিডেন্টস স্কাউট অ্যাওয়ার্ড পরীক্ষায় জাতীয় পর্যায়ে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ স্কাউটরা

অংশগ্রহণ করে। এছাড়া দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত হয়ে জেলা, অঞ্চল ও জাতীয় পর্যায়ে লিখিত, মৌখিক, ব্যবহারিক ও সাঁতার পরীক্ষা দিয়ে এই সর্বোচ্চ অ্যাওয়ার্ড অর্জন করতে হয়। এ সবগুলো ধাপ সফলভাবে সম্পন্ন করার পরেই ‘‘প্রেসিডেন্ট’স স্কাউট অ্যাওয়ার্ড’’ অর্জিত হয়। প্রেসিডেন্ট’স স্কাউট অ্যাওয়ার্ডটি মহামান্য রাষ্ট্রপতি নিজে উপস্থিত থেকে প্রদান করে থাকেন।
অ্যাওয়ার্ড পরবর্তী অনুভূতি সম্পর্কে জানতে চাইলে আফছানা আকতার সাকিয়া বলে, ‘‘প্রেসিডেন্ট’স স্কাউট অ্যাওয়ার্ড অর্জন করা প্রত্যেক স্কাউটের জীবনে স্বপ্ন থাকে। এটি আমার জীবনে সব চেয়ে বড় অর্জন। স্কাউট জীবনের শুরু থেকেই আমি সবসময় এই সম্মাননা অর্জনের স্বপ্ন দেখতাম। আমার সেই স্বপ্ন বাস্তবে পরিণত হয়েছে। এ অ্যাওয়ার্ড পাওয়ার জন্য আমার পরিবার, স্কুল, সহপাঠী, সম্পৃক্ত সকল লিডারসহ স্কাউটসের সাবেক-বর্তমান সকল স্কাউট সদস্যের প্রতি অশেষ

কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। অবদানের কথা জানিয়ে তিনি আরো বলে, ‘আমার এ অ্যাওয়ার্ড অর্জনে মহান আল্লাহর অশেষ রহমত ছিল। পাশাপাশি স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. কামরুল হাসান স্যারের অকৃপণ সহযোগিতা এবং বাংলাদেশ স্কাউটসের লিডার ট্রেনার ও বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মো. মুজিবুর রহমান ফারুকী স্যারের অকৃত্রিম সাহস ও প্রচেষ্টার দ্বারা এ প্রাপ্তি সম্ভব হয়েছে। এদিকে, আফছানা আকতার সাকিয়ার ‘‘প্রেসিডেন্ট’স স্কাউট অ্যাওয়ার্ড’’ অর্জনে খুশি পরিবারসহ তার প্রাণ প্রিয় বিদ্যাপিঠের সকল শিক্ষক ও শিক্ষিকা। তার এ অর্জনে অভিনন্দন জানিয়েছেন বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ, প্রধান শিক্ষকসহ স্কুলের সকল শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এছাড়া, স্কুলের বর্তমান শিক্ষার্থী এবং প্রাক্তণ শিক্ষার্থী পরিষদ থেকেও তাকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

বোয়ালখালীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হনুমান উদ্ধার,চকরিয়া সাফারি পার্কে অবমুক্ত

চট্টগ্রামের বোয়ালখালী পৌর সদরের গোমদণ্ডী ফুলতল মোড়ে লোকালয়ে ঢুকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছে একটি মুখপোড়া হনুমান। আজ শনিবার (১৯ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। হনুমানটি আহত অবস্থায় সড়কে পড়ে গেলে স্থানীয় দুই যুবক মো. মুন্না ও ফয়সাল তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যান বোয়ালখালী উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে।

মুন্না জানান, হনুমানটি সকাল থেকে ভবনের ছাদ ও গাছে লাফালাফি করছিল। দুপুরের দিকে একটি গাছ থেকে ছাদে লাফ দিতে গিয়ে বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নিচে পড়ে যায়। উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের উপ-সহকারী কর্মকর্তা এসএম সাইদুল আলম সাঈদ বলেন, “হনুমানটির আংশিক লোম পুড়েছে, তবে গুরুতর জখম হয়নি। তাকে স্যালাইন দিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে এবং এখন অনেকটাই সুস্থ।

পরে বন বিভাগে হস্তান্তর করা হয়েছে। চট্টগ্রাম বনবিভাগের চট্টগ্রাম সদর রেঞ্জার মুহাম্মদ ইসমাইল হোসাইন জানান, “এটি একটি মুখপোড়া হনুমান, যা প্রায় বিলুপ্তির পথে। প্রাণিটিকে চকরিয়া সাফারি পার্কে পাঠানো হবে, যেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকবে।”তিনি আরও বলেন, “এ ধরনের উদ্ধার ও চিকিৎসা উদ্যোগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা মুন্না ও ফয়সালকে ধন্যবাদ জানাই তাদের মানবিকতার জন্য।”

কালিয়াকৈরে পৌর বজ্রের দখলে আঞ্চলিক সড়ক শালবন মানুষের দুর্ভোগ।

গাজীপুরের কালিয়াকৈর পৌরসভা দেশের উন্নত পৌরসভার তালিকায় থাকলেও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় রয়েছে চরম অব্যবস্থা।

সোমবার (২১এপ্রিল) সরেজমিনে পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখা গেছে, কিছু এলাকায় ডাম্পিং ব্যবস্থাপনা থাকলেও তা সঠিকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে না। নজরদারির অভাবে শহরের সড়ক, ফুটপাত ও শালবন আবাসিক এলাকা ক্রমশই পরিণত হচ্ছে ময়লার ভাগাড়ে।

পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মাটিকাটা এলাকার সফিপুর-বড়ইবাড়ী আঞ্চলিক সড়কে দেখা গেছে, দিন-রাত সেখানে ফেলা হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের বর্জ্য। নির্দিষ্ট ডাম্পিং জোন থাকা সত্ত্বেও তা এড়িয়ে ঠিকাদাররা সড়কের ওপরেই ময়লা ফেলছেন, ফলে যান চলাচলে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটছে।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, পঁচা দুর্গন্ধযুক্ত ময়লার কারণে এ সড়ক দিয়ে পায়ে হেঁটে চলাও কঠিন হয়ে পড়েছে। যানবাহন চলাচলেও সৃষ্টি হচ্ছে ভয়াবহ ভোগান্তি। দুর্গন্ধে আশেপাশের বাড়িঘরেও অবস্থান করা দায় হয়ে পড়েছে। কখনো কখনো রাস্তা এতটাই ময়লায় ভরে যায় যে, পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় চলাচল।

একই ধরনের চিত্র দেখা গেছে পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কালামপুর পূর্বপাড়া এলাকায়। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশে মহল্লার প্রবেশপথে সরকারি শালবনের জমিতে দীর্ঘদিন ধরে অবাধে আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। এতে একদিকে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে, অন্যদিকে চলাচলেও তৈরি হচ্ছে প্রতিবন্ধকতা।

এছাড়াও কালিয়াকৈর হাইটেক সিটির পাশে বাংলাদেশ ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির প্রস্তাবিত ভবনের জমিও দীর্ঘদিন ধরে আবর্জনায় সয়লাব হয়ে রয়েছে।

নয়টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত কালিয়াকৈর পৌরসভায় কয়েক লাখ মানুষ বসবাস করে। আবাসিক এলাকার বর্জ্য অপসারণে পৌর কর্তৃপক্ষের কার্যকর পদক্ষেপের অভাব দীর্ঘদিন ধরেই স্থানীয়দের ক্ষোভ ও হতাশার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এ বিষয়ে কালিয়াকৈর পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদুল আলম তালুকদার বলেন, বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখছি। আজ থেকেই অতিরিক্ত পরিবহন সংযুক্ত করে ময়লা অপসারণ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে কালিয়াকৈর পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউসার আহমেদ বলেন, নাগরিক ভোগান্তির বিষয়টি আমরা অবগত। পৌর এলাকায় অব্যবস্থাপনার ইঙ্গিত পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। শহরের পরিবেশ রক্ষায় প্রয়োজন হলে দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমাদের লক্ষ্য পরিচ্ছন্ন, বাসযোগ্য ও পরিবেশবান্ধব কালিয়াকৈর গড়ে তোলা।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ