আজঃ সোমবার ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫

বোয়ালখালীর সাকিয়া পেল প্রেসিডেন্ট,স স্কাউট আ্যওয়ার্ড

এম মনির চৌধুরী রানা চট্টগ্রাম

বাংলাদেশ স্কাউটসের সর্বোচ্চ স্বীকৃতি ‘‘প্রেসিডেন্ট’স স্কাউট অ্যাওয়ার্ড’’ অর্জন করেছে চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার করলডেঙ্গার ইউনিয়নের কৃর্তসন্তান আফছানা আকতার সাকিয়া। সে ২০২৩ সালের পিএস মূল্যায়ন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ স্কাউটসের প্রোগ্রাম বিভাগের পরিচালক মোছা. মাহফুজা পারভীনের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মনোনীত হওয়াদের ফলাফল প্রকাশিত হয়। ফলাফলে পূর্ণ চন্দ্র সেন

সারোয়াতলী উচ্চ বিদ্যালয়ের গার্লস ইন স্কাউট আফছানা আকতার সাকিয়া ‘‘প্রেসিডেন্ট’স স্কাউট অ্যাওয়ার্ডের’’ জন্য চূড়ান্তভাবে মনোনীত হন। সে ওই স্কুলের দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। সাকিয়ার গ্রামের বাড়ি আহলা করলডেঙ্গা ইউনিয়নের আহলা শেখ চৌধুরী পাড়ায়। তার বাবার নাম জহুরুল আলম ও মায়ের নাম পারভিন আকতার। জানা গেছে, গাজীপুর মৌচাকে জাতীয় স্কাউট প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় পর্যায়ের প্রেসিডেন্ট’স স্কাউট অ্যাওয়ার্ড এবং প্রেসিডেন্ট’স রোভার স্কাউট অ্যাওয়ার্ড প্রার্থীদের মূল্যায়ন ক্যাম্প। যেখানে প্রেসিডেন্টস স্কাউট অ্যাওয়ার্ড পরীক্ষায় জাতীয় পর্যায়ে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ স্কাউটরা

অংশগ্রহণ করে। এছাড়া দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত হয়ে জেলা, অঞ্চল ও জাতীয় পর্যায়ে লিখিত, মৌখিক, ব্যবহারিক ও সাঁতার পরীক্ষা দিয়ে এই সর্বোচ্চ অ্যাওয়ার্ড অর্জন করতে হয়। এ সবগুলো ধাপ সফলভাবে সম্পন্ন করার পরেই ‘‘প্রেসিডেন্ট’স স্কাউট অ্যাওয়ার্ড’’ অর্জিত হয়। প্রেসিডেন্ট’স স্কাউট অ্যাওয়ার্ডটি মহামান্য রাষ্ট্রপতি নিজে উপস্থিত থেকে প্রদান করে থাকেন।
অ্যাওয়ার্ড পরবর্তী অনুভূতি সম্পর্কে জানতে চাইলে আফছানা আকতার সাকিয়া বলে, ‘‘প্রেসিডেন্ট’স স্কাউট অ্যাওয়ার্ড অর্জন করা প্রত্যেক স্কাউটের জীবনে স্বপ্ন থাকে। এটি আমার জীবনে সব চেয়ে বড় অর্জন। স্কাউট জীবনের শুরু থেকেই আমি সবসময় এই সম্মাননা অর্জনের স্বপ্ন দেখতাম। আমার সেই স্বপ্ন বাস্তবে পরিণত হয়েছে। এ অ্যাওয়ার্ড পাওয়ার জন্য আমার পরিবার, স্কুল, সহপাঠী, সম্পৃক্ত সকল লিডারসহ স্কাউটসের সাবেক-বর্তমান সকল স্কাউট সদস্যের প্রতি অশেষ

কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। অবদানের কথা জানিয়ে তিনি আরো বলে, ‘আমার এ অ্যাওয়ার্ড অর্জনে মহান আল্লাহর অশেষ রহমত ছিল। পাশাপাশি স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. কামরুল হাসান স্যারের অকৃপণ সহযোগিতা এবং বাংলাদেশ স্কাউটসের লিডার ট্রেনার ও বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মো. মুজিবুর রহমান ফারুকী স্যারের অকৃত্রিম সাহস ও প্রচেষ্টার দ্বারা এ প্রাপ্তি সম্ভব হয়েছে। এদিকে, আফছানা আকতার সাকিয়ার ‘‘প্রেসিডেন্ট’স স্কাউট অ্যাওয়ার্ড’’ অর্জনে খুশি পরিবারসহ তার প্রাণ প্রিয় বিদ্যাপিঠের সকল শিক্ষক ও শিক্ষিকা। তার এ অর্জনে অভিনন্দন জানিয়েছেন বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ, প্রধান শিক্ষকসহ স্কুলের সকল শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এছাড়া, স্কুলের বর্তমান শিক্ষার্থী এবং প্রাক্তণ শিক্ষার্থী পরিষদ থেকেও তাকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

দেশ বদলাতে থ্রি জিরো থিওরি আদর্শ মডেল: চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার

চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ জিয়াউদ্দীন বলেছেন, দেশ বদলাতে তথা পৃথিবী বদলাতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর থ্রি জিরো থিওরি একটি আদর্শ মডেল। এ মডেল অনুসরণ করে আমাদের তরুণ সমাজ কাজ করলে দেশে যেমন ক্ষুধা এবং বেকারত্ব দূর হবে, তেমনি মানবজাতি জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বেঁচে থাকবে।
কমিশনার রোববার চট্টগ্রামের জেলা তথ্য অফিস

আয়োজনে চট্টগ্রাম যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের অডিটোরিয়ামে ‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই সব কথা বলেন।বিভাগীয় কমিশনার বলেন, আজকের বিশ্বে তরুণদের জন্য সম্ভাবনা ও সুযোগের ক্ষেত্র দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। বর্তমানে শুধু চাকরির পিছনে ছুটে সীমাবদ্ধ না থেকে নিজেদের যোগ্যতা, সৃজনশীলতা এবং উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে উদ্যোক্তা হতে হবে।

সভপতির বক্তব্যে মোঃ বোরহান উদ্দীন বলেন, যুবক-যুবতীদের নিজেরা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার এবং পরিবারের লোকদেরকে ভোট দিতে উৎসাহিত করেন। তিনি বলেন, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে নির্বাচন উৎসব হবে। এই উৎসবে সকল প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ আশা করে সরকার। এজন্য নির্বাচনী পরিবেশকে অবাধ, সুষ্ঠু ও ভয়হীন করার জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

জেলা তথ্য অফিস, চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোঃ বোরহান উদ্দীন সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ আবুল বাশার, আঞ্চলিক তথ্য অফিস, চট্টগ্রামের সিনিয়র তথ্য অফিসার বাপ্পী চক্রবর্তী, সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজের অধ্যক্ষ এস এম গিয়াসউদ্দিন বাবর, আব্দুল বারী প্রমূখ বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন । যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণরত প্রায় ১৫০ জন প্রশিক্ষণার্থী এবং প্রিন্ট ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ঠাকুরগাঁওয়ে নবাগত পুলিশ সুপারের সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা

ঠাকুরগাঁওয়ে নবাগত পুলিশ সুপার বেলাল হোসেনের সাথে স্থানীয় সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৭ ডিসেম্বর রবিবার দুপুর ১২টায় জেলা পুলিশ সুপারের কনফারেন্স রুমে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।এসময় পুলিশ সুপার বেলাল হোসেন বলেন, মিডিয়ার গুরুত্ব অপরিসীম। মানুষের বাকস্বাধীনতা একমাত্র মিডিয়ার মাধ্যমেই রক্ষা করা সম্ভব।

তিনি আরও বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষের সেবা করাই আমার প্রথম কাজ। মাদক সব অপরাধের মূল উৎস। তাই যেকোনো মূল্যে সমাজকে মাদকমুক্ত করতে হবে। এসময় যানজট, মাদকমুক্ত করতে ও বিদ্যমান বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন পুলিশ সুপার।


এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) খোদাদাদ হোসেন,সহকারী পুলিশ সুপার রাণীশংকৈল সার্কেল স্নেহাশীষ কুমার দাস, ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের সভাপতি মনসুর আলী, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লুৎফর রহমান মিঠু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান তানু সহ জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।উল্লেখ্য,গত ২৯ নভেম্বর বেলাল হোসেন ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ